মে ১৯, ২০২২ ১৬:৫১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা! সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি গাজী আবদুর রশীদ শুরু করছি ১৯ মে বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসর। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • যানজটে নাকাল রাজধানীবাসী-প্রথম আলো
  • স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ‘চাঁদাবাজি’, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার-যুগান্তর
  • শতভাগ সততার সঙ্গে পদ্মা সেতুর নির্মিত হয়েছে : সেতুমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • আবদুল গাফফার চৌধুরী আর নেই-ইত্তেফাক
  • ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ-বিশ্বে খাদ্য সংকট আসন্ন: জাতিসংঘ-মানবজমিন
  • পিকে হালদারসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে আরও এক মামলা-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • ডেঙ্গু ঝুঁকিতে রাজধানীবাসী, সিটি করপোরেশন কতটা প্রস্তুত?-দ্য ডেইলি স্টার

ভারতের শিরোনাম:

  • কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ সরিয়ে মন্দির তৈরির দাবি, মামলা গ্রহণ করল আদালত-সংবাদ প্রতিদিন
  • একযোগে বিজেপি–সিপিএমকে আক্রমণ মমতার, দলীয় কর্মীদেরও দিলেন বার্তা -আজকাল 
  • সিধুর এ বার জেলযাত্রা! ৩৪ বছরের পুরনো মামলায় ১ বছরের সাজা সুপ্রিম কোর্টে-আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. সহসাই ফেরানো যাচ্ছে না পি কে হালদারকে। এই শিরোনাম করেছে মানবজমিন পত্রিকা। কী বলবেন আপনি?

২. সিরিয়ায় ইসরাইলি বিমান লক্ষ্য করে এস-৩০০ ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়লো রাশিয়া। এমন একটি খবর বের হয়েছে গতকাল। এই খবরের বিশেষ গুরুত্ব কী?

জনাব সিরাজুল ইসলাম আপনাকে আবারও ধন্যবাদ জানাচ্ছি।

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর:

লেখক ও গবেষক মহিউদ্দিন আহমদ তার মতামত কলামে বলেছেন, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগ কী কৌশল নেবে। এ শিরোনামের কলামে তিনি বলেছেন এক জায়গায় কৌশল জানা থাকলে পাল্টা কৌশলের ছক আঁকা যায়। কিন্তু আওয়ামী লীগের কৌশল সম্ভবত আওয়ামী লীগও জানে না। জানেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি ছাড়া আওয়ামী লীগে আর কোনো নেতা নেই। এই দলের তিনিই ডিফেন্ডার, তিনিই গোলরক্ষক, তিনিই স্ট্রাইকার। প্রতিপক্ষের জালে বল ঢোকাতে তিনি মরিয়া। দেশের রাজনীতির ময়দানে তাঁর মতো কুশলী স্ট্রাইকার আর কে আছে?

২০১৮ সালে হলো আরেকটি নির্বাচন। বড় দল প্রতিদ্বন্দ্বিতায় না এলে নির্বাচন সাংবিধানিক বৈধতা পেলেও মানুষ এটা ভালোভাবে নেয় না। তারা মুখটিপে হাসে। তো আওয়ামী লীগ সরকার ভাবল, এবার বিএনপিকে নির্বাচনে আনতেই হবে এবং আওয়ামী লীগকে তৃতীয় মেয়াদে সরকারে থাকতে হবে।

আওয়ামী লীগ সরকার কথা দিল, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে। নির্বাচনের আগে প্রধানমন্ত্রীর আগ্রহে গণভবনে প্রায় সব দলের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা হলো। ‘সংলাপ’ তখন টক অব দ্য টাউন। তত দিনে বিরোধীদের একটা ঐক্যজোট হয়ে গেছে। তার নেতা ড. কামাল হোসেন, মূল শক্তি বিএনপি। গণভবনে ড. কামালের পছন্দের চিজ কেক খাওয়ানো হলো। প্রধানমন্ত্রী বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীরের স্বাস্থ্যের খোঁজখবর ও চিকিৎসার দায়িত্ব নেওয়ার আগ্রহ দেখালেন। বিএনপির কেউ কেউ বললেন, সরকারের ফাঁদে পা দেওয়া ঠিক হবে না। কেউ কেউ বললেন, ২০১৪ সালে নির্বাচন বর্জনের কৌশল ছিল ভুল। কিন্তু এবার নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সিদ্ধান্ত হবে আরেকটি ভুল।

