মার্চ ২৫, ২০২৩ ১১:৩০ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ২৫ মার্চ শনিবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • আজ ভয়াল ২৫ শে মার্চ, গণহত্যা দিবস-ইত্তেফাক
  • আজ রাত সাড়ে ১০টায় প্রতীকী ‘ব্ল্যাক আউট’-কালের কণ্ঠ
  • ব্রয়লার কারসাজি দেড় মাসে হাজার কোটি টাকা লুট!-ইত্তেফাক
  • বছর শেষে ফেরত যাচ্ছে বরাদ্দের টাকা-যুগান্তর
  • পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে যে কারণে বাগে আনা যাচ্ছে না বাসের বিপজ্জনক গতি-প্রথম আলো
  • জুলকারনাইন সায়েরের ভাইয়ের ওপর হামলার তদন্ত চায় যুক্তরাষ্ট্র-মানবজমিন
  • আরাভ এখন আমেরিকায়!-বাংলাদেশ প্রতিদিন 
  • মাসে পরামর্শক ব্যয় ২.৪৬ কোটি টাকা-নয়া দিগন্ত

ভারতের শিরোনাম:

  • ‘গান্ধীবাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ - রাহুলের পাশে আমেরিকার কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • রাহুলের সাজা হওয়ার পরই ফিরল ৪৫ বছর পুরনো স্মৃতি -সংবাদ প্রতিদিন
  • বিদ্যুৎ গতিতে খারিজ রাহুলের সাংসদ পদ-গণশক্তি
  • দেশের জন্য যে কোনো মূল্য পরিশোধে প্রস্তুত: রাহুল গান্ধী-এনডিটিভি

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

২৫ শে মার্চের ভয়াল কালোরাত

আজ ভয়াল কালো রাত- আজ এক মিনিট অন্ধকারে থাকবে দেশ-ইত্তেফাক/যুগান্তর/প্রথমআলোসহ প্রায় সব দৈনিকে প্রকাশিত  এ খবরে লেখা হয়েছে, ইতিহাসের নৃশংসতম হত্যাযজ্ঞের ভয়াল ২৫ মার্চের কালরাত আজ, জাতীয় গণহত্যা দিবস। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন নৃশংস হত্যাকাণ্ড দেখেনি বিশ্ব। আবার এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর বাঙালির দৃঢ় প্রতিরোধও অবাক বিস্ময়ে দেখেছে বিশ্ববাসী।

প্রতীকী ব্লাক আউট

২৫ মার্চের কালরাতকে স্মরণীয় রাখতে দেশব্যাপী এক মিনিট নীরবতা পালনের কর্মসূচি নিয়েছে সরকার।শনিবার (২৫ মার্চ) দেশের মানুষ রাত ১০টা ৩০ মিনিট থেকে ১০টা ৩১ মিনিট পর্যন্ত ১ মিনিট সব আলো নিভিয়ে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করবেন।এছাড়া যথাযোগ্য মর্যাদায় জাতীয় গণহত্যা দিবস পালনের লক্ষ্যে আজ জাতীয় পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে।

ব্রয়লার কারসাজি দেড় মাসে হাজার কোটি টাকা লুট!-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, গত কয়েক মাস ধরে দেশের পোলট্রি খাতে চলছে অস্থিরতা। মুরগি ও ডিমের বাজার রীতিমতো লাগামহীন। বাজারে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন মহল থেকে চেষ্টা করা হলেও সুফল পাচ্ছেন না ভোক্তারা। এর মধ্যে আবার প্রান্তিক খামারিরাও অভিযোগ করে আসছেন তারা মুনাফা করতে পারছেন না। সংশ্লিষ্টদের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে উৎপাদন ও বাজার নিয়ন্ত্রণ মূলত একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেটের হাতে। তারাই সবকিছুর নিয়ন্ত্রক।ভোক্তা অধিদপ্তর জানায়, বর্তমানে উৎপাদন খরচের দ্বিগুণ দামে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লার মুরগি। প্রতি কেজি মুরগির উৎপাদন খরচ ১২০-১৩০ টাকা হলেও বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩০০ টাকা।এদিকে সরকারি তদারকি না থাকায় দেশের পোলট্রি খাতে হরিলুট চলছে বলে অভিযোগ করেছে প্রান্তিক খামারিদের সংগঠন বাংলাদেশ পোলট্রি অ্যাসোসিয়েশন। তাদের দাবি, এই খাতের করপোরেট প্রতিষ্ঠানগুলো গত ৫২ দিনে মুরগি ও বাচ্চার দাম বাড়িয়ে ৯৩৬ কোটি টাকা লুটে নিয়েছে।

অর্জিত হয়নি মুদ্রানীতির লক্ষ্য-যুগান্তরের অর্থনীতি বিষয়ক এ খবরে লেখা হয়েছে, বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে মুদ্রানীতির কোনো খাতেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত সময়ে এমন চিত্র পাওয়া গেছে। মূল্যস্ফীতির হার নিয়ন্ত্রণে মুদ্রানীতিকে সংকোচনমুখী করতে গিয়ে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি সংকোচন হয়ে গেছে। এতে বিভিন্ন খাতে চাহিদা কমে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড বেশি মাত্রায় সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে সার্বিক অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের ওপর।

পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে যে কারণে বাগে আনা যাচ্ছে না বাসের বিপজ্জনক গতি-প্রথম আলো

সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ে এ খবরটিতে লেখা হয়েছে, পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়েতে সড়ক দুর্ঘটনা নিয়মিত বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর বেশির ভাগ দুর্ঘটনা বাসের বিপজ্জনক গতির কারণে ঘটছে বলে মাদারীপুর হাইওয়ে পুলিশের ভাষ্য। যদিও এ মহাসড়কে চলাচলকারী গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে স্পিডগান। দ্রুতগতিতে চলাচলকারী গাড়ির বিরুদ্ধে প্রতিদিন মামলা দিয়ে আদায় করা হচ্ছে জরিমানাও। তবু গাড়িগুলোর বিপজ্জনক গতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। নিয়মিত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।দ্রুতগতি ও চালকের অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস দুর্ঘটনার একটি বড় কারণ বলে মনে করেন ফরিদপুর জেলা বিআরটিএর সহকারী পরিচালক এমরান খান।তবে তিনি বলেন, ‘সড়কের বাঁক ও ত্রুটির কারণেও দুর্ঘটনা ঘটছে।

মাসে পরামর্শক ব্যয় ২.৪৬ কোটি টাকা-নয়া দিগন্ত

দেশের গ্রাম আদালতকে সক্রিয় করতেও এখন বিরাট অর্থ ব্যয় হচ্ছে পরামর্শক খাতে। প্রতি মাসে শুধু দুই ধরনের পরামর্শকের পেছনে খরচ হবে গড়ে দুই কোটি ৪৬ লাখ টাকা। মোট খরচ এই খাতে পাঁচ বছরে প্রায় ১২৫ কোটি টাকা। স্থানীয় সরকার প্রকল্প প্রস্তাবনায় বলছে, দেশের সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গ্রামীণ দরিদ্র, প্রান্তিক ও অসহায় জনগোষ্ঠীর আইনের প্রতিকার প্রাপ্তির যথাযথ সুযোগ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ কারণে গ্রামীণ পর্যায়ে জনগণের দোরগোড়ায় বিরোধ নিষ্পত্তির সুবিধা নিশ্চিতকরণের জন্য গ্রাম আদালত আইন, ২০০৬ প্রণয়ন করা হয়। এ আইনের উদ্দেশ্য হচ্ছে পল্লী এলাকার নারী, দরিদ্র এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জন্য স্থানীয়ভাবে দ্রুত ও স্বল্প খরচে বিরোধ নিষ্পত্তি নিশ্চিত করা। কিন্তু নানা সীমাবদ্ধতা ও সক্ষমতার অভাবে গ্রাম আদালত আইনটির সুবিধা গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠী পরিপূর্ণভাবে পাচ্ছে না।

আরাভ এখন আমেরিকায়!-বাংলাদেশ প্রতিদিন

আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম এখন আমেরিকায়!

দুবাইয়ে আলোচিত সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম সংযুক্ত আরব আমিরাত থেকে যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমিয়েছেন বলে গুঞ্জন উঠেছে। পুলিশের আন্তর্জাতিক সংস্থা-ইন্টারপোলের রেড নোটিসে নাম ওঠার ঠিক আগের দিন অর্থাৎ বুধবার রাতে তিনি দুবাই ছাড়েন। আরাভের যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমানোর ক্ষেত্রে দুবাইয়ের শেখ পরিবারের প্রভাবশালী কয়েক ব্যক্তি বিশেষ ভূমিকা রেখেছেন বলেও সূত্রের খবর। এদিকে ইন্টারপোলের নোটিসে কোথাও নেই আরাভ খান। একই সঙ্গে তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া হলেও ঠিকানা দেখাচ্ছে বাগেরহাট। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুবাইয়ে বসবাসরত একজন ব্যবসায়ী বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেছেন, গত বুধবার রাতেই আরাভ আমেরিকা চলে গেছেন। বর্তমানে তিনি ম্যানহাটানে মেহেদী নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে আছেন। বাংলাদেশি আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চাইলেই বিষয়টি যাচাই করে দেখতে পারে।

জানা গেছে, ইন্টারপোলের রেড নোটিসে বাংলাদেশির তালিকায় রবিউল ইসলাম ওরফে রবিউলই দেখানো হচ্ছে। জন্ম তারিখ ১৯৮৭ সালের ১৯ আগস্ট। কোথাও তার নাম আরাভ খান উল্লেখ নেই। যদিও বর্তমানে দেশি ও বিদেশি মিডিয়ার খবরে আরাভ খানই আসছে। আবার ভারতীয় পাসপোর্টে আরাভ খান উল্লেখ থাকলেও ইন্টারপোলে রবিউল নামের সঙ্গে আরাভ নামটি উল্লেখ নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আরাভ এখনো ভারতীয় পাসপোর্ট ব্যবহার করছেন। দুবাইয়ে স্থায়ী বসবাসের জন্য কার্ডেও তিনি আরাভ খান হিসেবে পরিচিত। দেশি-বিদেশি মিডিয়ায়ও আরাভ খান নামটি উঠে এসেছে। আবার ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আরাভের পাসপোর্ট বাতিল করেছে এমন খবর এখনো পাওয়া যায়নি। তাই নোটিসে রবিউলের সঙ্গে আরাভ নামটিও উল্লেখ করা উচিত ছিল।

