কথাবার্তা
বাংলাদেশ ও ভারতের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবর
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ২৩ মার্চ বৃহস্পতিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী -কালের কণ্ঠ
- চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বিভক্ত ইইউ-ইত্তেফাক
- রোহিঙ্গা পাইলট প্রত্যাবাসন মিয়ানমারের ধাপ্পা নয় তো?-প্রথম আলো
- ‘এভাবে দাম বাড়তে থাকলে পথে পথে ভিক্ষা করতে হবে’-যুগান্তর
- গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা কেন, প্রশ্ন এফবিসিসিআই সভাপতির'-মানবজমিন
ভারতের শিরোনাম:
- মুসলিমদের কেন একাধিক বিয়ের অনুমতি? খতিয়ে দেখতে সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়বে শীর্ষ আদালত-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
- ওরা তদ্বির করেছে, আমি পারব না বলেছিলাম’, শুভেন্দু, দিলীপ, সুজনকে নিশানা করে বিস্ফোরক পার্থ -দৈনিক পুবের কলম
- সব মোদিই চোর! বিতর্কিত মন্তব্যে বিপাকে রাহুল, ২ বছরের জেলের সাজা শোনাল আদালত-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
রোহিঙ্গা পাইলট প্রত্যাবাসন মিয়ানমারের ধাপ্পা নয় তো?-প্রথম আলো
বাংলাদেশ, ভারত, চীন ও আসিয়ান দেশগুলোর কূটনীতিকদের রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের প্রস্তুতি দেখাতে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার সর্বশেষ পদক্ষেপটি বেশ চমকপ্রদ। এসব দেশের কূটনীতিকদের ৯ মার্চ রাখাইন রাজ্যের মংডু ও সিতওয়েতে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁদের বলা হয়, মিয়ানমার সরকার দ্রুতই প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু করতে চায়। অবশ্য তারা কোনো তারিখ দেয়নি, কিন্তু হঠাৎ করেই কক্সবাজারে একটি প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছে হাজারখানেকের কিছু বেশি রোহিঙ্গার নাগরিকত্ব যাচাইয়ের জন্য। পরে জানা গেল, এ উদ্যোগের পেছনে চীন সরকারেরও কিছু ভূমিকা আছে এবং ঢাকায় চীনা রাষ্ট্রদূত প্রকাশ্যে এ প্রক্রিয়ায় তাঁর সরকারের সমর্থনের কথা জানিয়েছেন।
প্রশ্ন হচ্ছে, হঠাৎ কেন মিয়ানমারের জান্তা সরকার রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে তাদের সদিচ্ছা দেখাতে এতটা উৎসুক হলো? অনেকের ধারণা, যুক্তরাষ্ট্র সরকার গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবনে জান্তার বিরুদ্ধে শক্তিশালী এবং সমন্বিত বৈশ্বিক পদক্ষেপের মাধ্যমে যে চাপ তৈরি করছে, তা মোকাবিলায় এমন কিছু করা, যাতে সে চাপ কিছুটা কমে। ১ ফেব্রুয়ারি জান্তার ক্ষমতা দখলের দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে, ওয়াশিংটন তার নিষেধাজ্ঞার তালিকা প্রসারিত করেছে এবং ছয় ব্যক্তি এবং তিনটি সত্তাকে অন্তর্ভুক্ত করেছে, যা দেশটির আয় কমানো ও অস্ত্র সংগ্রহ কঠিন করে তুলবে।
গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন: প্রধানমন্ত্রী -কালের কণ্ঠ
২০০৮ সালের নির্বাচনে জয়ী হয়ে একটানা গণতান্ত্রিক ধারা অব্যাহত আছে বলেই আজকের উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২৩ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ৭৫ সাল থেকে গণতন্ত্রের ধারা অব্যাহত থাকতে পারেনি। রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা থাকতে পারেনি। কাজেই বাংলাদেশ সেভাবে এগোতে পারেনি। যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলাদেশকে নিয়ে কী চিন্তা করে সেটি নিয়ে প্রশ্ন ছিল। মুক্তিযুদ্ধের সময় অনেক দেশ আমাদের সমর্থন করেনি। তাদের বক্তব্য ছিল, বাংলাদেশ স্বাধীন হয়ে কী হবে?
