জানুয়ারি ১৮, ২০২৩ ১৫:৩৪ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ১৮ জানুয়ারি বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • র‌্যাব কিছু ‘উল্টাপাল্টা’ কাজ করেছে, অস্বীকারের সুযোগ নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রথম আলো
  • ডোনাল্ড লুর ঢাকা সফর নিয়ে মিথ্যাচার করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল- যুগান্তর 
  • র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞা তোলার সময়সীমা নিয়ে ইঙ্গিত দেননি লু : দূতাবাস-বাংলাদেশ প্রতিদিন 
  • বাড়ল গ্যাসের দাম, প্রজ্ঞাপন জারি-কালের কণ্ঠ
  • ‘১ হাজার অবৈধ মানি এক্সচেঞ্জের প্রতিটিতে দৈনিক লেনদেন ৭০-৭৫ লাখ টাকা’-ডেইলি স্টার
  • ডায়ালাইসিসে সর্বস্বান্ত হাজার হাজার পরিবার- মানবজমিন
  • ইউক্রেনে হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত, মন্ত্রীসহ নিহত ১৬-ইত্তেফাক

ভারতের শিরোনাম:

  • জাল করে নম্বর ‘বাবার স্কুলে’!-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ভারতের মানচিত্র থেকে উধাও কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ!-সংবাদ প্রতিদিন
  • গ্রামে যান জুনিয়র চিকিৎসকরা, এসএসকেএমে প্রস্তাব মুখ্যমন্ত্রীর-আজকাল

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

মানবাধিকারের উন্নতির কারণে র‍্যাবের বিরুদ্ধে আর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি যুক্তরাষ্ট্র: আইনমন্ত্রী-প্রথম আলো

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, র‍্যাবের বিরুদ্ধে আরও নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল যুক্তরাষ্ট্রের। কিন্তু মানবাধিকারের উন্নতির কারণে তারা র‍্যাবের বিরুদ্ধে আর নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। বাংলাদেশ সফরকালে যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু এ কথা তাঁকে (আইনমন্ত্রী) জানিয়েছেন।

সম্প্রতি ডোনাল্ড লু বাংলাদেশ সফর করেন। সফরকালে তিনি আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এই সাক্ষাতের কথা উল্লেখ করে আইনমন্ত্রী আজ বুধবার সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, র‌্যাব আগে কিছু ‘উল্টাপাল্টা’ যে করেছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে র‌্যাবের জবাবদিহি নিশ্চিতের ক্ষেত্রে এখন অনেক উন্নতি হয়েছে।

বইয়ে ভুল বা কিছু নিয়ে আপত্তি থাকলে ঠিক করা হবে: শিক্ষামন্ত্রী-প্রথম আলো

শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষাব্যবস্থায় শুধু পরিবর্তন নয়, একেবারে রূপান্তর যদি ঘটানো না যায়, তাহলে একুশ শতকের যত চ্যালেঞ্জ আছে, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যত চ্যালেঞ্জ আছে, সেগুলো মোকাবিলা করা যাবে না। এটি শুধু বাংলাদেশের নয়, সারা বিশ্বের মত। বাংলাদেশের শিক্ষাবিদেরা বহু আগে মতটি দিয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে সরকার কাজটি করেছে।শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষার্থীরা অনেক বেশি পরীক্ষানির্ভর ছিল। সনদ পাওয়াটাই ছিল মূল উদ্দেশ্য। এ জন্য শেখার পদ্ধতিতে একটা পরিবর্তন আনা দরকার ছিল। এখন আমরা সেই জায়গা থেকে বের করে এনেছি। আগে আমাদের শিক্ষকেরা পড়াতেন, আমরা তা মুখস্ত করতাম। কিন্তু কী শিখছি, তা কাজে লাগাতে পারিনি। এখন মূলত শিখনপদ্ধতির পরিবর্তন করা হচ্ছে।এর সঙ্গে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি যুক্ত করেন, ‘এ বছর শিক্ষার্থীদের কাছে যে বইগুলো গেছে, সেগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ।এই পরীক্ষামূলক বইয়ে কোনো ভুল বা কিছু নিয়ে আপত্তি থাকলে তা ঠিক করা হবে।’