২০২৩ সালের শেষ বা ২০২৪ সালের শুরুতে হবে পরবর্তী সংসদ নির্বাচন। বিএনপি এখন ২০১৪ সালের দাবিতে ফিরে গেছে। নতুন কিছু শব্দ রাজনৈতিক ভোকাবুলারিতে ঢুকে গেছে—নির্বাচনকালীন সরকার, জাতীয় সরকার ইত্যাদি।

পরপর দুটি নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দুই রকম কৌশল নিয়ে নির্বাচনে পার পেয়ে যায়। এটা নিশ্চয়ই তাদের অনেক আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আওয়ামী লীগ নেতারা বলছেন, বাংলাদেশ ২০৪১ সালে উন্নত অর্থনীতির দেশ হবে। সে জন্য চাই বিপুল আয়োজন। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকারের ধারাবাহিকতা আছে বলেই উন্নয়ন হচ্ছে। যারা উন্নয়ন চায় না, কেবল তারাই আওয়ামী লীগের বিরোধিতা করে। ইঙ্গিতটি খুব স্পষ্ট। আওয়ামী লীগ সরকারের ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে চায়।

গত দুটি নির্বাচনে নির্বাচনব্যবস্থার বারোটা বেজে গেছে। প্রশ্ন হলো, পরবর্তী নির্বাচনটি কেমন হবে। তার চেয়েও বড় প্রশ্ন—২০১৪ আর ২০১৮ তো গেল। এবার আওয়ামী লীগ কী কৌশল নেবে? পুরোনো কৌশলের তো পুনরাবৃত্তি হবে না।

রাজনীতি ফুটবল খেলার মতোই। এখানে বলের দখল নিয়ে প্রতিযোগিতা হয়, ফাউল প্লে হয়, মারামারি হয়, হাত দিয়ে বল ছুঁয়ে গোলে পাঠালেও তা অসিদ্ধ হয় না। জেতাটাই আসল কথা। এটা সত্য যুগ নয় যে নীতিশাস্ত্র মানতে হবে।

নির্বাচনে কাউকে জিততে হলে যতটা না ভোটে, তার চেয়ে বেশি নির্ভর করতে হবে কৌশলের ওপর। নির্বাচনের এখনো বাকি আছে দেড় থেকে দুই বছর। দেখা যাক, আওয়ামী লীগ কী কৌশল নেয়।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে ‘চাঁদাবাজি’, ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতার-যুগান্তর

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রাজধানীতে এক ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তার নাম মো. সাঈদী হোসেন। সাঈদী হোসেন সবুজবাগ থানা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক। তাকে গ্রেফতারের সময় বাধা প্রদান করে আটক হয়েছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ। বৃহস্পতিবার ভোরে সবুজবাগ এলাকা থেকে সাঈদীকে গ্রেফতার করা হয়।তবে জোবায়ের আহমেদের আটকের বিষয়ে কোনো বক্তব্য তিনি দেননি।

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেছেন, ‘স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি এবং সন্ত্রাসী চালিয়ে আসছিলেন মো. সাঈদী হোসেন। র্যাব ৩-এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারের সময় তার কাছে অস্ত্র, গুলি ও মাদক পাওয়া গেছে।’

সাঈদীকে গ্রেফতারের সময় ছাত্রলীগের কয়েকশ নেতাকর্মী র্যাবের অভিযান বাধাগ্রস্ত করে বলে জানা গেছে।  এ কাজে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জোবায়ের আহমেদ। 

দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে র্যাবের গাড়ি অবরুদ্ধ করে রাখেন জোবায়ের। পরে র্যাবের সঙ্গে পুলিশ সদস্যরা যুক্ত হলে ছাত্রলীগকর্মীরা পিছু হটে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মহানগর দক্ষিণ এক ছাত্রলীগ নেতা বলেন,  সাঈদীকে দক্ষিণের সহসভাপতির পদ জোবায়েরই দিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবার ভোরে র্যাব সাঈদীকে গ্রেফতার করতে আসলে জোবায়ের বাধা হয়ে দাঁড়ান। তিনি সাঈদীকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তখন তাকেও আটক করা হয়।

জোবায়ের আটক হয়েছেন কিনা তা নিশ্চিত করা যায়নি। র্যাবের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বক্তব্য আসেনি। তবে ঘটনার পর থেকে জোবায়ের মোবাইল ফোন নম্বর বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ-বিশ্বে খাদ্য সংকট আসন্ন: জাতিসংঘ-মানবজমিন

