অক্টোবর ০৩, ২০২২ ১৭:২০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৩ অক্টোবর সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • এই পরিস্থিতি হইতে জাতি কি পরিত্রাণ লাভ করিবে না?-ইত্তেফাক
  • ইয়াবাসহ গ্রেপ্তারের পর ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার -ডেইলি স্টার
  • ইডেনে ছাত্রলীগের ‘যৌন শোষণের’ বিচারের দাবিতে নারী অধিকার কর্মীরদের বিবৃতি-কালের কণ্ঠসরকার হটানোর ‘যুগপৎ আন্দোলন’ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই হবে: মির্জা ফখরুল -প্রথম
  • আলো
  • ট্রিপল মার্ডারের লোমহর্ষক বর্ণনা ঘাতক সাগরের জবানিতে-মানবজমিন
  • মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে: পরিকল্পনামন্ত্রী - যুগান্তর
  • শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ধ্যান চর্চার আহ্বান শিক্ষামন্ত্রীর-বাংলাদেশ প্রতিদিন 

ভারতের শিরোনাম:

  • হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত রোগীর হার ভারতে সবচেয়ে বেশি-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • গুরুতর অসুস্থ মুলায়ম, যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস মোদির -আজকাল
  • প্রতিরক্ষায় আরও শক্তিশালী ভারত-বায়ুসেনায় যুক্ত হলো প্রচণ্ড-সংবাদ প্রতিদিন

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্যের বিষয়ে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, ফখরুল সাহেব যেটা বলেছেন তাতে মনে হচ্ছে, তাদের বোধোদয় হয়েছে। সেটা যদি তারা ধরে রাখতে পারেন তাহলে খুব ভালো কথা।মির্জা ফখরুল কি বলেছিলেন? তিনি সব ধর্ম-বর্ণের অধিকার রক্ষা করে অসাম্প্রদায়িক ও জনগণের বাংলাদেশ বিনির্মাণ করার প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছিলেন। আজ আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকার সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর। 

প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার হটানোর ‘যুগপৎ আন্দোলন’ খালেদা জিয়ার নেতৃত্বেই হবে। আজ সোমবার দুপুরে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) সঙ্গে সংলাপ শেষে মির্জা ফখরুল ইসলাম এ কথা বলেন। মির্জা ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘চলমান আন্দোলন চলা অবস্থাতেই সকলের নেতৃত্বেই আমরা এটা গঠন করেছি সবার ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায়। আগেও আমরা ঘোষণা করেছি, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আমাদের নেত্রী, তাঁর অবর্তমানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আমাদের (বিএনপি) নেতা।

ট্রিপল মার্ডারের লোমহর্ষক বর্ণনা ঘাতক সাগরের জবানিতে-মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে মা ও ২ সন্তানকে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার হয়েছে ট্রিপল মার্ডারের মূল আসামি নিহত রওশন আরার সৎ মামা। শনিবার বিকেলে বেলকুচি উপজেলার মধুপুর গ্রামের সুলতান আলীর স্ত্রী রওশন আরা বেগম (৪০) এবং দুই পুত্র জিহাদ (১০) ও মাহিম (৪) এর মরদেহ তালাবদ্ধ ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বলেন, বেলকুচিতে ট্রিপল মার্ডারের মূল আসামিকে আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছি।

মানবজমিনের নির্বাচিত কলাম-খোলা চোখে- লুৎফর রহমান লিখেছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর দ্রব্যমূল্য বাড়বে এটা স্বাভাবিক। একইসঙ্গে অনেক সেবা ও সেবা পণ্যের মূল্যও জ্বালানির দামের সঙ্গে বেড়ে যায়। আগস্টে এক লাফে যখন জ্বালানি তেলের দাম ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হলো তখন থেকে ধারণা ছিল মূল্যস্ফীতির ঘর দুই অঙ্কে দাঁড়াতে পারে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিশেষ করে রুশ-ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্বব্যাপী মূল্যস্ফীতি উস্কে দিয়েছে। উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেশে দেশে সরকারগুলো নানা উদ্যোগ নিচ্ছে। কেউ নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে। কেউ চেষ্টা করেও পারছে না। এমন অবস্থায় সবচেয়ে অসহায় অবস্থায় পড়েছে সাধারণ মানুষ।মূল্যস্ফীতির তথ্য লুকিয়ে রেখে মানুষের কষ্ট কি চাপা রাখা যাবে?

