আগস্ট ২৮, ২০২২ ২০:১১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ২৮ আগস্ট রোববারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • শিক্ষার্থীদের বেপরোয়া আচরণ নিয়ে উদ্বেগ–দৈনিক প্রথম আলো
  • কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে, র‍্যাবের হাতে ধরা-দৈনিক কালেরকণ্ঠ
  • এতো উন্নয়ন হয়েছে যে এক ঘণ্টায়ও বলে শেষ করা যাবে না: স্বাস্থ্যমন্ত্রী-দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যৌথ অভিযান, থাকবে সেনাবাহিনী: দৈনিক  নয়াদিগন্ত
  • প্রধানমন্ত্রীর দিল্লি সফরপররাষ্ট্রমন্ত্রীকে নিয়ে দোটানায় সরকার ’-দৈনিক যুগান্তর

ভারতের শিরোনাম:

  • বিজেপিকে ঠান্ডা করা দরকার’ বলেই ভাষায় ‘জুতো’! অকপট জবাব অধ্যাপক সৌগতের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
  • প্রেক্ষাগৃহে মোদির বই ঘিরে অনুষ্ঠান, বাইরে তুমুল অশান্তি! হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি নেতারা-দৈনিক আজকাল
  • সবাইকে মানিক ভট্টাচার্য করে দেব, পালিয়ে বেড়াতে হবে’, হুঁশিয়ারি সৌমিত্রর, পালটা খোঁচা কুণালের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

শ্রোতাবন্ধুরা! এবরে গুরুত্বপুর্ণ খবরের বিশ্লেষণে যাওয়া যাক।

জনাব সিরাজুল ইসলাম কথাবার্তার বিশ্লেষণে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। 

কর্থাবার্তার প্রশ্ন (২৮ আগস্ট)
১. নির্বাচন কমিশন দেখতেও পায় না, শুনতেও পায় না: সুজন। সুজন কেন এই কথা বলছে?
২. সিরিয়ায় ইসরাইলি আগ্রাসনের নিন্দা জানানোর জন্য সিরিয়া চিঠি দিয়েছে। প্রশ্ন হচ্ছে- ইসরাইলের ভূমিকায় জাতিসংঘের ভূমিকাকে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?

এবারে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবরের দিকে নজর দেয়া যাক।

শিক্ষার্থীদের বেপরোয়া আচরণ নিয়ে উদ্বেগ–দৈনিক প্রথম আলো

বিদ্যালয়ের বাচ্চারা কথা শুনছে না। বেপরোয়া আচরণ করছে। শিক্ষকদের সঙ্গে কেমন ব্যবহার করতে হয়, তা যেন ভুলেই গেছে। আবার সহপাঠীদের সঙ্গেও এমন খারাপ ব্যবহার করছে, যেটা অমানবিক। বিদ্যালয়ে আসার নামে বাইরে আড্ডা দিচ্ছে। ক্লাসের সময় শিক্ষার্থীদের আড্ডা দেওয়ার কারণে রাজশাহী কলেজের ঐতিহ্যবাহী একটি ক্যানটিন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থী বহিষ্কারের মতো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান বিকল্প পদ্ধতিতে তাদের ক্লাসমুখী করা ও নৈতিক মূল্যবোধ জাগিয়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছে।

এখন আর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাচ্চা হিসেবে গণ্য করলে চলবে না। তাদের ব্যক্তি হিসেবে দেখতে হবে। শিক্ষকদের তাদের সামনে মডেল বা আদর্শ হয়ে উঠতে হবে। এটা না হলে আজকের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের মানবে না।

তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখন আর বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাচ্চা হিসেবে গণ্য করলে চলবে না। তাদের ব্যক্তি হিসেবে দেখতে হবে। শিক্ষকদের তাদের সামনে মডেল বা আদর্শ হয়ে উঠতে হবে। এটা না হলে আজকের শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের মানবে না।পরিস্থিতির এতটাই অবনতি হয়েছে যে ১০ আগস্ট রাজশাহী নগরের সবচেয়ে ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কলেজিয়েট স্কুলের ছয় শিক্ষার্থীকে ছয় মাসের জন্য বিদ্যালয়ে না আসার নোটিশ জারি করা হয়েছে। ছয়জনের নোটিশ অনলাইনে দেওয়া হয়েছে। আরও একজনের বিরুদ্ধে একই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তারটা শুধু নোটিশ বোর্ডে দেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে এই প্রতিষ্ঠানে প্রায় ১২ জন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরাও একই ধরনের আচরণ করছে। কর্তৃপক্ষ বলছে, করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ছাত্র-শিক্ষকের মধ্যে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। তা ছাড়া শিক্ষার্থীদের গায়ে এখন আর হাত তোলা যায় না।