দেশে একসময় রোগীরা সঠিক চিকিৎসা পেত না, এখন পাচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আই ভিশন সেন্টারগুলো আমরা উদ্বোধন করছি, তবে অন্যান্য সেবার সঙ্গে অবশ্যই চোখের চিকিৎসাকেও গুরুত্ব দিতে হবে। কারণ আমাদের এই উদ্যোগের ফলে এখন অনেক অন্ধ মানুষের চোখের আলো ফিরে এসেছে     । এর আগে ৭০, আর এখন ৪৫ উপজেলায় এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘লোকজন যেন সহজে হাসপাতালে আসতে পারে সে জন্য রাস্তাঘাটের উন্নয়ন করে দিয়েছি।’তিনি বলেন,একটা সময় ছিল দেশের মানুষ বিভিন্ন রোগের যথাযথ চিকিৎসা পেত না, এখন পাচ্ছে।

দৈনিকটির অপর এক খবরে বলা হয়েছে, বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা চোখের ছানি দূর করালে উন্নয়ন দেখতে পাবে বলে মন্তব্য করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

ডায়ালাইসিসে সর্বস্বান্ত হাজার হাজার পরিবার-মানবজমিন

কিডনি বিকল। গুরুতর রোগীদের ডায়ালাইসিস করেই বেঁচে থাকতে হয়। কিন্তু অতি জরুরি এই চিকিৎসা ব্যবস্থার বেহাল দশা দেশে। ডায়ালাইসিস করতে হয় এমন রোগী আছে অন্তত ৫০ থেকে ৬০ হাজার। কিন্তু চিকিৎসাসেবা নিতে পারেন এর ২০ শতাংশ। অর্থাৎ ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ চিকিৎসাসেবা নিতে পারছেন। যারা  সুযোগ পাচ্ছেন তারাও আছেন ভোগান্তিতে। কেউ কেউ এই সেবা নিতে গিয়ে সর্বস্বান্ত হচ্ছেন খরচের কারণে। ভিটেমাটি হারিয়েছেন কেউ কেউ।বেসরকারি হিসাব অনুযায়ী দেশে কিডনি রোগীর সংখ্যা দুই কোটির মতো। তাদের একটি অংশের অবস্থা এমন যে তাদের নিয়মিত ডায়ালাইসিস নিতে হয়। কিন্তু সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে এই সেবা পর্যাপ্ত না থাকায় এবং ব্যয় বেশি হওয়ায় অনেকে ডায়ালাইসিস নিতে পারেন না। তাদের ধুঁকে ধুঁকে বেঁচে থাকতে হয়।

এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

ভারতের মানচিত্র থেকে উধাও কাশ্মীর, অরুণাচল প্রদেশ! তুমুল বিতর্কের মুখে ব্রিটিশ জার্নাল-সংবাদ প্রতিদিন

