ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২২ ১৬:৩৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ২৮ ফেব্রুয়ারি সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:

  • রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ: বাইডেন-প্রথম আলো
  • তুমুল লড়াই চলছে ইউক্রেনে-মানবজমিন
  • রাশিয়ার ৫ হাজার ৩০০ সেনাকে হত্যা: ইউক্রেন-ইত্তেফাক
  • ইউক্রেন অভিযানের বিরুদ্ধে রাশিয়াজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ, গ্রেফতার ৯ শতাধিক-যুগান্তর
  • রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থার ‘উচ্চ সতর্কতার’ কঠোর নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের-কণ্ঠ
  • তুর্কি ড্রোন দিয়ে রুশ সেনাবহরে সফল হামলার দাবি ইউক্রেনের-বাংলাদেশ প্রতিদিন

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • পথে নেমে তাণ্ডব বিজেপির, পুলিশের তৎপরতায় ব্যর্থ বন্‌ধ, সচল কলকাতা ও শিল্পাঞ্চল-সংবাদ প্রতিদিন
  • ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকুন, মোদীকে চিঠি লিখে আর্জি মমতার-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • কবর থেকে তোলা হল আনিসের দেহ, ময়নাতদন্ত হবে এসএসকেএমে-আজকাল

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

জ্বলছে ইউক্রেন

ইউক্রেন যুদ্ধের খবরই বাংলাদেশ ভারতসহ বিশ্বের সব মিডিয়ার প্রধান খবর। বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর প্রথম পাতা জুড়ে ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে সর্বশেষ যেসব খবর পরিবেশিত হয়েছে তা তুলে ধরছি।

ইত্তেফাকের প্রধান খবরে লেখা হয়েছে, টানা পঞ্চম দিনের মতো চলছে ইউক্রেন রাশিয়া সংঘাত। এ নিয়ে কিয়েভের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, প্রথম চার দিনের সংঘর্ষে রাশিয়ার পাঁচ হাজারের বেশি সেনা নিহত হয়েছে। 

ফেসবুকে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, ইউক্রেন বাহিনীর হাতে আনুমানিক পাঁচ হাজার ৩০০ রুশ সেনা নিহত হয়েছে। এছাড়া রাশিয়ার ১৯১টি ট্যাংক, ২৯টি যুদ্ধ বিমান, ২৯টি হেলিকপ্টার এবং ৮১৬টি সাঁজোয়া যান ধ্বংস করা হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ: বাইডেন-প্রথম আলোর এ খবরে লেখা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞার বিকল্প হলো তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। ব্লগার ব্রায়ান টাইলার কোহেনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন বাইডেন।সাক্ষাৎকারে প্রেসিডেন্ট বাইডেন বলেন, ‘দুটো বিকল্প আমাদের হাতে আছে। এক, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু করা, রাশিয়ার সঙ্গে সরাসরি যুদ্ধে যাওয়া। দুই, যে দেশটি আন্তর্জাতিক সব নিয়মনীতি লঙ্ঘন করছে, তার জন্য তাকে মূল্য দিতে বাধ্য করা।’ইউক্রেনের সেনাবাহিনী রাশিয়ার বাহিনীর সঙ্গে তালে তালে লড়ছে। দেশ ছেড়ে না যাওয়ার ব্যাপারে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ইতিমধ্যে রুশ বাহিনী রাজধানী কিয়েভ ঘিরে ফেলেছে।

মানবজমিনের খবর, জ্বলছে ইউক্রেন। তুমুল লড়াই চলছে আগ্রাসী রাশিয়া ও ইউক্রেনের সেনাদের মধ্যে। আকাশে উঠে যাচ্ছে কালো ধোঁয়া। দূরে কোথাও দেখা যাচ্ছে অগ্নিকুণ্ডলী। রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় জ্বলছে ইউক্রেনের  বিভিন্ন স্থাপনা। তবে রাশিয়ার তুলনায় ক্ষুদ্র দেশ ইউক্রেন সমানে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে রয়েছে বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ। তাদের কাছে যাচ্ছে অস্ত্র সরবরাহ।

