সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২ ১৬:২৯ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের সাপ্তাহিক আয়োজন 'প্রিয়জন'। আজকের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় রয়েছি আমরা তিনজন। আমি নাসির মাহমুদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।

আশরাফুর রহমান: প্রত্যেক আসরের মতো আজও অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি একটি বাণী শোনাতে চাই। ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) বলেছেন : "কতই না প্রতারিত ও ঠকে যাওয়া লোক রয়েছে যারা হেসে খেলে পার করছে, খাচ্ছে, পান করছে, অথচ খবর রাখে না যে, হয়তোবা আল্লাহর পক্ষ থেকে তার ওপর ক্রোধ নেমে আসবে যা তাকে দোযখের আগুনে নিপতিত করবে।"

আকতার জাহান: মহান আল্লাহর ক্রোধ নেমে আসার আগেই আমরা সবাই যেন তার নির্দেশিত পথে সময় ব্যয় করতে পারি- এ প্রত্যাশায় নজর দিচ্ছি চিঠিপত্র ও ইমেইলের দিকে।

ঢাকার পোস্ট বক্সের ঠিকানায় পোস্ট কার্ডে লেখা একটি চিঠি এসেছে বাংলাদেশের সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার দক্ষিণ শ্রীপুর থেকে। আর পাঠিয়েচেন স্বাধীন-বাংলা বেতার শ্রোতা ক্লাবের সভাপতি মোঃ মুমিত হাসান মিলন। তিনি লিখেছেন,

"আমি রেডিও তেহরানের একজন নিয়মিত শ্রোতা। আমি দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করি। পড়াশোনায় ব্যস্ততার কারণে আগের মতো রেডিও শোনা বা লেখালেখি করা সম্ভব হয় না। তবু মিস হওয়া অনুষ্ঠান বিভিন্ন মাধ্যম থেকে পরে শুনে নিই।"

নাসির মাহমুদ: পড়াশোনার ব্যস্ততা সত্ত্বেও অনুষ্ঠান শুনে যাচ্ছেন জেনে ভালো লাগল। তো ডাকযোগে চিঠি পাঠানোর জন্য মুমিত হাসান মিলন আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আসরের পরের চিঠিটি এসেছে পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলার ছাইকোলা পশ্চিমপাড়া থেকে। আর পাঠিয়েছেন দীপ্তি রেডিও ক্লাবের সভাপতি মোঃ হাফিজুর রহমান।

পোস্ট কার্ডে লেখা ছোট্ট চিঠিতে তিনি রেডিও তেহরানকে মূল্যায়ন করেছেন এভাবে-

“হে রেডিও তেহরান! তুমি তথ্যের সমুদ্র। তোমার কাছে কত অজানা তথ্য জেনেছি- তা তুমি জানো না। ইরান ভ্রমণ, দর্পন, রংধনু আসর, স্বাস্থ্যকথা প্রত্যেকটি অনুষ্ঠানই মহামূল্যবান ও তথ্যসমৃদ্ধ। তোমার উপস্থাপকবৃন্দ সবাই কথার জাদুকর। তাইতো রেডিও তেহরান নিয়মিত শুনি।”

আশরাফুর রহমান: ছোট্ট এই চিঠিতে রেডিও তেহরান সম্পর্কে চমৎকার মূল্যায়নের জন্য হাফিজুর রহমান ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আবারো লিখবেন।

ভারতের ছত্তিশগড়ের ভিলাই থেকে সিনিয়র শ্রোতা আনন্দমোহন বাইন ইমেইলে পাঠিয়েছেন এবারের চিঠিটি। লিখেছেন, “প্রিয়জন আসর শুনলাম। অনেক শ্রোতার পত্র পড়া হলো। এস এম নাজিমুদ্দিন, আলী আহমেদ আরিফ, আব্দুস সালাম সিদ্দিক, মোবারক হোসেন ফনি, হারুন অর রশীদ, ড. সালেহ মতিন, এম এম গোলাম সারোয়ার- সবার পত্র সুন্দরভাবে তুলে ধরা হলো। তবে আরো ভালো লাগবে যদি প্রতি সপ্তাহে দু/চারটি নতুন নাম শুনতে পাই।”

আকতার জাহান: আজকের আসরের শুরুতেই কিন্তু আমরা দু’জন নতুন বন্ধুর চিঠির জবাব দিয়েছি। নতুনদের চিঠির গুরুত্ব আমরা সবসময় দিয়ে থাকি। তবে, নতুন শ্রোতা তৈরি এবং তাদেরকে চিঠি লিখতে উৎসাহ জোগাতে আমরা পুরোনো শ্রোতাবন্ধুদের ভূমিকা দেখতে চাই।