নিত্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ কষ্টে আছে : সেতুমন্ত্রী-দৈনিক কালেরকণ্ঠ

কুষ্টিয়ায় মাল্টিলেভেল মার্কেটিং (এমএলএম) কম্পানি খুলে গ্রাহকদের কাছ থেকে প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে তিন মাদরাসা শিক্ষকসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। গত শুক্রবার রাতে কুষ্টিয়া, ঝিনাইদহ এবং ঢাকার মিরপুর থেকে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল শনিবার সকাল ১১টার দিকে র‌্যাব-১২ কুষ্টিয়া ইউনিটের কম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার মো. ইলিয়াস খান সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান।

গ্রেপ্তার আটজন হলেন এমএলএম কম্পানি সানরাইজ বিজনেস সার্ভিস লিমিটেডের (এসবিএসএল) চেয়ারম্যান ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানার চর আউশিয়া গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে মো. সাজ্জাদ হোসেন (২৯), কম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ঝিনাইদহের মহেশপুর পদ্মপুকুর গ্রামের আব্দুল গফুরের ছেলে মহসিন আলী (৩১), পরিচালক (অর্থ) কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার গোবরা গ্রামের তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে মো. ইমরান হোসেন (২৮), কম্পানির কর্মী কুমারখালীর বেতবাড়িয়া গ্রামের জলিল বিশ্বাসের ছেলে মো. হাসান আলী (২৮), মহেন্দ্রপুর গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে মো. আব্দুল হান্নান (৪৩), ওয়াশি গ্রামের মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে মো. মোস্তফা রাশেদ পান্না (৪৭), বাঁশগ্রামের আলাউদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে মো. আইয়ুব আলী (২৮) এবং বহলবাড়িয়া এলাকার আলতাফ শেখের ছেলে মো. হাফিজুর রহমান (২৮)।

বাড়ি থেকে তুলে নেওয়া পাঁচজন

গ্রেপ্তার আটজনের মধ্যে গত বুধবার রাতে কুমারখালী থেকে তিন মাদরাসা শিক্ষকসহ নিখোঁজ পাঁচজনও রয়েছেন। তাঁরা হলেন হাসান আলী, আব্দুল হান্নান, রাশেদ পান্না, আইয়ুব আলী ও হাফিজুর রহমান। শেষোক্ত তিনজন মাদরাসার শিক্ষক। বুধবার রাতে কুমারখালী থেকে এই পাঁচজনকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) পরিচয়ে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের খোঁজ না পেয়ে বৃহস্পতিবার ভুক্তভোগী দুটি পরিবার কুমারখালী থানায় এ ব্যাপারে সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে।

র‌্যাব জানায়, প্রতারক চক্রটি কুষ্টিয়ায় এসবিএসএল নামের একটি এমএলএম কম্পানি খোলে। এরপর দীর্ঘদিন ধরে গ্রাহকদের বেশি মুনাফার লোভ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে পালিয়ে যায়। কম্পানিটির ফাঁদে পড়ে প্রায় ৩০০ পরিবার সর্বস্বান্ত হয়েছে। কম্পানিটি কুষ্টিয়া ছাড়াও ঝিনাইদহ, মাগুরা, যশোর, খুলনা, চুয়াডাঙ্গা, পাবনা ও রাজশাহী জেলা পর্যন্ত তাদের প্রতারণার ‘জাল’ ফেলে।

যেভাবে প্রতারণা

সানরাইজ বিজনেস সার্ভিস লিমিটেড বা এসবিএসএল নিজস্ব ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন তৈরি করে গ্রাহকদের বিভিন্নভাবে প্রলুব্ধ করে এক হাজার ২০০ টাকা দিয়ে কম্পানির আইডি খুলতে বলত। প্রতি আইডি থেকে প্রতিদিন ১০ টাকা এবং আইডি বাবদ দেওয়া এক হাজার ২০০ টাকার সমমূল্যের পণ্য দেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হতো। শুরুর দিকে কিছু গ্রাহক টাকা ও পণ্য পাওয়ার কারণে অনেকেই আইডি খুলতে উৎসাহিত হয়েছিল। একসময় গ্রাহকদের লভ্যাংশের টাকা না দিয়ে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আত্মগোপনে চলে যায় চক্রটি।

