ইরানের পরমাণু সমস্যা সমাধানেরে উপায় হলো আস্থা তৈরি করা: চীনা বিশ্লেষক
পার্সটুডে-একজন চীনা বিশ্লেষক বলেছেন: ধারাবাহিক কূটনীতি এবং আস্থা তৈরিই ইরানের পারমাণবিক সমস্যার সমাধান। তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার গুরুত্বের প্রতি ইঙ্গিত করে এই পদ্ধতির ইতিবাচক মূল্যায়ন করেছেন তিনি।
পার্সটুডে আরও জাানয়, শি'আন নর্থওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক বিশেষজ্ঞ ওয়াং জিন বলেছেন: ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত পরোক্ষ বৈঠক অত্যন্ত ইতিবাচক লক্ষণ। কারণ এই বৈঠকের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়, তেহরান এবং ওয়াশিংটন অভিন্ন স্বার্থে এক ধরণের প্রাথমিক ঐকমত্যে পৌঁছেছে। এ বিষয়টি ইরানের পারমাণবিক সমস্যা সমাধানের ব্যাপারে বর্তমান অচলাবস্থা নিরসনের আশা জাগায়।
তেহরান এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে পারস্পরিক রাজনৈতিক আস্থার অভাবসহ অনেক প্রতিবন্ধকতার কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন: বিদ্যমান যোগাযোগের মাধ্যমগুলো এখনও খুব সীমিত। বর্তমানে আলোচনা কেবল তৃতীয় পক্ষের মধ্যস্থতার মাধ্যমেই হচ্ছে। তবে মনে হয় স্বল্পমেয়াদে মাত্র এক বা দুই দফা আলোচনার মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জনের সম্ভাবনা খুব একটা বাস্তবসম্মত নয়।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির সাথে বৈঠকে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ইও আশা প্রকাশ করেছেন যে সংস্থাটি ইরানের বিষয়গুলো নিরপেক্ষ, বস্তুনিষ্ঠ, ন্যায্য এবং পেশাদারি মনোভাব নিয়ে পর্যবেক্ষণ করবে। সেইসঙ্গে পরমাণু শক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারকেও সমর্থন করবে।
এর আগে চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লিন জিয়ান মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন: বেইজিং দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে যে রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক উপায়ে ইরানের পারমাণবিক সমস্যা সমাধান করাই একমাত্র সঠিক পন্থা।
তিনি আরও বলেন: জয়েন্ট কম্প্রিহেনসিভ প্ল্যান অফ অ্যাকশন (JCPOA) বা পরমাণু সমঝোতা থেকে একতরফাভাবে নিজেদের প্রত্যাহার করে নেওয়া দেশ হিসেবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে অবশ্যই রাজনৈতিক সততা দেখাতে হবে এবং সর্বোচ্চ বলপ্রয়োগ ও চাপ প্রয়োগের হুমকি বন্ধ করতে হবে।#
পার্সটুডে/এনএম/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।