অস্ত্র ব্যবসা
ট্রাম্প প্রশাসন তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির পদক্ষেপ শুরু করেছে
-
তাইওয়ানের জন্য মার্কিন অস্ত্র প্যাকেজ
পার্সটুডে-মার্কিন সরকার তাইওয়ানের কাছে ১১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কংগ্রেসকে অবহিত করার প্রক্রিয়া শুরু করেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকার তাইওয়ানের কাছে অস্ত্র বিক্রির বিষয়ে কংগ্রেসকে অবহিত করেছে। ডোনাল্ড ট্রাম্পের বর্তমান শাসনকালে মার্কিন সরকারের অস্ত্র প্যাকেজের এই ঘোষণা দ্বিতীয়বারের মতো দেওয়া হলো।
অপরদিকে, তাইওয়ানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ও ঘোষণা করেছে যে মার্কিন সরকার দ্বীপে ১১.১ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রক্রিয়ার কাজ অনেকটাই এগিয়ে নিয়েছে; তাইওয়ানের সাথে এখন পর্যন্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এটাই বৃহত্তম অস্ত্র চুক্তি।
প্রস্তাবিত প্যাকেজে আট ধরণের অস্ত্র অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে HIMARS ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থা, কামান, ট্যাঙ্ক-বিরোধী ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোনসহ অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম ও এ সম্পর্কিত যন্ত্রাংশ।
এই বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানকে পর্যাপ্ত প্রতিরক্ষা ক্ষমতা বজায় রাখতে, দ্রুত কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলতে এবং অসম যুদ্ধের সুবিধা পেতে সহায়তা করছে, যা আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ভিত্তি।
তাইওয়ান মার্কিন ইন্ধনে তার সশস্ত্র বাহিনীকে 'অসম যুদ্ধ' পরিচালনার জন্য পুনর্গঠন করছে, যা ড্রোনের মতো ছোট, কম ব্যয়বহুল, কিন্তু কার্যকর মোবাইল অস্ত্র ব্যবহারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করে।
চীন সরকার সর্বদা তাইওয়ান দ্বীপকে তার ভূখণ্ডের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ বলে মনে করে। হোয়াইট হাউসের কর্মকর্তাদের উত্তেজনা উস্কে দেওয়া এবং বেইজিংয়ের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার বিষয়ে চীন আমেরিকাকে সতর্ক করে দিয়েছে।
লিবিয়ার জন্য পাকিস্তানের অস্ত্র প্যাকেজ
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কমান্ডার মার্শাল আসিম মুনির, সাম্প্রতিক বেনগাজি সফর এবং পূর্ব লিবিয়ার সেনাবাহিনীর সর্বাধিনায়ক জেনারেল খলিফা হাফতারের সাথে সাক্ষাত ও পরামর্শ করেছেন। সাক্ষাৎকালে তিনি প্রায় ৪.৬ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রতিরক্ষা চুক্তিও করেছেন।
এছাড়াও, প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, পাকিস্তানি এই অস্ত্র প্যাকেজে ১৬টি JF-১৭ ব্লক-থ্রি মাল্টি-রোল ফাইটার, ৪৪টি হায়দার যুদ্ধ ট্যাঙ্ক, ১২টি সুপার মুশাক হালকা আক্রমণ ও প্রশিক্ষণ বিমান, উন্নত পদাতিক মর্টার সিস্টেম এবং অতিরিক্ত সামরিক সরঞ্জামের একটি সেট অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
জাতিসংঘের প্রস্তাব অনুসারে, হাফতারসহ লিবিয়ার গৃহযুদ্ধের পক্ষগুলোর কাছে অস্ত্র বিক্রি নিষিদ্ধ। জাতিসংঘ ত্রিপোলিতে ' লিবিয়ার জাতীয় সরকার'কে স্বীকৃতি দেয়।
লিবিয়া এমন একটি দেশ যেখানে দুটি সমান্তরাল সরকার রয়েছে। 'ত্রিপোলিতে' একটি সরকার যা জাতীয় কংগ্রেস থেকে উদ্ভূত হয়েছিল এবং অন্যটি হল সশস্ত্র বাহিনী জেনারেল খলিফা হাফতারের নেতৃত্বাধীন 'তোব্রুক' সরকার যা পূর্ব পার্লামেন্ট দ্বারা নির্বাচিত হয়েছিল।#
পার্সটুডে/এনএম/২২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন