এপ্রিল ১৯, ২০২২ ১৬:৩১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: ১৯ এপ্রিল মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম:

  • ঢাকা কলেজের হল বন্ধ ঘোষণা-কালের কণ্ঠ
  • সকালে সংঘর্ষ, দুপুরে এসে পুলিশ ছুড়ল কাঁদানে গ্যাস-প্রথম আলো
  • হাওর রক্ষা বাঁধের শতকোটি টাকা পানিতে-মানবজমিন
  • ৯ হাজার কোটি টাকার গ্যাস বিল বকেয়া-ইত্তেফাক
  • মারিওপোলের ৪০ হাজার বাসিন্দাকে নির্বাসিত করা হয়েছে : মেয়রের দাবি -বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • আসলে দম বন্ধ পরিস্থিতি বিএনপির রাজনীতিতে: ফখরুলকে কাদের -যুগান্তর

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের শিরোনাম:

  • মাইকের আওয়াজ যেন ধর্মস্থানের বাইরে না আসে’, সাম্প্রদায়িক অশান্তি আটকাতে দাওয়াই যোগীর -সংবাদ প্রতিদিন
  • পরিবার-‌সাক্ষীদের দিতে হবে নিরাপত্তা, পাঁচ ধর্ষণ-‌কাণ্ডে তদন্ত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের‌ - আজকাল
  • আদালত আবমাননা! আনিসের বাবাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট - আনন্দবাজার পত্রিকা
  • এবার বাঁকুড়ায় আদিবাসী ছাত্রীকে অত্যাচার করে খুন, প্রশ্নে পুলিশও-গণশক্তি

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

ঢাকা কলেজ

৫ মে পর্যন্ত ঢাকা কলেজের হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সেইসঙ্গে বিকালের মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। প্রায় সব দৈনিকে খবরটি পরিবেশিত হয়েছে। আর প্রথম আলোর কয়েকটি খবর, রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে আজ সকাল সাড়ে ১০টা থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। লেখা হয়েছে, সকালে সংঘর্ষ, দুপুরে এসে পুলিশ ছুড়ল কাঁদানে গ্যাস। সংঘর্ষে  পথচারী, শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়ী, হকারসহ আহত ২০ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তবে বাংলাদেশ প্রতিদিন লিখেছে-আহতের সংখ্যা ৪০।

ঢাকা কলেজ এলাকায় সংঘর্ষ

নিউমার্কেটের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষ গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে থামে। পরে আজ সকালে আবার শুরু হয়। সংঘর্ষের কারণে রাজধানীর ব্যস্ত মিরপুর সড়কে যান চলাচল পুরোপুরি বন্ধ আছে। ঢাকার বিভিন্ন স্থানে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, কিছুক্ষণের মধ্যে কুল ডাউন হবে। এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলায় জড়িতদের ২৪ ঘন্টার মধ্যে বিচারের দাবি জানানো হয়েছে।

 

বাংলাদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

সড়কে নৈরাজ্য, ওয়াসার ছলনা, বিমানবন্দরে হয়রানি: ‘ছোট ছোট দুঃখ কথা’-শিরোনামের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মো: তৌহিদ হোসেনের মতামত পরিবেশিত হয়েছে প্রথম আলোতে। ২০১৮ সালের জুলাই মাসে বেপরোয়া বাসের চাপায় দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর পর কিছুদিন ঢাকার রাস্তার দখল নিয়েছিল স্কুল–কলেজের ছাত্ররা। ন্যায়বিচারের পাশাপাশি তারা সার্বিক পরিবর্তনের দাবিও করেছিল। কিছু আশ্বাস আর কিছু সরকারি–বেসরকারি বলপ্রয়োগের মাধ্যমে এ আন্দোলনের পরিসমাপ্তি ঘটে। ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ আবরার নামের এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্র নিহত হন দুই বাসের প্রতিযোগিতায়। ছাত্ররা আবার রাস্তায় নামে। দুদিন পর ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া স্বপ্রণোদিত হয়ে চারটি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন: এক. লক্কড়ঝক্কড় বাস চলতে দেবেন না। দুই. নির্ধারিত স্টপেজের বাইরে বাস দাঁড়াতে পারবে না। তিন. এক স্টপেজ থেকে আরেক স্টপেজ পর্যন্ত বাসের দরজা বন্ধ থাকবে। চার. প্রতিযোগিতা করে বাস চালালে বা রাস্তা বন্ধ করে দাঁড় করালে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে সেই ভদ্রলোক মানে ডিএমপি কমিশনার অবসরে গেছেন। আমরা জানি যে তাঁর সময়ে বা অদ্যাবধি চার প্রতিশ্রুতির একটিও বাস্তবায়িত হয়নি। চালু বাসগুলোর একটা বড় অংশ ভাগাড়ে যাওয়ার উপযুক্ত, কিন্তু তারা ফিটনেস সনদ পেয়ে যায় বা সনদ না থাকলেও চলতে অসুবিধা হয় না। বাসচালকদের অরাজকতা বহাল আগের মতোই। ঢাকার যানজটের অন্যতম অনুঘটক তাঁদের দুর্বিনীত আচরণ।

তিনি লিখেছেন, বড় বড় সেতু আছে আমাদের দেশে, যেগুলোয় টোল আদায় হচ্ছে। যমুনার ওপর পৃথিবীর ১১তম দীর্ঘ বঙ্গবন্ধু সেতুর বয়স এরই মধ্যে ২৪ বছর। তারপরও পদ্মা সেতুর টোল আদায় কেন একটি বিদেশি কনসোর্টিয়ামকে দিতে হবে, তা আমার বোধগম্য হয় না। টোল আদায় ও রক্ষণাবেক্ষণ, কী এমন রকেটবিজ্ঞান যে এ কাজেও বাঙালির যোগ্যতা অপ্রতুল!

হাওর রক্ষা বাঁধের শতকোটি টাকা পানিতে-মানবজমিন

জলে ডুবলো হাওর। কাঁদছে কৃষক। চোখের সামনেই তলিয়ে গেল মাঠের সোনালী ফসল। হা-হুতাশের অন্ত নেই। রাত জেগে চলছে পাহারা। তবুও বাঁধ রক্ষা করা যাচ্ছে না। কৃষকদের প্রাণান্তকর চেষ্টা। সর্বশক্তি দিয়ে বাঁধ ঠেকানোর লড়াই।

কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। বাঁধ ভাঙছেই। এতে বাড়ছে কান্না। চোখে অমানিশার অন্ধকার দেখছেন কৃষকরা। ফসল নেই, ধারদেনায় নিমজ্জিত। পরিবার নিয়ে দুশ্চিন্তা বাড়ছে। অথচ এমন পরিস্থিতির জন্য এবার কৃষকরা প্রস্তুত ছিলেন না। আশায় বুক বেঁধেছিলেন তারা। ফসল ঘরে উঠবে। গোলা ভরা থাকবে ধানে। মুখে থাকবে হাসি। সব যেন চোখের সামনেই হারিয়ে যাচ্ছে। সিলেট বিভাগের সুনামগঞ্জ ও হবিগঞ্জ হাওর এলাকা। এ দুই জেলাকে বলা হয় ফসলের ভাণ্ডার। এক ফসল হয় হাওরে। আর সেটি হচ্ছে বোরো। বৈশাখে কাটা হয় সেই ধান। হাওরের এই ফসল নিয়ে প্রতি বছরই থাকে শঙ্কা। হঠাৎ হঠাৎ উজানের ঢল এসে তলিয়ে যায় সবকিছু। সেই শঙ্কা এবার সত্যে পরিণত হলো। অথচ করোনা পরবর্তী সময়ে এবারের ফসল কৃষকদের ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য অতি জরুরি ছিল। এজন্য সরকারের তরফ থেকেও কম করা হয়নি। আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল সরকার। সুনামগঞ্জের হাওরে ছোটো বড় মিলিয়ে বাঁধ ৭১৬টির মতো। প্রতি বছরই সরকার শত শত কোটি টাকা ব্যয়ে হাওরে বাঁধ দেয়। এবার সুনামগঞ্জেই হাওরে বাঁধ নির্মাণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছিল ১২১ কোটি টাকা। যথা সময়ে টাকাও বরাদ্দ দেয়া হয়। কাজও হয়। কিন্তু ঢলের তোড়ে বাঁধ যেনো তাসের ঘরের মতো উড়ে উড়ে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ ২০টি বাঁধ ভেঙে গেছে। হাওর এখন পানিতে টুইটুম্বুর। আর ফসল পানির নিচে দাঁড়িয়ে আছে। কৃষকরা চেয়ে চেয়ে দেখছেন। কিছুই করার নেই। কৃষকদের মতে- এবারো হাওরে সরকারের শতকোটি টাকা তলিয়ে গেল পানিতে। এই টাকায় কাজ কিছুই হলো না। বরং পানিভর্তি হাওরে বাঁধ এখন কৃষকদের কাছে চোখের বালি। হাওরে পানি এবার আঘাত হানে এপ্রিলের প্রথমদিকে। এই সময়ের জন্য প্রস্তুতি নিয়ে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। কৃষকরা মধ্য মে পর্যন্ত সময় পেলে ধান গোলায় ভরতে পারেন। ফলে মধ্য মে পর্যন্ত ঠিকে থাকার লড়াইয়ের জন্য বাঁধ খুব জরুরি। ঢল আসবেই। এই ঢলকে সামাল দেয়াই হচ্ছে বাঁধের কাজ। কিন্তু এবারের ঢলে বাঁধ কোনো কাজেই আসছে না। তাদের মতে- হাওরে বাঁধ নির্মাণে এবারো সীমাহীন দুর্নীতি হয়েছে। কাজ হয়েছে নিম্নমানে। টাকা লুটপাট করা হয়েছে। প্রায় ১০ দিন আগে হঠাৎ করে ভারতের মেঘালয় থেকে ঢল নামে। এতেই হাহাকার শুরু হয় সুনামগঞ্জে। সরকারের উচ্চ পর্যায় পর্যন্ত এ নিয়ে দুশ্চিন্তা শুরু হয়। গত সপ্তাহে সুনামগঞ্জ সফর করেন পানি সম্পদ উপমন্ত্রীও। সফরকালেই তিনি সচক্ষে বাঁধের অবস্থা দেখে যান। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছিলেন কৃষকরা। ধর্মপাশায় এক কৃষক প্রতিবাদী হয়ে উঠেছিলেন। মন্ত্রীকে কাছে পেয়ে বাঁধ নির্মাণের সীমাহীন দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। ওই কৃষক তার কাঠগড়ায় দাঁড় করান স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের। মন্ত্রীর কাছে অভিযোগ করায় ওই কৃষকও পরে নেতাদের কাছে হেনস্তার শিকার হয়েছিলেন। তবে- পানি সম্পদ উপমন্ত্রী সুনামগঞ্জে বসেই বাঁধের অনিয়ম পাওয়ায় ঢাকায় গিয়ে অতিরিক্ত সচিব দিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেন।

হাওরে আর সড়ক নয়-মানবজমিন

পানির প্রবাহ যাতে বাধাগ্রস্ত না হয়, সেজন্য হাওর এলাকায় নতুন করে আর কোনো সড়ক নির্মাণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। প্রয়োজনে ওইসব এলাকায় এলিভেটেড সড়ক নির্মাণ করা হবে।

একের পর এক ভাঙছে বাঁধ, চলছে লড়াই-ইত্তেফাক

গত বেশ কিছুদিন থেকেই বৈরি প্রকৃতির সঙ্গে লড়াই করে চলছেন সিলেট অঞ্চলের লাখ লাখ কৃষক। পাহাড়ি ঢলের প্রবল চাপ ও কালবৈশাখী ঝড়, শিলাবৃষ্টি, বজ্রপাত মাথায় নিয়ে সারা বছরের খোরাকি ঘরে তোলার প্রাণবন্ত চেষ্টা চলছে হাওরপড়ে। এরপরও একের পর এক আসছে হাওররক্ষা বাঁধ ভেঙে পানি ঢুকে পড়ার খবর।

সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, পাহাড়ি ঢলে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। সবগুলো বাঁধে পানি ছুঁই ছুঁই অবস্থায়। তাই সবাইকে বাঁধে অবস্থান  নিয়ে পাহারা দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টা হাওরের বাঁধগুলো খুবই ঝুঁকিতে রয়েছে।

রবিবার দ্বিতীয় দফা ঢলে তাহিরপুর ও দিরাই উপজেলার দুটি হাওরের ফসল ডুবির ঘটনা ঘটে। সরকারি হিসাবে রবিবার পর্যন্ত ৫ হাজার ৫১০ হেক্টর জমির বোরো ফসলের ক্ষতি হয়েছে।

