জানুয়ারি ০৩, ২০২৩ ১৬:৪৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ৩ জানুয়ারি মঙ্গলবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • বিদেশিদের কথায় আমাদের কিছু যায় আসে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-মানবজমিন
  • হাইকোর্টে ৬ মাসের জামিন পেলেন মির্জা ফখরুল ও আব্বাস-প্রথম আলো
  • এখন বিএনপি ও তার মিত্ররাই বেকায়দায়: তথ্যমন্ত্রী-যুগান্তর
  • প্রধানমন্ত্রী বুঝেশুনেই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন : বিদায়ি মন্ত্রিপরিষদসচিব-কালের কণ্ঠ
  • অনিয়মকে প্রশ্রয় দেই না এবং দেবোও না : ইসি আহসান হাবিব- বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • পুলিশ সব সময় মানুষের পাশে আছে: প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক

কোলকাতার শিরোনাম:

  • গায়ের জোরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বদল আনতে চাইছে চিন, তীব্র আক্রমণ জয়শংকরের-সংবাদ প্রতিদিন
  • কেন্দ্রের নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত আইনত বৈধ, রায় সুপ্রিম কোর্টের-সংবাদ প্রতিদিন
  • আলিয়া কাণ্ডে পুলিশের সামনেই বিক্ষোভ ছাত্রদের, ঘাতক গাড়ি চিহ্নিত করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের-আজকাল
  • মুম্বইয়ের কর্মসূচিতে জাতীয় সঙ্গীত অবমাননা মমতার? ১২ জানুয়ারি রায় দিতে পারে আদালত-আনন্দবাাজর পত্রিকা

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বিদেশিদের কথায় আমাদের কিছু যায় আসে না- বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন একথা বলেছেন। কীভাবে দেখছেন এ বক্তব্যকে?

২. ইরানের কুদস ফোর্সের সাবেক কমান্ডার জেনারেল কাসেম সুলাইমানির শাহাদাত বার্ষিকী আজ। কিন্তু এতদিন পরে এসেও তিনি তার জগতে সমান প্রভাবশালী। কীভাবে সম্ভব হলো এটি?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

মতামত-সরকারি দুর্নীতি অনেক দেশ বন্ধ করতে পেরেছে, আমরা কেন পারি না?

প্রথম আলোর এ শিরোনামের কলামে একটি বিদেশি কোম্পানির কান্ট্রি ডিরেক্টর, বিজনেস ডেভেলপমেন্ট কনসালট্যান্ট এবং সাবেক রিসার্চ ফেলো সুবাইল বিন আলম লিখেছেন,আমরা কলামলেখকেরা নাকি শুধু হতাশা ছড়াই। নতুন কিছু দেখতে পাই না; ভালো কিছু ছড়াতে চাই না। তাই ২০২৩ সালের শুরুতে ভাবলাম, এবার হতাশা ছড়াব না। বরং আসুন সবাই মিলে একটু আত্মোপলব্ধি করি। কীভাবে?

আমাদের সবার নিজের দেশ নিয়ে স্বপ্ন আছে। মজা হচ্ছে, আমরা যেসব দেশকে স্বপ্নের দেশ হিসেবে ভাবি, সেসব দেশের নাগরিকেরাও স্বপ্ন দেখে। ইন্টারনেটে তাদের অনেক লেখা পাওয়া যায়, পাওয়া যায় না বাংলাদেশ নিয়ে লেখা। আসুন, আজ আমাদের স্বপ্নের দেশ কেমন হতে পারে, দেখি।

প্রথমেই শুরু করি নিরাপত্তা নিয়ে। রাত ১১টার পর আমরা গাড়ি ছাড়া বাইরে থাকলেই পরিবার চিন্তায় পড়ে। অথচ আমরা এমন একটা দেশ চাই, যেখানে গভীর রাতে নিশ্চিন্তে বাসায় আসতে পারি। এটা শুধু ছেলেদের জন্য নয়, মেয়েদের জন্যও। খুব কঠিন? আমাদের পুলিশকে এ লক্ষ্য দিয়ে গঠন করা হলে কি তা অসম্ভব হবে? তাদের সক্ষমতা তো অন্য জায়গায় নষ্ট হচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আমাদের একটা চাওয়া—স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চাই।

