অক্টোবর ২৭, ২০২২ ১৯:১৩ Asia/Dhaka

শ্রোতা/পাঠকবন্ধুরা!কথাবার্তার প্রাত্যহিক আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আজ ২৭ অক্টোবর রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। তারপর দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার কয়েকটি খবরের শিরোনাম

  • মতামত আত্মবিশ্বাস হারানো ইসি কি মেরুদণ্ড খুঁজছে-প্রথম আলো
  • ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, অতঃপর…-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • একজন চোরের সরল স্বীকারোক্তি‘চাউলগুলো চুরি করতে পারলে বিক্রি করে বাচ্চার দুধ কিনতাম’-মানবজমিন
  • ট্রাক-ভ্যানের পেটে মেয়র আনিসুল হক সড়ক-যুগান্তর
  • নির্বাচনের আগে খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানোর সম্ভাবনা নেই: আইনমন্ত্রী–ইত্তেফাক
  • রিজার্ভের টাকা গেছে পায়রা বন্দরে, খাদ্য কেনায় : প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • পর্ন দেখে মনে শয়তান ডেকে আনছেন যাজক-নানরা, বিস্ফোরক দাবি পোপের-সংবাদ প্রতিদিন
  • ব্যক্তিগত কারণ দর্শিয়ে এড়ালেন  ইডি-র হাজিরা, দিল্লি গেলেন না অনুব্রত কন্যা-আজকাল
  • উত্তাপ বাড়ানোর যন্ত্রে ঝলসে মৃত্যু সদ্যোজাতের!-আনন্দবাজার পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবারে বিশ্লেষণে যাচ্ছি। 

বিশ্লেষণের বিষয়:

১. আইএমএফের ঋণ পাওয়ার সিদ্ধান্ত দুই সপ্তাহের মধ্যেই- একথা জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ঋণের এই সম্ভাবনাকে কীভাবে দেখছেন? দেশের সংকট সমাধানে কতটা ভূমিকা রাখবে?

২. ইরানের শিরাজ শহরের একটি মাজারে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে যাতে মারা গেছেন ১৫ জন। এ বিষয়ে প্রেসিডেন্ট রায়িসি বলেছেন, সন্ত্রাসী হামলায় জড়িতদের কঠোর জবাব দেয়া হবে। প্রশ্ন হচ্ছে কেন এই হামলা এবং ইরান কী জবাব দেবে বলে মনে হয়?

বিশ্লেষণের বাইরের কয়েকটি খবর:

একজন চোরের সরল স্বীকারোক্তি' চাউলগুলো চুরি করতে পারলে বিক্রি করে বাচ্চার দুধ কিনতাম-মানবজমিনের এ শিরোনামের প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, মহল্লার গলির মাথায় গণ্ডগোল লেগেছে। বাসা-বাড়ির বেশকিছু নারী-পুরুষ বেরিয়ে জটলা বেঁধেছে। পথচারীরাও ক্ষণিক দাঁড়িয়ে ঘটনা প্রত্যক্ষ করছেন। মূল রাস্তা থেকে লোকজনের জটলার দৃশ্য স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে। বাইকে হ্যান্ডেল ঘুরিয়ে গলির দিকে এগুতেই আসল ঘটনা চোখে পড়ে। একজন তরুণকে ঘিরে আছে গোটা ত্রিশেক মানুষ। কথার ফাঁকে ফাঁকে হাতও চলছে ওই তরুণের ওপর। উপস্থিত লোকদের জিজ্ঞেস করতেই উত্তর আসে ‘চোর’। চাউলের বস্তা চুরি করে ধরা পড়েছে সে। ঘিরে থাকা লোকজনের প্রাচীর টপকে চাউল চোরের সামনে গিয়ে নাম জিজ্ঞেস করলে তার নাম বাবু বলে জানায়।তরুণ বয়স কাজ করার শারীরিক ক্ষমতা আছে তারপরও চুরি কেন?  উত্তরে বাবু বলে- ঘরে ছোট্ট একটি শিশু সন্তান আছে। গেল ক’দিন তার জন্য দুধ কিনতে পারিনি। কাজ নেই। আয় নেই। হাতের কাছে চাউল বস্তাটি দেখে নিয়ে যেতেই লোকজন ধরে ফেলেছে। চাউলগুলো নিতে পারলে বিক্রি করে বাচ্চার জন্য দুধ কিনতাম।পরিচিত বিত্তবান দুই-একজনকে শিশুর কথা বললেইতো সাহায্য করতো তারা, তা না বলে এভাবে চুরির পথ কেন বেঁছে নিলে? বাবু বলে, আমি সত্য কথা বলছি। মানুষ আর গরিবদের এভাবে সহজে দিতে চায় না। তাছাড়া গ্রামে কাজ নেই। শহরেও বেশ কিছুদিন ধরেই কাজের সন্ধান করেছি। কোথাও কাজ পাইনি। পরিবার নিয়ে চরম হতাশায় আছি। প্রত্যেক জিনিষের দাম নাগালের বাইরে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য কিনতেই হাবুডুবু খাচ্ছি। শিশুর খাদ্য কীভাবে কিনবো। 