নাসির মাহমুদ: আমিও আপনার সাথে একমত। রেডিও’র মতো প্রচারমাধ্যমকে টিকিয়ে রাখতে সিনিয়র শ্রোতাদের কিছুটা হলেও দায় রয়েছে বলে আমরা মনে করি। যাইহোক, আনন্দ দা তার চিঠির শেষাংশে ‘ইরান ভ্রমণ’ অনুষ্ঠানটি আবার চালু করার অনুরোধ করেছেন।

আশরাফুর রহমান: এ শ্রোতাবন্ধুর অনুরোধটি আমরা আমাদের অনুষ্ঠান বিভাগকে জানিয়ে দেবো। তারা নিশ্চয়ই এ ব্যাপারে পদক্ষেপ নেবেন। তো চিঠি আর মতামতের জন্য আনন্দ মোহন বাইন আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

আকতার জাহান: বাংলাদেশের চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার কৃষ্ণপুর গ্রাম থেকে শামীম উদ্দিন শ্যামল পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি। তিনি লিখেছেন, “মুসা কাজিম (আ.)-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ আলোচনাটি আমাকে এই মেইল লিখতে বাধ্য করল। সত্যি বলতে কী ইমাম মুসা কাজেম (আ.) সম্পর্কে কিছুই জানতাম না আমি। এই আলোচনায় তাঁর সম্পর্কে অনেক কিছু জেনে অভিভূত হলাম। সত্যিই এই আলোচনা জ্ঞান বৃদ্ধি ও মানবিকতায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে।”

নাসির মাহমুদ: ইমাম মুসা কাজেম (আ.)-এর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে প্রচারিত বিশেষ আলোচনাটি শুনে উপকৃত হয়েছেন জেনে ভালো লাগল। আশা করি আবারো লিখবেন।

বাংলাদেশের ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের বন্ধন এন্ড লাকি শ্রোতা সংঘের সভাপতি নজরুল ইসলাম পাঠিয়েছেন পরের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, প্রিয়জন গ্রুপে পুরাতন শ্রোতারা নতুনভাবে আবির্ভূত হচ্ছে এটা সত্যিই আশার কথা। এ ব্যাপারে আমরা সবাই যদি সার্বিক সহযোগিতা করি তাহলে শ্রোতাদের ভিড়ে রেডিও তেহরান পরিপূর্ণতা পাবে।

আশরাফুর রহমান: এরপর নজরুল ভাই লিখেছেন, “গত ২৮ জুলাইয়ের রংধনু অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর লেগেছে। অনুষ্ঠানটি থেকে জানলাম- গুপ্তধন নিজের গোলাতেই রাখতে হয় আর গোপন রহস্য রাখতে হয় নিজের কাছে। আসলেই আমাদের এমন কথা বলা উচিত না- যেটা নিজেরা করি না। আর বিশ্বাস করে কেউ কোনো কথা বললে তা প্রকাশ করা উচিত নয়।”  

আকতার জাহান: রংধনু আসরে প্রচারিত গল্প ও এর শিক্ষাগুলো কাজে লাগছে জেনে ভালো লাগল। তো সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে মতামত জানানোয় নজরুল ইসলাম ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আমরা কথা বলব ভারতের একজন শ্রোতাবন্ধুর সঙ্গে। টেলিফোনের অপর প্রান্তে যিনি অপেক্ষা করছেন প্রথমেই তার পরিচয় জানা যাক।  

আকতার জাহান: তো ভাই রাজীব দত্ত, আজকের এই সাক্ষাৎকারপর্বে অংশ নেওয়ার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

নাসির মাহমুদ: বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার খিওগাঁও থেকে ইকো ইন্টারন্যাশনাল লিসনার্স ক্লাবের ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট ড. সালেহ মতীন পাঠিয়েছেন আসরের এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান আমার কাছে ঠিক যেন এক আত্মীয়ের মতো। তার খোঁজ নিতে না পারলেই ভেতরে খারাপ লাগে। অনলাইনে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান শুনতে চেষ্টা করছি। আর মেসেঞ্জার গ্রুপে শ্রোতাবন্ধুদের অনুষ্ঠানের লিংক ও অন্যান্য প্রচারের ফলে বেশি সংখ্যক শ্রোতাদের নিকট অনুষ্ঠানের বার্তা পৌঁছানো যায়। রেডিও তেহরানের এটি একটি সুখকর বৈশিষ্ট্য।" 

