ডিসেম্বর ০৮, ২০২১ ১৬:৪২ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৮ ডিসেম্বর বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • আবরার হত্যা মামলা-২০ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন’-প্রথম আলো
  • আবার খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছে: মির্জা ফখরুল-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • মুরাদ হাসানের এমপি পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রিট- দৈনিক ইত্তেফাক
  • উসকানির বিষয়ে শ্রমিকদের সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী- যুগান্তর
  • রাজনীতির কারণেই আমার মেধাবী সন্তানের ফাঁসির রায় হলো’-দৈনিক মানবজমিন
  • কীভাবে ফাঁস হলো ফোনালাপ? খুঁজছে র‍্যাব-দৈনিক নয়াদিগন্ত

ভারতের শিরোনাম:

  • রাওয়ত জীবিত, আহত, অগ্নিদগ্ধ, নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে, প্রাণ বিপন্ন স্ত্রী মধুলিকার -আনন্দবাজার পত্রিকা
  • বাবরি ধ্বংসের বর্ষপূর্তি, ত্রিস্তরীয় নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হল মথুরাকে-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
  • ইন্দিরার মতো বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরিতে সক্ষম মমতা!’‌‌ দলীয় মুখপত্রে নিজেদের আসল কংগ্রেস দাবি তৃণমূলের –আজকাল

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

আবরার হত্যা মামলা-২০ জনের ফাঁসি, ৫ জনের যাবজ্জীবন

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ জনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতে বিচারক বলেন, নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি ঠেকাতে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির রায় দেওয়া হয়েছে। রায়ে বলা হয়েছে, শিবির সন্দেহে গুজব ছড়িয়ে বুয়েটের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়।

দুই বছর আগে ২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর বুয়েটের শেরেবাংলা হল থেকে তড়িৎ ও ইলেকট্রনিকস প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আবরারের বাবা চকবাজার থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলাটি তদন্ত করে বুয়েটের ২৫ শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে ২০১৯ সালের ১৩ নভেম্বর পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। তা আমলে নিয়ে গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। আসামিদের মধ্যে ২২ জনকে আজ আদালতে আনা হয়। পলাতক তিনজন। আসামিরা সবাই বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের বহিস্কৃত নেতা–কর্মী।

আবার খালেদা জিয়ার রক্তক্ষরণ হচ্ছে: মির্জা ফখরুল-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আবার রক্তক্ষরণ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ বুধবার খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে শিক্ষক-কর্মচারী ঐক্যজোটের উদ্যোগে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আমি গতকাল রাতেও হাসপাতালে গিয়েছিলাম। সেখানে সব চিকিৎসকরা ছিলেন। তিনি (বেগম খালেদা জিয়া) আবার সংকটাপন্ন হয়ে পড়েছেন, আবার তাঁর রক্তক্ষরণ হচ্ছে। চিকিৎসকরা খুব পরিষ্কার করে বলেছেন, তাকে দ্রুত উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠানো প্রয়োজন।

উসকানির বিষয়ে শ্রমিকদের সতর্ক থাকতে বললেন প্রধানমন্ত্রী- যুগান্তর

কারখানায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির জন্য বাইরে থেকে উসকানির বিষয়ে শ্রমিকদের সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, অনেক সময় আমরা দেখি—বাইরে থেকে কিছু শ্রমিক নেতা আসে, তারা বা কোনো কোনো মহল উসকানি দিয়ে একটা অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টির চেষ্টা করে।বুধবার ‘গ্রিন ফ্যাক্টরি অ্যাওয়ার্ড ২০২০’ প্রদান এবং মহিলা কর্মজীবী হোস্টেলসহ ৮টি নবনির্মিত স্থাপনা উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত  অনুষ্ঠানে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেন প্রধানমন্ত্রী।

মালিক-শ্রমিক সম্পর্কের বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে সরকার প্রধান বলেন, কল-কারখানায় অশান্ত পরিবেশ সৃষ্টি করতে বাইরে থেকে অনেকে উসকানি দিয়ে থাকেন। এ বিষয়ে শ্রমিকদের সর্তক থাকতে হবে। এখানে মালিক-শ্রমিক সম্পর্কটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

মুরাদ হাসানের এমপি পদে থাকার বৈধতা নিয়ে রিট- দৈনিক ইত্তেফাক

তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদ হারানো ডা. মুরাদ হাসানের সংসদ সদস্য (এমপি) পদে থাকার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। বুধবার (৮ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুস আলী আকন্দ এ রিট করেন।  রিটে জামালপুর-৪ আসনের এমপি মুরাদ হাসানে কর্মকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্তও চাওয়া হয়েছে।