ডনবাসে যুদ্ধ শুরু হয়েছে: জেলেনস্কি-ইত্তেফাক

ইউক্রেন যুদ্ধ

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, 'রাশিয়ান সেনাবাহিনীর একটি 'উল্লেখযোগ্য অংশ' এখন পূর্ব ইউক্রেনের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার দিকে মনোনিবেশ করছে।' মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দ্য গার্ডিয়ানের লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জেলেনস্কি বলেন, 'ডনবাসের জন্য রাশিয়ান সেনাবাহিনী লড়াই শুরু করেছে, এর জন্য অনেক দিন থেকে তারা প্রস্তুতি নিচ্ছিলো।' এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি লড়াই চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার করেছেন।   

আসলে দম বন্ধ পরিস্থিতি বিএনপির রাজনীতিতে: ফখরুলকে কাদের-যুগান্তর

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও ওবায়দুল কাদের

দেশে দম বন্ধ করা পরিবেশ বিরাজ করছে’— বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন মন্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশ ঠিকই আছে, আসলে দম বন্ধ করা পরিস্থিতি বিরাজ করছে বিএনপির রাজনীতিতে। তিনি মঙ্গলবার সকালে তার বাসভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ মন্তব্য করেন।  ওবায়দুল কাদের বলেন, অব্যাহত মিথ্যাচার বিএনপির চলার পথকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অবরুদ্ধ করে দিচ্ছে। বিএনপির রাজনীতি এখন স্বার্থ ও ক্ষমতার দ্বন্দ্বে চক্রাবদ্ধ।

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

সালেম খান

আদালত আবমাননা! আনিসের বাবাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিল হাই কোর্ট-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, আনিস খানের মামলার শুনানিতে তাঁর বাবাকেই ভরা আদালতে ক্ষমা চাইতে বলা হল। বিচারপতি রাজশেখর মান্থা বললেন, আনিসের বাবাকে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাইতে হবে। তা না হলে তিনি নিজে সরে দাঁড়াবেন মামলার বিচারের দায়িত্ব থেকে। কেন না আনিসের বাবা যে আদালতের কাছে বিচার চাইতে এসেছেন, সেই আদালতেরই অবমাননা করেছেন। বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার কারণে আদালত তাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট।

মাইকের আওয়াজ যেন ধর্মস্থানের বাইরে না আসে’, সাম্প্রদায়িক অশান্তি আটকাতে দাওয়াই যোগীর-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, হনুমান জয়ন্তীর শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে অগ্নিগর্ভ দিল্লি। তার আঁচ এসে পড়েছে গোটা দেশে। রাজধানী ছাড়া কর্ণাটক, মধ্যপ্রদেশ-সহ অন্যান্য রাজ্যেও হিংসার ঘটনা ঘটেছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরপ্রদেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি (Communal Clash) যেন মাথাচাড়া না দেয়, তার জন্য কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। তিনি নির্দেশ দিয়েছেন, মাইক বাজালেও সেই শব্দ যেন ধর্মীয় স্থানের বাইরে না আসে। এছাড়া মিছিল বের করা নিয়েও বিশেষ বার্তা দিয়েছেন তিনি।

পরিবার-‌সাক্ষীদের দিতে হবে নিরাপত্তা, পাঁচ ধর্ষণ-‌কাণ্ডে তদন্ত রিপোর্ট তলব হাইকোর্টের‌-আজকাল

শান্তিনিকেতন, পিংলা, নামখানা, ময়নাগুড়ি, নেত্রা-‌রাজ্যে ঘটে যাওয়া একাধিক ধর্ষণ ও গণধর্ষণ-‌কাণ্ডে এবার কড়া মনোভাব দেখাল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার আদালতের তরফে নির্দেশ দেওয়া হল, নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যদের যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে। এদিন হাইকোর্টে একাধিক ধর্ষণের মামলার শুনানিতে বলা হয়, সকল নির্যাতিতা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সমস্ত সাক্ষীকে যথাযথ নিরাপত্তা দিতে হবে। সেই সঙ্গে পাঁচ ধর্ষণ-‌কাণ্ডে কেস ডায়েরি তলব করেছে আদালত। একইসঙ্গে তদন্তের অগ্রগতি সংক্রান্ত রিপোর্টও চাওয়া হয়েছে। আগামী ২২ এপ্রিলের মধ্যে রিপোর্ট এবং কেস ডায়রি পেশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৯

ট্যাগ