এপ্রিল ০৫, ২০২৩ ১৮:০৭ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ৫ এপ্রিল বুধবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • বঙ্গবাজারে আছে শুধু ছাই, মানুষের ভিড় কমছে না-প্রথম আলো
  • মার্চে সড়ক দুর্ঘটনায় ৫৩৮ নিহত, আহত ১১৩৮-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগ সভাপতি-ইত্তেফাক
  • বঙ্গবাজারে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সহায়তার প্রতিশ্রুতি প্রধানমন্ত্রীর-যুগান্তর
  • কিছু লোকের বাধার কারণে বঙ্গবাজারে পরিকল্পিত মার্কেট করা যায়নি: প্রধানমন্ত্রী-মানবজমিন
  • জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনা তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের-মানবজমিন
  • রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • এজলাসে হাত জোড় করে মানিক বিচারপতিকে বললেন, ‘আমি সত্যিটাই বলতে চাই-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • ‘অরুণাচল চিনেরই অংশ’, ভারতের দাবি উড়িয়ে সংঘাতের পথে জিনপিং-সংবাদ প্রতিদিন
  • মেহনতীর জোট জোরালো করার ডাক-গণশক্তি

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

 বঙ্গবাজার ট্রাজেডির ফলোআপ খবর আজকের প্রায়সবগুলো জাতীয় দৈনিকে প্রধান হিসেবে পরিবেশিত হয়েছে। 

বঙ্গবাজারে আছে শুধু ছাই, মানুষের ভিড় কমছে না-প্রথম আলো

আদর্শ, মহানগরী, গুলিস্তান ও বঙ্গ হকার্স—এই চার মার্কেট নিয়ে ছিল বঙ্গবাজার। গতকাল মঙ্গলবারের আগুনে ঢাকার এই জনপ্রিয় কাপড়ের মার্কেট পুরোপুরি পুড়ে মাটিতে মিশে গেছে। সারি সারি দোকানের পরিবর্তে এখন সেখানে পড়ে আছে কয়লা। সঙ্গে আছে পোড়া কাঠ, টিন ও লোহালক্কর।

বঙ্গবাজার ট্রাজেডি

এই ধ্বংসস্তূপে আধপোড়া পোশাকও আছে। বিক্রয়যোগ্য কোনো কাপড় পাওয়ার সম্ভাবনাই নেই। তবুও যদি কিছু অক্ষত মেলে—এই আশায় আংশিক পোড়া কাপড়চোপড় হাতরে দেখছেন অনেক ব্যবসায়ী। পোড়া টিন, সাটার উল্টেপাল্টেও দেখছিলেন কেউ কেউ।আজ বুধবার সকালে বঙ্গবাজারের ধ্বংসস্তূপে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।

বঙ্গবাজারের পাশের অ্যানেক্স টাওয়ার থেকে ধোঁয়া বের হচ্ছে। ব্যবসায়ীদের সেই ভবন থেকে নিজেদের মালপত্র সরিয়ে নিতে দেখা যায় আজ।আগুনে সব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। সরকার সাহায্য না করলে ঘুরে দাঁড়ানো সম্ভব হবে না।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি অনেক মানুষ ধ্বংসস্তূপে এসেছেন। তাঁরা পুড়ে যাওয়া টিন, লোহা, সাটার ভাঙারি পণ্য হিসেবে বিক্রির জন্য নিয়ে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আধপোড়া কাপড়চোপড়ও কুড়াচ্ছেন।বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হচ্ছে। ব্যবসায়ীরা সারিতে দাঁড়িয়ে তালিকায় নিজের নাম দিচ্ছিলেন দুপুর ১২টার দিকে।অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সহায়–সম্বল হারানো, পথে বসা ব্যবসায়ীরা সহযোগিতার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানিয়ে মানববন্ধন করেছেন। মানববন্ধন হয়েছে বঙ্গবাজার কমপ্লেক্স ব্যবসায়ী সমিতির ব্যানারে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (ফাইল ফটো)