অশালীন, শিষ্টাচারবহির্ভূত ও নারীর প্রতি চরম অবমাননাকর বক্তব্য দেওয়ায় তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসানকে ৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  এরপর তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান বুধবার (৭ ডিসেম্বর) তার দফতরে পদত্যাগপত্র জমা দেন। তথ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রমতে, পদত্যাগপত্রে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে তথ্য প্রতিমন্ত্রীর পদত্যাগের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

কীভাবে ফাঁস হলো ফোনালাপ? খুঁজছে র‍্যাব-দৈনিক নয়াদিগন্ত

সদ্য পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুরাদ হাসান ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহির মধ্যকার ফোনালাপের অডিও ক্লিপটি কোথা থেকে এবং কীভাবে ফাঁস হল, সেই তদন্তে নেমেছে র‍্যাব।

এরই মধ্যে এই কথোপকথনের একপ্রান্তে থাকা চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমনকে মঙ্গলবার রাতে দীর্ঘ জিজ্ঞাসাবাদ করেছে র‍্যাব। র‍্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বিবিসিকে বলেছেন, বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করেছে র‍্যাবের সাইবার মনিটরিং সেল। র‍্যাবের সন্দেহ, এটি চিত্রনায়ক মামুনুন হাসান ইমনের মোবাইল ফোন থেকে ফাঁস হয়ে থাকতে পারে।

ফাঁস হওয়া আলোচিত টেলিফোন কথোপকথনটির এক প্রান্তে ছিলেন বাংলাদেশের চিত্রনায়ক মামুনুন হাসান ইমন ও চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। অপরপ্রান্তে ছিলেন পদত্যাগ করা তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ মুরাদ হাসান।

বিবিসিকে আগেই ইমন নিশ্চিত করেছেন ওই কথোপকথন তার টেলিফোনেই হয়েছে। মুরাদ হাসানই তাকে ফোন করেছিলেন।

ফাঁস হওয়া ওই অডিওতে মুরাদ হাসানকে প্রকাশে অযোগ্য ভাষায় কথা বলতে শোনা গেছে। এমনকি এক পর্যায়ে তিনি মাহিকে ধর্ষণের হুমকিও দেন বলে অডিওতে শোনা যায়। ইমন বিবিসিকে বলেছেন, টেলিফোন আলাপের এ ঘটনাটি ঘটেছে ২০২০ সালের মার্চ মাসে।

ইমনকে পাঁচ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ

র‍্যাব বলছে, তদন্তের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় র‍্যাব সদরদফতরে ডেকে নেয়া হয়েছিল চিত্রনায়ক মামুনুন হাসান ইমনকে। সেখানে তাকে পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, সাম্প্রতিক অডিও ক্লিপ ফাঁসের ঘটনাটি জানতে চাওয়া হয়েছে।

‘তাকে মূলত ফোনালাপটি ফাঁস হওয়ার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। যেহেতু বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী টেলিফোন আলাপ ফাঁস করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। সে কারণে এই ফোনালাপ কোথা থেকে আর কীভাবে লিক করা হয়েছে, সেটি খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি আমরা,’ বিবিসিকে বলেন তিনি।

‘সেজন্যই উনাকে ডাকা হয়েছিল। উনার (ইমনের) ফোন থেকেই রেকর্ডিংটি ছড়িয়েছে কি না কিংবা উনার মাধ্যমে কোনোভাবে সেটা ফাঁস হয়েছে কি না- এসব জানতে চাওয়া হয়েছে।’

‘এমনও হতে পারে তার ফোন অজ্ঞাতসারে কেউ ব্যবহার করে অডিও লিক হয়েছে কি-না, সে সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ জিজ্ঞাসাবাদ চলাকালে ইমনের মোবাইল ফোনটি নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়েছে।

তবে এখনো পর্যন্ত ইমনের কাছ থেকে কোনো নির্দিষ্ট ক্লু পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন র‍্যাব কর্মকর্তা। সন্ধ্যা ৬টায় র‍্যাব সদরদফতরে যান ইমন। রাত সোয়া ১১টায় তিনি বেরিয়ে যান সেখান থেকে।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, কেবল ইমন নয় ফোনালাপ ফাঁসের ঘটনায় অন্য কেউ জড়িত কি-না তদন্তে সে সম্ভাবনাও তলিয়ে দেখা হবে।

সংস্থাটির সাইবার মনিটরিং সেল কাজ শুরু করেছে এবং ইমনের দেয়া তথ্য যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। মঙ্গলবারের র‍্যাবের এই জিজ্ঞাসাবাদ সম্পর্কে ইমনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাকে বারবার টেলিফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।

তবে সোমবার রাতে তিনি ঢাকা গোয়েন্দা পুলিশের দফতরে গিয়েছিলেন এবং সেই প্রসঙ্গে বক্তব্য দিয়েছিলেন বিবিসির কাছে।

মঙ্গলবার সকালে তিনি বলেছিলেন, ডিবি কার্যালয়ে কোনো জিজ্ঞাসাবাদ নয়, নিজে থেকেই সেখানে কথা বলতে গিয়েছিলেন তিনি।

ইমন ও মাহি এতদিন কেন চেপে রেখেছিলেন ওই কথোপকথন?