এরপর আসি স্বাস্থ্য খাতে। আমাদের সরকারি চিকিৎসা খাত তাদের সাধ্যমতো চেষ্টা করে। এর মানে তাদের সাধ্য কম। আমরা এমন একটা স্বাস্থ্যব্যবস্থা চাই, যেখানে সবাই যাতে চিকিৎসা পায়। এ জন্য সাধ্য বাড়ানোর পরিকল্পনা এখন থেকে করলে কেন হবে না? ৬৪ জেলায় ৬৪টি স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল চাওয়া কি খুব বেশি দাবি? আর সবার জন্য চিকিৎসা ইনস্যুরেন্স কিন্তু আমাদের পাশের দেশেই হচ্ছে। কত পরিবারকে কঠিন অসুখে পথে বসতে দেখেছি। আমরাও তো এখন মধ্যম আয়ের দেশ। কেন এ দেশের ভিআইপিদের বাইরে গিয়ে চিকিৎসা করাতে হবে? আর কিছু চিকিৎসক বা নার্সের ব্যবহার—এগুলো ঠিক করতে কোনো স্বপ্ন লাগে না। ইচ্ছা হলেই হয়।

এরপর আসি খাদ্য নিয়ে। আমাদের এই সীমিত জমির মধ্যে কৃষকেরা প্রায় ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য উৎপাদন করেন। আমাদের জনসংখ্যা গণনা ঠিক থাকলে খাদ্য আমদানিই লাগত না। জলবায়ু পরিবর্তন সত্ত্বেও তাঁদের সফলতা অনেক। বাস্তবতা হচ্ছে, তাঁদের আরও অনেক কিছু দেওয়ার আছে। এমন একটা দেশ চাই, যেখানে তাঁরা ন্যায্যমূল্য পান। সিন্ডিকেট ভেঙে দিলে তাঁরা ২০ কোটি মানুষের জন্যও ফসল উৎপাদন করতে পারবেন।

বস্ত্র নিয়ে বলতে গেলেই আসে আমাদের গর্ব গার্মেন্টসের কথা। কিন্তু এই বস্ত্র উৎপাদনের কাঁচামালও আনতে হয় বাইরে থেকে। কেন? আমরা তুলা এখানে উৎপাদন করতে পারি না? টেক্সটাইল খাত তো গার্মেন্টসের মতো শক্তিশালী নয়। একটা স্বয়ংসম্পূর্ণ বস্ত্র খাতের স্বপ্ন দেখা কি খুব বাড়াবাড়ি?

এখন আসি শিক্ষা খাত। যুগের সঙ্গে তাল মেলাতে না পারা এই শিক্ষা খাত এখন দেশের চাহিদা মেটাতে পারছে? আমাদের তো সবার জন্য কর্ম নিশ্চিত করতে হবে। এমন একটা শিক্ষাব্যবস্থা দরকার, যেখানে আমাদের সবচেয়ে নিচের স্তর থেকে উপর স্তর পর্যন্ত সবখানে দেশের লোক দিয়েই হতে হবে। বাইরের লোক আর কত? সেই শিক্ষাব্যবস্থা স্বপ্ন দেখি, যা সবাইকে নিজ নিজ যোগ্যতায় কাজ করার সুযোগ দেবে।

সবার জন্য বাসস্থান একটা বড় স্বপ্ন। আর একটা বড় স্বপ্ন সুস্থ ঢাকা শহর তৈরি করা। 

আমাদের দুই প্রধান দলের স্মার্ট বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্র মেরামতের প্রস্তাবনাগুলো পূর্ণ হলেই কিন্তু হয়ে যায়। এখন সমস্যা হচ্ছে, আমাদের অতীত ও বর্তমান রাষ্ট্রযন্ত্র বাস্তবায়নে অদক্ষতা দেখিয়েছে। তাহলে কি হবে না? কেন হবে না—আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেসরকারি খাতের এবং বিদেশে থাকা অনেক বিশেষজ্ঞ আছে, আছে আমাদের দেশীয় গবেষক—সবাই যদি একসঙ্গে চায়, কেন স্বপ্নের দেশ হবে না?

আমাদের দূষণ নিয়ে অনেক কথা বলা হয়। অনেক দেশ আমাদের থেকে উন্নত অথবা অনুন্নত। কই, তাদের দূষণ তো আমাদের থেকে বেশি নয়? আর প্রশাসন বিকেন্দ্রীকরণ করা গেলে জ্যামও অনেক কমে আসবে। চাইলে অনেক কিছুই করা সম্ভব।

