কাশ্মীরে হামলা নিয়ে উত্তেজনার মধ্যেই ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করল পাকিস্তান
-
আবদালি ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা
ভূমি থেকে ভূমিতে নিক্ষেপযোগ্য ৪৫০ কিলোমিটার পাল্লার একটি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের সফল পরীক্ষা চালিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির গণমাধ্যম জিও নিউজ এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'আবদালি উইপন সিস্টেম’ নামের এই ক্ষেপণাস্ত্র ‘সিন্ধু মহড়া’র অংশ হিসেবে উৎক্ষেপণ করা হয়েছে। এর আগে গত আগস্টে শাহিন-২ ক্ষেপণাস্ত্রের ‘পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণ’ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, “এই উৎক্ষেপণের মূল উদ্দেশ্য ছিল সেনাদের অপারেশনাল প্রস্তুতি নিশ্চিত করা এবং ক্ষেপণাস্ত্রটির উন্নত নেভিগেশন সিস্টেম ও উন্নত ম্যানুভারিং ক্ষমতাসহ প্রযুক্তিগত মান যাচাই করা।”
আইএসপিআর জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ, জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির চেয়ারম্যান জেনারেল সাহির শামশাদ মির্জা ও বাহিনী প্রধানরা সংশ্লিষ্ট সেনা, বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ক্ষেপণাস্ত্রটির উৎক্ষেপণের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ ও সামরিক বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতার প্রতি পূর্ণ আস্থা প্রকাশ করেছেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনী বলছে, শনিবার ক্ষেপণাস্ত্রের উৎক্ষেপণটি ছিল ‘সিন্ধু মহড়ার’ অংশ। এসময় আর্মি স্ট্র্যাটেজিক ফোর্সেস কমান্ডের (এএফএসসি) কমান্ডার, কৌশলগত পরিকল্পনা বিভাগ, এএফএসসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, কৌশলগত বিভিন্ন সংস্থার বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা ছিলেন।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু-কাশ্মীরের পর্যটনকেন্দ্র বৈসারণ উপত্যকায় সন্ত্রাসী হামলায় কমপক্ষে ২৬ জন নিহত হন। যাদের মধ্যে ছিলেন একজন নেপালি পর্যটক ও একজন স্থানীয় ঘোড়সওয়ার। ওই হামলার জন্য ইসলামাবাদকে দায়ী করে আসছে দিল্লি। তবে পাকিস্তান বলে আসছে, ওই অভিযোগের কোনো প্রমাণ ভারত এখনো দেখাতে পারেনি।
ভারত ইতোমধ্যে পাকিস্তানের সঙ্গে সিন্ধু পানি চুক্তি স্থগিত করেছে, পাকিস্তানিদের দেওয়া ভিসা বাতিল করেছে এবং ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত বন্ধ করে দিয়েছে।
জবাবে পাকিস্তান সরকার ভারতের কূটনীতিকদের বহিষ্কার করে শিমলা চুক্তি বাতিলের হুমকি দিয়েছে। সাধারণ ভারতীয়দের জন্য ভিসা বন্ধ করে দেওয়ার পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে সীমান্তের প্রধান প্রবেশপথটি বন্ধ করে দিয়েছে।
দুই দেশই নিজেদের আকাশে অন্য দেশের উড়োজাহাজ প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে। নিয়ন্ত্রণরেখায় দুই দেশের সেনাদের গোলাগুলির খবরও প্রকাশ পেয়েছে। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকায় পূর্ণমাত্রার সামরিক মহড়া চালায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী। তার পরদিন পাকিস্তান থেকে সব ধরনের পণ্য আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত।#
পার্সটুডে/এমএআর/৩