কিছু লোকের বাধার কারণে বঙ্গবাজারে পরিকল্পিত মার্কেট করা যায়নি: প্রধানমন্ত্রী-মানবজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে অত্যন্ত দুঃখজনক বলে আখ্যায়িত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ঈদের আগে রমজান মাসে এতগুলোর মানুষের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে, ক্ষতিগ্রস্ত মানুষগুলোর কান্না সহ্য করার মতো নয়।কিছু মানুষের বাধার কারণে বঙ্গবাজারে সুপরিকল্পিত মার্কেট করা যায়নি মন্তব্য করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবচেয়ে কষ্ট লাগে বঙ্গবাজারে একবার ১৯৯৫ সালে আগুন লাগে। এরপর ২০১৮ সালে আবার আগুন লাগে। তারপর আমরা এখানে সুপরিকল্পিত মার্কেট করবার প্রকল্প গ্রহণ করি। তখন বেশ কিছু লোক বাধা দেয়। শুধু বাধা নয়, একটা রিটও করে। এবং হাইকোর্ট এটাকে স্থগিত করে দেয়। সে সময় যদি এটা স্থগিত না করতো, তাহলে আমরা এখানে একটা ভালো মার্কেট তৈরি করে দিতে পারতাম।এই ধরনের ভয়াবহ দুর্ঘটনা তাহলে আর ঘটতো না ঈদের আগে। 

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের অনুদান দেয়ার আশ্বাস দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিমধ্যে বলে দিয়েছি আমরা যতটুকু পারি ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সাহায্য করবো। এবং কার কী রকম ক্ষতি হয়েছে তা আমরা দেখবো।

রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেট চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-কালের কণ্ঠের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত জায়গাটি যাতে আধুনিক ও নিরাপদ মার্কেট হতে পারে সিটি করপোরেশন সে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেছেন, এ ছাড়া রাজধানীর ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আজ বুধবার (৫ এপ্রিল) বেলা ৩টার দিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

রাজনীতির খবর-প্রথম আলোতে প্রকাশিত একটি মতামত কলামের শিরোনাম এরকম-

ব্যালটে ভোট হবে

তবে কি ইভিএমের বদলে ‘স্মার্ট ইলেকশন’? লেখক –গবেষক মহিউদ্দিন আহমেদ। তিনি তার এ কলামে লিখেছেন, অনেক নাটকের পর নির্বাচন কমিশন জানাল, ভোট হবে ব্যালটে। ইভিএম আপাতত বাদ। ইভিএম নিয়ে শুরু থেকেই ভিন্নমত ছিল। কয়েকটি দল সরাসরি আপত্তি জানিয়েছিল। তারপরও নির্বাচন কমিশন ইভিএমের পক্ষে ছিল। কমিশন কয়েকজন ‘বিশেষজ্ঞ’কে দিয়ে আশ্বস্ত করারও চেষ্টা করেছিল, ইভিএমের প্রযুক্তিতে কোনো সমস্যা নেই।গত বছর মে মাসে নির্বাচন কমিশনার আনিছুর রহমান মাদারীপুরে এক অনুষ্ঠানে বলেছিলেন, ‘কেউ যদি ইভিএমে কোনো ভুলত্রুটি ধরতে পারেন, তার জন্য আমাদের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ১০ মিলিয়ন ডলার (১০০ কোটি টাকার বেশি) পুরস্কার দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন’।

ইভিএম নিয়ে সিদ্ধান্ত পাল্টানোর ব্যাপারে কমিশনের সচিব জানিয়েছেন, তিনি এর প্রেক্ষাপট জানেন না। তবে তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ইভিএমের টাকা দিতে অস্বীকার করেছে।