তবে যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, পরিকল্পনামন্ত্রী বলেছেন, মূল্যস্ফীতির পাগলা ঘোড়া বাগে এসেছে।

এই পরিস্থিতি হইতে জাতি কি পরিত্রাণ লাভ করিবে না?-ইত্তেফাকের সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, গণতান্ত্রিক সমাজের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হইল আইনের শাসনের প্রতিষ্ঠা লাভ। আইনের প্রতি আমাদের যেমন শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত, তেমনি আইন তাহার নিজস্ব গতিতে চলিবে ইহাই নিয়ম। দেশে মাঝেমধ্যেই এমন সকল খুনখারাবির কথা সংবাদপত্রে ছাপা হয়, যাহা দেখিয়া আমাদের গা শিহরিত হইয়া উঠে। সেই খুনের বিপরীতে মামলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তি গ্রেফতারও হয় যথাসময়ে; কিন্তু পরবর্তী সময়ে আমরা জানিতে পারি, সেই অভিযুক্ত ব্যক্তি খুব সহজেই জামিনে ছাড়া পাইয়া গিয়াছে। এমনকি জামিন পাইয়াই সে আরো বেপরোয়া হইয়া উঠিয়াছে। নূতন করিয়া জড়িত হইয়া পড়িয়াছে একের পর এক অপরাধকর্মে; কিন্তু তাহার পরও তাহার জামিন পাইতে কোনো অসুবিধা হয় না। ইহাতে সে যখন ছাড়া পাইয়া সমাজে দর্প ভরিয়া চলাফিরা করে, তখন বাদী আরো আতঙ্কগ্রস্ত হয়। সমাজের মানুষ হয় ভীতসন্ত্রস্ত। এইভাবে এমন অপরাধীর বারংবার জামিন পাইবার বিষয়টি কি গভীরভাবে ভাবিয়া দেখা যায় না?

এইরূপ কোনো আসামি যখন জামিন পাইয়া যায়, তখন স্বভাবতই সমাজে ন্যায়-অন্যায় সম্পর্কে নানা গুঞ্জন উঠে। অর্থের বিনিময়ে সেই জামিন দেওয়া হইয়াছে কি না—সেই প্রশ্নও উঠিতে দেখা যায়। তথাকথিত অনেক প্রভাবশালী লোকের নিকট সেই অর্থ হাতের ময়লা ছাড়া আর কিছুই নহে। বিষয়টি আমাদের অজানা—এমনটি বলা কঠিন। ইহা দেখভালের জন্য এসপি, ডিআইজি ও আইজি পর্যন্ত ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ রহিয়াছেন, আইন বিভাগেও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ রহিয়াছেন। তাহারা এই সকল ঠিক করেন না কেন?

ইডেনে ছাত্রলীগের ‘যৌন শোষণের’ বিচারের দাবিতে নারী অধিকার কর্মীরদের বিবৃতি-কালের কণ্ঠের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ইডেন কলেজ ছাত্রলীগ নেত্রীদের দ্বারা যৌন শোষণের বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি, মানবপাচার আইনে বিচারের দাবি জানিয়েছেন ২১ জন নারী অধিকারকর্মী। আজ সোমবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়।

বিবৃতিতে জানানো হয়, ইতিহাসের কি পরিহাস যে যে দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে গুড়িয়ে ফেলার অংশ হিসেবে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী দেশীয় রাজাকারদের সাহায্যে এদেশের মেয়ে ও নারীদের জোরপূর্বকভাবে তুলে নিয়ে ক্যাম্পে রেখে ৯ মাস ধর্ষণ করেছিল সেই সংগ্রামে নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগের ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ইডেন কলেজের নেত্রীদের বিরুদ্ধে তাদের জুনিয়র সহপাঠীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে টর্চার করে পার্টির নেতা বা ব্যবসায়ীদের যৌন উপভোগের জন্য পাঠানোর অভিযোগ উঠেছে।

ইডেন কলেজে সিট বাণিজ্য নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, গত কয়েক দশক ধরে শাসক দল ও তার ছাত্র সংগঠনের মধ্যে একটি অলিখিত চুক্তি গড়ে উঠতে দেখেছি আমরা: শাসক দলকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতাসীন ছাত্র সংগঠনের নেতা-নেত্রী কর্মীরা শারীরিক ও মতাদর্শিক লাঠিয়াল বাহিনী হিসেবে কাজ করবে, প্রতিদানে তারা সিট বাণিজ্য থেকে শুরু করে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজির মাধ্যমে ছাত্র থাকা অবস্থায় নিজ নিজ সম্পদের এমন পাহাড় গড়ে তুলবেন যা বৈধ উপায়ে কোনো মধ্যবিত্ত চাকরিজীবীর পক্ষে সারা জীবনেও অর্জন করা সম্ভব না।

উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দলকানা কর্ণধাররা না বোঝার ভান করে থাকবেন, বিনিময়ে তাদের নিজেদের ‘অধ্যক্ষ’ ‘ভিসি’ পদ সুরক্ষিত থাকবে। চাঁদাবাজি-টেন্ডারবাজি-সিট বাণিজ্যের এই সন্ত্রাস ও অপরাধের রাজত্বে ইডেন কলেজের ছাত্রলীগ নেত্রীরা ভয়াবহ একটি নতুন মাত্রা যোগ করেছেন: ছাত্রীদের যৌন শোষণের মাধ্যমে তাদের পকেট ও নেতৃত্বের প্রোফাইল ভারি করা।

সংবাদ পর্যবেক্ষণ করে বিবৃতিতে জানানো হয়, ইডেনে প্রবর্তিত ব্যবস্থার দুটো দিক আছে, দুটোই সমানভাবে ভয়াবহ। ছাত্র রাজনীতি করতে ইচ্ছুক মেয়েদের মধ্যে এই ধারণা বপণ করা যে রাজনৈতিক ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে হলে নেতাদের সঙ্গে রাত কাটাতে হবে। দ্বিতীয়ত, ছাত্রলীগ নেত্রীদের দ্বারা পরিচালিত এই যৌন অপরাধ চক্রে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার নির্দেশ না মানলে টর্চারের সম্মুখীন হওয়া (চড়-থাপ্পড়, মারধর, বিবস্ত্র করে ছবি তুলে ‘ভাইরাল’ করার হুমকি, ‘শিবির’ লেবেল করে হল থেকে বের করে দেওয়া ইত্যাদি)। আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দলীয় কোন্দলের কারণে ফাঁস হওয়া এই কাহিনীগুলো আমাদেরকে নারী আন্দোলন কর্মী হিসেবে বিশেষভাবে সংক্ষুব্ধ করেছে কারণ এই ব্যবস্থার বিস্তার ঘটেছে নারী নেতৃত্বাধীন শাসনামলে। নারী শিক্ষার অগ্রদূত প্রতিষ্ঠান ইডেন কলেজে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা লেখাপড়া করেছেন, ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ভিপি পদে জয়ী হয়েছেন। লক্ষণীয়, সরকার এখনও নীরব। (নারী) শিক্ষামন্ত্রীর পক্ষ থেকে কোনো ব্যাখ্যা-বিবৃতি বা উদ্বেগ প্রকাশিত হতে দেখিনি। পদত্যাগ করতে চাওয়া তো দূরের কথা।

এই ভয়াবহ পরিস্থিতির সত্য-মিথ্যা উদ্ঘাটনের সাহসী কাজ একটি বিচার বিভাগীয় কমিটিই করতে পারবে জানিয়ে সেটি গঠনের জোর দাবি জানানো হয়। একইসঙ্গে ক্ষমতাশালীরা যেহেতু বিষয়টিকে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ ইস্যু/সমস্যা হিসেবেই পরিবেশন করছেন, আমরা সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২-র প্রতি। যৌন শোষণ একটি আইনী অপরাধ, এবং ইডেনে কলেজে যা যা ঘটেছে তা সত্য প্রমাণিত হলে ১১ নম্বর ধারার অধীনে কঠিনভাবে শাস্তিযোগ্য।

বিবৃতিতে 'পতিতাবৃত্তি বা অন্য কোনো প্রকারের যৌন শোষণ বা নিপীড়নের জন্য আমদানী বা স্থানান্তরের দণ্ড' উল্লেখ করা হয়- ধারা-১১।

স্বাক্ষরকারীরা হলেন―ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, আদিবাসী অধিকার সুরক্ষাকর্মী ও চাকমা সার্কেলের উপদেষ্টা রাণী য়েন য়েন, জওয়াহেরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক নাজনীন শিফা, লেখক ও গবেষক পারসা সানজানা সাজিদ,  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কাজলী শেহরীন ইসলাম, মানবাধিকারকর্মী ও থাইল্যান্ডের মাহিডল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রোজিনা বেগম,  নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক ড. নাসরিন খন্দকার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ড. সামিনা লুৎফা, গবেষক ও এক্টিভিস্ট দিলশানা পারুল, নৃবিজ্ঞানী ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ড. নাসরিন সিরাজ, আলোকচিত্রী ও বাংলাদেশ গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির সভাপ্রধান তাসলিমা আখতার, শিক্ষক ও পিএইচডি গবেষক শ্যামলী শীল, শিক্ষক ও নোয়াখালী নারী অধিকারের সভানেত্রী লায়লা পারভীন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক শিল্পী বড়ুয়া, আলোকচিত্রী জান্নাতুল মাওয়া, লেখক ও গবেষক সায়েমা খাতুন, যুক্তরাজ্যের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড. সাদাফ নূর, কানাডার ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক হানা শামস আহমেদ, লেখক ও নৃবিজ্ঞানী রেহনুমা আহমেদ, সাংবাদিক ও গবেষক ড. সায়দিয়া গুলরুখ।

 এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

প্রতিরক্ষায় আরও শক্তিশালী ভারত-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, অষ্টমীর সকালে ‘প্রচণ্ড’ (Prachand) যোগ দিল ভারতীয় সেনায় (Indian Army)। প্রচণ্ড বলতে মাও নেতা তথা নেপালের (Nepal) প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর কথা মনে পড়ে, এই প্রচণ্ড ‘লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার’ (Light Combat Helicopter), যা সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি। যুদ্ধবাজ নয়া হেলিকপ্টারের যোগ দানে এক ধাক্কায় অনেকটা শক্তি বাড়ল বায়ুসেনার। দেশের বায়ুসেনায় ‘লাইট কমব্যাট হেলিকপ্টার’ অন্তর্ভুক্তিকরণে টুইট করে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করছেন রাজনাথ সিং।

হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত রোগীর হার ভারতে সবচেয়ে বেশি-আনন্দবাাজর পত্রিকার এ প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, ভারতের তরুণ প্রাপ্তবয়স্কের মধ‍্যে হার্ট অ‍্যাটাকের আশঙ্কা ক্রমশ বাড়ছে। ‘কার্ডিয়োলজিক‍্যাল সোসাইটি অফ ইন্ডিয়া’-র সাম্প্রতিকতম সমীক্ষা এমনটাই জানাচ্ছে। সারা ভারতের প্রায় ৫০০০ জন চিকিৎসকের করা একটি পর্যবেক্ষণ বলছে, প্রাপ্তবয়স্ক তরুণ ছাড়াও স্কুলের পড়ুয়াদের মধ‍্যেও হৃদ্‌রোগের ঝুঁকি বাড়ছে। তরুণ প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ‘করোনারি হার্ট ডিজিজ’ (সিএইচডি)-র হানা ক্রমশ উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে। সমীক্ষা বলছে, হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত রোগীর হার ভারতে সবচেয়ে বেশি। চিকিৎসকদের মতে, জীবনযাত্রার ধরন হৃদ্‌রোগের একটি বড় কারণ। প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়ার প্রবণতা, তেল-মশলাদার খাবারের প্রতি ঝোঁক, শরীরচর্চা না করা, অনিয়মিত খাওয়াদাওয়া, অত্যধিক পরিমাণে কায়িক পরিশ্রম করা— এমন কিছু কারণে হার্টের অসুখ ক্রমশ বাড়ছে। এ ছাড়াও মাত্রাতিরিক্ত হারে মোবাইলের ব্যবহার, চিনি খাওয়ার অভ্যাসও হৃদ্‌রোগের কারণ হয়ে উঠছে। অতিরিক্ত ধূমপানও ‘করোনারি হার্ট ডিজিজ’-এর কারণ হয়ে উঠতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।

গুরুতর অসুস্থ মুলায়ম, যাবতীয় সাহায্যের আশ্বাস মোদির-আজকালের এ খবরে লেখা হয়েছে, গুরুতর অসুস্থ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির বর্ষীয়ান নেতা মুলায়ম সিং যাদব।

একাধিক শারীরিক সমস্যা নিয়ে গুরুগ্রামের এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি মুলায়ম। বেশ কয়েক বছর ধরেই অসুস্থ মুলায়ম। দিন কয়েক আগেই মুলায়ম সিংকে ভর্তি করা হয় গুরুগ্রামের হাসপাতালে। তবে রবিবার থেকে শরীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় তাঁকে আইসিইউতে স্থান্তরিত করা হয়েছে। মুলায়ম সিং যাদবের ছেলে অখিলেশ যাদবকে ফোন করেছিলেন মোদি। ফোনে মুলায়মের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন তিনি। মুলায়মের চিকিৎসার বিষয়ে সব রকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন মোদি।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৩

ট্যাগ