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে বিশ্বে খাদ্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছে জাতিসংঘ। বুধবার নিউ ইয়র্কে একটি বক্তব্য রাখার সময় সংস্থাটির মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুঁতেরা এ সতর্কবার্তা দেন। তার আশঙ্কা, আগামি কয়েক মাসের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে একটি খাদ্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে। খবর বিবিসির।

জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, এই যুদ্ধের কারণে দাম বৃদ্ধি পাওয়াতে দরিদ্র দেশগুলোতে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ভয়াবহ পর্যায়ে চলে গেছে। শেষ পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে রপ্তানি স্বাভাবিক না হলে বিশ্ব দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি হতে পারে। রাশিয়ার হামলার কারণে ইউক্রেনের বন্দরগুলো দিয়ে খাদ্য সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে। অথচ এসব বন্দর দিয়ে বিপুল পরিমাণ সূর্যমুখী তেল, গম ও ভুট্টা রপ্তানি হতো। এগুলো বন্ধ হয়ে পড়ায় এখন বৈশ্বিক সরবরাহ ব্যাপক কমেছে এবং এর ফলে বিশ্বব্যাপী এসব পণ্যের দাম ব্যাপক বেড়েছে। জাতিসংঘের হিসেবে গত বছরের তুলনায় এ বছর খাদ্যপণ্যের দাম ইতোমধ্যেই সারাবিশ্বে অন্তত ৩০ শতাংশ বেড়েছে।গুঁতেরাস আরও বলেন, খাদ্য সংকটের কারণে কোটি কোটি মানুষ অপুষ্টি, ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষের মুখে পড়তে পারে।

খালেদাকে পদ্মায় ফেলতে আর ইউনূসকে চুবিয়ে তুলতে বললেন শেখ হাসিনা-আলোকিত বাংলাদেশ

আলোকিত বাংলাদেশসহ প্রায় সব দৈনিকের একটি খবরে লেখা হয়েছে, খালেদাকে পদ্মায় ফেলতে আর ইউনূসকে চুবিয়ে তুলতে বললেন শেখ হাসিনা। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, পদ্মা সেতুকে জোড়াতালির বলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে সেতুর ওপর থেকে পদ্মা নদীতে ফেলে দেওয়ার কথা, আর টাকা বন্ধের চেষ্টা করা ড. মুহম্মদ ইউনূসকে পদ্মা নদীতে চুবানোর কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘‘খালেদা জিয়া বলেছিল, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না, চড়লে ভেঙে পড়বে।’’ পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে (খালেদা জিয়াকে) টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছেন, তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দুই চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। একটু পদ্মা নদীতে দুইটা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়।’

বুধবার (১৮ মে) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন। দলের সভাপতি শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কানফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হন।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘পদ্মা সেতুর অর্থ বন্ধ করালো ড. ইউনূস। কেন? গ্রামীণ ব্যাংকের একটা এমডির পদে তাকে থাকতে হবে। তাকে আমরা প্রস্তাব দিয়েছিলাম গ্রামীণ ব্যাংকের উপদেষ্টা হতে। একটা উপদেষ্টা হিসেবে থাকা আরও উচ্চ মানের। সেটা সে ছাড়বে না, তার এমডিই থাকতে হবে। কিন্তু তার বয়সে কুলায় না। ড. ইউনুস কিন্তু আমাদের সরকারের বিরুদ্ধে মামলাও করেছিল। কিন্তু কোর্ট আর যাই পারুক, তার বয়স তো কমিয়ে দিতে পারে না, ১০ বছর। কারণ, গ্রামীণ ব্যাংকের আইনে আছে ৬০ বছর পর্যন্ত থাকতে পারে। তখন তার বয়স ৭১ বছর। এই বয়সটা কমাবে কীভাবে? সেই মামলায় সে হেরে যায়। কিন্তু প্রতিহিংসা নেয়।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘ড. ইউনূস এবং যেটা আমরা শুনেছি মাহফুজ আনাম, তারা আমেরিকায় চলে যায়। স্টেট ডিপার্টমেন্টে যায়। হিলারির কাছে ইমেইল পাঠায়। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের মি. জোলি যিনি প্রেসিডেন্ট ছিলেন, তার শেষ কর্মদিবসে কোনও বোর্ড সভায় না, পদ্মা সেতুর টাকা বন্ধ করে দেয়। যাক, একদিকে শাপেবর হয়েছে। কেন হয়েছে? বাংলাদেশ যে নিজের অর্থায়নে পদ্মা সেতু করতে পারে, সেটা আজকে আমরা প্রমাণ করেছি। কিন্তু আমাদের এখানের একজন জ্ঞানী লোক বলে ফেললেন যে, পদ্মা সেতুতে যে রেল লাইন হচ্ছে— ৪০ হাজার কোটি টাকার খরচ হচ্ছে। ৪০ হাজার কোটি টাকা তো ঋণ নিয়ে করা হচ্ছে। এই ঋণ শোধ হবে কীভাবে? দক্ষিণবঙ্গের কোনও মানুষ তো রেলে চড়বে না। তারা তো লঞ্চে যাতায়াত করে। তারা রেলে চড়তে যাবে কেন? এই রেল ভায়াবল হবে না।’

