গাজা গণহত্যা কয়টি আন্তর্জাতিক কোম্পানি অংশ নিচ্ছে?
(last modified Wed, 02 Jul 2025 12:30:12 GMT )
জুলাই ০২, ২০২৫ ১৮:৩০ Asia/Dhaka
  • ফ্রান্সেসকা আলবানিজ
    ফ্রান্সেসকা আলবানিজ

পার্সটুডে- জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক গাজায় চলমান গণহত্যায় আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর অংশগ্রহণের কথা জানিয়ে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন।

অধিকৃত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে মানবাধিকার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ প্রতিবেদক ফ্রান্সেসকা আলবানিজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক প্রতিবেদনে বলেছেন, গাজায় ইসরায়েলি অপরাধযজ্ঞে ৬০টিরও বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানি অংশগ্রহণ করছে। পার্সটুডে'র তথ্য বলছে- আলবানিজ জানিয়েছেন, বিভিন্ন দেশের সরকার, বহু মানবাধিকারকর্মী, বিভিন্ন কোম্পানি এবং শিক্ষাবিদদের কাছ থেকে পাওয়া ২০০টিরও বেশি নথি ও তথ্যের ভিত্তিতে এই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে।

তিনি গাজায় চলমান গণহত্যায় আন্তর্জাতিক কোম্পানিগুলোর কর্মকাণ্ডকে "গণহত্যা অভিযানের" অংশ হিসেবে বর্ণনা করে বলেছেন- যখন গাজায় গণহত্যা চলছে এবং পশ্চিম তীর ক্রমবর্ধমান আক্রমণের শিকার হচ্ছে, তখন এই প্রতিবেদনটি থেকে এটা স্পষ্ট বোঝা যায় যে, এই গণহত্যা কোনো কোনো পক্ষের জন্য অত্যন্ত লাভজনক এবং এ কারণেই এই গণহত্যা অব্যাহত রয়েছে।

আলবানিজের তালিকায় লকহিড মার্টিন এবং লিওনার্দোর মতো বড় কোম্পানিগুলোর নাম রয়েছে, এই কোম্পানিগুলোর অস্ত্র গাজায় মানুষ হত্যায় ব্যবহৃত হয়েছে।

পশ্চিম তীর এবং গাজা উপত্যকায় ফিলিস্তিনি সম্পত্তি ধ্বংসে ব্যবহৃত সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য ক্যাটারপিলার ইনকর্পোরেটেড এবং এইচডি হুন্দাইয়ের কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।

আলবানিজের রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, বৃহৎ আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি কোম্পানিগুলো ইসরায়েলের নজরদারি ব্যবস্থা এবং গাজার চলমান ধ্বংসযজ্ঞে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। এর মধ্যে অ্যালফাবেট (গুগলের মূল কোম্পানি), অ্যামাজন, মাইক্রোসফ্ট, আইবিএম এবং প্যালান্টির টেকনোলজিসের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

জাতিসংঘের প্রতিবেদকের মতে, এই কোম্পানিগুলো ক্লাউড কম্পিউটিং পরিষেবা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সরঞ্জাম এবং নজরদারি ব্যবস্থা সরবরাহ করে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে দখলদারিত্ব ও আক্রমণ অব্যাহত রাখতে অবদান রেখেছে।

এই প্রতিবেদনে আলবেনিজ এই কোম্পানিগুলোকে ইসরাইলের সাথে সহযোগিতা বন্ধ করার এবং আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের জন্য তাদের নির্বাহীদের বিচারের আহ্বান জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিলে প্রতিবেদনটি উপস্থাপনের কথা রয়েছে। ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই জাতিসংঘের মানবাধিকার কাউন্সিল থেকে নিজেদেরকে প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তাদের অভিযোগ এই কাউন্সিল ইসরাইলবিরোধী। নতুন এই প্রতিবেদনের তথ্য প্রকাশিত হওয়ার পর মার্কিন সরকার জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসকে বলেছে, প্রতিবেদক আলবানিজকে বরখাস্ত করতে হবে এবং তার প্রতিবেদনের নিন্দা জানাতে হবে। সত্য তুলে ধরার কারণে আমেরিকা ক্ষুব্ধ হয়েছে।#

পার্সটুডে/এসএ/২

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।