ইউক্রেনে চলছে তুমুল লড়াই

একের পর এক নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। গতকাল এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ইউক্রেনের দ্বিতীয় বৃহৎ শহর খারকিভ দখল নিয়ে তুমুল লড়াই চলছিল দুই পক্ষের। পাশাপাশি রাজধানী কিয়েভেও লড়াই চলছে। কিয়েভের দক্ষিণ-পশ্চিমে ভাসিলকিভে একটি তেল ও গ্যাস টার্মিনালে ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় আগুন ধরে যায়। এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষ কিয়েভের অধিবাসীদের সোমবার পর্যন্ত ঘরের ভেতরে অবস্থান করার নির্দেশ দিয়েছে। ওদিকে বেলারুশে বৈঠক আহ্বান করেছে মস্কো। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।

এবার ইউক্রেনে অস্ত্র পাঠাচ্ছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন।রাশিয়া জুড়ে ইউক্রেনে হামলার বিরুদ্ধে ব্যাপক বিক্ষোভ হয়েছে। বিক্ষোভ চলাকালে রুশ পুলিশ ৯ শতাধিক মানুষকে গ্রেফতার করেছে। বিক্ষোভ পর্যবেক্ষণ সংস্থা ওভিডি-ইনফো বরাত দিয়ে আল জাজিরা রোববার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত বলেছেন আমরা আলোচনায় প্রস্তুত আছি তবে আত্মসমর্পন নয়। এসব খবর ছাপা হয়েছে দৈনিক যুগান্তর পত্রিকায়। আর মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, আইসিজেতে রাশিয়ার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইউক্রেন।

এদিকে রাশিয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা ক্ষতির শঙ্কা বাংলাদেশেও এ শিরোনামে দৈনিকটি লিখেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিচ্ছে পশ্চিমা দেশগুলো। দেশটির বড় কয়েকটি ব্যাংকের সঙ্গে আন্তর্জাতিক অর্থ লেনদেন ব্যবস্থা সুইফটের কার্যক্রম বন্ধ হতে পারে। এ বিষয়ে মত দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা মিত্র দেশগুলো। এটি কার্যকর হলে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের ক্ষেত্রে সমস্যায় পড়বে রাশিয়া। এর ফলে রাশিয়ার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানিসহ আর্থিক লেনদেনে সমস্যায় পড়তে পারে বাংলাদেশও। কারণ, বাংলাদেশ রাশিয়ার সঙ্গে আর্থিক লেনদেন সুইফটের মাধ্যমেই করে থাকে। রাশিয়ায় সুইফট বন্ধ হলে বাংলাদেশের কোনো ব্যাংক রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর সঙ্গে আর্থিক লেনদেন করতে পারবে না। আবার রাশিয়ার ব্যাংকগুলোর পেমেন্ট বাংলাদেশ নিতে পারবে না।

বন্ধ রাখা হয়েছে পণ্যের এলসি ও শিপমেন্টও। এ অবস্থায় রাশিয়ার ব্যাংকিং ব্যবস্থা থেকে সুইফট বন্ধ করে দিলে বাংলাদেশের বাণিজ্যে চ্যালেঞ্জ তৈরি হতে পারে। একইসঙ্গে বড় আর্থিক ক্ষতির মুখেও পড়তে পারে- এমনটিই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

বাংলাদেশের প্রথম রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ এর মতো বড় প্রকল্পের কাজ চলছে রাশিয়ার সহায়তায়। পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্রের জ্বালানি ইউরেনিয়ামও আসবে দেশটি থেকে। বিদ্যুৎকেন্দ্রের পারমাণবিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কাজটিতেও যুক্ত থাকবে রাশিয়া। পাশাপাশি রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ সামরিক সরঞ্জাম ও খাদ্যপণ্য আমদানি করে। এর বাইরে তৈরি পোশাক শিল্পের নতুন বাজার রাশিয়া।

যুগান্তরের এক খবরে লেখা হয়েছে, ইউক্রেন ছেড়েছে ৪১৮ জন বাংলাদেশি। 

রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থার ‘উচ্চ সতর্কতার’ কঠোর নিন্দা যুক্তরাষ্ট্রের-কালের কণ্ঠ