এনিয়ে চরম হতাশা বিরাজ করছে ভিতরে। আমার ভুল হয়েছে আমাকে আপনারা মাফ করে দেন। আর চুরি করবো না। ঘটনা মঙ্গলবারের। বগুড়া শহরের বাদুড়তলা এলাকায় দুপুর দেড়টার দিকের ঘটনা। বাবু বগুড়ার একটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রাম থেকে শহরে এসেছে। তার সহজ-সরল স্বীকারোক্তি আয় নেই। ব্যয় ঠেকানোর পথ নেই। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে আছি। কোথাও তেমন কাজও নেই। ঘরে খাবার নেই। কন্যাসন্তান একেবারেই ছোট। মায়ের বুকের দুধ পায় না। মায়ের পুষ্টির অভাব বলেছে ডাক্তার। তাকেও ভালো কিছু খেতে দিতে পারি না। পুরুষ হিসেবে খুব অসহায় লাগছে। কী করবো ভেবে পাচ্ছি না।

মহল্লাবাসী পরে তার অভিভাবক কাউকে  মোবাইলে ডেকে তার হাতে তুলে দেয়। এ রকম চুরি, ছিনতাই, খুন এখন হরহামেশাই ঘটছে। এসব বৃদ্ধির পিছনে সমাজবিজ্ঞানীরা অর্থনৈতিক মঙ্গাকেই দুষছেন। তাদের ধারণা বর্তমানে ছোট চুরি, ছিনতাইয়ের প্রধান কারণ দু’টি। একটি হচ্ছে- মাদকের ছোবল, আরেকটি হচ্ছে অভাব। বর্তমানে দু’টোই আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। সেই সঙ্গে মানুষের রোজগার কমেছে। প্রতিদিনের চাহিদা পূরণ করতে পারছেন খুব কমসংখ্যক মানুষ। করোনাকালীন পরিস্থিতিতে কাজের ক্ষেত্রের সূচকও নিচের দিকে নেমেছে। কাজ হারিয়েছে বহু মানুষ। দিন যাচ্ছে আর এসবের প্রভাব পড়ছে সমাজের ওপর।

 নিরুপায় হয়ে যাচ্ছে মানুষ। অভাবেই বেশির ভাগের স্বভাব নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ২০২০ সালের পর থেকে কাজ হারানো মানুষগুলো তাদের তহবিল ভেঙে খাওয়া শুরু করেছে। এখন তাদের তহবিল শূন্য। দিগ্বিদিক ছুটছে অর্থের জন্য।

নির্বাচিত কলাম-সাম্প্রতিক প্রসঙ্গ: পেটে ক্ষুধা, মুখে হাসি, লোডশেডিংয়ে কৃচ্ছ্রসাধন করছি-মানজমিন