একজন প্রতিমন্ত্রী এই দু’জন চিত্রতারকাকে টেলিফোন করে ধর্ষণের হুমকিসহ অশ্রাব্য সব কথাবার্তা বলবার পরও প্রায় দুই বছর কেন চেপে রেখেছিলেন দুই চিত্রতারকা? কেন তারা প্রকাশ করেননি, কোথাও কোনো অভিযোগ করেননি?

জানতে চাইলে ইমন বিবিসিকে বলেন, ‘এটা এমন কোনো ঘটনা ছিল না।’ মাহিয়া মাহি বিদেশে অবস্থান করার কারণে এ নিয়ে তার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে সোমবার রাতে প্রকাশ করা এক ভিডিওতে মাহি বলেছেন, ‘আমার কোনো দোষ ছিল না, আমি একটা পরিস্থিতির শিকার ছিলাম।’

ইমন বিবিসিকে বলেন, ‘দেখুন এটা এমন কোনো ঘটনা না, আমাকে একজন ফোন দিলো - এই কথা বল, তুই কোথায়? কাল ফোন ধরিসনি কেন? আচ্ছা মাহিকে ফোনটা দে। এখন এইটার জন্য তো আমার ইয়ে হওয়ার কথা না।’

তিনি বলছেন, ‘কিন্তু অপজিট সাইডে উনি মাহির সাথে যেভাবে কথা বলছেন, যে টোনে কথা বলেছেন...এখন ফোনে লাউডস্পিকারে কথা না বললে আমার পাশেরজনের সাথে কী কথা হচ্ছে সেটা তো আমি জানবো না, তাই না।’

‘মাহির কথাগুলো আমি শুনেছি অডিও ফাঁস হওয়ার পর। তার আগে আমি তো জানতাম না তার সাথে মাহির কী কথা হয়েছে। মাহিও আমাকে বলেনি।’

রাজনীতির কারণেই আমার মেধাবী সন্তানের ফাঁসির রায় হলো’-দৈনিক মানবজমিন

বহুল আলোচিত বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যা মামলায় ২০ আসামিকে ফাঁসি ও ৫ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। আজ দুপুরে ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবু জাফর মো. কামরুজ্জামান এ রায় ঘোষণা করেন।আদালতে রায় শুনে আসামিদের স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামির মা বলেন, আমার ছেলে কখনো কোনো অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল না। বুয়েটে ভর্তি হওয়ার পর জড়িয়ে পড়ে রাজনীতিতে। রাজনীতির কারণেই আজ আমার মেধাবী সন্তানের ফাঁসির রায় হলো। আমার এখনো বিশ্বাস হয় না, আমার ছেলে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। যেসব বাবা-মায়ের সন্তান আছে তাদের কাছে নিবেদন, কোনো সন্তান যেন রাজনীতিতে যুক্ত না হয়।তিনি আরো বলেন, আমাদের বাড়ি চিটাগং। সেখানে থাকা অবস্থায় আমার ছেলে কখনো রাজনীতি করে নাই।শুধু রাজনীতি করার কারণে আমার ছেলের এই সাজা। রাজনীতি না করলে এই মামলায় জড়াতে হতো না। আবরারের মায়ের প্রতি কৃতজ্ঞ, যে তিনি আমাদের শাস্তি দাবি করেননি।

রাওয়ত জীবিত, আহত, অগ্নিদগ্ধ, নিয়ে যাওয়া হয়েছে হাসপাতালে, প্রাণ বিপন্ন স্ত্রী মধুলিকার -আনন্দবাজার পত্রিকা

তামিলনাড়ুর কুন্নুরে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় গুরুতর জখম চিফ অব ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়ত। সেনা সর্বাধিনায়ককে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে। কপ্টারে বিপিনের সঙ্গে ছিলেন বিপিনের স্ত্রী মধুলিকাও।বুধবার বেলা ১২টা ৪০ মিনিটে তামিলনাড়ুর কুন্নুরের জঙ্গলে ভেঙে পড়ে সেনার এমআই- ১৭ কপ্টারটি। ওই হেলিকপ্টারেই ছিলেন বিপিন। তাঁর স্ত্রীও সেনা সর্বাধিনায়কের সঙ্গেই ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে বিপিনকে অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাঁকে ভর্তি করানো হয়েছে হাসপাতালে।