রাশিয়ার পরমাণু অস্ত্র ব্যবস্থা ‘উচ্চ সতর্কতার মধ্যে’ রাখার বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘোষণার কঠোর ভাষায় নিন্দা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পেন্টাগনের কর্মকর্তারা বলেছেন, এটি একটি ‘অপ্রয়োজনীয়’ পদক্ষেপ এবং ‘উত্তেজনা বৃদ্ধির বিপজ্জনক উদ্যোগ যা ভুল হিসাবের ঝুঁকি বাড়াবে’।

প্রেসিডেন্ট পুতিনের ওই আদেশ কীভাবে কার্যকর করা হবে যুক্তরাষ্ট্র এখনো তার মূল্যায়ন করছে। প্রতিক্রিয়া হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিজস্ব পারমাণবিক অস্ত্রভাণ্ডারের অবস্থানের পরিবর্তন করা হয়েছে কিনা তা বলতে অস্বীকার করেছেন দেশটির কর্মকর্তারা।

আমরা অনুনয়-বিনয় করব, আপনারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা করেন: নতুন সিইসি-মানবজমিন

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করতে দেশের রাজনৈতিক নেতাদের নিজেদের মধ্যে ‘সমঝোতায়’ আসার আহ্বান জানিয়েছেন নতুন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল। তিনি বলেন, আমরা অনুনয়-বিনয় করব, আপনারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা সৃষ্টি করেন। একটা চুক্তিবদ্ধ হন যে নির্বাচনটা সুন্দরভাবে পরিচালনা করবেন। ওখানে সহিংসতা থাকবে না। কেউ কাউকে বাধা দেবে না। সোমবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দায়িত্ব বুঝে নেয়ার পর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সিইসি এমন মন্তব্য করেন। সিইসি বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বের যে দায়িত্বটা রয়েছে, সেটা যদি শেয়ার না করেন, তাহলে নির্বাচন কমিশন এককভাবে যে কাজ করবে সেখানে সীমাবদ্ধতা দেখা দেবে। আমাদের দায়িত্ব আছে, রাজনৈতিক নেতৃত্বের কাছে আবদার করা, বিনয় করা, অনুনয় করা।

রাজনৈতিক নেতৃত্বকে আমরা সহযোগিতা করব। রাজনৈতিক নেতৃত্ব যদি রাজনৈতিক নেতৃত্বকে সহায়তা না করে, পলিটিক্যাল লিডারশিপের যদি ন্যূনতম সমঝোতা না থাকে, আমিতো তাদের মুরুব্বি হতে পারব না। উনারা আমাদের চেয়ে অনেক বেশি জ্ঞানী, অনেক বেশি অভিজ্ঞ। আওয়ামী লীগ যদি ক্ষমতায় থাকে, সেই নির্বাচনে বিএনপি না যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, বিএনপি যদি এমন ঘোষণা দিয়েও থাকে, আমরা কী তাদের চা খাওয়ার আমন্ত্রণ জানাব না? কোনো কথাই শেষ কথাই নয়।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

কবর থেকে তোলা হল আনিসের দেহ, ময়নাতদন্ত হবে এসএসকেএমে-আজকাল

ডিস্ট্রিক্ট জাজ এবং স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম বা সিট আধিকারিকদের সামনে সোমবার দুপুরে কবর থেকে তোলা হল আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের দেহ।

ছিলেন আইনজীবিও। এদিন সকালেই আনিসের বাড়িতে পৌঁছে যান সিট সদস্যরা। কথা বলেন আনিসের বাবা সালেম খানের সঙ্গে। জানা গেছে, অসুস্থতার জন্য সালেম ছেলের দেহ তোলার সময় সামনে থাকতে পারবেন না বলে জানান। এরপর ডিস্ট্রিক্ট জাজের সামনে সিট আধিকারিকরা কবর খুঁড়ে দেহ নিয়ে যান এসএসকেএমে। দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের জন্য। গোটা প্রক্রিয়াটিরই ভিডিও রেকর্ডিং করা হচ্ছে বলে প্রশাসনের একটি সূত্র জানিয়েছে। 

