ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৩ ১৩:৪১ Asia/Dhaka
  • ২১ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত বাংলাদেশ ও ভারতের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবরাখবর

শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি আশরাফুর রহমান। ২১ ফেব্রুয়ারি (মঙ্গলবার) ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। তবে বাংলাদেশের পত্রপত্রিকায় অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের খবরাখবর বিশেষ গুরুত্ব পেয়েছে। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

ঢাকার পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম

  • বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে দেখার আশা কাদেরের: বিডিনিউজ
  • আদালতের প্রতিটি রায় বাংলায় করতে প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে: প্রধান বিচারপতি- ভোরের কাগজ
  • ভাষার মাসে সরকার ভারতীয় সিনেমা আমদানি করে ভাষা শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করছে: নুর –মানবজমিন
  • ভাষাসংগ্রামীদের তালিকা তৈরিতে গাফিলতি, শনাক্তে প্রণয়ন হয়নি সংজ্ঞা: যুগান্তর
  • বিদেশি ঋণের ছাড় ও প্রতিশ্রুতি কমেছে: রিজার্ভ আরও কমার শঙ্কা- দৈনিক বাংলা
  • ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রী নির্যাতন ও নিয়োগ বোর্ড ইস্যুতে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস- ইনকিলাব

কোলকাতার পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ শিরোনাম

  • বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা
  • নয়া শিক্ষানীতিতেও হামলা মাতৃভাষার ওপর: গণশক্তি
  • ১০ মার্চ থেকে মুসলিম দুয়ারে বিজেপি: পূবের কলম
  • ডাইনি তকমা দিয়ে গ্রামছাড়া করা হল প্রৌঢ় দম্পতিকে: আজকাল

বিশ্লেষণের বিষয়

১. মানিকগঞ্জে শহীধ মিনারে ফুল দেয়া নিয়ে যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ। আজকের দিনের এই ঘটনা নিয়ে কী বলবেন আপনি?
২. আইআরজিসি’কে সন্ত্রাসী সংগঠন বলার আইনগত ভিত্তি নেই- একথা বলেছে জার্মানি। আপনার পর্যবেক্ষণ কী?

বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে দেখার আশা কাদেরের : বিডিনিউজ

বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য আবারও এই বিশ্ব সংস্থার কাছে দাবি জানানোর কথা বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

তিনি বলেছেন, “বাংলা ৩৫ কোটি মানুষের মায়ের ভাষা। অথচ এই ভাষা আজ পর্যন্ত জাতিসংঘের দাপ্তিরক ভাষার স্বীকৃতি পায়নি। আমরা আবারও জাতিসংঘের কাছে দাবি জানাব, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালনের পাশাপাশি বাংলাকে যেন জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষায় স্বীকৃতি দেওয়া হয়।”

মঙ্গলবার শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের সকালে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলছিলেন ওবায়দুল কাদের।

আদালতের প্রতিটি রায় বাংলায় করতে প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে: প্রধান বিচারপতি- ভোরের কাগজ

আদালতের প্রতিটি রায় বাংলায় করতে প্রযুক্তি যুক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী। মঙ্গলবার (২১ ফেব্রুয়ারি) সকালে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ভাষা শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, ভাষা অনুবাদে সুপ্রিম কোর্টে নতুন একটি প্রযুক্তি সংযোজিত হয়েছে, সেখানে আমাদের কর্মকর্তারা যে রায়গুলো ইতোমধ্যে লিখেছেন সেগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে অনুবাদ করা হয়, আমরা বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট থেকে প্রকাশিত সব রায় বাংলায় অনুবাদ করা হবে বলে জানিয়ে প্রধান বিচারপতি বলেন, প্রত্যেকটি রায় যাতে অনুবাদ করা যায়, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে নতুন একটি প্রযুক্তি যুক্ত করা হয়েছে। এই প্রযুক্তির মাধ্যমে যেকোন ব্যক্তি, বিচারপ্রার্থী শুধুমাত্র একটি ক্লিকের মাধ্যমে রায় অনুবাদ করে পড়তে পারবেন।

ভাষার মাসে সরকার ভারতীয় সিনেমা আমদানি করে ভাষা শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করছে: নুর -মানবজমিন

গণঅধিকার পরিষদ সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেছেন, ভাষার মাসে সরকার ভারতীয় সিনেমা আমদানি করে ভাষা শহীদদের সঙ্গে বেইমানি করেছে। বাংলা ভাষার জন্য এদেশের মানুষ জীবন দিয়েছে। অথচ সরকার দেশের সংস্কৃতি ধ্বংস করার জন্য ভারতীয় সিনেমা আমদানি করছে। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণঅধিকার পরিষদের পক্ষ থেকে  ফুল দেয়া শেষে গণমাধ্যমে এসব কথা বলেন তিনি।

