অস্ত্র ব্যবসায় চ্যাম্পিয়ন আমেরিকা, ২য় অবস্থানে রাশিয়া
(last modified Mon, 10 Dec 2018 10:10:11 GMT )
ডিসেম্বর ১০, ২০১৮ ১৬:১০ Asia/Dhaka
  • মার্কিন এফ-৩৫ বিমান
    মার্কিন এফ-৩৫ বিমান

গত বছরও আমেরিকা অস্ত্র ব্যবসায় সবাইকে পেছনে ফেলেছে। ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে যে অস্ত্র বিক্রি হয়েছে তার শতকরা ৫৭ ভাগের অর্থ আমেরিকার থলিতে জমা হয়েছে। এরপরেই রয়েছে রাশিয়া এবং রুশ অস্ত্রেরও মার্কেট দিন দিন বাড়ছে।

স্টকহোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট বা এসআইপিআরআই এ তথ্য জানিয়েছে। সংস্থাটি আজ (সোমবার) এক প্রতিবেদনে বলেছে, ২০১৭ সালে সারা বিশ্বে ৩৯৮.২ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি হয়েছে। এর মধ্যে শীর্ষ ১০০টি কোম্পানির ভেতরে শুধু আমেরিকার ৪২টি অস্ত্র কোম্পানির পকেটে গেছে ২২৬.৬ বিলিয়ন ডলার। ২০১৬ সালে যে পরিমাণ অস্ত্র বিক্রি হয়েছিল তার চেয়ে গত বছর শতকরা দুই ভাগ বেড়েছে।

অস্ত্র বিক্রির ক্ষেত্রে আমেরিকার লকহিড মার্টিন কোম্পানি সবার শীর্ষে রয়েছে। লকহিড মার্টিন বিক্রি করেছে ৪৪ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র। একক কোনো কোম্পানি এর ধারেকাছেও যেতে পারে নি।  এর তুলনায় জার্মানির সবচেয়ে বড় অস্ত্র কোম্পানি রেইনমেটাল এজি অস্ত্র বিক্রি করেছে মাত্র ৩.৪ বিলিয়ন ডলারের।

রুশ সুপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র

এসআইপিআরআই’র তথ্য অনুসারে, মার্কিন সামরিক বাহিনীতে অত্যাধুনিক অস্ত্রের চাহিদা বেড়ে যাওয়ার কারণে লকহিডের বিক্রি বেশি হয়েছে। গত বছর মার্কিন বাহিনীতে যুক্ত হয়েছে এফ-৩৫ জঙ্গিবিমান ও নতুন সি-১৩০ হারকিউলেস পরিবহন বিমান। এগুলো তৈরি করেছে লকহিড মার্টিন। গত বছর বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্র কোম্পানির তালিকায় আমেরিকার বোয়িং কোম্পানির নাম রয়েছে।

শীর্ষ ১০০টি অস্ত্র বিক্রেতা কোম্পানির মধ্যে রাশিয়ার কোম্পানি রয়েছে ১০টি। এগুলোর তৎপরতার কারণে ব্রিটেন তৃতীয় অবস্থানে চলে গেছে। গত বছর রাশিয়ার কোম্পানিগুলো শতকরা ৯.৫ ভাগ অস্ত্র বিক্রি করেছে যার আর্থিক মূল্য ৩৭.৭ বিলিয়ন ডলার।

রাশিয়ার কাছে দ্বিতীয় স্থান হারালেও পশ্চিম ইউরোপের মধ্যে শীর্ষ অবস্থানে রয়েছে ব্রিটেন। দেশটি গত বছর ৩৫.৭ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রি করেছে। ধরণা করা হচ্ছে- ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার পর ব্রিটেনের ব্যাংকগুলোর আয়ের সবচেয়ে বড় খাত হবে অস্ত্র রপ্তানি থেকে আসা অর্থ।#

পার্সটুডে/এসআইবি/১০

ট্যাগ