কথাবার্তা
'দুই ইস্যুতে পাকিস্তানে সতর্ক আলোচনা'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ৬ এপ্রিল বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:
- ইমরানের বিরুদ্ধে অনাস্থায় মার্কিন ইন্ধন, বিশ্বাস করেন না বেশির ভাগ পাকিস্তানি-প্রথম আলো
- দুই ইস্যুতে পাকিস্তানে সতর্ক আলোচনা-মানবজমিন
- গণমাধ্যম ব্যক্তিদের সঙ্গে ইসির সংলাপ চলছে-ইত্তেফাক
- যানজটে ঢাকা নিশ্চল নগরীতে পরিণত হয়েছে : সংসদে এমপি হারুন-বাংলাদেশ প্রতিদিন
- কবে চালু হবে পদ্মা সেতু-সংসদে জানালেন প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
- স্থবির পাবিপ্রবি-ভিসি নেই, বেতন বন্ধ, পরীক্ষার ফল আসে না -কালের কণ্ঠ
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:
- রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি কমাক ভারত, নয়াদিল্লিকে কড়াবার্তা আমেরিকার-সংবাদ প্রতিদিন
- ‘দুনিয়া যখন দুই বিরোধী শিবিরে বিভক্ত...’, ভারত কোন দিকে? জানালেন খোদ মোদি- আজকাল
- রক্ত ঝরিয়ে সমস্যার সমাধান হয় না, সংসদে ইউক্রেন যুদ্ধের নিন্দা বিদেশমন্ত্রীর- আনন্দবাজার পত্রিকা
এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
বিএনপি নেতা ইশরাক গ্রেফতার-ইত্তেফাকের খবরে লেখা হয়েছে, মতিঝিল থেকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আজ সকালে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে মতিঝিল এলাকায় লিফলেট বিতরণকালে তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।সকালে মতিঝিল এলাকায় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল দক্ষিণের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। লিফলেট বিতরণের সময় তাকে গ্রেফতার করে মতিঝিল থানা পুলিশ।আগের একটি মামলার ওরেন্ট দেখিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, ইশরাক হোসেনের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছে আদালত।
গণমাধ্যম ব্যক্তিদের সঙ্গে ইসির সংলাপ চলছে-ইত্তেফাক
গণমাধ্যম ব্যক্তিদের নির্বাচন কমিশনের সংলাপ হয়েছে। আজ সকাল ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের সম্মেলন কক্ষে এই সংলাপ শুরু হয়। এই ধাপে ৩৪ জন গণমাধ্যম ব্যক্তিদের আলোচনা করেছে সংস্থাটি। এর আগে, ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদ এবং ২২ মার্চ বিশিষ্ট নাগরিকদের সঙ্গে সংলাপ করেছে ইসি। সবমহলের পরামর্শ নেওয়ার পর নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপে বসবে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। ইসি সংশ্লিষ্টরা জানায়, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন মহলের মতামত নিয়ে রোডম্যাপ তৈরি করতে চায় কাজী হাবিবুল আউয়াল নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন। এই বিষয়ে মতামত দেওয়ার জন্য ১৩ মার্চ থেকে সংলাপ শুরু করেছে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি।
বছরের শেষ নাগাদ পদ্মা সেতু খুলে দেয়া হবে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর/মানবজমিনসহ প্রায় সব দৈনিকের এখবরে লেখা হয়েছে, দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু চলতি বছরের শেষ নাগাদ যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরপর্বে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ তথ্য জানান। এর আগে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, এ বছর জুন মাসেই পদ্মা বহুমুখী সেতু যান চলাচলের জন্য খুলে দেয়া হতে পারে।
আর কালের কণ্ঠের একটি খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, টিসিবির বিক্রি কার্যক্রম অব্যাহত থাকায় নিত্যপণ্যের বাজারমূল্য উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে। সরকারের কার্যক্রমের ফলে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য যৌক্তিক পর্যায়ে রয়েছে।