নুর আরও বলেন, পৃথিবীর কোনো দেশে ভাষার জন্য জীবন দেয়ার ইতিহাস নাই। ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে আমরা এই বাংলা ভাষা পেয়েছি। অথচ আমরা এখনও স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারি না। মানুষের বাকস্বাধীনতা নাই। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নাই। ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যম মুক্ত সাংবাদিকতার পথকে রুদ্ধ করে দিয়েছি এই সরকার।

ভাষাসংগ্রামীদের তালিকা তৈরিতে গাফিলতি, শনাক্তে প্রণয়ন হয়নি সংজ্ঞা: যুগান্তর

সরকারের পর সরকার বদলেছে। পেরিয়ে গেছে কয়েক যুগ। কিন্তু আজও তৈরি হয়নি ভাষাসংগ্রামীদের নামের তালিকা। বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা ‘রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন’-এর সেনানীদের রাষ্ট্রীয়ভাবে চিহ্নিত করা হয়নি।

তালিকা তৈরির জন্য দায়সারা গোছের কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। ৬৮ জন ভাষাসংগ্রামীর নামসংবলিত গেজেটও প্রকাশ হয়েছিল। কিন্তু তালিকার কিছু নাম নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হলে কাজটি স্থগিত করা হয়।

পরে হাইকোর্টের নির্দেশনায় ঢাকাসহ দেশের সব জেলায় কমিটি গঠন করে তালিকা তৈরি করতে বলা হয়। এরপর ১৩টি বছর চলে গেলেও এর অগ্রগতি শূন্য। শুধু তাই নয়, কাদের ভাষাসংগ্রামী বলা হবে অথবা বলা হবে না-এ সংক্রান্ত কোনো ‘নির্ণায়ক’ বা সংজ্ঞা অদ্যাবধি প্রণয়ন হয়নি। দায়িত্বপ্রাপ্তদের চরম গাফিলতির কারণেই মূলত এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের। তাদের মতে, ভাষাসংগ্রামীদের একটি বড় অংশ মানুষের মুখে আর বইয়ের ভাষাতেই আছে। রাষ্ট্রের কোনো স্বীকৃতি তাদের মেলেনি।

বিদেশি ঋণের ছাড় ও প্রতিশ্রুতি কমেছে: রিজার্ভ আরও কমার শঙ্কা- দৈনিক বাংলা

দেশে বিদেশি মুদ্রার সংকটের মধ্যে বিদেশি ঋণের ছাড় ও প্রতিশ্রুতি দুটোই কমেছে। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরের প্রথম সাত মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) উন্নয়ন সহযোগীরা ৪২৫ কোটি ৯৫ লাখ (৪.২৫ বিলিয়ন) ডলার ছাড় করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৯ দশমিক ২ শতাংশ কম। ২০২১-২২ অর্থবছরের এই সাত মাসে ৪৬৯ কোটি ৯ লাখ (৪.৬৯ বিলিয়ন) ডলার অর্থায়ন করেছিলেন দাতারা।

তবে আশার কথা হচ্ছে, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় উন্নয়ন সহযোগী জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) কাছ থেকে প্রত্যাশা অনুযায়ী ঋণ-সহায়তা পাওয়া গেছে। এই সাত মাসে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি- ১০৪ কোটি ৯ লাখ ডলার ছাড় করেছে জাপান। এ হিসাবে দেখা যাচ্ছে আলোচ্য সময়ে মোট বিদেশি ঋণের চার ভাগের এক ভাগ বা ২৫ শতাংশই দিয়েছে জাইকা। পাশাপাশি আগামীতে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য ঋণ দেয়ার প্রতিশ্রুতিও কমিয়েছে দাতারা।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়: ছাত্রী নির্যাতন ও নিয়োগ বোর্ড ইস্যুতে উত্তপ্ত ক্যাম্পাস- ইনকিলাব

ছাত্রলীগ নেত্রীদের হাতে প্রথম বর্ষের ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় এক সপ্তাহ ধরে টক অব দ্য কান্ট্রিতে পরিণত হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি)। এ ঘটনার সঙ্গে নতুন করে উত্তাপ ছড়িয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালামের কণ্ঠসদৃশ সেলফোনের কথোপকথনের অডিও ক্লিপ ফাঁস ও চাকরির দাবিতে আন্দোলন।

গতকাল দিনভর এ দুটি ইস্যুতে ক্যাম্পাস ছিল উত্তপ্ত। ছাত্রী নির্যাতনের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, দেশরত্ন শেখ হাসিনা হল প্রশাসন ও হাইকোর্টের নির্দেশে  কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসনের গঠিত তিন তদন্ত কমিটি গতকাল পৃথকভাবে বিষয়টি নিয়ে কাজ করেছে।

ভারতের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত

বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ, সুপ্রিম কোর্টে চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা

কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন চাকরি হারানো গ্রুপ ডি কর্মীরা। তাঁদের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল হাই কোর্ট। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সেই নির্দেশের পর হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। কিন্তু এখনও রায় ঘোষণা হয়নি। তার মাঝেই চাকরি বাতিলের নির্দেশের বিরুদ্ধে শীর্ষ আদালতে গেলেন কর্মীরা।