আশরাফুর রহমান: রেডিও তেহরানকে আত্মীয় হিসেবে মনে করায় ড. সালেহ মতীন ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

এবারের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের জলিরপাড় থেকে। আর পাঠিয়েছেন বিধান চন্দ্র টিকাদার।

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান আমাদের অনুপ্রেরণা, আমাদের প্রতিদিনের সাথী। প্রতিদিন অনলাইনে যেকোনো সময় রেডিও তেহরানের বাংলা অনুষ্ঠান শুনে নিতে পারি। পবিত্র কোরআন তেলওয়াতের মাধ্যমে শুরু হওয়া এ অনুষ্ঠান আমাদের খুব ভালো লাগে। ভালো লাগে প্রতিদিনের সকল পর্বগুলিও। নিয়মিত আছি রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠানের সাথে।"

আকতার জাহান: চিঠিটি ছোট্ট হলেও রেডিও তেহরান সম্পর্কে বিধান দাদা'র মূল্যায়নধর্মী কথাগুলো বেশ ভালো লাগল। আশা করি এভাবেই মাঝেমধ্যে চিঠি লিখে প্রেরণা জোগাবেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থেকে বিধান চন্দ্র সান্যাল পাঠিয়েছেন পরের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, “১৯ আগস্ট প্রচারিত সংবাদ ভাষ্যের অনুষ্ঠান দৃষ্টিপাতে ‘সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ফিলিস্তিনে ইসরাইলি সহিংসতা বৃদ্ধির কারণ’ এবং ‘বাংলাদেশে নিত্য পণ্যের দাম বৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের ভোগান্তি’ সম্পর্কে ঢাকা থেকে আব্দুর রহমান খানের প্রতিবেদন আমাদের সংবাদ পিপাসু মনের আকাঙ্ক্ষা মেটাতে সাহায্য করেছে। আর প্রান্তিক আয়োজনে খাদ্যে ভেজাল নিয়ে বিশিষ্ট মানবাধিকার কর্মী নূর খান লিটনের সময়োপযোগী সাক্ষাৎকারটি বেশ উপভোগ্য ছিল।”

নাসির মাহমুদ: ভালোলাগার অনুভূতি জানিয়ে ইমেইল করায় বিধান চন্দ্র সান্যাল আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহাদত হোসেন পাঠিয়েছেন আসরের শেষ মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, “রেডিও তেহরান এক অসাধারণ বেতার কেন্দ্রের নাম। যেসব আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্র বাংলাদেশের শ্রোতাদের জন্য অনুষ্ঠান প্রচার করছে, তাদের মধ্যে সেরা বেতার কেন্দ্র রেডিও তেহরান। নিরপেক্ষ ও নির্মোহ খবর তো আছেই, সেই সাথে আছে জীবনকে সুন্দর করে গড়ে তোলার প্রয়াস। বৈচিত্র্যময় অনুষ্ঠানের পাশাপাশি শ্রোতাদের সাথে ডাকযোগে, ইমেইলে, ফেসবুকে, মেসেঞ্জারে ও হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ রক্ষা করে এক অনন্য নজীর স্থাপন করেছে রেডিও তেহরান। এক্ষেত্রে রেডিও তেহরানের তুলনা শুধুই রেডিও তেহরান।”

আশরাফুর রহমান: রেডিও তেহরান সম্পর্কে চমৎকার মতামতের জন্য শাহাদত হোসেন ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে কয়েকজন শ্রোতার ইমেইলের প্রাপ্তিস্বীকার করছি।

  • ফরিদপুরের মধুখালী থানার জগন্নাথদী থেকে এম এম গোলাম সারওয়ার
  • কুমিল্লার ঝাকুনীপাড়া থেকে মাহফুজুর রহমান
  • রংপুরের পীরগাছা থেকে এটিএম আতাউর রহমান রঞ্জু
  • চাঁপাইনবাবগঞ্জের ভোলাহাট উপজেলার ছোট জামবাড়িয়া থেকে মুহাম্মদ আব্দুল হাকিম মিঞা
  • এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ থেকে মনীষা রায়

আকতার জাহান: চিঠি লিখার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ। তো শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের আসর শেষ করব একটি গান শুনিয়ে। হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিবেদিত গানটির কথা ও সুর মোঃ ইব্রাহিমের। আর গেয়েছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় শিল্পী আশিক। 

নাসির মাহমুদ: শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদায় নিই চিঠিপত্রের আজকের আসর থেকে।#

 পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৯

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