এ বিষয়ে একজন ভুক্তভোগী গত শুক্রবার কম্পানিটির চেয়ারম্যানসহ একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় মামলা করেন। এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প র‌্যাব-১২-এর একটি দল র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখার সহায়তায় শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা থেকে কম্পানিটির পাঁচজন সদস্য এবং পরে তাঁদের দেওয়া তথ্যে আরো তিনজনকে ঝিনাইদহ এবং ঢাকার মিরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

র‌্যাব আরো জানায়, গ্রেপ্তার আসামিরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এসবিএসএল কম্পানির বিরুদ্ধে কুষ্টিয়ার মিরপুর ও কুমারখালী থানায় দুটি মামলা রয়েছে। এ ছাড়া কম্পানিটির চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি চেক জালিয়াতির মামলা, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মহসিন আলীর বিরুদ্ধে একটি চেক জালিয়াতি ও পাঁচটি স্ট্যাম্প জালিয়াতির মামলা এবং পরিচালক (অর্থ) ইমরান হোসেনের বিরুদ্ধে দুটি চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

‘ওষুধের দোকান ২৪ ঘণ্টা খোলা, সিটি করপোরেশন আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেয়নি’-দৈনিক যুগান্তর

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, 'রাত ১২টার পর ওষুধ বিক্রি বন্ধ বা হাসপাতালের সময়সীমা কমানোর কোনো নির্দেশনা দেওয়া হয়নি। ফার্মেসি ২৪ ঘণ্টাই খোলা থাকবে।'

তিনি আরও বলেন, সিটি করপোরেশন যদি এটা (রাত ১২টার পর বন্ধ) বলে থাকে, তাহলে তাদের সঙ্গে এ নিয়ে আলোচনা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত তারা আলোচনা করে নেয়নি।'

বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে হাসপাতাল বিষয়ক এক সভা শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

প্রসঙ্গত, ওষুধের দোকান রাত ১২টার পর বন্ধের নির্দেশনা জারি করে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। বর্তমান সরকার মেডিকেল শিক্ষা ও সেবার মান নিয়ে কাজ করা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, মেডিকেল কলেজ শিক্ষা কার্যক্রম আন্তর্জাতিক মানের করা হচ্ছে। সাবজেক্ট হিসেবে রোগীর সঙ্গে কীভাবে ভালো ব্যবহার করা হবে, উন্নত চিকিৎসা দেওয়া যায়, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার বিষয় যোগ করা হয়েছে।'তিনি বলেন, শিক্ষকের হার অনেক কম। অধ্যাপকের তুলনায় অর্ধেক। এটা পূরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। 

রোহিঙ্গা সংকটের ৫ বছর: ভূরাজনীতির ফাঁদে আটকে একটি জাতি-দৈনিক মানবজমিন 

গত ১৯শে জুন বিশ্ব শরণার্থী দিবসের পূর্বে কক্সবাজারের উখিয়া ক্যাম্পের মধ্যে হাজার হাজার রোহিঙ্গা জরো হয়েছিল। ‘চলো বাড়ি ফিরি’ প্রচারণার প্রথম দিন উপলক্ষ্যে শান্তিপূর্ণ ওই সমাবেশটি আয়োজিত হয়েছিল। উখিয়ার ২১ ক্যাম্প এবং টেকনাফের ২ ক্যাম্পে এই প্রচারণা চলে। ওই সমাবেশে যোগ দেয়াদের একজন ২৩ বছরের জানে আলম। তিনি জানালেন, আমরা এখানে একই ব্যানারের নিচে জরো হয়ে বলতে চাই যে, ‘আমরা মিয়ানমারে ফিরতে চাই’। আমাদের গত বছর কিংবা তার আগের বছর সমাবেশ করতে দেয়া হয়নি। আমাদের বাংলাদেশে আসার পাঁচ বছর পূর্তিতে জরো হতে পারবো কিনা তাও জানি না। 

২০১৯ সালে রোহিঙ্গাদের লক্ষাধিক মানুষের এক সমাবেশের পর তাদের সমাবেশের ওপরে নিষেধাজ্ঞা জারি ছিল। তবে গত ১৯শে জুন কর্তৃপক্ষ তাদেরকে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছিল। আলম বলেন, আমরা মিয়ানমারে ফিরে যেতে চাই তবে শুধুমাত্র সেটি নিরাপদ হলেই। এখন আমরা শুনছি, সেখানে যুদ্ধ আরও বেড়েছে।

তাহলে আমরা কীভাবে যাব? 

