ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩ ১৬:০০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ২০ ফেব্রুয়ারি সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • মতামত বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে, বিপদও কি বাড়ল-প্রথম আলো
  • রোহিঙ্গাদের ভাষানচরে স্থানান্তরে জাতিসংঘের সহায়তা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী-ইত্তেফাক
  • চট্টগ্রামে ফের বেপরোয়া কিশোর গ্যাং-যুগান্তর
  • গণতন্ত্রহীনভাবে উন্নয়নকে টেকসই করা যায় না: ড. দেবপ্রিয়-মানবজমিন
  • চীনা অস্ত্র রাশিয়ায় গেলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিক্রিয়া কী হবে? ‘-কালের কণ্ঠ
  • পারমাণবিক অঘটনের ফন্দি আঁটছে ইউক্রেন, অভিযোগ রাশিয়ার-বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালীন আরও গরিব হয়েছেন হিন্দুরা' গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ মুফতির-সংবাদ প্রতিদিন
  • ৪০টি খুন, খুনও হন জেলের মধ্যেই!-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • অ্যাডিনো ভাইরাসের দাপট, মহানগরে ৭ দিনে দুই শিশুর মৃত্যু-গণশক্তি

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

মতামত বাংলাদেশের গুরুত্ব বেড়েছে, বিপদও কি বাড়ল- প্রথম আলোর উপসম্পাদক এ কে এম জাকারিয়া লিখেছেন, দেশের অর্থনীতি এখন চাপের মুখে আছে। সরকার এর দায় কোভিড ও ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার ওপর চাপাতে চায়। সমালোচকেরা অবশ্য মনে করেন, লাগামছাড়া দুর্নীতি ও সরকারের ভুল নীতি পরিস্থিতিকে এতটা শোচনীয় করে তুলেছে। দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতি যা-ই হোক, দেখা যাচ্ছে আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশের গুরুত্ব বাড়ছে।যখন কোনো দেশ দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী শক্তি বা শিবিরের কাছেই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে, তখন দর-কষাকষির ক্ষমতা বাড়ে। তবে তাতে কি বিপদও বাড়ল।

নির্বাচন সামনে রেখে এমন একটি পরিস্থিতি বাংলাদেশ ও এর জনগণের জন্য কতটা স্বস্তিকর? ২০১৪ বা ২০১৮ সালের মতো কিংবা নতুন কোনো কৌশলে আরেকটি একতরফা নির্বাচন কি দেশের জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে? বাংলাদেশ ভূরাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে—একে আমরা উদ্‌যাপন করতে পারি। কিন্তু ভূরাজনীতি যদি দেশের রাজনীতির অন্যতম নিয়ন্ত্রক হয়ে দাঁড়ায়, জনগণ যদি সেখানে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে, তবে তা সত্যিই বিপদের কথা।

গণতন্ত্রহীনভাবে উন্নয়নকে টেকসই করা যায় না: ড. দেবপ্রিয়-দৈনিক মানবজমিন

বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, গণতন্ত্রের ধারণা হলো- কাউকে পেছনে রাখা যাবে না। রাষ্ট্রের দৃষ্টিতে সব নাগরিক সমান। এটি পরিষ্কার- উন্নয়নকে টেকসই করতে গণতন্ত্র দরকার। গণতন্ত্রহীনভাবে উন্নয়নকে টেকসই করা যায় না। এটিকে সুষম করা যায় না। ভারসাম্যপূর্ণভাবে নেয়া যায় না। যখন গণতন্ত্র থাকে না তখন উগ্রবাদ আসে, স্বৈরাচারের আবির্ভাব ঘটে। অনেক ক্ষেত্রে কর্তৃত্ববাদ আসে- নির্বাচিত ও অনির্বাচিতভাবে। কথাগুলো বলছিলেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার পর পলিসি ডায়ালগ-সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। দৈনিক সমকালকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি আরও বলেন, উন্নয়ন ও গণতন্ত্রকে প্রতিস্থাপন শুধু বিভ্রান্তিকর নয়, বিরক্তিকরও।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের আরো উন্নত ভাষানচরে স্থানান্তর করতে বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গুয়েন লুইসের সহায়তা চেয়েছেন। প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম. নজরুল ইসলাম প্রধানমন্ত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন, যেহেতু খুব শিগগির রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর কোনো নিশ্চয়তা নেই, তাই রোহিঙ্গাদের আরো উন্নত ভাষানচরে স্থানান্তর করা উচিত এবং জাতিসংঘ বিষয়ে সহযোগিতা করতে পারে।’ শেখ হাসিনা আরও বলেন, ভাষানচরে উন্নতমানের জীবন যাপন ও রোহিঙ্গা শিশুদের নিজস্ব ভাষায় শিক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, মানবিক কারণে বিপূল সংখ্যক রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে আশ্রয় দেওয়া হলেও তারা এখন বাংলাদেশের জন্য বড় ধরণের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