সরকার প্রধান বলেন, ‘‘সেতুর কাজ হয়ে গেছে, এখন সেতু নিয়ে কথা বলে পারছে না। এখন রেলের কাজ চলছে, এখন রেলের কাজ নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। আমার মনে হয়, আমাদের সবার উনাকে চিনে রাখা উচিত। রেল গাড়ি যখন চালু হবে, তখন উনাকে নিয়ে রেলে চড়ানো উচিত। আর খালেদা জিয়া বলেছিল, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে।’ কারণ, বিভিন্ন স্প্যানগুলো যে বসাচ্ছে, ওটা ছিল তার কাছে জোড়াতালি দেওয়া। তো বলেছিল, ‘জোড়াতালি দিয়ে পদ্মা সেতু বানাচ্ছে, ওখানে চড়া যাবে না, চড়লে ভেঙে পড়বে।’ তার সঙ্গে তার কিছু দোসররাও। এখন তাদেরকে কী করা উচিত?’’

তিনি বলেন, ‘পদ্মা সেতুতে নিয়ে গিয়ে ওখান থেকে টুস করে নদীতে ফেলে দেওয়া উচিত। আর যিনি আমাদের একটা এমডি পদের জন্য পদ্মা সেতুর মতো সেতুর টাকা বন্ধ করেছে, তাকেও আবার পদ্মা নদীতে নিয়ে দু’টা চুবানি দিয়ে উঠিয়ে নেওয়া উচিত। মরে যাতে না যায়। একটু পদ্মা নদীতে দু’টা চুবানি দিয়ে সেতুতে তুলে দেওয়া উচিত। তাহলে যদি এদের শিক্ষা হয়। বড় বড় অর্থনীতিবিদ, জ্ঞানী-গুণী এই ধরনের অর্বাচিনের মতো কথা বলে কীভাবে? সেটাই আমার প্রশ্ন। মেগা প্রজেক্টগুলো করে নাকি খুব ভুল করছি। তারা আয়েশে বসে থাকে, আর আমার তৈরি করা সব টেলিভিশনে গিয়ে কথা বলে। বিদ্যুৎ সরবরাহ করি। সেই বিদ্যুৎ ব্যবহার করছে।’

এবার ভারতের কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

কৃষ্ণ জন্মভূমিতে মসজিদ সরিয়ে মন্দির তৈরির দাবি, মামলা গ্রহণ করল আদালত-সংবাদ প্রতিদিন

বহুদিন ধরেই মথুরায় ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জন্মভূমিতে (Krishna Janmabhoomi) নির্মিত শাহী ইদগাহ মসজিদ নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কিছুদিন আগেই এই মসজিদ সরিয়ে দেওয়ার দাবিতে মামলা দায়ের করা হয় মথুরার একটি স্থানীয় দেওয়ানি আদালতে। কিন্তু সেই মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। তারপরেই সেই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেন মামলাকারীরা। সেই আপিলের ভিত্তিতে মথুরার জেলা আদালত (Mathura District Court) রায় দিয়েছে, এই মামলার শুনানি শুরু করতে হবে।বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই মামলার শুনানি শুরু হওয়ার ঘটনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জানা গিয়েছে, প্রায় ২০টি মামলা রয়েছে এই জায়গাটি নিয়ে। কোথাও বলা হয়েছে মসজিদ সরিয়ে দিতে হবে, আবার কোথাও বলা হয়েছে এই স্থানে হিন্দুদের উপাসনা করতে দিতে হবে। সাম্প্রতিককালে জ্ঞানবাপী মসজিদের শিবলিঙ্গ পাওয়ার ঘটনার পরে ইদগাহ মসজিদেও ভিডিওগ্রাফির দাবি করে মামলা রুজু করা হয়েছে। তবে মনে করা হচ্ছে, সবকটি মামলার সংযুক্তিকরণের পর হয়তো শুনানি হতে পারে।

