চবাহার বন্দর ব্যবহারের মাধ্যমে পাকিস্তানকে এড়াতে পারবে ভারত: গণি
সমুদ্র ও স্থলপথে পাকিস্তানকে এড়িয়ে আফগানিস্তানে পণ্য পরিবহণ করতে ভারতকে সাহায্য করবে চবাহার বন্দর। বুধবার দুদিনব্যাপী ভারত সফরের প্রথমদিনে আফগান প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ আশরাফ গণি একথা বলেছেন।
তিনি পাকিস্তানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, “একটি দেশ দুটি মহান জাতির (ভারত-আফগানিস্তান) মধ্যকার বাণিজ্যে বাধা দিতে পারে তা ভেবে আমরা এত উদ্বিগ্ন কেন? তাহলে এর একটা বিহীত আগে করা যাক, ঠিকঠাক জায়গায় সব সরবরাহ করা যাক। তবে যাই হোক,চবাহার পাকিস্তানের একাধিপত্য শেষ করবে।” গণি এমন সময় এ মন্তব্য করলেন যখন কাশ্মিরের অস্থিরতা নিয়ে দক্ষিণ এশিয়ার দুই প্রতিদ্বন্দ্বী ভারত ও পাকিস্তানের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে মারাত্মক টানাপড়েন চলছে।
এদিকে, বুধবার দিনের শুরুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ গণির দ্বিপক্ষীয় আলোচনা হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য এবং এর বাইরেও শান্তি, স্থিতিশীলতা ও উন্নতির প্রতি জঙ্গিবাদ এককভাবে সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে- এ বিষয়ে দুনেতাই একমত হন। এদিন ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে তিনটি চুক্তি সই হয়।
নয়াদিল্লীর প্রতিরক্ষা গবেষণা ও বিশ্লেষণ ইনস্টিটিউটে আফগান প্রেসিডেন্টের বক্তব্যে দাবি করা হয়, ভালো ও খারাপ সন্ত্রাসবাদের মধ্যে পার্থক্য করা স্রেফ ‘অদূরদর্শী পন্থা’। গণি বলেন, রাষ্ট্রের উচিত তাদের প্রতিবেশীদের সাহায্য করা, প্রতিবেশীদের ক্ষতি করে হীন উদ্দেশ্য চরিতার্থ করা নয়।
আফগান রাষ্ট্রনেতা বলেন, “তারা প্রতিবেশীর সঙ্গে ক্ষতিকর আচরণ করে না। যৌথ নিরাপত্তাকে তারা একটি উদ্দেশ্য হিসেবে দেখে, যে নিরাপত্তা স্থিতিশীলতা নিয়ে আসে। স্থিতিশীলতা বন্দুকের নল থেকে আসে না।”
এদিকে কাশ্মিরে দুমাসব্যাপী চলমান অস্থিরতার জন্য ভারত-পাকিস্তান পরস্পরকে পাল্টাপাল্টি দোষারোপ করলেও ইরানের চবাহার বন্দরকে কোনো হুমকি হিসেবে দেখছে না পাকিস্তান।#
পার্সটুডে/সিরাজুল ইসলাম/১৬