কার্টুনিস্ট মেহেদী হকের প্রতিষ্ঠিত ‘ঢাকা কমিক্স’ শিশুদের মানসম্মত মৌলিক কন্টেন্ট তৈরির জন্য ইউনিসেফ ও ফেসবুকের পক্ষ থেকে পুরস্কার অর্জন করেছিল। এবার তার একটি কার্টুন নতুন করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে। গত জুলাই মাসে প্রথম প্রকাশিত ওই কার্টুনে দেখা যায়: খেয়েদেয়ে বেদম তরতাজা, মেদ-ভুঁড়িতে বেজায় স্থূলকায়, চোখে সানগ্লাস, স্যুট-টাই পরিহিত (কাঁধের ঝুলিতে লেখা ‘কানাডার পথে’) এক ব্যক্তি জীর্ণশীর্ণ শরীরে পুরনো স্যান্ডো গেঞ্জি জড়ানো রিক্তহস্ত অন্য ব্যক্তিকে আঙুল উঁচিয়ে শাসিয়ে বলছে, ‘মিতব্যয়ী হন। মনে রাখবেন, দেশটা আমাদের সবার।’

এ বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দেশের অল্পকিছু মানুষ ছাড়া বাকি সবার জীবন যখন দুর্বিষহ তখন সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে শুরু করে নিম্নস্তরের কর্মকর্তা এবং ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতারাও এর কোনো দায় না নিয়ে প্রতিনিয়ত সাধারণ জনগণকে বরং ‘মিতব্যয়ী হওয়ার’ ‘কৃচ্ছ্রসাধনের’ ‘সঞ্চয় করার’ নসিহত দিচ্ছিলেন। তখন সবাই এই প্রশ্ন করছিলেন, যেখানে সাধারণ মানুষের অনেকেই দু’বেলা ঠিকমতো খেতেই পায় না, তারা কি করে মিতব্যয়ী হবেন বা কৃচ্ছ্রসাধন করবেন? সবার বক্তব্য ছিল: মিতব্যয়ী হওয়া বা কৃচ্ছ্রসাধন বরং তাদেরই আগে করা উচিত, যারা দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকা কামিয়েছেন, যারা সরকারি অর্থের অপচয় করে নিজেরা ভোগবিলাসে ব্যস্ত। ওই সময়ের প্রেক্ষিতেই মেহেদী হকের কার্টুনটির জন্ম বলে আমরা ধরে নিতে পারি।

যাই হোক। দু’দিন পরপর দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে মানুষের যখন নাভিশ্বাস ঠিক সে সময় (৫ই আগস্ট) সরকার জ্বালানি তেলের দাম একলাফে ৫১ শতাংশের বেশি বাড়িয়ে দেয়! এরপর থেকে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার গতি আরও ত্বরান্বিত হয়। বলাবাহুল্য, গণপরিবহনের ভাড়া থেকে শুরু করে সব ধরনের সেবার মূল্যও বৃদ্ধি পেতে থাকে। খুচরা বাজারে ডজনপ্রতি ডিমের দাম ৩০-৪০ টাকা পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়। জ্বালানি তেলের দাম এক ধাপে বড় অঙ্কে বৃদ্ধির কারণেই পরিস্থিতি এত অসহনীয় হয়েছে বলে ব্যবসায়ীদের সংগঠন, বিশেষজ্ঞ মহল, বিরোধী দলগুলো দাবি করলেও জ্বালানি ও বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিবিসিকে বলেন, ‘তেলের দাম ধাপে ধাপে বৃদ্ধি করা হলেই বরং দ্রব্যমূল্যসহ মানুষের জীবনযাত্রার সবক্ষেত্রে তার প্রভাব বেশি পড়তো’।