আনিসের মৃত্যুর পর থেকেই উত্তপ্ত হতে থাকে আমতা এবং কলকাতা। দফায় দফায় বিক্ষোভ দেখাতে থাকে রাজনৈতিক দলগুলি। প্রাথমিক তদন্ত হাওড়া জেলা পুলিশের তরফে করা হলেও এই মামলার তদন্তে সিট তৈরি করে রাজ্য সরকার। তদন্তে নেমে আমতা থানার এক হোমগার্ড এবং সিভিক ভলান্টিয়ারকে গ্রেপ্তার করে সিট। ছেলের মৃত্যুর তদন্তের দায়িত্ব সিবিআইকে দেওয়ার জন্য সালেম খান দাবি জানালেও আদালত সিটের ওপরেই আস্থা রাখে এবং দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তের নির্দেশ দেয়। সেই মতো সোমবার আনিসের দেহ তোলা হল।

পথে নেমে তাণ্ডব বিজেপির, পুলিশের তৎপরতায় ব্যর্থ বন্‌ধ, সচল কলকাতা ও শিল্পাঞ্চল-সংবাদ প্রতিদিন

পুরভোটে সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলে বিজেপির ডাকা ১২ ঘণ্টা বন্‌ধের তেমন প্রভাব পড়ল না শহর কলকাতা (Kolkata) ও অন্যান্য শিল্পাঞ্চলগুলিতে। সকালের দিকে হুগলিতে (Hooghly) ট্রেন অবরোধ করে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা বন্‌ধ সফল করার চেষ্টা করলেও বিশেষ লাভ হয়নি। সকাল থেকেই রাস্তায় পুলিশ মোতায়েন থাকায় বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বাভাবিক হয়ে যায়। সকাল থেকেই পথে পুলিশ নামায় বিক্ষোভকারীরা সফল হতে পারেননি।

সোমবার কলকাতার (Kolkata) রাস্তায় সকাল থেকে বিজেপি কর্মী, সমর্থকরা নামেন বন্‌ধ সফল করতে। দেখা যায় নেতৃত্বকেও। মধ্য কলকাতায় বিজেপি (BJP)কাউন্সিলর মীনাদেবী পুরোহিতের নেতৃত্বে মিছিল আটকে দেয় পুলিশ। রাস্তা বন্ধ করে মিছিল করার অভিযোগে মীনাদেবী পুরোহিত-সহ বেশ কয়েকজন মহিলা কর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ ভ্যানে তোলা হয়। দুপুরের দিকে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়। বিজেপি নেত্রীদের অভিযোগ, ”মানুষ বন্‌ধকে সমর্থন করে তাঁদের সঙ্গে পথে নেমেছেন। কিন্তু পুলিশ জোর করে আন্দোলন দমন করছে।” গ্রেপ্তার করা হয় আরেক বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষকে। অন্যদিকে, সকালের দিকে যাদবপুর, হাজরা মোড়ে বন্‌ধ সমর্থকদের সঙ্গে পুলিশের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি সামাল দেয় পুলিশ।

ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদল বৈঠক ডাকুন, মোদীকে চিঠি লিখে আর্জি মমতার-আনন্দবাজার পত্রিকা

ইউক্রেনে যুদ্ধ আবহে ভারতীয়দের ফিরিয়ে আনার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়ার জন্য প্রথম থেকেই কেন্দ্রের উপরে চাপ তৈরি করেছে তৃণমূল। এ বার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখে ইউক্রেন পরিস্থিতিতে ভারত সরকারের পাশে থাকার বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা লিখেছেন, ‘যুদ্ধের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট। আন্তর্জাতিক শান্তিরক্ষায় আমাদের ভূমিকা বরাবরের মতোই থাকুক।’ একই সঙ্গে মমতা লিখেছেন, ইউক্রেনে আটকে থাকা ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্যোগের পাশেই থাকবে রাজ্য। জানা গিয়েছে, সেই চিঠিতে আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে ভারতের মর্যাদা যাতে অক্ষুন্ন থাকে সে ব্যাপারেও লিখেছেন মমতা।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৮