আবশ্যক চাহিদা তো গেল। এখন দেখি আর কী চাহিদা অন্যদের আছে। দেশের সবকিছু স্মার্ট হবে। ডিজিটালের নামে এখন যা হচ্ছে, তা আমাদের কাজ দ্বিগুণ করে দিয়েছে। আমরা স্বপ্ন দেখি, সব অনলাইনেই হয়ে যাবে। আমাদের কষ্ট করে আর দুয়ারে দুয়ারে ঘুরতে হবে না। ছোট্ট উদাহরণ দিই। যেমন পাসপোর্ট। অনলাইনে আবেদন করার পর আবার কপি নিয়ে লাইনে দাঁড়াতে হয়। যেহেতু অনলাইনেই ভেরিফিকেশন সম্ভব, আমাদের উচিত শুধু ছবি তোলার জন্য যাওয়া। কিন্তু আবার ডকুমেন্ট নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করার তো মানে নেই! আমরা একটা আধুনিক জীবন চাই, যা আমাদের সবকিছু সহজ করবে।

সুশাসন, গণতন্ত্র আর ব্যক্তি ও বাক্‌স্বাধীনতা—গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে এগুলোর স্বপ্ন দেখলে কি পাপ হবে? সরকারি দুর্নীতি অনেক দেশ বন্ধ করতে পেরেছে, আমরা কেন পারব না? চাইতে হবে।

ব্যবসাবান্ধব পরিবেশের জন্য এমন একটা দেশ চাই, যেখানে ক্ষমতাধারীরা বা বড় ব্যবসায়ীরা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের খেয়ে ফেলবে না। দেশে অনেক উদ্যোক্তা থাকবে, পাচার বন্ধ করে ব্যবসায়ীরা দেশেই কারখানা করবে, দেশ হবে স্বয়ংসম্পূর্ণ, থাকবে না বেকারত্ব। আমরা নিজেরাই নিজেদের খনি থেকে গ্যাস তুলব। লাগবে না আর এলএনজি আমদানি। অকটেনে হব স্বয়ংসম্পূর্ণ। ডিজেল আমদানির থাকবে অনেক উৎস। জ্বালানির জন্য কোনো ব্যবসার ক্ষতি হবে না।

সবকিছু অবাস্তব লাগছে? কিন্তু আমাদের দুই প্রধান দলের স্মার্ট বাংলাদেশ এবং রাষ্ট্র মেরামতের প্রস্তাবনাগুলো পূর্ণ হলেই কিন্তু হয়ে যায়। এখন সমস্যা হচ্ছে, আমাদের অতীত ও বর্তমান রাষ্ট্রযন্ত্র বাস্তবায়নে অদক্ষতা দেখিয়েছে। তাহলে কি হবে না? কেন হবে না—আমাদের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বেসরকারি খাতের এবং বিদেশে থাকা অনেক বিশেষজ্ঞ আছে, আছে আমাদের দেশীয় গবেষক—সবাই যদি একসঙ্গে চায়, কেন স্বপ্নের দেশ হবে না?

আরও অনেক কিছুই লেখা যায়, আমি শুধু সেগুলোই লিখলাম, যা হয়তো চেষ্টা করলে সম্ভব। অনেক কিছু হয়তো বাদ পড়ে গেছে। আপনাদের স্বপ্নগুলোও চেষ্টা করেন বলতে। অনেক দেশে রচনা প্রতিযোগিতাও হয় নিজ নিজ দেশকে কেমন দেখতে চায়, আমাদের এটাও খুব বেশি হয় না। মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। আর কোনো লক্ষ্য না থাকলে কেউই এগোতে পারে না। তাই আমি-আপনি মিলে যদি লক্ষ্য ঠিক করি, নিজেদের সেভাবে বদলাই, আস্তে আস্তে আমাদের সমাজটাই বদলাতে পারে।

আমাদের সবার চাওয়াই হয়তো আমাদের সমাজের যে পাথর আছে, তা সরিয়ে ফেলবে। আমাদের পরের প্রজন্মের কাছে একটা বাসযোগ্য স্বাবলম্বী দেশ দিতে চাওয়া কি খুব বেশি চাওয়া?

বিদেশিদের কথায় আমাদের কিছু যায় আসে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-মানবজমিন

নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের বক্তব্য ধর্তব্য নয় বরং জনগণ কি ভাবছে সেটাই বিবেচ্য বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। সোমবার সন্ধ্যায় গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে মন্ত্রী বলেন, নির্বাচন নিয়ে তারা (বিদেশিরা) কি বলছে তাতে আমাদের কিছু যায় আসে না। দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী যথা সময়ে নির্বাচন হবে জানিয়ে তিনি বলেন, সবার অংশগ্রহণে আসন্ন নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু শান্তিপূর্ণ এবং স্বচ্ছভাবে আয়োজনে নির্বাচন কমিশনকে সহায়তায় সরকার দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। 

আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের আশ্বস্ত করা হয়েছে কি-না এমন সম্পূরক প্রশ্নে মন্ত্রী মোমেন আরও বলেন, এটা আমাদের হেডেক (মাথাব্যথা) নয়, আপনাদের (সাংবাদিক) হেডেক। নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের আশ্বস্ত করার কোনো দরকার নেই। আমরা আমাদের যে কাজ সেটা করে যেতে চাই। জনগণ আমাদের সঙ্গে থাকলে বিদেশি, নন বিদেশি কোনো বিষয় নয়। দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ নিয়ে যে ভুল তথ্যে যে নেতিবাচক প্রচারণা চলছে তা যাচাই বাছাই করে সঠিক তথ্য জানিয়ে তড়িৎ পদক্ষেপ নিতে স্বরাষ্ট্র, আইন এবং অন্য মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও সংস্থার সঙ্গে মিলে একটি সমন্বয় কমিটি গঠন করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। নতুন বছরের প্রথম দিন বিভিন্ন দেশে দায়িত্বরত রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে মতবিনিময়ও করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশ সম্পর্কে যেকোনো ভুল তথ্য প্রচার হলে মন্ত্রণালয়ের নির্দেশের অপেক্ষায় না থেকে তড়িৎ ব্যবস্থা নিতে বিদেশের বাংলাদেশ মিশন এবং পদস্থ কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন মন্ত্রী। মিশন প্রধানদের ভার্চ্যুয়াল ওই সম্মেলেনে দেয়া নির্দেশনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী সোমবার বলেন, অনলাইনে যারা দেশবিরোধী অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের কথা জনগণ বিশ্বাস করে না, তাই ওসব নিয়েও মাথা ব্যথা নেই।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

গায়ের জোরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় বদল আনতে চাইছে চিন, তীব্র আক্রমণ জয়শংকরের-সংবাদ প্রতিদিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, একতরফা ভাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পরিবর্তন করতে চাইছে চিন, এমনটাই অভিযোগ তুললেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর। প্রতিবেশী দেশের বিরুদ্ধে তাঁর অভিযোগ, লিখিত ভাবে দুই দেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিলেও তা পালন করছে না চিন। সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতেই এই কথা বলেছেন, দাবি জয়শংকরের। প্রসঙ্গত, কয়েকদিন আগেই অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াংয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে ভারত ও চিনের সেনা। প্রাণহানি না হলেও দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে টানাপোড়েন শুরু হয়।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর-প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতি মামলায় মানিক ভট্টাচার্যের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত তাপস মণ্ডলকে মঙ্গলবার প্রায় ৩ ঘণ্টা ধরে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। এই প্রথম এই মামলায় তাপসকে জিজ্ঞাসাবাদ করল সিবিআই। এর আগে তাপসকে একাধিক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল ইডি। সূত্রের খবর, ইডির জিজ্ঞাসাবাদে যে কথা জানিয়েছিলেন তাপস, সেই একই কথা সিবিআইকে তিনি জানিয়েছেন।

একই দৈনিকের অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, জাতীয় সঙ্গীত ‘অবমাননা’র অভিযোগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলায় আগামী ১২ জানুয়ারি মুম্বইয়ের মাঝগাঁও নগর দায়রা আদালত গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারে। মঙ্গলবার ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’-এর খবর, এ বিষয়ে আদালতের কাছে তৃণমূলনেত্রীর তরফে যে আবেদন জানানো হয়েছে, ১২ জানুয়ারি সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করতে পারেন বিচারক।

রাহুল গান্ধীর ‘ভারত জোড়ো যাত্রা’নিয়ে বিজেপির অস্বস্তি আরও বেড়ে গেল। উত্তরপ্রদেশে কংগ্রেসের যাত্রা ঢোকা মাত্র শুভকামনা জানিয়ে চিঠি লিখলেন অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস। যাত্রার সাফল্য কামনা ছাড়াও ‘ভারতের একতা’র মতো ‘মহৎ উদ্দেশ্যে’ যাত্রা করায় কংগ্রেস শীর্ষ নেতার ভূয়ষী প্রশংসা করলেন তিনি। কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন ন্যাশানাল স্টুডেন্ট ইউনিয়ন অফ ইন্ডিয়া ওই চিঠি টুইট করে প্রকাশ্যে এনেছে। গণশক্তি সংবাংদপ্রতিদিনসহ বিভিন্ন দৈনিকে খবরটি পরিবেশিত হয়েছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২

ট্যাগ