হ্যারিসের বিজয় কি সত্যিই সাউথ ওয়ার্ল্ডের অনুকূলে?
(last modified Wed, 18 Sep 2024 13:02:54 GMT )
সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২৪ ১৯:০২ Asia/Dhaka
  •  হ্যারিসের বিজয় কি সত্যিই সাউথ ওয়ার্ল্ডের অনুকূলে?

পার্সটুডে- ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান উভয় দলই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারে আগ্রহী এবং এ লক্ষ্যে বিশ্বে অর্থনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে সামরিক শক্তি ব্যবহার করেছে।

মার্কিন নির্বাচন ঘনিয়ে আসার সাথে সাথে সাউথ ওয়ার্ল্ডের অনেক উন্নয়নশীল দেশ কমলা হ্যারিসের প্রতি  তাদের সমর্থন ঘোষণা করেছে। পার্সটুডের রিপোর্ট অনুসারে, গত কিছু দিন যাবত গণমাধ্যমের একটি অংশ এ কথা বলার চেষ্টা করছে যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হ্যারিসের বিজয় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র এবং সাউথ ওয়ার্ল্ডের  দেশগুলোর স্বার্থের অনুকূলে যাবে।

এই সমর্থনের কারণ সম্পর্কে বলা হয়: ড্রোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন গণতন্ত্র এবং সাউথ ওয়ার্ল্ডের স্বার্থের জন্য হুমকিস্বরূপ। যদিও এই যুক্তিটি আমেরিকার অভ্যন্তরীণ স্বার্থের পরিপ্রেক্ষিতে যুক্তিসঙ্গত বলে মনে হতে পারে, তবে হ্যারিসের জয় সত্যিই সাউথ ওয়ার্ল্ডের জন্য অনুকূল হবে কিনা সেটাই এখন প্রশ্ন।

দুটি সাম্রাজ্যবাদী দল অর্থাৎ ডেমোক্রেটিক এবং রিপাবলিকান উভয় দলই মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিস্তারে আগ্রহী এবং বিশ্বে আমেরিকার অর্থনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে তারা সামরিক শক্তি ব্যবহার করেছে। উভয় দলই সাম্রাজ্যবাদী নীতির ন্যায্যতা প্রমাণের জন্য গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে যেমনটি আফগানিস্তান ও ইরাক আক্রমণে দেখা গেছে। 

উদাহরণস্বরূপ, ২০০২ সালে বেশিরভাগ ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর ইরাকে আক্রমণের পক্ষে ভোট দিয়েছিলেন। রিপাবলিকানদের বিপরীতে ডেমোক্র্যাটরা একতরফা পদক্ষেপ নেয়ার পরিবর্তে জাতিসংঘ ও ন্যাটোসহ অন্যান্য সংস্থার বহুপাক্ষিক পদক্ষেপ নেয়ার এবং সবার সমর্থন পাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু   ডেমোক্র্যাটদের এ পদক্ষেপ রিপাবলিকানদের সাথে কৌশলগত পার্থক্য মাত্র এবং সাউথ ওয়ার্ল্ডের দেশগুলোর কল্যাণে আহামরি কিছু নয়। 

সাম্প্রতিক একটি আকর্ষণীয় ঘটনা হচ্ছে অনেক প্রাক্তন রিপাবলিকান রাজনীতিবিদ বেশ কিছু ইস্যুতে ডেমোক্র্যাটদের সমর্থন করেছেন। এদের মধ্যে একজন হলেন ডিক চেনি এবং তার মেয়ে লিজ চেনি, যারা মধ্যপ্রাচ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে দেয়ার প্রধান সমর্থক। তাদের এই পরিবর্তনের কারণ হল রিপাবলিকানরা আর ট্রাম্পকে বিশ্বাস করে না,কারণ তাদের মতে ট্রাম্প পশ্চিমা জোটকে দুর্বল করেছেন এবং আমেরিকান পররাষ্ট্র নীতির প্রথাগত নীতি মেনে চলেন না। এর বিপরীতে বর্তমান বাইডেন প্রশাসন এবং প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হ্যারিস আরও আক্রমণাত্মক এবং সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণের পক্ষপাতী। 

বাইডেন ইসরাইলের প্রতি তার পূর্ণ সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন এবং ন্যাটোকে ‌আরো শক্তিশালী করেছেন। এছাড়াও,বাইডেন চীনকে অবরুদ্ধ করতে নজিরবিহীন পদক্ষেপ নিয়েছেন। এই নীতিগুলো জর্জ বুশের নীতিগুলোর সাথে মিলে যায়, যার লক্ষ্য ছিল রাশিয়াকে কোণঠাসা করা এবং চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা। প্রকৃতপক্ষে, আসন্ন নভেম্বরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে এমন দুটি সাম্রাজ্যবাদী দল অর্থাৎ ডেমোক্র্যাট ও রিপাবলিক দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে যারা বিশ্বব্যাপী মার্কিন সামরিক ও রাজনৈতিক আধিপত্য বজায় রাখতে চায়।#

পার্সটুডে/রেজওয়ান হোসেন/১৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে  লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।  
 

ট্যাগ