সেনার ওই কপ্টারে বিপিন-সহ মোট নয় জন ছিলেন। ঘটনাস্থল থেকে হতাহতদের উদ্ধারকাজ চলছে জোরকদমে। কুন্নুরে গভীর জঙ্গলের উপর ভেঙে পড়ে ভেঙে পড়ার পরেই হেলিকপ্টারে আগুন ধরে যায়। নীলগিরির কালেক্টর জানিয়েছেন, কপ্টার দুর্ঘটনায় ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

ইন্দিরার মতো বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরিতে সক্ষম মমতা!’‌‌ দলীয় মুখপত্রে নিজেদের আসল কংগ্রেস দাবি তৃণমূলের –আজকাল

তারাই আসল কংগ্রেস। এবার দলীয় মুখপত্র জাগো বাংলায় দাবি করল তৃণমূল কংগ্রেস। বুধবার তাদের মুখপত্রে 'রণক্লান্ত কংগ্রেস' শিরোনামে সম্পাদকীয় নিবন্ধে এই দাবি তোলা হয়েছে। আগামী লোকসভা নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে, ততই কংগ্রেস নিয়ে সুর চড়াচ্ছে তৃণমূল। দেশে কংগ্রেসকে সরিয়ে আগামী দিনে তারাই যে বিরোধী দল হিসেবে উঠে আসতে চাইছে, সেটা তৃণমূলের শরীরী ভাষায় স্পষ্ট। ফলে একদিকে যেমন বিজেপি বিরোধী রাজনীতিতে দেশে কংগ্রেসের ভূমিকা নিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলছে, তেমনই রাজ্যে রাজ্যে কংগ্রেস শিবিরে ভাঙনের পেছনেও তৃণমূলের হাতই দেখতে পাচ্ছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।এর আগে 'পচা ডোবা' বলে কংগ্রেসকে কটাক্ষ যেমন করা হয়েছে, তেমনই বুধবার দলীয় মুখপত্রতে বিজেপি বিরোধী আন্দোলনে দেশে কংগ্রেসের ব্যর্থতার অভিযোগ তুলে বলা হয়েছে, 'বিজেপিকে প্রতিরোধ করার কথা ছিল কংগ্রেসের। তারাই ছিল কেন্দ্রের বিরোধী দল। কিন্তু কংগ্রেস উদাসীন, রণক্লান্ত, ভারাক্রান্ত, অন্তর্দ্বন্দ্ব আর দলীয় জটিলতায় বিদীর্ণ। যেন ব্যাটন বইতে অপারগ।' 

Nagaland Firing: এলোপাথাড়ি গুলি ছুঁড়েছিল সেনা, আমাদের থামতেও বলেনি, অভিযোগ নাগাল্যান্ড গুলি কাণ্ডের আহতের

শনিবার সন্ধ্যায় নাগাল্যান্ডের (Nagaland) মন জেলার ওটিং গ্রামে সেনার প্যারা স্পেশ্যাল ফোর্সের গুলিতে ঝাঁজরা হন ১৪ জন নিরীহ গ্রামবাসী। মর্মান্তিক ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ। সোমবার বিষয়টি নিয়ে সংসদে শোরগোল ফেলে দেন বিরোধীরা। যা নিয়ে মঙ্গলবারও উত্তপ্ত ছিল সংসদ। এর মধ্যেই সেদিনের ঘটনায় সেনার গুলিতে আহত এক গ্রামবাসী অভিযোগ করলেন, তাঁদের গাড়িকে থামতে বলেনি সেনা, বরং সরাসরি গুলি ছোঁড়া হয়। অভিযোগকারীর বক্তব্য, এলোপাথাড়ি গুলি ধেয়ে আসছিল তাঁদের দিকে। সেদিন রাতে মৃত গ্রামবাসীদের পোশাক পরিবর্তনের চেষ্টা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

নাগাল্যান্ডে গুলি কাণ্ডের রাতে সেনার গুলিতে আহত হন বছর বাইশের যুবক শেইওয়াং। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, “সেনা আমাদের থামতে বলেনি। এলোপাথাড়ি গুলি ছুটে আসছিল।” শেইওয়াং-এর এই বক্তব্যের পর সেনার দিকে অভিযোগ আঙুল উঠছে। এই সঙ্গে নাগাল্যান্ডে গুলি কাণ্ডে নতুন করে রহস্য ঘনাচ্ছে। 

 

পার্সটুডে/বাবুল আখতার/৮

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