ইরানের বিজয় উদযাপনে পাকিস্তানের শিয়া ও সুন্নি ঐক্য
পাকিস্তানি রাজনীতিবিদরা জোর দিয়ে বলেছেন: ইরানিরা কারবালার শিক্ষা অনুসরণ করেছে
-
ইরানের বিজয় উদযাপনে পাকিস্তানের শিয়া ও সুন্নি ঐক্য
পার্সটুডে-ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে ইরানের বিজয় উদযাপন করেছেন পাকিস্তানের শিয়া ও সুন্নি আলেম, বিপ্লবী তরুণ এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বরা।
১৩ জুন, ইহুদিবাদী ইসরাইল আন্তর্জাতিক আইন এবং ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের জাতীয় সার্বভৌমত্বের স্পষ্ট লঙ্ঘন করে তেহরানসহ ইরানের আরও কয়েকটি শহরকে সামরিক আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করে। এই অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে বেশ কয়েকজন বিজ্ঞানী, সৈন্য এবং বেসামরিক ব্যক্তিত্ব শহীদ হন। এই আগ্রাসনের পর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও ২২ জুন, রোববার সকালে ফোরদো, নাতানজ এবং ইসফাহানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলিতে সরাসরি আক্রমণ করে ইরানের বিরুদ্ধে ইহুদিবাদী সরকারের যুদ্ধে যোগ দেয়। তবে, ১২ দিন পর, ইহুদিবাদী সরকার পরাজিত হয় এবং যুদ্ধ বন্ধ হয়ে যায়। এই যুদ্ধে ইরানের বিজয় বিশ্বে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে। এ প্রসঙ্গে, পার্সটুডে মেহর নিউজ এজেন্সির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, ইহুদিবাদী ইসরাইল এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে সাম্প্রতিক ১২ দিনের যুদ্ধে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরানের বিজয়ের পর পাকিস্তানের সর্বউত্তরের বাল্টিস্তান অঞ্চলে অবস্থিত স্কার্দু শহরে "বিজয় উদযাপন" শীর্ষক একটি জাঁকজমকপূর্ণ উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
ওই সমাবেশে শিয়া ও সুন্নি ওলামা, রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতা, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং বিপ্লবী তরুণদের একটি দলসহ সর্বস্তরের জনগণ অংশ নেয়।
এই সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা ইহুদিবাদ ও আমেরিকা বিরোধী স্লোগান দিয়ে ইসলামী প্রজাতন্ত্র ইরান এবং ইসলামী বিপ্লবের নেতা ইমাম খামেনেয়ীর প্রতি তাদের দৃঢ় সমর্থন ঘোষণা করেন এবং ইরানের বিজয়কে ইসলামী জাগরণ ও মুসলিম সংহতির প্রতীক বলে অভিমত ব্যক্ত করেন।
পাকিস্তান মুসলিম ঐক্য পার্টির গিলগিট-বাল্টিস্তান শাখার চেয়ারম্যান হোজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ আলী রাজাভি এই বিজয়ের জন্য ইরানের জনগণ এবং ইসলামী বিপ্লবের নেতাকে অভিনন্দন জানান এবং জোর দিয়ে বলেন যে ইরান ইসলামী উম্মাহর জন্য গর্বের উৎস।
তিনি উল্লেখ করেন যে ইরান অহংকারী শক্তির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এবং ঈমান ও প্রতিরোধের মাধ্যমে বিশ্বের সকল মুসলমানের জন্য একটি আদর্শ স্থাপন করেছে।
পাকিস্তানের রাজনীতিবিদ সায়রা ইব্রাহিম আরও বলেন যে আমেরিকা ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে ইসলামী বিপ্লবের বিজয় মুনাফিক এবং বিশ্ববলদর্পীদের মুখে একটি চপেটাঘাত।
গিলগিট-বালতিস্তান মুসলিম ঐক্য পরিষদের মহিলা বিভাগের একজন সিনিয়র সদস্য এই মহিলা তার বক্তৃতায় জোর দিয়ে বলেন: বেলায়াত-ই-ফকিহ ব্যবস্থা এবং ইরানের ইসলামী বিপ্লবের সাম্প্রতিক বিজয় মুনাফিকদের মানে বাইরে সিংহ কিন্তু ভিতরে ইঁদুরদের মুখে একটি চপেটাঘাতের মতো।
কারবালার শিক্ষার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন: ইরানি জাতি, কারবালার শিক্ষা অনুসরণ করে এমন কিছু করেছে যা কোনও জাতি কয়েক দশক ধরে করতে পারেনি এবং কখনও করতে পারবে না। এই বিজয় কেবল তাদের দ্বারা অর্জিত হয়েছিল যারা পরিষ্কার হাতে এবং অজু করে যুদ্ধক্ষেত্রে উপস্থিত হয়েছে; এই বিজয় শহীদদের রক্তের কাছে ঋণী যারা তাদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে প্রতিরোধকে বাঁচিয়ে রেখেছিলেন; আর এই বিজয় মুসলমানদের সর্বোচ্চ নেতা, আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনেয়ীর।#
পার্সটুডে/এনএম/২৭
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।