'যুদ্ধ মন্ত্রণালয় নামের মাধ্যমে দুই শতাব্দীর যুদ্ধের উসকানির স্বীকারোক্তি দিল যুক্তরাষ্ট্র'
-
ট্রাম্প
পার্সটুডে- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম “এক্স”-এর ব্যবহারকারীরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় (পেন্টাগন)-এর নাম পরিবর্তন করে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় রাখার সিদ্ধান্তে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি একটি নির্বাহী আদেশে দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম পরিবর্তন করে যুদ্ধ মন্ত্রণালয় রেখেছেন। পার্সটুডের খবরে বলা হয়েছে, এক্স ব্যবহারকারীরা এ পরিবর্তনকে আমেরিকার বিশ্বজুড়ে প্রচারিত মিথ্যার প্রতীক হিসেবে দেখছেন।
এ প্রসঙ্গে কেরমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামি ছাত্রসমাজের পক্ষ থেকে সাবেক টুইটার বা এক্স পেজে বলা হয়েছে, “মার্কিন ‘প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়’-কে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘যুদ্ধ মন্ত্রণালয়’ করার মাধ্যমে তারা নিজেরাই এটা স্বীকার করছে যে, তারা দুই শতাব্দী ধরে মিথ্যা বলেছে এবং প্রতিরক্ষার নামে যুদ্ধ উসকে দিয়েছে!”
‘হাতেম নিয়া’ নামের একজন এক্স ব্যবহারকারী লিখেছেন, “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আর প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় নেই—শুধু যুদ্ধ মন্ত্রণালয় আছে! তাদের নরম শক্তি শেষ হয়ে গেছে, এখন একমাত্র হাতিয়ার সামরিক দাপট।”
‘আরশ আমিরপুর’ লিখেছেন, “ভবিষ্যৎ স্পষ্ট—ভবিষ্যদ্বাণীর প্রয়োজন নেই। ইরাক ও কাতারে মার্কিন সন্ত্রাসী বাহিনীর সংখ্যা হ্রাস এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম যুদ্ধ মন্ত্রণালয়ে পরিবর্তন করা, এগুলো ইরানের আঞ্চলিক ক্ষমতার ধারাবাহিকতার প্রমাণ। ইরান ও প্রতিরোধ ফ্রন্টের প্রতিরক্ষা শক্তিই সংকট অতিক্রমের একমাত্র পথ।”
রেই নামের এক ব্যবহারকারী ইংরেজিতে লিখেছেন, “খালি জাহাজ সবচেয়ে বেশি শব্দ করে। যুক্তরাষ্ট্র তার বৈশ্বিক অবস্থান হারাচ্ছে, তাই এখন ফাঁকা দম্ভোক্তির আশ্রয় নিচ্ছে- প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম বদলে যুদ্ধমন্ত্রণালয় করাটা তারই একটি উদাহরণ।”
অনিল টুটলানি লিখেছেন, “ট্রাম্পকে মনে করিয়ে দিতে হবে, পেন্টাগনের নাম যুদ্ধ মন্ত্রণালয় করা নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার প্রচেষ্টার সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। কারো পক্ষ থেকে তাকে এটা বলা উচিত যে, নোবেল শান্তির জন্য, অহিংসার জন্য—যুদ্ধের প্রশংসার জন্য নয়। ওয়াশিংটন কি কখনো এই পার্থক্য বুঝবে?”
মিনহাজ মারচেন্ট নামের আরেকজন ইংরেজিভাষী ব্যবহারকারী লিখেছেন- “ট্রাম্প নোবেল শান্তি পুরস্কার চাইছেন। অথচ তিনি যেসব কাজ করছেন তাহলো- মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নাম যুদ্ধ মন্ত্রণালয় করেছেন, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া দুই যুদ্ধ—রাশিয়া-ইউক্রেন ও ইসরায়েল-গাজা- যেগুলো একদিনেই থামানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, সেগুলো বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছেন এবং ইউক্রেনকে ৬৬.৯ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র দিয়ে যুদ্ধকে আরও দীর্ঘায়িত করেছেন।”
আমেরিকার এক্স ব্যবহারকারী সুসিলি ডিন লিখেছেন, “তাহলে এখন থেকে আমাদের মন্ত্রণালয়ের নাম যুদ্ধ মন্ত্রণালয়? মানে আমরা আর ভান করছি না যে, আমাদের মন্ত্রণালয় প্রতিরক্ষার জন্য? কেন যুক্তরাষ্ট্র ফিলিস্তিনে গণহত্যা ঘটতে দিচ্ছে? সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এটিকে থামাননি। যদি ট্রাম্প আমাদের ‘শান্তির প্রেসিডেন্ট’ হন, তবে কেন তিনি ইসরায়েলকে সমর্থন করেন? তিনি কি এই যুদ্ধ বা যেকোনো যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেন না?”#
পার্সটুডে/এসএ/৯
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।