ওদিকে, সাধারণ জনগণের কাটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিতেই যেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন (১২ই আগস্ট) দাবি করেনÑ বৈশ্বিক মন্দা পরিস্থিতিতে বিশ্বের অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ বেহেশতে আছে। এর আগে (১০ই আগস্ট) স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেছিলেন, ‘গ্রামগঞ্জের কোনো মানুষ না খেয়ে নেই। প্রত্যেক মানুষের গায়ে জামাকাপড় আছে। আমি মনে করি না আমরা খুব খারাপ অবস্থায় আছি।’ অথচ, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) এক জরিপভিত্তিক প্রতিবেদন বলছেÑ মানুষের কাছে তাদের গত ছয় মাসের চ্যালেঞ্জ কী, জানতে চাইলে শতকরা ৬৮ ভাগই বলেছেন, খাবার কিনতেই তাদের হিমশিম অবস্থা (প্রথম আলো, ১৫ই অক্টোবর)।

এদিকে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণ হিসেবে বিশ্ববাজারে দাম বেড়ে যাওয়া, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে পণ্য সরবরাহ-সংকটের পাশাপাশি ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে সরকার সামনে নিয়ে আসলেও বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে অনেক ক্ষেত্রেই দুর্নীতি এবং ব্যবস্থাপনায় দুর্বলতা রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, দেশে চালের দাম গত তিন বছর ধরেই ধারাবাহিকভাবে বাড়ছে। যার সঙ্গে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বা বিশ্ববাজার পরিস্থিতির কোনো ধরনের সরাসরি সম্পর্ক নেই।

২১শে অক্টোবর খোদ আওয়ামী লীগ সমর্থক হিসেবে পরিচিত, বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রামেন্দু মজুমদারও এমনটিই বলেছেন, ‘দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস অবস্থা হচ্ছে। বৈশ্বিক করোনা মহামারির পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য দায়ী। কিন্তু এই সুযোগে দেশের ব্যবসায়ীরা যেভাবে লুণ্ঠন করছেন, মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন, সেটা তো অগ্রহণযোগ্য।’

এতকিছুর পরও দেশে দুর্নীতি-অনিয়ম, সরকারি অপচয় রোধ করার উদ্যোগ না নিয়ে জনগণকে অপচয় না করার, মিতব্যয়ী হওয়ার নসিহত প্রদান থেমে নেই। সরকারের উচ্চ মহল থেকে দেশের মানুষকে কৃচ্ছ্রসাধনের বারংবার অনুরোধ করা হলেও অতি সম্প্রতি খবর বেরিয়েছে যে, সরকারি তহবিলের অর্থে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিবের জন্য প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে দুটি বাসভবন নির্মাণ করা হবে! প্রতিটি ভবনে দুই সেট করে সুইমিং পুলের জন্য খরচ ধরা হয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ টাকা। যা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।  কিন্তু, ‘বাংলাদেশে এখন অর্থ যখন খোলামকুচির (ভাঙ্গা হাঁড়ি-কলসির টুকরো) মতো করে অপচয় হচ্ছে, সে সময় আলাদা করে মাত্র ৪৩ কোটি টাকা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়া কতোটা যথাযথ’ এমন প্রশ্ন করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের ইলিনয় স্টেট ইউনিভার্সিটির রাজনীতি ও সরকার বিভাগের ডিস্টিংগুইশড প্রফেসর আলী রীয়াজ।

ওদিকে, সরকারের পক্ষ থেকে  ‘দেশের মানুষ ভালো আছে, সুখে আছে’, ‘নিত্যপণ্যের দাম খুব বেশি বাড়েনি’ জাতীয় কথাবার্তা বলা কিন্তু থেমে নেই। এই সেদিনও (২১শে অক্টোবর) বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, ‘বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম খুব বেশি বাড়েনি। তবে এতেও সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটি আমাদের সহ্য করতে হবে।’ কিন্তু, দেশে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি যেখানে এখন নিত্য ঘটনায় পরিণত হয়েছে, সেখানে সাধারণ মানুষ দিনের পর দিন কীভাবে নিজেদের সহ্য ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন, সে কৌশলটি কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রী বাতলে দেননি।