এসএসসি দুর্নীতিকাণ্ডে গ্রুপ ডি-তে ১৯১১ জনের চাকরি বাতিল করে দিয়েছিলেন কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই কর্মীদের বেতনও ফেরত দিতে হবে বলে জানিয়েছিলেন তিনি। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে চাকরি হারানো কর্মীরা প্রথমে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সুব্রত তালুকদার এবং বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি হয়। বেতন ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু চাকরি বাতিলের নির্দেশ নিয়ে কোনও রায় আসেনি। শুনানি শেষ হলেও রায়দান স্থগিত রয়েছে ডিভিশন বেঞ্চে।

নয়া শিক্ষানীতিতেও হামলা মাতৃভাষার ওপর: গণশক্তি

২০২০ সালে সংসদে কোনও আলোচনা ছাড়াই নয়া শিক্ষা নীতি পাশ করেছে নরেন্দ্র মোদী সরকার। জাতীয় শিক্ষানীতির ১৩ নম্বর পাতার ৪.১১ পয়েন্টে বলা হয়েছে, পঞ্চম শ্রেণি বা খুব বেশি হলে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত একজন পড়ুয়া নিজের মাতৃভাষা বা স্থানীয় ভাষায় নির্দেশনার মাধ্যমে পড়তে পারবেন। তারপর?  না। মাতৃ ভাষা বা স্থানীয় ভাষায় নির্দেশনার মাধ্যমে পড়ার কোনও সুযোগ থাকবে না। অষ্টম শ্রেণির পর মাতৃ ভাষা শুধুমাত্র একটি ‘ভাষা’ হিসাবে সে পড়তে পারবে, তাও যদি তা সম্ভব হয় তবেই।

ধীরে ধীরে ধাপে ধাপে এই জাল তৈরি করেছে বিজেপি। শিক্ষা নীতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ষষ্ঠ এবং অষ্টম শ্রেণিতে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ট ভারত' নামে একটি  প্রোজেক্ট করতে হবে পড়ুয়াদের। এই প্রজেক্টে বিভিন্ন ভারতীয় ভাষার সাথে সংস্কৃত এবং অন্যান্য ধ্রুপদি ভাষার সঙ্গে যোগসূত্রের  উল্লেখ করতে হবে।

১০ মার্চ থেকে মুসলিম দুয়ারে বিজেপি: পূবের কলম

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ইতিপূর্বে ঘোষণা করেছিলেন পশমন্দা ও বোহরা মুসলিমদের কাছে টানতে হবে। সংখ্যালঘুদের কাছে যেতে হবে এবং তাদের সম্পর্কে কোনও আপত্তিকর মন্তব্য থেকে বিরত থাকতে হবে পার্টি কর্মীদের। প্রধানমন্ত্রীর সেই ঘোষণা মোতাবেক শুরু হচ্ছে বিজেপির মুসলিমদের কাছে যাওয়ার কর্মসূচি। এই কর্মসূচির প্রধান দায়িত্বে রয়েছে বিজেপির সংখ্যালঘু মুসলিম মোর্চা। সারা দেশব্যাপী এই কর্মসূচি পালন করার ঘোষণা দেওয়া হলেও মুসলিম অধ্যুষিত রাজ্যগুলিকেই টার্গেট করা হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে পশ্চিমবাংলা, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, কেরল, মহারাষ্ট্র, তেলেঙ্গানা, তামিলনাড়ু, মধ্যপ্রদেশ, লাদাখ, হরিয়ানা ও দিল্লি। এজন্য জাতীয় স্তরে একটি টিম গঠন করেছে বিজেপি। যেসব অঞ্চলে বা কেন্দ্রে মুসলিমদের সংখ্যা বেশি প্রথমে সেই সব স্থানে যাওয়া হবে।

ডাইনি তকমা দিয়ে গ্রামছাড়া করা হল প্রৌঢ় দম্পতিকে: আজকাল

বিজ্ঞানের যুগেও ডাইনি তকমা দিয়ে গ্রামছাড়া করা হল প্রৌঢ় দম্পতিকে। সচেতনতার অভাব, প্রতিবেশী নাবালিকার জ্বর হওয়ায় ওঝা ডেকে চলল ঝাড়ফুঁক। ওঝার নিদান রোগ নয়, ডাইনি ধরেছে। তার পর সালিশি ডেকে ডাইনি অপবাদ দিয়ে মারধর করে গ্রামছাড়া করা হয় গ্রামের এক প্রৌঢ় দম্পতিকে। চারদিন রেল স্টেশনে কাটানোর পর দম্পতির ঠাঁই হল এক স্কুল শিক্ষকের বাড়িতে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির দাদপুর চক কৃষ্ণপুর গ্রামের বাসিন্দা সনাতন দুর্লভ ও পূর্ণিমা দুর্লভের সঙ্গে। # 

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/২১

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