 এবার ভারতের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

এনডিটিভির খবরে লেখা হয়েছে, দেশের জন্য যে কোনো মূল্য পরিশোধে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন ভারতের কংগ্রেস পার্টির নেতা রাহুল গান্ধী। সাংসদ বাতিলের প্রেক্ষিতে শুক্রবার এমন মন্তব্য করেছেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে কটূক্তির মামলায় দুই বছরের সাজা হয়েছে রাহুলের। ভারতীয় আইন অনুযায়ী এ কারণে খারিজ হয়ে গেছে তার সাংসদ পদ। এ নিয়ে রাহুল বলেন, আমি ভারতের কণ্ঠস্বরের জন্য লড়াই করছি। এ জন্য যে মূল্য আমাকে দিতে হবে, আমি প্রস্তুত। কংগ্রেস দাবি করেছে, সরকারকে প্রবল চাপে ফেলার কারণেই রাহুলকে ‘ষড়যন্ত্রের’ শিকার হতে হচ্ছে। অপরদিকে বিজেপি এই রায়কে আইনসম্মত বলে স্বাগত জানিয়েছে।

রাহুলের সাজা হওয়ার পরই ফিরল ৪৫ বছর পুরনো স্মৃতি-সংবাদ প্রতিদিন

ব্রিটিশ ভারতে স্বাধীনতা আন্দোলনকারী হিসাবে জওহরলাল নেহরুর জেলযাত্রার ইতিহাস রয়েছে। জেলে গিয়েছিলেন ঠাকুমা ইন্দিরা গান্ধীও। তবে তার প্রেক্ষিত ছিল অন‌্য। সুরাতের আদালত রাহুল গান্ধীকে কারাদণ্ড দিতেই সাতের দশকের সেই আলোচনা ফের রাজনৈতিক মহল থেকে আমজনতার আড্ডায় উঠে আসছে। প্রসঙ্গত, স্বাধীন ভারতে ইন্দিরা গান্ধীই প্রথম ব‌্যক্তি যিনি প্রধানমন্ত্রী পদে থেকেও জেলে গিয়েছিলেন।

রাহুল গান্ধী ও  মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রো খান্না

দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, মানহানির মামলায় দু’বছরের জেল যাত্রার শাস্তি। খারিজ হয়ে গিয়েছে প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর (Rahul Gandhi) সাংসদ পদও। যা নিয়ে দেশের অন্দরে তো বটেই দেশের বাইরেও সোচ্চার কংগ্রেস। রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিরুদ্ধে সরব আমেরিকার কংগ্রেসের ভারতীয় বংশোদ্ভূত সদস্য রো খান্না। এই পদক্ষেপকে ‘গান্ধীবাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা’ বলে ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। খান্না টুইট করেন, ‘‘রাহুল গান্ধীকে সাংসদ পদ থেকে বরখাস্তের ঘটনা গান্ধীবাদী দর্শন এবং ভারতীয় মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা।

আর গণশক্তির শিরোনাম এরকম, বিদ্যুৎ গতিতে খারিজ রাহুলের সাংসদ পদ। বিস্তারিত খবরে এ যেন সুরাট-দিল্লি বুলেট ট্রেন। বৃহস্পতিবার রায়, সাজা ঘোষণা। আর শুক্রবারই কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ খারিজের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়ে গেল লোকসভা থেকে। উচ্চতর আদালতে আপিল, রায় পুনর্বিবেচনার সময়— এসব কিছুই নয়। চিত্রনাট্য তৈরিই ছিল। দুরন্ত গতিতে তা কেবল মঞ্চস্থ হওয়ারই ছিল। তা মেনেই এদিন মধ্যাহ্নভোজের পর থেকেই রাহুল গান্ধী আর সংসদে নেই। লন্ডনে তাঁর ভাষণ নিয়ে সাফাই, আদানি কাণ্ডে যৌথ সংসদীয় কমিটি গঠন কোনও বক্তব্য, কোনও দাবিই আর তিনি রাখতে পারছেন না লোকসভায় দাঁড়িয়ে। কংগ্রেসের বর্ষীয়ান নেতা থেকে আইনি বিশেষজ্ঞদের অনেকেই খোলসা করে দিয়েছে একটা সুগভীর ষড়যন্ত্রের দিনলিপি। একদিকে শাসক দলই হল্লা তুলে সংসদের অধিবেশন বানচাল করে দেওয়া, সঙ্গে আড়ালে চলছিল রাহুলের মুখ বন্ধ করার কৌশল।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৫

  • বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।

ট্যাগ