আমরা গরিব—এটা বলতে ইজ্জতে লাগে। বিশ্বব্যাংকের ভাষায় আমরা বলি উন্নয়নশীল। আমাদের সম্পদ সীমিত। চাহিদা অসীম। কোভিডের ঝাপটায় এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের উত্তাপে আমাদের ভাঁড়ারে টান পড়েছে। হু হু করে বেড়েছে ডলারের দাম। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমছে। দেনা পরিশোধের পরিমাণ বাড়ছে। সেই সঙ্গে ঊর্ধ্বগামী হয়েছে মূল্যস্ফীতি। নাগরিকেরা জেরবার। ওএমএসের ট্রাকের পেছনে ক্রেতার লাইন দীর্ঘতর হচ্ছে।

এ অবস্থায় এত টাকা খরচ করে মেশিন কেনার চিন্তা তুঘলকি কাণ্ড বলে মনে হয়েছিল। তা-ও আবার ১৫০ আসনে ইভিএম দিয়ে নির্বাচন করার পরিকল্পনা। ব্যালটের চেয়ে ইভিএম অধিকতর নিরাপদ ও সুরক্ষিত হলে বাকি ১৫০ আসনের নির্বাচন কি তাহলে অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে থাকত?

ইভিএম বাদ দিয়ে ব্যালটে ভোট নেওয়ার সিদ্ধান্তে বরফ বেশি গলেনি। মূল প্রশ্নটি রয়ে গেছে অমীমাংসিত। নির্বাচনের সময় সরকারের ভূমিকা কেমন হবে। সরকার আর রাষ্ট্র তো একাকার। সরকারের সঙ্গে আছে তার প্রশাসন। কোনো একটি ভোটকেন্দ্রে কেউ যদি ব্যালট বাক্স মাথায় নিয়ে দৌড় দেয়, নির্বাচন কমিশন তাকে কীভাবে ঠেকাবে? হ্যাঁ, টেলিফোনে কমিশনের জেলা বা উপজেলা প্রতিনিধির পাঠানোর বার্তা দেখে কমিশন ঢাকায় বসে সিদ্ধান্ত নেবে।

ক্ষমতাসীন দল ও তার কতিপয় জোটসঙ্গী ইভিএমে নির্বাচন চেয়েছিল। কয়েকটি দল চায়নি। কমিশনের অবস্থান ছিল ক্ষমতাসীন দলের অনুরূপ। এখন কমিশন বলছে, নির্বাচন হবে পুরোনো পদ্ধতিতে, ব্যালট পেপার ব্যবহার করে। আমার মনে হয়, এটা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। কমিশন এটা মুখে না বললেও বোঝা যায়। দেশের অর্থনৈতিক অবস্থা গতকাল হঠাৎ করে খারাপ হয়ে যায়নি।

কয়েক বছর ধরেই এ প্রবণতা দেখা গেছে। তা না হলে আমরা আইএমএফের কাছে ধরনা দেব কেন? সরকার বাস্তব অবস্থা বিবেচনা করেই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মনে হয়। তবে সরকারের কেউ এটা বলবে না। নির্বাচন কমিশনও এটা স্বীকার করবে না। তা না হলে লোকে মনে করবে, কমিশন স্বাধীন নয়, সরকারের ইচ্ছায় চলে।

আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক মনে করেন, ব্যালটে না ইভিএমে ভোট হলো, সেটা বিষয় নয়। নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হওয়াটাই মুখ্য বিষয়। বিশ্বে যে অর্থনৈতিক সংকট চলছে, তার প্রভাব বাংলাদেশেও পড়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে এবং বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে ইসি প্রচলিত ব্যালটে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অর্থাৎ আওয়ামী লীগ আগের অবস্থানে অনড় নয়। তারা চায় একটা অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন।

আওয়ামী লীগ যা চায়, অন্যান্য দলও তা-ই চায়। ভালো নির্বাচন কে না চায়! বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘নির্দলীয় সরকারের অধীন নির্বাচনের দাবি আমরা করে আসছি। নির্বাচনকালীন সরকারব্যবস্থা কী হবে, সেটাই আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। ফলে ইভিএম না ব্যালট—কোন মাধ্যমে ভোট হবে, সেটিকে আমরা গুরুত্ব দিতে চাই না।’ বিএনপির এ অবস্থান শুরু থেকেই ছিল। তাদের মাথাব্যথা নির্বাচনকালীন সরকার নিয়ে, ইভিএম নিয়ে নয়।