শেখ হাসিনা বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের পর করোনার ধাক্কা, এরপর ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে আমাদের দেশের অগ্রযাত্রা কিছুটা ব্যাহত হয়েছে। এরপরও আমরা চেষ্টা করছি অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে। আমরা যা করছি, সব পরিকল্পিতভাবে করছি। আমাদের সরকার সবসময় গবেষণায় জোর দিচ্ছে। বিষয়ভিত্তিক গবেষণায় আমরা জোর দিয়েছি।
‘এভাবে দাম বাড়তে থাকলে পথে পথে ভিক্ষা করতে হবে’-যুগান্তর
রাজধানীর বসন্ধুরা এলাকার জোয়ারসাহারা কাঁচা বাজারে বৃহস্পতিবার বাজার করতে এসেছিলেন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম। বর্তমান বাজার পরিস্থিতি বিষয়ে জানতে চাইলে যুগান্তরকে বলেন, কী আর বলব, যেটাতেই হাত দেই সেটারই দাম বেড়েছে। অল্প কিছু টাকা মাইনে পাই, সেটা দিয়ে কোনোভাবে বেঁচে থাকি। যেভাবে বাজারের দাম ঊর্ধ্বগতি এভাবে বাড়তে থাকলে পথে পথে ভিক্ষা করতে হবে মনে হয়। শুধু নজরুল ইসলাম নয়, বাজার করতে আসা অসংখ্যা ব্যক্তি জানিয়েছেন, কয়েক মাস ধরে গরু ও খাসির মাংস ছোঁয়াই যাচ্ছে না, এমতাবস্থায় মুরগির মাংস দিয়ে প্রোটিনের স্বাদ নেওয়ার চেষ্টা করছিলাম। শুধু আমি নই, মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষও।
মুরগির দাম বাড়তে বাড়তে রমজান সামনে রেখে রেকর্ড গড়েছে। দেশের ইতিহাসে এতো দামে মুরগি বিক্রির নজির নেই। শুধু তাই নয়, মাছের দামও নাগালের বাইরে চলে গেছে। সবজির বাজারেও আগুন। মাংসের পর সবজি ও মাছের এ অসহীয় মূল্যে নাজেহাল নিম্ন আয়ের মানুষ।
চীনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়ে বিভক্ত ইইউ-ইত্তেফাক
চীনকে নিয়ে চিন্তা বেড়েছে ইইউ এর। বিশেষ করে, শি জিনপিংয়ের মস্কো সফরের পর। চীন রাশিয়াকে অস্ত্র দিতে পারে, মনে করছে ইইউ। লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী গ্যাব্রিলিয়াস ল্যান্ডসবার্গিস ডিডাব্লিউকে বলেছেন, 'শি জিনপিং যদি একজন ঘোষিত যুদ্ধাপরাধীর সঙ্গে বন্ধুত্ব বাড়ান, তাহলে আমাদেরও চীনকে নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে।' গত সপ্তাহে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনকে যুদ্ধাপরাধী ঘোষণা করে তার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিমিনাল কোর্ট। তারপর মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা করেছেন শি জিনপিং। লিথুয়ানিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মনে করছেন, চীনের সঙ্গে দ্রুত সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে। যত তাড়াতাড়ি এটা করা হয়, ততই ভালো। তবে ইইউ এর সব সদস্য দেশ এ রকম চরম পদক্ষেপ নেয়ার পক্ষে নয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইইউ এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, গত কয়েক বছরে শি ও পুতিন অন্তত ৪০ বার বৈঠক করেছেন। ফলে এখন শি রাশিয়া গিয়ে পুতিনের পাশে থাকার বার্তা দেবেন সেটাই স্বাভাবিক। ইইউ এর দেশগুলোর সাধারণ মনোভাব হলো, চীন এখন রাশিয়ার দুর্বলতার সুযোগ নিতে চাইছে।
গরুর মাংসের কেজি ৭৫০ টাকা কেন, প্রশ্ন এফবিসিসিআই সভাপতির'-মানবজমিন
গরুর মাংসের দাম নিয়ে প্রশ্ন তুলে এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন বলেছেন, আরব দেশ দুবাই, সেখানে আমদানি করার পরও গরুর মাংসের কেজি ৫০০ টাকা। তাহলে আমাদের কেন ৭৫০ টাকায় কিনতে হবে?
বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে এফবিসিসিআই বোর্ড রুমে এক মতবিনিময় সভায় এ প্রশ্ন তোলেন তিনি। পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি, মজুত, সরবরাহ, বাজার পরিস্থিতি ও বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করতে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ মতবিনিময় সভা হয়।
এফবিসিসিআই সভাপতি বলেন, ব্রয়লার মুরগি এখন ২৮০ টাকা। এখন যদি সরকার মনে করে আমদানি করলে দাম কম পড়বে, তাহলে আমদানি করবে।তিনি বলেন, দুবাইয়ে প্রতি কেজি গরুর মাংস ৫০০ টাকা। কিন্তু দুবাইয়ে গরু উৎপাদন হয় না। তারা আমদানি করে যদি ৫০০ টাকা দিতে পারে তাহলে আমারা উৎপাদন করে কেন এত দামে কিনবো?