চট্টগ্রামে ফের বেপরোয়া কিশোর গ্যাং-দৈনিক যুগান্তর পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, চট্টগ্রামে আবারও বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কিশোর গ্যাং। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও গ্যাং সদস্যরা ঘটাচ্ছে নানা অঘটন। খুন, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ এমন কোনো অপকর্ম নেই যা তারা করছে না। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নানামুখী তৎপরতার পরও নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না কিশোর অপরাধীদের। তাদের ভয়ে সাধারণ মানুষ তটস্থ থাকেন। কেননা কিশোর গ্যাং সদস্যদের এসব অপকর্মের মূলে থাকে তাদের কথিত ‘বড়ভাই’। শুধু নগরীতে নয়, কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যরা এখন বিভিন্ন উপজেলায়ও তৎপর রয়েছে। তালিকা করলেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না সিএমপি।

 এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

সংবাদ প্রতিদিনের খবরে লেখা হয়েছে, বিজেপি ক্ষমতায় থাকাকালীন আরও দরিদ্র হয়েছেন হিন্দুরা, এমনই দাবি করলেন জম্মু কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি । তাঁর মতে, কাশ্মীরকে আসলে গবেষণাগার বানিয়ে তুলেছে বিজেপি। হিন্দুদের নিয়ে নানা পরীক্ষানিরীক্ষা চালাচ্ছে গেরুয়া শিবির। তার ফলেই ক্রমশ দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে যাচ্ছেন হিন্দুরা।মুফতি বলেন, “ইউপিএ জমানায় ২৬ কোটি মানুষ দারিদ্র্যসীমার উপরে উঠে এসেছিলেন। কিন্তু বিজেপির সময়ে তাঁদের অবস্থা খারাপ হয়ে আবারও দারিদ্র্যসীমার নীচে নেমে গিয়েছে। তাঁদের সকলেই কি মুসলিম? মোটেই না। বিপুল সংখ্যক হিন্দুর আর্থিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। আসলে গোটা দেশটাই বিক্রি করে দিয়েছে বিজেপি। ব্যাংক, রেল, বিমান পরিষেবা- সবকিছুই বেসরকারি সংস্থার হাতে।

আনিস খুন, একবছর পরও অভিযুক্তরা অধরাই-দৈনিক গণশক্তির এ শিরোনামের খবরে বলা হয়েছে, রবিবার আনিসের খুন হওয়ার এক বছর পূর্ণ হলো।এদিন শহীদ আনিস খানের রুহের মাগফিরাতের জন্য দোয়ার মাহফিল হবে। উল্লেখ্যযোগ্যভাবে, এই ধর্মীয় অনুষ্ঠানের সভায় আনিস খানের হত্যাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও সঠিক বিচারের দাবি জানানো হয়।আনিসের বাবা বলেন, আমার ছেলে আনিসের মৃত্যুর আজ এক বছর পূর্ণ হলো। মমতা ব্যানার্জি বলেছিল, আমি সিট গঠন করেছি। ১৪ দিনের মাথায় আনিস খুনের বিচার পাবে। প্রথম থেকেই আমি সিটের উপর ভরসা রাখতে পারিনি। আমি সিটকে মানি না। আমি মহামান্য হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আমি কোর্ট নজরদারিতে সিবিআই’র দাবি করেছিলাম। সেই সিবিআই’র দাবিতে আমি এখনও অনড়। আমার আইনজীবীরা সেই মতো লড়াই করছেন। তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, এই সিট কীভাবে তদন্ত করবে? যে পুলিশ আমার চোখের সামনে আমাকে বন্দুক ঠেকিয়ে আমার ছেলে আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে খুন করলো, তারপর তারাই প্রথমে বলল পুলিশ যায়নি, তাদের তৈরি সিট কীভাবে সঠিক তদন্ত করবে? কী তদন্ত করেছে সেটা রিপোর্টেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। রিপোর্টে যাদের নাম আছে, যারা গ্রেপ্তার হলো তারা তো এখন বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে। চাকরি করছে। 

এক বছর পরে আনিস হত্যার রাজ্য পুলিশের চার্জশিটে অভিযুক্তরা এখন কোথায়? গণশক্তি

'দলীয় মুখ নিয়ে সংশয়, রাজস্থানে ভোটের আগে অন্তর্দ্বন্দ্ব কং-বিজেপিতে' এ শিরোনামের খবরে দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন লিখেছে, নির্বাচন যত এগিয়ে আসছে রাজস্থানে, রাজনীতির পারদ ততই চড়ছে। রাজস্থানে শাসক কংগ্রেস হোক বা বিরোধী বিজেপি, দু’পক্ষই জেরবার চরম অন্তর্কলহে। একদিকে কংগ্রেসে বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও তরুণ তুর্কি শচীন পাইলটের মধ্যে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে কে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী হবেন, তা নিয়ে ঠান্ডা লড়াই চলছে। অন্যদিকে বিজেপির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া, নাকি বর্তমান রাজ্য বিজেপি সভাপতি সতীশ পুনিয়া, কাকে সামনে রেখে দল নির্বাচনে লড়বে, তা নিয়ে পরিস্থিতি জটিল হচ্ছে।#

 পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২০

ট্যাগ