পাকিস্তান ইস্যু: মানবজমিনের শিরোনাম এরকম, দুই ইস্যুতে পাকিস্তানে সতর্ক আলোচনা। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং সেনাবাহিনী। এই দুই ইস্যুতে পাকিস্তানের ভেতরে এবং বাইরে সতর্ক আলোচনা, সমালোচনা। অনেকেই আভাস দিচ্ছিলেন, উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ক্ষমতা নিয়ে নিতে পারে পাকিস্তানের শক্তিধর সেনাবাহিনী। অন্তত, তাদের অতীত ইতিহাস সেরকম কথাই বলে। এমন আলোচনার যথেষ্ট কারণ আছে- আলোচনা আছে ২০১৮ সালের নির্বাচনে ইমরান খানকে সমর্থন দিয়ে ক্ষমতায় বসিয়েছে সেনাবাহিনী। তারপর তাদের দহরম-মহরম চলেছে। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে ইমরান খান ও সেনাবাহিনী, বিশেষ করে সেনাপ্রধান জাভেদ কমর বাজওয়ার মধ্যে সম্পর্ক ভালো যাচ্ছিল না। সেনাপ্রধানের মেয়াদ বৃদ্ধি নিয়ে ইমরান খান ছিলেন গররাজি। বিষয়টিসহ আরও বেশ কিছু কারণে যখন দৃশ্যত এক রকম চাপের মুখে ইমরান, তখনই তার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়া শুরু করেন বিরোধীরা। তারই ফল হিসেবে আসে অনাস্থা প্রস্তাব। তারপর বর্তমান রাজনৈতিক ঘটনাপ্রবাহে সেনাবাহিনীর কিছু করার নেই। তারা হয়তো ক্ষমতা নেবে না। তবে ভবিষ্যৎ কি হয় তা হলফ করে বলা অসম্ভব।
এদিকে যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, আগামী জাতীয় পরিষদ নির্বাচনে নিজের দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফ (পিটিআই) একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে বলে মনে করেন ইমনার খান। প্রথম আলোর খবরে বলা হয়েছে, পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলোর অনাস্থা প্রস্তাবের পেছনে যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ধন ছিল বলে মনে করেন মাত্র ৩৬ শতাংশ পাকিস্তানি। গ্যালাপ পাকিস্তানের চালানো এক জনমত জরিপে এমন পরিসংখ্যান পাওয়া গেছে।
ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাতের খবরে ইত্তেফাক লিখেছে, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জোরদারের ঘোষণা পশ্চিমের, অস্ত্র সহায়তা বাড়ছে। রুশ আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে ইউক্রেনে ট্যাংক ও সাঁজোয়া যান পাঠিয়েছে চেক প্রজাতন্ত্র। ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের বুচা শহরে ‘গণহত্যার’ অভিযোগে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। ইউক্রেনের জন্য ইউক্রেনের ভলোদিমির জেলেনস্কি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সবচেয়ে ভয়াবহ যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ এনেছেন রাশিয়ার বিরুদ্ধে।
এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি কমাক ভারত, নয়াদিল্লিকে কড়া বার্তা আমেরিকার-সংবাদ প্রতিদিন
রাশিয়া থেকে অস্ত্র আমদানি কমাক ভারত। ইউক্রেন যুদ্ধের আবহে এভাবেই নয়াদিল্লিকে কড়া বার্তা দিল আমেরিকা। মঙ্গলবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন স্পষ্ট ভাষায় জানান, আমেরিকা চাইছে রাশিয়া থেকে অস্ত্র কেনা কমিয়ে দিক ভারত। ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের জেরে সম্প্রতি তুঙ্গে পৌঁছেছে ভারত ও আমেরিকা মধ্যে চলা কূটনৈতিক টানাপোড়েন। ওয়াশিংটনের দাবি, মস্কোর সঙ্গ ত্যাগ করে যুদ্ধের বিরোধিতায় সরব হোক নয়াদিল্লি। রাশিয়া থেকে অপরিশোধিত তেল আমদানি নিয়ে মোদি সরকারের কাছে ঘোর আপত্তি জানিয়েছে বাইডেন প্রশাসন। মার্কিন ফরমান না মানলে ভবিষ্যতে ভারত যে সমস্যাআর মুখে পড়তে পারে সেই ইঙ্গিতও দিয়েছে দেশটি।
‘দুনিয়া যখন দুই বিরোধী শিবিরে বিভক্ত...’, ভারত কোন দিকে? জানালেন খোদ মোদি-আজকালের এ খবরে বলা হয়েছে, ইউক্রেন যুদ্ধে নাজেহাল গোটা দুনিয়া।
পরস্পর বিরোধী দু’টি শিবিরে ভাগ হয়ে গিয়েছে সব দেশ। এক মাত্র ভারত, যা কোনও শিবিরের পক্ষে দাঁড়ায়নি।বিজেপি–র প্রতিষ্ঠা দিবসে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ইউক্রেনে রুশ হামলা নিয়ে সোচ্চার হয়েছে প্রায় গোটা দুনিয়া। কিন্তু ভারত এই নিয়ে মুখ খোলেনি। শুধু যুদ্ধের বিরোধিতা করেছে। রাষ্ট্রসঙ্ঘেও রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভোট দিতে চায়নি। আর এই নিয়ে ভারতকে পাল্টা চাপ দিয়েছে আমেরিকা, এমনকী ব্রিটেন। তাতেও ভারত অনড়। এবার দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে সেই নিয়ে জবাব দিলেন শীর্ষনেতা তথা দেশের প্রধানমন্ত্রী। মোদি বললেন, ‘ভারত সেই দেশ যে দেশ ভয়হীনভাবে, কোনও চাপের কাছে নতিস্বীকার না করেই দৃঢ়ভাবে নিজের স্বার্থরক্ষা করে চলেছে। আর সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর । বললেন, “ভারত শুধুমাত্র শান্তির পক্ষে। যত দ্রুত সম্ভব হিংসা থামানো হোক।”#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৬