ভারতের মানচিত্র থেকে বাদ জম্মু ও কাশ্মীর (J&K), অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh)! বিখ্যাত বিজ্ঞান সম্পর্কিত ব্রিটিশ জার্নাল ‘নেচারে’র একটি টুইটে প্রকাশিত হয়েছে ভারতের এমনই মানচিত্রের ছবি। যাকে ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে পৌঁছেছে।কী দেখা গিয়েছে ছবিতে? ‘বর্ণবাদ কীভাবে ভারতের বৈচিত্রকে সীমায়িত করছে’ শীর্ষক একটি রিপোর্টের সঙ্গে ব্যবহৃত ছবিতে দেখা গিয়েছে ভারতের মানচিত্র। সেই মানচিত্র থেকে উধাও জম্মু ও কাশ্মীর এবং অরুণাচল প্রদেশ। দেখা যাচ্ছে উত্তরাখণ্ড ও পাঞ্জাবের সীমান্ত পরবর্তী অঞ্চলকে খুব দক্ষতার সঙ্গে মুছে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়। সেই সঙ্গে লাদাখ ও কাশ্মীরের অন্যান্য অঞ্চলও অদৃশ্য ‘নেচার’ প্রকাশিত মানচিত্রে।স্বাভাবিক ভাবেই এমন অসম্পূর্ণ মানচিত্র ঘিরে শোরগোল নেট ভুবনে। বহু ভারতীয়ই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অভিযোগ তুলেছেন, নির্দিষ্ট প্রোপাগন্ডা ছড়াতেই এমন কাজ করা হয়েছে।

আনন্দবাজার পত্রিকার খবর-বাবা স্কুলের প্রধান শিক্ষক। পুত্রও সেই স্কুলেই চাকরি পেলেন। তবে নিয়ম মেনে পরীক্ষায় পাশ করে নয়। অভিযোগ, এক পাশ করা শিক্ষকের সুপারিশ পত্র জাল করে ‘বাবার স্কুলে’ চাকরি নেন পুত্র। বুধবার ওই ‘শিক্ষকের’ স্কুলে ঢোকা এবং বেতন বন্ধের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর বেঞ্চে শুনানি ছিল মামলাটির। তিনি এই মামলার পরবর্তী শুনানিতে সিআইডির ডিআইজিকে উপস্থিত থাকারও নির্দেশ দিয়েছেন।

মুর্শিদাবাদের সুতির এক নম্বর ব্লকের ঘটনা। সেখানকার গোথা এয়ার স্কুলে শিক্ষকতার চাকরি পান স্কুলের প্রধান শিক্ষকের পুত্র অনিমেষ তিওয়ারি। ‘বাবার স্কুলে’ চাকরি পাওয়ার এই ঘটনাটি নিয়ে অনেকেরই সন্দেহ হয়। দায়ের হয় মামলা। এমনকি, তথ্য জানার অধিকার আইনেও এই নিয়োগ নিয়ে তথ্য জানতে চান অনেকে। তাতেই ধীরে ধীরে পর্দা ওঠে প্রধান শিক্ষকের পুত্রের নিয়োগ-দুর্নীতির। জানা যায়, অনিমেষ ওই স্কুলে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করলেও জেলার স্কুল পরিদর্শকের কাছে তাঁর নামে কোনও নিয়োগপত্রই নেই। শুরু হয় তদন্ত।

নেতাজিতে থাকলেও মহাত্মা গান্ধী নিয়ে দূরত্ব বজায় রাখার অবস্থানে স্থির থাকল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ।সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, ৩০ জানুয়ারি গান্ধী হত‌্যার দিনটিকে দেশে শহিদ দিবস (Shahid Dibas) হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। ওইদিন স্বাধীনতা সংগ্রামের শহিদদের স্মৃতিতে ২ মিনিট নীরবতা পালন করতে রাজ‌্যগুলিকে নির্দেশিকা দিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক (Home Ministry)। তারপরও ২৩ জানুয়ারি নেতাজিকে শ্রদ্ধা জানাতে কলকাতায় সংঘপ্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat) প্রকাশ‌্য সমাবেশ করলেও গান্ধীজির শহিদ দিবসে সংঘের কোনও কর্মসূচি নেই বলে জানিয়েছেন ক্ষেত্রীয় সংঘচালক অজয় নন্দী। তাঁর কথায়, এটি কেন্দ্রের রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত।এবছরও নেতাজি জন্মদিন বিশেষ সমারোহ করে পালন করছে কেন্দ্র। আরএসএসও (RSS) দেশজুড়ে ২৩ জানুয়ারি মহা সমারোহের সঙ্গে পালন করতে চলেছে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১৮

ট্যাগ