সাধারণ পরিষদে প্রস্তাব পাস
রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানাল জাতিসংঘ
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ মিয়ানমারে রোহিঙ্গা মুসলমানদের মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানিয়েছে।
গতকাল ( শনিবার) এই পরিষদ একটি প্রস্তাব পাস করে এই নিন্দা জানায়।
এই প্রস্তাবে মিয়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলমানসহ সংখ্যালঘু জাতিগুলোর ওপর নির্যাতন বন্ধের লক্ষ্যে দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে মিয়ানমার সরকারকে আহ্বান জানানো হয়। মিয়ানমারের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে স্বেচ্ছাচারী গ্রেফতার, নির্যাতন, ধর্ষণ ও ঘৃণা ছড়িয়ে দেয়া দ্রুত বন্ধ করার ওপর জোর দেয়া হয়েছে এই প্রস্তাবে।
প্রস্তাবটির পক্ষে ভোট পড়েছে ১৩৪টি, বিপক্ষে ৯টি ভোট পড়ে। ২৮টি দেশ ভোট দানে বিরত থাকে। মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর থেকে এ পর্যন্ত দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর হত্যাযজ্ঞ বা গণহত্যা অভিযানে ছয় হাজারেরও বেশি রোহিঙ্গা নিহত ও ৮ হাজার আহত হয়েছে। গণহত্যা, ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের মুখে দশ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা মুসলমান পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
২০১২ সালেও মিয়ানমারের রাখাইন প্রদেশে মুসলমানদের ওপর ব্যাপক হামলা করেছিল দেশটির সশস্ত্র বাহিনী ও উগ্র বৌদ্ধরা। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী দেশটিতে জাতিগত শুদ্ধি বা নির্মূল অভিযান চালানোর চেষ্টা করছে বলে জাতিসংঘ সম্প্রতি ঘোষণা করেছে।
রোহিঙ্গাদের ওপর গণহত্যার বিষয়েসম্প্রতি হেগের আন্তর্জাতিক আদালতে শুনানি হয়েছে। দেশটির সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় কর্মকর্তা ও উপদেষ্টা অং সান সুচি ওই শুনানিতে উপস্থিত হয়ে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করলেও তার বক্তব্য নাকচ করে দিয়ে হেগের আদালত বলেছে, সুচি আদালতে মিথ্যাচার করেছেন।
সুচি দাবি করেছেন, তার দেশের সেনারা হামলার মুখে পাল্টা হামলা চালিয়েছে এবং তাদের প্রতিক্রিয়া কখনও বাড়াবাড়ি পর্যায়ের বা মাত্রাতিরিক্ত হয়েছে! জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সমাজের তদন্তকারী দলকে মিয়ানমারের রাখাইনে প্রবেশের অনুমতি দেয়নি দেশটির সরকার। গণহত্যা ও যুদ্ধ-অপরাধের চিহ্নগুলো মুছে ফেলার চেষ্টা সত্ত্বেও স্যাটেলাইট বা উপগ্রহ থেকে তোলা ছবিতেও রাখাইনে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞের প্রমাণ মিলেছে। #
পার্সটুডে/এমএএইচ/২৯