সবমিলিয়ে বলা যায়, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের আগেও যেমন সাধারণ মানুষ ভালো ছিল না, তেমনি এখনও তারা ভালো নেই। তাছাড়া, মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হিসেবে শুরু হয়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। লোডশেডিং এমন অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে যে রসিক বাঙালি এখন মজা করে বলছেন ‘বিদ্যুৎ যায় না, বিদ্যুৎ মাঝেমধ্যে আসে’। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ (১৯শে অক্টোবর) নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে ‘লোডশেডিং সাময়িক’ উল্লেখ করে জনগণকে আশ্বস্ত করতে চেয়ে জানিয়েছেন ‘এই সংকট বেশিদিন থাকবে না’। কিন্তু, ‘আগামী অক্টোবর মাস থেকে আর লোডশেডিং থাকবে না এবং নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ করা সম্ভব হবে’ বলে এর আগে (৭ই আগস্ট) জনগণকে আশ্বস্ত করা মন্ত্রীর মন্তব্যের পর যখন লোডশেডিং আরও বাড়তে থাকলো, তখন তার কথায় জনগণ ফের কীভাবে আশ্বস্ত হবে! কোন ভরসায় সহ্য করবে?

ট্রাক-ভ্যানের পেটে মেয়র আনিসুল হক সড়ক-যুগান্তর

রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কের একটি ‘তেজগাঁও সাতরাস্তা-রেলগেট’ সড়ক। কিন্তু সেটি এখন পুরোপুরি ট্রাক-ভ্যানের দখলে।

যেন সড়কটিই গিলে খেয়েছে সারি সারি ট্রাক আর ভ্যান। রাতদিন একইচিত্র থাকলেও যাদের দেখার কথা-তাদের চোখে যেন তা পড়েই না। নেওয়া হয় না কোনো ব্যবস্থাও।

তিন দিন সড়কটি ঘুরে দেখা গেছে, গুরুত্বপূর্ণ বেশ কয়েকটি সরকারি-বেসরকারি অফিস, ঐতিহ্যের কাওরান বাজার, রেলওয়ে স্টেশন ও অন্তত ৭টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংশ্লিষ্টরা এ সড়কের ওপর নির্ভরশীল।

কিন্তু শতফুটের ওই সড়কে এখন দুটি রিকশাও পাশাপাশি চলতে পারে না। দুপাশে ফুটপাত পর্যন্ত দখলে চলে যাওয়ায় কোথাও কোথাও হাঁটাও সম্ভব নয়। সড়কটির মধ্যভাগের দক্ষিণপাশে একটি গণশৌচাগার রয়েছে। দখলি ট্রাকের কারণে তা চোখেই পড়েনি।

ট্রাকচালক, সড়ক পরিবহণ নেতা, সাধারণ পথচারী, শিক্ষার্থী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে যুগান্তর। তাদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্যমতে, এ সড়কটি ২০১৫ সালের আগে আরও করুণ অবস্থায় ছিল। দখলের এমন মহোৎসব ছিল যে, এ সড়কে হাঁটাই সম্ভব ছিল না। উত্তর সিটি করপোরেশনের তৎকালীন মেয়র আনিসুল হক বহু বাধা, বিক্ষোভ ও হুমকি উপেক্ষা করে, সরকারি-বেসরকারি-ব্যক্তিগত সব শক্তি কাজে লাগিয়ে সড়কটি দখলমুক্ত করেন। সড়কটি সংস্কার করে সৌন্দর্যমণ্ডিত করেন, বসান সারি সারি আলোকবাতি। সে সড়কবাতির অনেকগুলোই এখনো জ্বলে, আর ফলকে ‘মেয়র আনিসুল হক সড়ক’ লেখা থাকলেও সড়কটিই এখন যেন অদৃশ্য।