দৈনিকটির অপর একখবরে লেখা হয়েছে, হিন্দু মেয়েকে বিয়ে করার ‘অপরাধ’! বুলডোজারে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল মুসলিম যুবকের বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। মধ্যপ্রদেশের ডেন্ডোরি জেলায় ঘটনাটি ঘটেছে।

একযোগে বিজেপি–সিপিএমকে আক্রমণ মমতার, দলীয় কর্মীদেরও দিলেন বার্তা-আজকাল

পশ্চিম মেদিনীপুরের পর ঝাড়গ্রাম। কর্মিসভা থেকে ফের বিজেপিকে আক্রমণ করলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। মমতার দাবি, ভোটে হেরে বাংলাকে বদনাম করার হাতিয়ার হিসেবে কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সিকে কাজে লাগাচ্ছে বিজেপি। কিন্তু এভাবে যে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন মমতা। এটা ঘটনা এসএসসি মামলায় ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গরুপাচার কাণ্ডে নিজাম প্যালেসে বৃহস্পতিবার স্বেচ্ছায় সিবিআইয়ের কাছে হাজিরা দিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। একের পর এক দলীয় নেতা–মন্ত্রীকে সিবিআই তলব নিয়ে ভয়ানক ক্ষুব্ধ মমতা। বলেছেন, কয়েকটা কেন্দ্রীয় সরকারি এজেন্সি দিয়ে বিজেপি গোটা দেশে তুঘলকি কাণ্ড চালাচ্ছে। কারও আজকে বেঁচে থাকার অধিকার নেই। স্বাধীনতার অধিকার নেই। নাগরিক অধিকার নেই। যত গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানে বিজেপির লোক ছাড়া কাউকে দেখা যায় না।’ নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সিপিএমকেও খোঁচা দিয়েছেন মমতা। বলেছেন, ‘বড় বড় কথা বলছে। আগে তো চিরকূট দিয়ে চাকরি করত। একটা চিরকূট দিয়ে ট্রান্সফার করত। সিপিএমের ৩৪ বছর আমি অনেক খোঁজ নিয়েছি। আস্তে আস্তে চ্যাপ্টার ওপেন করব।’ মমতার কথায়, ‘কাজ করতে গেলে কেউ ভুল করলে সংশোধন করার সুযোগ দেওয়া উচিত। বিজেপি যদি মনে করে গায়ের জোরে জুলুম করে তৃণমূলকে স্তব্ধ করবে, তা পারবে না। কারণ, তৃণমূল জব্দ করে, স্তব্ধ হয় না। এখানে হেরে গিয়ে ভয় পাচ্ছে।’‌ 

এদিন দলীয় নেতা–কর্মীদেরও সতর্ক করেছেন মমতা। বলেছেন, ‘দলের ঊর্ধ্বে কেউ নয়। আর মানুষ সকলের ঊর্ধ্বে। আমরা ক্যাডার। আর যাঁরা নীচে বসে আছেন, তাঁরা নেতা। এই জন্যই আমাদের দলের নাম তৃণমূল। সকলকে নিয়ে চলতে হবে। না হলে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হবে।’

সিধুর এ বার জেলযাত্রা! ৩৪ বছরের পুরনো মামলায় ১ বছরের সাজা সুপ্রিম কোর্টে-আনন্দবাজার পত্রিকা

বিধানসভা ভোটে হেরেছিলেন কয়েক মাস আগেই। এ বার সুপ্রিম কোর্টে বড় ধাক্কা খেলেন পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি নভজোৎ সিংহ সিধু। ৩৪ বছরের পুরনো একটি অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলায় প্রাক্তন জাতীয় ক্রিকেটারকে বৃহস্পতিবার এক বছর জেলের সাজা দিয়েছে শীর্ষ আদালত। সুপ্রিম কোর্টের রায় ঘোষণার পরেই সিধু টুইটারে লিখেছেন, ‘আমি আদালতের কাছে আত্মসমর্পণ করব।’

১৯৮৮-এর ২৭ ডিসেম্বর পটিয়ালার রাস্তায় গাড়ি পার্কিংকে কেন্দ্র করে গুরনাম সিংহ নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়েন সিধু ও তাঁর বন্ধু রুপিন্দ্র সিংহ সান্ধু। অভিযোগ, গুরনামকে গাড়ি থেকে জোর করে টেনে বার করে মারধর করেন তাঁরা। ওই ঘটনার কয়েক দিন পরে মারা যান গুরনাম।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৯

ট্যাগ