২৫শে আগস্ট রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আসার ৫ বছর পূর্ন হলো। প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। এর আগেই অবশ্য বাংলাদেশে ৩ লাখ রোহিঙ্গা আগে থেকেই ছিল। ১৯৭৮ এবং ১৯৯১ সালের এক অভিযানের পর ওই রোহিঙ্গারা বাংলাদেশে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছিল। সর্বশেষ ২০১৭ সালে মিয়ানমার সেনাবাহিনী রাখাইনের রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর শুরু করে গণহত্যা, নির্যাতন, ধর্ষণ এবং অগ্নিসংযোগ। তাদের বর্বর অত্যাচার নির্যাতনের মুখে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফে ৩৪টি আশ্রয় শিবিরে প্রায় ৮ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। গত ৫ বছরে তাদের জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে আরও দেড় লাখের উপরে। 

রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে সরকার : মির্জা ফখরুল- দৈনিক  নয়াদিগন্ত

সরকার রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করতে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। রোহিঙ্গা সঙ্কটকে এখন আর গুরুত্বের সাথে নিচ্ছে না বিশ্ব। অর্থাৎ বাংলাদেশ সরকার রোহিঙ্গা সঙ্কটকে বিশ্ব দরবারে যথাযথভাবে উপস্থাপন করতে ব্যর্থ হয়েছে।’

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশানের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে প্রবেশের পাঁচ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। এর পরিপ্রেক্ষিতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পাঁচ পাঁচটি বছর পার হয়ে গেলেও বাংলাদেশের অবৈধ, অনির্বাচিত গণবিচ্ছিন্ন সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। মূলত শুরু থেকেই এ সরকার রোহিঙ্গা ইস্যুকে রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিলের ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করে আসছে।’ তিনি বলেন, ‘২০১৭ সাল থেকে বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গার বোঝা বহন করে চলেছে। একটি পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুযায়ী প্রতিবছর গড়ে ৩০ হাজার রোহিঙ্গা শিশু যুক্ত হচ্ছে। সে হিসেবে গত চার বছরে রোহিঙ্গার সংখ্যা বেড়ে ১২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে এবং এ সংখ্যা দিন-দিন বাড়তেই থাকবে।’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রোহিঙ্গা সমস্যা একদিকে বাংলাদেশের অর্থনীতির ওপর অসহনীয় চাপ সৃষ্টি করছে, অন্যদিকে স্থানীয়ভাবে পরিবেশ, প্রতিবেশ এবং সামাজিকভাবে জীবন-জীবিকায় চরম অস্থিরতা ও অনিশ্চয়তার সৃষ্টি করছে। রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে মাদক ব্যবসা, নারী পাচার ও নানাবিধ অসামাজিক ও আইন বিরোধী কার্যকলাপে সৃষ্ট অশান্ত ও অস্থির পরিস্থিতি, মাদক চোরাচালান ও মাদক পাচারে রোহিঙ্গাদের জড়িয়ে পড়া, রোহিঙ্গাদের অন্তর্দ্বন্দ্বে রোহিঙ্গা নেতা হত্যা- ইত্যাদি বিষয় চরম উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেকে ভালো ভবিষ্যতের আশায় ঝুঁকিপূর্ণ পথে, যেমন সমুদ্র পাড়ি দিতে গিয়ে মৃত্যুবরণ করছেন।’

বিজেপিকে ঠান্ডা করা দরকার’ বলেই ভাষায় ‘জুতো’! অকপট জবাব অধ্যাপক সৌগতের-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা

কিছুটা অচেনাই এখনকার সৌগত রায়। তৃণমূল সাংসদের বদল বেশ স্পষ্ট। গত কিছু দিন ধরেই তাঁর বক্তব্যে বিরোধীদের আক্রমণে ঝাঁজ বেড়েছে। আর সেই ঝাঁজে মিলছে ‘অসৌজন্য’-এর নিদর্শনও। এর নেপথ্যে কি নিজের দলে তৈরি হওয়া অস্বস্তিকর পরিস্থিতি? বিভিন্ন তদন্তে দলের নেতাদের গ্রেফতার হওয়া বা জেরার মুখে থাকার জন্য কি তিনি কিছুটা অসহিষ্ণু হিয়ে উঠেছেন? কেন এমন ভাষায় বলছেন? এই প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন ফোন করতেই তিনি ‘অচেনা’ ঝাঁজেই বলে উঠলেন, ‘‘আমি মনে করছি বিজেপিকে একটু ঠান্ডা রাখা দরকার। ওরা বড্ড বেশি বলছে। তাই এমন ভাষা।’’ কিন্তু প্রাক্তন অধ্যাপক তথা প্রবীণ সাংসদ সৌগতকে তো এমন ভাষা ব্যবহার করতে দেখা যায় না? সৌগতর পাল্টা প্রশ্ন, ‘‘সব ভাষাই আনন্দবাজার অনলাইনের মতো সুশব্দ হবে এমন কি কথা আছে?’’