তাহলে অবস্থা কী দাঁড়াল? নির্বাচনের মাঠে বড় খেলোয়াড় হলো আওয়ামী লীগ আর বিএনপি। একটি দল মনে করে, বর্তমান সরকারের অধীন ভালো নির্বাচন সম্ভব। কারণ, নির্বাচন হবে স্বাধীন নির্বাচন কমিশনের অধীন। আওয়ামী লীগের সব স্তরের নেতা-কর্মীরা অবশ্য বলেই যাচ্ছেন, শেখ হাসিনার অধীনই নির্বাচন হবে।

বিএনপি অনেক দিন ধরেই নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলে আসছে। তারা মনে করে, ক্ষমতাসীন দলের অধীনে নির্বাচন হলে তাদের খুব একটা সুবিধা হবে না। ২০১৮ সালের নির্বাচনে গিয়ে তারা এটা ভালোভাবেই বুঝেছে। তারা দ্বিতীয়বার ‘আত্মহত্যা’ করতে রাজি হবে কি? সহজ অঙ্ক বলে, হবে না। তখন অন্য খেলা হতে পারে।

নির্বাচনের দেরি আছে আর মাত্র ৯ মাস। এই ৯ মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন হবে শুধু কৌশলের খেলা। সামনের দিনগুলোতে অনেক ঘটনা ঘটবে। চেনা-অচেনা অনেকেই মাঠে নেমে যাবে। কার হাতে কী অস্ত্র বা জাদু আছে, আমরা জানি না। এ ধরনের অনিশ্চিত অবস্থায় পূর্বাভাস দেওয়া যায় না।

প্রথম আলোর অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, শুধু গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে নয়, সবাইকে নিয়ে ঘোষণাপত্র দিতে চায় বিএনপি।এককভাবে গণতন্ত্র মঞ্চের সঙ্গে বিএনপির যৌথ ঘোষণাপত্র দেওয়ার ব্যাপারে আপত্তি তুলেছে অন্য শরিকেরা।

মানবজমিনের খবরে লেখা হয়েছে, নওগাঁয় র‌্যাব হেফাজতে সুলতানা জেসমিনের মৃত্যুর ঘটনায় উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। জড়িত র‌্যাব সদস্যদের সরিয়ে দিতেও নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। বুধবার এ বিষয়ে এক আবেদনের শুনানি করে বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মাহবুব উল ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

‘অরুণাচল চিনেরই অংশ’, ভারতের দাবি উড়িয়ে সংঘাতের পথে জিনপিং-সংবাদ প্রতিদিন

অরুণাচল প্রদেশ নিয়ে সংঘাতের পথে ভারত -চীন

অরুণাচল প্রদেশ (Arunachal Pradesh) চিনেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই ওই অঞ্চলের নামকরণ করার অধিকার রয়েছে চিনের (China)। এমনই বিবৃতি দিলেন চিনা বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং। প্রসঙ্গত, রবিবারেই অরুণাচল প্রদেশের ১১টি অঞ্চলের নাম প্রকাশ করে বিবৃতি জারি করে চিনের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এহেন আচরণের তীব্র নিন্দা করে পালটা মুখ খোলে ভারতও। তার পরের দিনই ফের এই বিষয় নিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করল চিন।

মাও নিং

মঙ্গলবারই ভারতের তরফে জানানো হয়, অরুণাচল প্রদেশ ভারতের অংশ। সেই অঞ্চল নিয়ে চিনের এহেন আচরণ প্রত্যাখ্যান করছে ভারত। তারপরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র মাও নিং। সাফ জানিয়ে দেন, “জাংনান চিনেরই অবিচ্ছেদ্য অংশ। তাই প্রশাসনিক কাজের সুবিধার জন্য চিনের সরকার কয়েকটি এলাকার নামকরণ করেছে। সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসাবে এই কাজ করার অধিকার রয়েছে চিনের।” প্রসঙ্গত, অরুণাচল প্রদেশকে জাংনান বলেই উল্লেখ করে চিন। 

পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ, মোদির সফরের আগেই গ্রেপ্তার তেলেঙ্গানার BJP রাজ্য সভাপতি-সংবাদ প্রতিদিন

বন্দি সঞ্জয় কুমার

গভীর রাতে নিজের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন তেলেঙ্গানা (Telengana) বিজেপির রাজ্য সভাপতি (BJP President) তথা বিজেপি সাংসদ বন্দি সঞ্জয় কুমার (Bandi Sanjay Kumar)। পুলিশের দাবি, দশম শ্রেণির বোর্ড পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস কাণ্ডে প্রথমে আটক করা হলেও পরে গ্রেপ্তার করা হয়েছে গেরুয়া নেতাকে। যদিও বিজেপি সভাপতির অভিযোগ, রাজ্য সরকারের সমালোচনা করেছিলেন বলেই তাঁর বিরুদ্ধে দমনমূলক পদক্ষেপ হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (PM Narendra Modi) তেলেঙ্গানা সফরের আগেভাগে জোর শোরগোল তেলঙ্গানার রাজ্য রাজনীতিতে। সকাল থেকে মিছিলের স্রোত দিল্লির রাস্তায়। বুধবার, ৫ এপ্রিল, মজদুর কিষান সংঘর্ষ মিছিলে পথ হাঁটছেন সারা দেশের মেহনতী জনতা। 

মজুরির অধিকার, ফসলের ন্যায্য মূল্যের অধিকার, রেগার কাজ এবং মজুরির অধিকারের দাবিতে এই কর্মসূচি। 

সিআইটিইউ, সারা ভারত কৃষক সভা, সারা ভারত খেত মজুর ইউনিয়নের ডাকে রামলীলা ময়দানে শুরু সমাবেশ।

রামলীলা ময়দান

গণশক্তি পত্রিকার খবর- ভরে গেছে দিল্লির রামলীলা ময়দান। দেশজুড়ে ডবল ইঞ্জিন সরকারের প্রচার করছে বিজেপি। শোষণ আর দমন চাপাচ্ছে ডবল ইঞ্জিন। এই অন্যায় রুখতে পারে, রুখছে এবং রুখবে শ্রমজীবীর ট্রিপল ইঞ্জিন। লোকসভা ভোটে বিজেপি'কে পরাজিত করার আহ্বানে এই মর্মে লক্ষ্য জানিয়েছে দিল্লির রামলীলা ময়দানের সমাবেশ। সারা ভারত খেতমজুর ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক বি ভেঙ্কট বলেছেন, “ডবল ইঞ্জিন তিন রকমের। আদানি, আম্বানি, মোদী, শাহ, কর্পোরেটহিন্দুত্ব। আর শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর যারা উৎপাদন করে, যাদের জন্য বাজেটে বরাদ্দ কেড়ে নেওয়া হয়, তারাই প্রতিরোধের ট্রিপল ইঞ্জিন।”

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখা হয়েছে, বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যের সঙ্গে কথা হল কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। আইনজীবীরা জানিয়েছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে প্রশ্ন করতে চেয়েছেন বিচারপতি। এজলাসে হাত জোড় করে মানিক বিচারপতিকে বললেন, ‘আমি সত্যিটাই বলতে চাই, সত্য সহজ এবং সত্য সুন্দর।

দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, সিবিআই, ইডির ‘অপব্যবহার’ নিয়ে ১৪ দলের আর্জি খারিজ করে বলল সুপ্রিম কোর্ট। ইডি এবং সিবিআইয়ের মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার অপব্যবহার নিয়ে নরেন্দ্র মোদী সরকারে বিরুদ্ধে ১৪টি বিরোধী দলের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৫

ট্যাগ