শরীরের অঙ্গকে নতুন করে গজানো যাবে- আসছে এমন ওষুধ!
শরীরের অঙ্গকে নতুন করে গজানো যাবে। কিংবা অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি সারিয়ে তোলা যাবে। এমন যুগান্তকারী ওষুধের খোঁজ পাওয়া গেছে বলে মনে করছেন চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা। ইঁদুরের ওপর চালানো সফল পরীক্ষার ভিত্তিতে এমন ধারণার সৃষ্টি হয়েছে।
পরীক্ষায় দেখা গেছে, ইঁদুরের ক্ষতিগ্রস্ত যকৃত বা লিভারে নতুন কোষকলা জন্মানো সম্ভব হচ্ছে। এতে যকৃতের ক্ষতি সেরে যাচ্ছে এবং যকৃত প্রায় নতুন হয়ে উঠছে।
শরীরের সুনির্দিষ্ট স্থানের ক্ষতি সারাতে কখনো কখনো জৈব উপাদান ঢুকিয়ে দেয়া হয়। পাশাপাশি নতুন করে কোষকলা জন্মাতে সাহায্য করে এমন কিছু কোষও শরীরের ওই এলাকায় ঢোকানো হয়। বেশ জটিল এ চিকিৎসা- প্রক্রিয়া ।
কিন্তু ইঁদুর দেহে চালানো নতুন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে এমন জটিল এবং ব্যয়বহুল চিকিৎসা পদ্ধতির আর হয়ত প্রয়োজন হবে না। দেহের ক্ষতিগ্রস্ত অঙ্গ এবং আহত কোষকলাকে সারিয়ে তোলা যাবে ওষুধ দিয়েই। এমন আশাবাদ দেখা দিয়েছে।
এমএসটি১ এবং এমএসটি২ নামের দু’টি এনজাইম দেহ-অঙ্গের আকার নিয়ন্ত্রণ করে। একই সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ করে বৃদ্ধিও। ইঁদুর দেহে এক্সএমইউ-এমপি-১ নামের একটি রাসায়নিক উপাদান দিয়ে এ দুই এনজাইমের কর্ম-তৎপরতা বন্ধ করা সম্ভব হয়েছে। এতে একদিকে নতুন কোষরাজি জন্মানোর পথ খুলে গেছে। অন্যদিকে, কোষরাজির মৃত্যুও ঠেকানো গেছে।
এতেই নতুন করে অঙ্গ গজানো বা অঙ্গের মারাত্মক ক্ষতি সারিয়ে তোলার বিষয়ে আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন চিকিৎসা-গবেষকরা।
অবশ্য দ্রুত এ গবেষণার সুফল পাওয়া যাবে না। আগে পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে কার্যকারিতা ও নিরাপত্তার বিষয়ে নিশ্চিত হবেন চিকিৎসা-বিজ্ঞানীরা। তারপরই মানুষের ওপর প্রয়োগ করা হবে এমন ওষুধ।#
পার্সটুডে/মূসা রেজা/২১