সংশ্লিষ্টরা জানান, ট্রাক ঘিরে চলে মাদক সেবন, ট্রাকের ভেতর, নিচে, ওপরে বসে জুয়ার আসর। নারী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সাধারণ নারী পথচারীরাও নানা সময় যৌন হয়রানি ও উত্ত্যক্তের শিকার হচ্ছেন। এক শিক্ষার্থীর মা আফরোজা খাতুন বলেন, এ সড়ক হয়ে কোনো সুস্থ মানুষ হেঁটে যেতে পারবে না। আমরা বাধ্য হয়ে যাই। মেয়ে বড় হয়েছে, মেয়ের সঙ্গে সঙ্গে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যেতে হয়। মেয়েকে নিয়ে যাওয়ার সময় যেমন ট্রাক ড্রাইভার-হেলপার, কর্মচারীদের অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি দেখতে হয়, আসার সময়ও তাই। ফুটপাত দখল থাকায় মাঝপথ ধরেই হাঁটতে হয়। ফুটপাত বেয়ে আসা মলমূত্র রাস্তার মধ্যভাগ পর্যন্ত ঠেকে, কিন্তু কেউই প্রতিকারের ব্যবস্থা নিচ্ছে না।সাতরাস্তা থেকে-তেজগাঁও রেলগেট পর্যন্ত সড়কে হেঁটে দেখা যায়, রাস্তার দুপাশে দেড় শতাধিক বড় ট্রাক পড়ে আছে। সঙ্গে যোগ হয়েছে ছোট কাভার্ড ভ্যানের সারি। শৌচাগারে কর্মরত এক শ্রমিক জানান, এসব ট্রাক ঘিরে মাদকের আসর বসে। রাত বা দিন, মাদক বিক্রেতা-সেবনকারী আর প্রতিরোধী সংস্থার সদস্যরা একে অপরের হয়ে কাজ করে। আনাগোনা থাকে ভাসমান পতিতাদের।ট্রাকচালক রাসেল মিয়ার ভাষ্য, ‘তেজগাঁও স্ট্যান্ড ট্রাকে ভরা। রাস্তায় থাকা সব ট্রাকই এখানকার প্রভাবশালী মালিকদের। এরা রাজনৈতিকভাবেও শক্তিশালী। আমরা ট্রাকের ভেতরই থাকি। কল এলেই ট্রাক বের করি। বাহিরের ট্রাক রাস্তায় রাখা হলেই প্রতিদিন ৫শ টাকা করে চাঁদা গুনতে হয়। রাজধানীর বাহির থেকে আসা ট্রাকও রাস্তায় রাখা হয়।’ দেখা গেছে, অনেক ট্রাকের নিচে ময়লা-আবর্জনার স্তূপ। হেলেনা বেগম নামের এক পরিচ্ছন্নকর্মী বলেন, ‘এ রাস্তা পরিষ্কার করার জায়গা পাই না। ট্রাক আর ট্রাক, পরিষ্কার করব কই। আমরা বাধ্য হয়ে, কিছু জায়গায় ঝাড়ু ছুঁয়াই। স্যার (আনিসুল হক) থাকলে, এ সড়কের অবস্থা এমন হতো না।’

তেজগাঁও শিল্প এলাকার বাসিন্দা ব্যাংকার জুলফিকার আহসান জানান, মেয়র আনিসুল হক যেমন এ সড়ক দখলমুক্ত করেছিলেন, তখন এ সড়ক হয়ে বিভিন্ন যানে মানুষ খুব সহজে চলাচল করতে পারত। মেয়রের মৃত্যুর পরপরই সড়কটি দখলবাজ সন্ত্রাসীদের দখলে চলে যায়।বাংলাদেশ ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ড্রাইভার্স ইউনিয়নের সভাপতি মো. মনির হোসেন তালুকদার যুগান্তরকে বলেন, ‘এখানে শক্তির খেলা চলে। উচ্ছেদের সময় কোনো কোনো নেতা উচ্ছেদকারীদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়।ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. সেলিম রেজা যুগান্তরকে বলেন, আমরা মোবাইল কোর্ট করি, জরিমানা করি। কিন্তু লাভ হচ্ছে না।এ বিষয়ে জানতে চাইলে এডিশনাল পুলিশ কমিশনার ট্রাফিক (প্রধান) মো. মনিবুর রহমান যুগান্তরকে জানান, সড়কটি দখলমুক্ত করা জরুরি। এজন্য আমরা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করছি। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মালিক-শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে আলোচনা হচ্ছে। এজন্য সিটি করপোরেশনসহ সংশ্লিষ্টদের সহযোগিতাও চাচ্ছি।

ফেসবুকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, অতঃপর…বাংলাদেশ প্রতিদিন/মানবজমিন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মেয়ে পরিচয়ে প্রেম। অতঃপর প্রতারণার মাধ্যমে ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)’র গোয়েন্দা সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (উত্তর) বিভাগ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন- সুজন তালুকদার ওরফে শাওন ওরফে তানভীর হাসান ওরফে জাহিদ হাসান ওরফে লুৎফর রহমান ও তার সহযোগী পুস্পা আক্তার ওরফে আবিরা জাহান কলি।

টাঙ্গাইল জেলার ভূয়াপুর ও সদর থানায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম।

ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের টিম ইনচার্জ অতিরিক্ত উপ- পুলিশ কমিশনার আশরাফউল্লাহ বলেন, ফেসবুকে এক ব্যক্তির সাথে আবিরা জাহান কলি নামে এক মেয়ের পরিচয় হয়। পরিচয় সূত্রে প্রেম অতঃপর বিয়ের সিদ্ধান্ত। এমন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে প্রায় ৮০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় মেয়েটি।

ডিবির এ কর্মকর্তা বলেন, ওই ঘটনায় গত ১৭ অক্টোবর বাদি ডিজিটাল প্রতারণার অভিযোগে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটির তদন্ত দেওয়া হয় ডিবি সাইবারের ওয়েব বেইজড ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমকে।

একপর্যায়ে প্রযুক্তির সহায়তায় ২০ অক্টোবর টাঙ্গাইল জেলার সদর থানায় অভিযান চালিয়ে আবিরা জাহান কলি নামের ওই মেয়েকে গ্রেফতার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভূয়াপুর থানায় অভিযান চালিয়ে সুজন তালুকদার ওরফে শাওন ওরফে তানভীর হাসান ওরফে জাহিদ হাসান ওরফে লুৎফর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের হেফাজত থেকে দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।

ডিবির এই সাইবার পুলিশ কর্মকর্তা এদের প্রতারণার কৌশল সম্পর্কে বলেন, গ্রেফতারকৃত সুজন তালুকদার নারীদের ছদ্মনামে একাধিক ফেসবুক আইডি ব্যবহার করে পুস্পার মাধ্যমের অপরিচিত বিভিন্ন লোকজনের সাথে বন্ধুত্ব ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্পর্ক গভীর হলে একপর্যায়ে বিভিন্ন অজুহাত দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিয়ে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

উত্তাপ বাড়ানোর যন্ত্রে ঝলসে মৃত্যু সদ্যোজাতের! গাফিলতির অভিযোগে বরখাস্ত ২ নার্স-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ঘটনাটি রাজস্থানের। মহাত্মা গান্ধী সরকারি হাসপাতালে নবজাতকদের আইসিইউ-তে বুধবার সকালে মৃত্যু হয়েছে এক সদ্যোজাত শিশুকন্যার। হাসপাতালে কর্তব্যরত দু’জন নার্সকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগে সরব প্রসূতির পরিবার। ওই একই হাসপাতালে আরও এক শিশু ওয়ার্মারের উত্তাপের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ।

ব্যক্তিগত কারণ দর্শিয়ে এড়ালেন  ইডি-র হাজিরা, দিল্লি গেলেন না অনুব্রত কন্যা-আজকাল

হাজিরা না দেওয়ার কারণ হিসেবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়েছেন অনুব্রত কন্যা।আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। কিন্তু সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইডির ডাকে সাড়া দিয়ে আজ দিল্লি দপ্তরে যাননি তিনি।

