ইরান নিয়ে ইউরোপের সঙ্গে আমেরিকার মতবিরোধ নিরসন করতে হবে: জার্মানি
জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতা নিয়ে ইউরোপের সঙ্গে আমেরিকার মতবিরোধ নিরসন করা না হলে আলোচনা বা অন্য কোনো প্রচেষ্টা কোনো ফল বয়ে আনবে না।
তিনি জার্মানির একটি রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জো বাইডেনের নেতৃত্বাধীন পরবর্তী মার্কিন সরকারের সঙ্গে ইউরোপের সহযোগিতা সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন। হেইকো মাস বলেন, “আমেরিকা যখন সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করেছে এবং আমরা আলোচনার নীতি অনুসরণ করছি তখন দুই পক্ষের মধ্যে কোনো সমাধানে আসা অসম্ভব ব্যাপার। আমাদেরকে আবার এক জায়গায় আসতে হবে।”
বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ২০১৮ সালে ইরানের পরমাণু সমঝোতা থেকে তার দেশকে বের করে নিয়ে তেহরানের ওপর অতীতের সব নিষেধাজ্ঞা পুনর্বহাল করেন। সেইসঙ্গে ইরানের বিরুদ্ধে ‘সর্বোচ্চ চাপ’ প্রয়োগের নীতি গ্রহণ করে তেহরানের ওপর নতুন নতুন অনেক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন ট্রাম্প।
বর্তমানে নির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের পরমাণু সমঝোতা স্বাক্ষরের সময় আমেরিকার ভাইস প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি এবারের নির্বাচনি প্রতিশ্রুতিতে বলেছেন, ইরানের পরমাণু সমঝোতাকে তিনি তেহরানের সঙ্গে ‘আলোচনা শুরুর উপলক্ষ’ হিসেবে ব্যবহার করতে চান। তিনি বলেন, ইরান তার প্রতিশ্রুতিতে ফিরে এলে আমেরিকা পরমাণু সমঝোতায় প্রত্যাবর্তন করবে।
এ সম্পর্কে ইরান বলেছে, আমেরিকাকে আগে অনুতপ্ত হয়ে পরমাণু সমঝোতায় ফিরে আসতে এবং সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগে তেহরানের যে ক্ষতি হয়েছে তা পুষিয়ে দিতে হবে।
জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মঙ্গলবার তার দেশের ডয়েচল্যান্ড ফুংক রেডিওকে দেয়া সাক্ষাৎকারে আরো বলেন, জো বাইডেন আমেরিকার ক্ষমতা গ্রহণ করার পর দেশটিতে অবশ্যই এই আলোচনা সামনে আসবে যে, ওয়াশিংটন পরমাণু সমঝোতায় ফিরবে নাকি ইরানের সঙ্গে আরো বিস্তারিত চুক্তি করবে। হেইকো মাস বলেন, এ বিষয়ে ইউরোপ আমেরিকাকে সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে; কারণ, ইউরোপ ও আমেরিকা যতক্ষণ ইরানের ব্যাপারে পরস্পরবিরোধী অবস্থানে থাকবে ততক্ষণ সমস্যার কোনো সমাধান হবে না।#
পার্সটুডে/এমএমআই/১০
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।