মিতরোভিত্সা শহরের প্রাচীর ভেঙে ফেলল সংখ্যালঘু সার্বরা
কসোভোর সংখ্যালঘু সার্ব জনগোষ্ঠী দেশটির মিতরোভিত্সা শহরে নিজেদের নির্মিত প্রাচীর বুলডোজার দিয়ে ভেঙে ফেলেছে। এই প্রাচীর নিয়ে কসোভো ও সার্বিয়ার মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে উত্তেজনা চলার পর এ পদক্ষেপ নিল সার্ব জনগোষ্ঠী।
সার্বরা কখনোই কসোভোকে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে মেনে নেয়নি। তারা কথিত ‘ভূমিধস’ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে গত ডিসেম্বর মাসে জাতিগতভাবে বিভক্ত মেতরোভিত্সা শহরের মাঝখানে প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেন।
প্রিস্টিনা সরকার অভিযোগ করে আসছিল, জাতিগতভাবে কসোভোকে আরো বেশি বিভক্ত করে ফেলার লক্ষ্যে ওই প্রাচীর নির্মাণ করা হয়েছে; কাজেই এটিকে ভেঙে ফেলতে হবে। কসোভোর প্রধানমন্ত্রী ঈসা মোস্তফা হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, সার্বরা না ভাংলে তার সরকারই এটিকে ভেঙে ফেলবে।
প্রাচীরটিকে ঘিরে চলমান উত্তেজনার মধ্যে সম্প্রতি সার্বিয়ার পক্ষ থেকে পাঠানো একটি ট্রেন আটকে দেয় কসোভোর সীমান্ত পুলিশ। ওই ট্রেনে ‘কসোভো সার্বিয়ার অংশ’ লেখা একটি ব্যানার ঝুলছিল।
মুসলিম অধ্যুষিত প্রজাতন্ত্র কসোভো ২০০৮ সালে সার্বিয়া থেকে একতরফা স্বাধীনতা ঘোষণা করে। বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ কসোভোকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিলেও বেলগ্রেড এখনো এটিকে নিজের ভূখণ্ডের অংশ বলে মনে করে। কসোভোর সংখ্যালঘু সার্ব জনগোষ্ঠীকেও সব রকম পৃষ্ঠপোষকতা দেয় বেলগ্রেড সরকার।
সার্বিয়ার প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করছেন, কসোভো তার দেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে চায়। অন্যদিকে কসোভোর প্রেসিডেন্ট অভিযোগ করছেন, ক্রিমিয়াকে রুশ ফেডারেশনে অন্তর্ভূক্ত করার উদাহরণকে ব্যবহার করে সার্বিয়া কসোভোকে নিজের অংশ করে নিতে চায়।#
পার্সটুডে/মুজাহিদুল ইসলাম/৬