গরু পাচার মামলায় এই মুহূর্তে জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর গ্রেপ্তারির পরেই তদন্তকারী সংস্থার আতস কাঁচের নীচে আসে তাঁর কন্যার নাম। তদন্তে নেমে আধিকারিকরা দেখেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষিকা হওয়ার পরেও সুকন্যার নামে সম্পত্তির পরিমাণ বিপুল। রাইস মিল, একাধিক কোম্পানি রয়েছে তাঁর নামে। দুটি সংস্থার ডিরেক্টর পদে রয়েছে সুকন্যার নাম।

পর্ন দেখে মনে শয়তান ডেকে আনছেন যাজক-নানরা, বিস্ফোরক দাবি পোপের-সংবাদ প্রতিদিন

পর্ন দেখার প্রবণতা নিয়ে এবার মুখ খুললেন পোপ ফ্রান্সিস (Pope Francis)। একটি আলোচনা সভায় তিনি বললেন, বিশ্বজুড়ে বহু মানুষই পর্নের প্রতি আসক্ত। তার বাইরে নন খ্রিষ্টিয়ান ধর্মযাজকরাও। ঈশ্বরের উদ্দেশ্যে নিজের জীবন সমর্পণ করে দেওয়ার ব্রত নিয়েও এই ধরনের ছবি দেখার অর্থ, নিজের মনে শয়তানকে প্রবেশ করতে দেওয়া। সেই জন্য আগামী দিনের ধর্ম যাজকদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, এই ধরনের ছবি দেখার অভ্যাস দূর করতে হবে।বর্তমান যুগে সোশ্যাল মিডিয়া ও ইন্টারনেটের প্রভাব নিয়ে একটি আলোচনাসভায় অংশ নিয়েছিলেন পোপ ফ্রান্সিস। সেখানেই তিনি বলেন, “পর্ন দেখা একটি বদভ্যাস। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ধর্মযাজক ও সন্ন্যাসিনীরাও এই ধরনের ছবি দেখায় আসক্ত। পর্ন ছবি থেকেই মনের মধ্যে শয়তান বাসা বাঁধে।” পোপ ফ্রান্সিস আরও বলেছেন, “শুধুমাত্র শিশুদের পর্নই নয়, যেকোনও ধরনের পর্ন ছবি দেখলেই আত্মা দুর্বল হয়ে পড়ে।” ওই আলোচনাসভায় পোপ বলেছেন, “আমাদের সকলের হৃদয়ে যীশু খ্রিষ্ট বসবাস করেন। সেখানে পর্নের মতো অপবিত্র বস্তুকে হৃদয়ে স্থান দেওয়া যায় না।প্রসঙ্গত, ভ্যাটিকানের অন্দরে বহুবারই যৌন হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে ধর্মযাজকদের বিরুদ্ধে। তবে প্রকাশ্যেই এহেন ঘটনার প্রতিবাদ করেছেন পোপ ফ্রান্সিস।

নভেম্বরেই মুখোমুখি মোদি ও ঋষি! ব্রিটেনের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করতে আশাবাদী দিল্লি-সংবাদ প্রতিদিন

ব্রিটেনের প্রধানমন্ত্রী পদে ভারতীয় বংশোদ্ভূত ঋষি সুনকের (Rishi Sunak) নাম নিশ্চিত হতেই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। ঋষির ‘পদোন্নতিতে’ ভারত আশা করতেই পারে যে ব্রিটেনের সঙ্গে দেশের সম্পর্ক আরও ভাল হবে। তবে নতুন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মোদির কবে সাক্ষাৎ হচ্ছে, সে নিয়ে জল্পনা চলছিল কূটনৈতিক মহলে।জানা গিয়েছে, আগামী মাসেই ইন্দোনেশিয়ার বালিতে G20 শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সেখানেই প্রথমবারের জন্য দুই রাষ্ট্রনেতা মুখোমুখি হতে পারেন।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৭


 

ট্যাগ