সৌগতর মুখে অসৌজন্যের ভাষা ইদানীং কালে প্রথম শোনা যায় গত ১৪ অগস্ট। কামারহাটিতে একটি দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলের সমালোচকদের গায়ের চামড়া দিয়ে পায়ের জুতো তৈরি হবে। তৃণমূলের সব চোর বলে মিছিল করলে পার্টি অফিসে ঢুকে যেতে হবে।’

প্রেক্ষাগৃহে মোদির বই ঘিরে অনুষ্ঠান, বাইরে তুমুল অশান্তি! হাতাহাতিতে জড়ালেন বিজেপি নেতারা-দৈনিক আজকাল

কী কাণ্ড! দলীয় বৈঠকের মধ্যে তুমুল অশান্তির সৃষ্টি করলেন দলের নেতা, কর্মীরাই।

কলকাতায় বঙ্গ বিজেপির এক বৈঠক চলাকালীন শনিবার সন্ধেয় ঘটনাটি ঘটেছে। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির লেখা বই ঘিরে আলোচনা চলছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভড়েকর। আইসিসিআরে এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য-সহ বঙ্গ বিজেপির অন্যান্য নেতৃবৃন্দও। এই অনুষ্ঠান চলাকালীন বাইরে তুমুল অশান্তির শব্দ শোনা যায়। 

এক ব্যক্তিকে ঘিরে উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। তাঁর গায়ে বিজেপি কর্মীদের হাত তুলতেও দেখা গেছে। ওই বিজেপি কর্মীর নাম অভিজিৎ নাহা। তাঁর দাবি, 'ও তৃণমূলের দালাল, আমাদের অনেকের টাকা চুরি করেছে।' সব্যসাচী রায়চৌধুরী নামের ওই ব্যক্তিকে ঘিরেই তুমুল অশান্তির সৃষ্টি করেন তাঁরা। 

মারধরের ঘটনা ঘটলেও সব্যসাচী জানান, তিনি শমীক ভট্টাচার্যের সঙ্গে দেখা করতেই ওই অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। ততক্ষণে হাতাহাতির খবর পৌঁছয় মুখপাত্রের কানে। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বাইরে বেরিয়ে আসেন। সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, ওই ব্যক্তি তাঁর পরিচিত। তবে দলের কেউ নন। তিনি জরুরি কাজে এসেছিলেন আইসিসিআরের সামনে। 

সবাইকে মানিক ভট্টাচার্য করে দেব, পালিয়ে বেড়াতে হবে’, হুঁশিয়ারি সৌমিত্রর, পালটা খোঁচা কুণালের-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন

ফের বেফাঁস বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। পুলিশ ও প্রশাসনিক আধিকারিকদের উদ্দেশ্য করে বললেন, “দুর্নীতিতে যুক্ত প্রত্যেককে মানিক ভট্টাচার্য (Manik Bhattacharya) করে দেব।” সৌমিত্র খাঁর এই মন্তব্যের পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ।

পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষে একটি অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সেখানেই শাসকদলকে তুলোধোনা করেন তিনি। দুর্নীতি ইস্যুতে তীব্র আক্রমণ করেন পুলিশ-প্রশাসনকে। বলেন, “কিছু কিছু থানার ওসি বালি কেলেঙ্কারিতে যুক্ত। কোটি কোটি টাকা দুর্নীতি হয়েছে। আমি ইতিমধ্যেই মুখ্যসচিবকে চিঠি পাঠিয়েছি। জেলা প্রশাসনের যারা বালি পাচারে বা কোনও কেলেঙ্কারিতে যুক্ত, তাদের প্রত্যেকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” এরপরই সৌমিত্র খাঁ বলেন, “সবাইকে মানিক ভট্টাচার্য করে দেব। মানিকবাবুকে যেভাবে লুকিয়ে বেড়াতে হচ্ছে, দুর্নীতিতে যুক্ত সবাইকে সেভাবে পালাতে হবে।” যদিও সৌমিত্র খাঁয়ের মন্তব্যকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক তথা মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। তিনি বলেন, “পাগল-ছাগল অনেক কিছু বলে। গুরুত্ব দেওয়ার কারণ নেই।”

পার্সটুডে/বাবুুল আখতার/২৮