জলবায়ু পরিবর্তন উপেক্ষা করে আমেরিকা কি বিশ্বকে বিপদে ফেলছে?
পার্স টুডে – ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সরকার পরিবেশগত আইন বাতিল করে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলার নীতিগুলোকে দুর্বল করে জলবায়ু পরিবর্তনের ধারণার বিরুদ্ধে কার্যকরভাবে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
ট্রাম্পের প্রেসিডেন্টের দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন সরকার কার্যকরভাবে জলবায়ু পরিবর্তনের নীতির সাথে সাংঘর্ষিকভাবে প্রবেশ করেছে এবং বিতর্কিত নীতি ও সিদ্ধান্তের একটি ধারাবাহিকতার মাধ্যমে জলবায়ু সংকট মোকাবেলার পথ পরিত্যাগ করেছে। সিএনএন-এর উদ্ধৃতি দিয়ে পার্সটুডে জানিয়েছে, মার্কিন পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা (ইপিএ) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে যে গ্রিনহাউস গ্যাসগুলোকে মানব স্বাস্থ্যের জন্য হুমকি হিসেবে বিবেচনা করা হয় না; এমন একটি ব্যবস্থা যা বাস্তবায়িত হলে অনেক পরিবেশগত বিধিবিধানের আইনি ভিত্তি নষ্ট হয়ে যাবে।
একই সময়ে ট্রাম্প প্রশাসন বাইডেন প্রশাসনের অধীনে সম্প্রসারিত বৈদ্যুতিক যানবাহনের জন্য কর প্রণোদনা বন্ধ করছে। নবায়নযোগ্য শক্তি প্রকল্পের জন্য সমর্থনও শেষ হয়ে আসছে যার ফলে কিছু ক্ষেত্রে বিদ্যুতের খরচ বেড়েছে। সরকার বিদ্যুৎ কেন্দ্রের নির্গমন সীমা অপসারণ এবং কয়লা শিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করারও চেষ্টা করছে।
রাজ্য পর্যায়ে, রিপাবলিকান কংগ্রেস কর্তৃক পাস করা নতুন আইন ক্যালিফোর্নিয়ার মতো রাজ্যগুলোকে ২০৩৫ সালের মধ্যে পেট্রোলচালিত গাড়ি বিক্রি নিষিদ্ধ করার অনুমতি দেবে না। একই সাথে ট্রাম্প জাতীয় নির্গমন মান বাতিল করার এবং এই মান নির্ধারণের জন্য রাজ্যগুলোর কর্তৃত্বকে চ্যালেঞ্জ করার পরিকল্পনা করছেন।
সিএনএন লিখেছে, পূর্ববর্তী প্রশাসনের জলবায়ু প্রতিবেদনের লেখকদের বরখাস্ত করা হয়েছে এবং "জাতীয় জলবায়ু মূল্যায়ন" এর মতো গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো জনসাধারণের কাছ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। এমনকি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ঘোষণা করেছে যে তারা এই বছরের শেষের দিকে ব্রাজিলে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া একটি বড় জলবায়ু শীর্ষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করবে না।
এই ঘটনাগুলো এমন এক সময়ে ঘটছে যখন বিজ্ঞানী এবং আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো সতর্ক করে দিয়েছে যে জলবায়ু পরিবর্তন ত্বরান্বিত হচ্ছে এবং এর পরিণতি বিশ্বজুড়ে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে।#
পার্সটুডে/এমবিএ/১৪
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।