শ্রোতা ভাইবোনেরা, গত পর্বের আলোচনায় আমরা হযরত ফাতিমার সাদামাটা ও অল্পে-তুষ্ট জীবন সম্পর্কে কথা বলেছিলাম। এ পর্বে আমরা সর্বকালের সেরা এই মহামানবীর ইবাদাত, লজ্জাশীলতা ও চারিত্রিক পবিত্রতার বিষয়ে কথা বলব। 

হযরত ফাতিমা জাহরা সালামুল্লাহি আলাইহা পবিত্র কুরআন ও ইসলামী আদর্শের আলোকে সর্বকালের সেরা নারী।

হযরত খাদিজা (সালামুল্লাহি আলাইহা) মহানবীর (সা.) প্রতি ইমান আনার পর তাঁর সব সম্পদ বিলিয়ে দিয়েছিলেন। ফলে তিনি অনেক সংকটের শিকার হন।

আজ আমরা পবিত্র কুরআনের দৃষ্টিতে আলোচিত আদর্শ নারীদের জীবনের মহান বৈশিষ্ট্য বা দিকগুলো সংক্ষেপে তুলে ধরে সর্বকালের সেরা আদর্শ মহামানবী হযরত ফাতিমা জাহরা সালামুল্লাহি আলাইহার জীবন-বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সেসবের তুলনার চেষ্টা করব।

গত দুই পর্বে আমরা পবিত্র কুরআনে উল্লেখিত আদর্শ নারীদের জীবনের গুরুত্বপূর্ণ দিক সম্পর্কিত আলোচনার অংশ হিসেবে হযরত মুসার মাতা ও হযরত ঈসার মাতার জীবন নিয়ে আলোচনা করেছি।

 ইসলাম ধর্ম হযরত মারিয়াম সালামুল্লাহ আলাইহাকে অসাধারণ গুরুত্ব ও সম্মান দিয়েছে। তিনিই হচ্ছেন একমাত্র নারী যার নাম সরাসরি পবিত্র কুরআনে উল্লেখ করা হয়েছে।

পবিত্র কুরআন পবিত্র ও আদর্শ নারীদের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে। এ প্রসঙ্গে আমরা গত পর্বের আলোচনায় হযরত মুসা নবীর মা ও ফেরাউনের স্ত্রী বিবি আসিয়ার  জীবনের শিক্ষণীয় ঘটনা সম্পর্কে আলোকপাত করেছি। আজ আমরা হযরত আদম (আ)'র স্ত্রী হযরত হাওয়া সম্পর্কে কথা বলব।  

পবিত্র কুরআন পবিত্র ও আদর্শ নারীদের দৃষ্টান্ত তুলে ধরেছে। মহানবী (সা) যে চার জন আদর্শ বা শ্রেষ্ঠ নারীর কথা উল্লেখ করেছেন তাঁরাও পবিত্র কুরআনের উল্লেখিত আদর্শ তথা শ্রেষ্ঠ নারী। তাঁদের মধ্যে হযরত ফাতিমা হলেন সর্বকালের সেরা নারী।

পবিত্র কুরআন দর্শনের বই নয়। তবে দর্শনের তিন মৌলিক বিষয়বস্তু তথা মানুষ, সমাজ ও বিশ্ব-জগত সম্পর্কে সুস্পষ্ট দিক-নির্দেশনা রয়েছে সর্বশ্রেষ্ঠ ও সর্বশেষ এই খোদায়ি মহাগ্রন্থে।

মানবীয় মর্যাদার দিক থেকে ইসলাম নারী ও পুরুষের মধ্যে কোনো পার্থক্য করেনি। মহানবী (সা) নারীকে সুগন্ধি ফুল বা লতার সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি স্ত্রী বা  নারীকে কর্মচারী বা প্রধান কর্মী তথা কাহরিমান (আরবি অর্থে!) (ফার্সি কাহরিমান অর্থ পাহলোয়ান) হিসেবে ভাবতে নিষেধ করেছেন এবং বলেছেন, মায়ের পায়ের নীচে রয়েছে সন্তানের বেহেশত!