বাইবেল নির্ভরযোগ্য নয়: ব্রিটিশ মনীষী অ্যানি বিস্যান্ট
(last modified Wed, 20 Sep 2017 11:29:33 GMT )
সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৭ ১৭:২৯ Asia/Dhaka
  • শত শত বছর আগের বাইবেল (ফাইল ছবি)
    শত শত বছর আগের বাইবেল (ফাইল ছবি)

আজ হতে ৮৪ বছর আগে ১৯৩৩ সালের এই দিনে ৮৬ বছর বয়সে মাদ্রাজে মারা যান ব্রিটেনের বিশিষ্ট নারী অধিকার কর্মী, লেখিকা, সমাজকর্মী এবং আয়ারল্যান্ড ও ভারতের স্বায়ত্তশাসনের সমর্থক অ্যানি উড বিস্যান্ট। 

তিনি লন্ডন স্কুল বোর্ডের (টাওয়ার হ্যামলেটস) নির্বাচিত সদস্য ছিলেন যদিও সে সময় খুব কম মহিলাই ভোট দিতে পারতেন।  

আধ্যাত্মিক উপায়ে বা খোদা-প্রেমের মাধ্যমে ঐশী জ্ঞান অর্জন করা যায় এমন ধারণায় বিশ্বাসী ছিলেন তিনি এবং এ বিষয়ে দক্ষতা অর্জনের আশায় তিনি ভারতে এসেছিলেন। অ্যানি ভারতে সেন্ট্রাল হিন্দু কলেজ এবং মুম্বাইয়ে  হায়দারাবাদ (সিন্ধ) ন্যাশনাল কলিজিয়েট বোর্ড প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন। তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দলে যোগ দেন এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ চলাকালে ভারতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য প্রচার অভিযান চালিয়েছিলেন।

অ্যানি ১৯১৭ সালে কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন। ব্রিটিশ সরকার তাকে গ্রেফতার করলে তার মুক্তির দাবিতে কংগ্রেস ও মুসলিম লীগ যৌথভাবে আন্দোলন গড়ে তুলবে বলে হুমকি দেয়। 

অ্যানি উড বিস্যান্ট রাষ্ট্র নিয়ন্ত্রিত গির্জা বা চার্চ অফ ইংল্যান্ডের ধর্ম-বিশ্বাসের কঠোর বিরোধী ছিলেন। আসলে তিনি খ্রিস্ট ধর্মই অপছন্দ করতেন। আর  এর কারণ হিসেবে বলতেন যে শত-সহস্র বছর ধরে খ্রিস্ট ধর্মগুরুরা বলতেন যে নারী হচ্ছে এড়িয়ে চলা যায় না এমন এক শয়তান এবং গির্জার সবচেয়ে বড় সন্ন্যাসী বা পুরোহিত হতেন তারাই যারা নারীকে সবচেয়ে বেশি ঘৃণা করতেন। অ্যানি নিজের আত্মজীবনীর সপ্তম অধ্যায়ে লিখেছেন:

‘ (খ্রিস্টবাদের) চিরন্তন নির্যাতনের শিক্ষাগুলো, স্পষ্ট শাস্তি বা প্রায়শ্চিত্ত ও বাইবেলের (কথিত) নির্ভুলতার (ধারণার) বিরুদ্ধে আমি আমার সমস্ত মস্তিষ্ক বা মেধা ও জিহ্বাকে অনুসন্ধানে বা গবেষণায় নিয়োজিত করেছি এবং আমি খ্রিস্টান গির্জা বা চার্চের ইতিহাস, এর বহু সংখ্যক বলদর্পিতা, নির্যাতন, ধর্মযুদ্ধ, ও নৃশংসতা আমার উদার হাতে ফাঁস করেছি।’ 

  ‘(প্রচলিত) খ্রিস্ট ধর্মের (মতবাদ বলাই ভালো) নানা অনির্ভরযোগ্য সাক্ষ্য’ অধ্যায়ে অ্যানি বিসান্ট বাইবেলের নতুন সংস্করণ তথা চারটি প্রথম বইয়ের (চার গসপেল) অনির্ভরযোগ্যতা সম্পর্কে লিখেছেন: ‘প্রায় ১৮০ খ্রিস্টাব্দের আগে খ্রিস্টানদের চার গসপেলের কোনো চিহ্নই ছিল না. ... এমনকি ইরেনিয়াসের আগে চার গসপেলের কথা কেউ বলেছেন এমন কল্পিত দাবিও কেউ তোলেননি।... ১৮০ খ্রিস্টাব্দের আগে খ্রিস্টানদের মধ্যে ম্যাথিউ, মার্ক, লুক এবং যোহন -চার ওহি লেখক বা ইভাঞ্জেলিস্ট হিসেবে মনোনীত হননি।’ #

পার্সটুডে/এমএএইচ/২০

ট্যাগ