মুসলিমদের কেন একাধিক বিয়ের অনুমতি? খতিয়ে দেখতে সাংবিধানিক বেঞ্চ গড়বে শীর্ষ আদালত-দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকা
মুসলিমদের একাধিক বিয়েতে কেন অনুমতি দেওয়া হবে? এই নিয়ে আপত্তি জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জমা পড়েছিল। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, এই নিয়ে আপত্তি খতিয়ে দেখতে সঠিক সময়ে সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করা হবে। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি পিএস নরসিমহা এবং বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালার বেঞ্চে এই পিটিশনটি উত্থাপন করেন আইনজীবী অশ্বিনী উপাধ্যায়। পিটিশন প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘‘সঠিক সময়ে এই নিয়ে সাংবিধানিক বেঞ্চ তৈরি করব।’’
আবেদনপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, যেখানে অন্য ধর্মে একাধিক বিয়ের রীতি নিষিদ্ধ, সেখানে কোনও একটি নির্দিষ্ট ধর্মীয় সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে এই রীতিকে অনুমতি দেওয়া যায় না। এই রীতিকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করার আর্জি জানানো হয়েছে। পাশাপাশি এই ধরনের রীতি মহিলাদের উপর নিপীড়ন বলেও উল্লেখ করা হয়েছে আবেদনপত্রে।
সব মোদিই চোর! বিতর্কিত মন্তব্যে বিপাকে রাহুল, ২ বছরের জেলের সাজা শোনাল আদালত-দৈনিক সংবাদ প্রতিদিন
মোদি’ পদবিধারীদের অবমাননার জের। রাহুল গান্ধীকে ২ বছরের সাজা শোনাল গুজরাটের আদালত। যদিও পরক্ষণেই তাঁকে ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হলে দু’বছরের সাজা হওয়ায় সাংসদ পদ খোয়াতে পারেন প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি।
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের প্রচার চলাকালীন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে (Narendra Modi) টার্গেট করতে গিয়ে একটি বিতর্কিত মন্তব্য করে বসেন রাহুল। তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে মানহানির মামলা দায়ের করেন গুজরাটের এক BJP বিধায়ক। চার বছর ধরে সেই মামলার শুনানি চলছিল সুরাটের আদালতে। বৃহস্পতিবার কংগ্রেস সাংসদকে দোষী সাব্যস্ত করেছে আদালত। তাঁকে দু’বছরের জেলের সাজা শোনানো হয়। যদিও মানহানির মামলা হওয়ায় পরক্ষণেই জামিন পেয়ে যান কংগ্রেস সাংসদ। কিন্তু দু’বছরের সাজা হওয়ায় সাংসদ পদ খোয়াতে হতে পারে রাহুলকে। এটাই বিজেপির আসল লক্ষ্য বলে দাবি কংগ্রেসের।
ওরা তদ্বির করেছে, আমি পারব না বলেছিলাম’, শুভেন্দু, দিলীপ, সুজনকে নিশানা করে বিস্ফোরক পার্থ -দৈনিক পুবের কলম
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় জেলবন্দি পার্থ চট্টোপাধ্যায়। মাঝখানে বেশ কয়েকদিন চুপচাপ থাকার পর ফের আজ বিস্ফোরক পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন পার্থ সাংবাদিকদের সামনে বলেন, যারা এত বড় বড় কথা বলছেন তারা নিজেদের দেখুক আগে। সব জায়গায় তদ্বির করেছে, আমি পারব না বলেছিলাম। কারণ আমি বলেছিলাম আমি নিয়োকর্তা নই। আমি সাহায্য করতে পারব না। শুভেন্দু, দিলীপ, সুজন চক্রবর্তীকে নিশানা করে আদালতে তোলা আগে এইভাবেই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
নিয়োগ দুর্নীতিতে জেলে দিন কাটছে পার্থবাবুর। দল থেকেও সাসপেন্ড হয়েছেন তিনি। যদিও দলের বিরুদ্ধে একটি বারের জন্যও মুখ খোলেননি। প্রতিবারই দলের প্রতি আস্থার কথা তার মুখে শোনা গিয়েছিল।
বৃহস্পতিবার আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় পার্থবাবুকে। সেখানে লকআপ থেকে বেরোনোর সময়ই তিনি বলেন, ‘আমি নিয়োগকর্তা নই। আমি এ ব্যাপারে কোনও সাহায্য তো দূর, কোনো অনৈতিক কাজ করতে পারব না। শুভেন্দু অধিকারীর ১১-১২ সালটা দেখুন না! ডিপিএসসি-তে কী করেছিল, দেখুন না।” এদিকে সুজন চক্রবর্তী ওঁনার (পার্থ চট্টোপাধ্যায়) মাথা খারাপ হয়ে গেছে। তাই এই ধরনের কথা বলছেন।
পার্সটুডে/বাবুল আখতার/২৩
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।