এপ্রিল ১০, ২০২৩ ১১:০৪ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ১০ এপ্রিল সোমবারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • মোমেন-ব্লিঙ্কেন বৈঠক আজ সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকার আলোচনায় গুরুত্ব পাবে-প্রথম আলো
  • স্বর্ণ চোরাচালানের মূল হোতা দোলন ধরাছোঁয়ার বাইরে-বাংলাদেশ প্রতিদিন
  • নির্বাচন বানচাল ও রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র চলছে-ইত্তেফাক
  • বৈশ্বিক মন্দা মোকাবিলায় বাংলাদেশ বাড়তি ঋণ পাবে-যুগান্তর
  • প্রাইমারিতে বায়োমেট্রিক হাজিরা ৬৩ কোটি টাকা গচ্চা-মানবজমিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • সংক্রান্তিতে কেষ্টর জেলায় অমিত, পয়লা বৈশাখে দক্ষিণেশ্বর, জোড়া কর্মসূচির প্রস্তুতি নিচ্ছে বিজেপি-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • BBC সরকার পোষিত সংস্থা’, সংবাদসংস্থার টুইটার বায়ো ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক-সংবাদ প্রতিদিন
  • অশান্তি হবে জেনেও রাজ্য ব্যবস্থা নেয়নি কেন, ক্ষোভ বিমান বসুর -গণশক্তি

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

মোমেন-ব্লিঙ্কেন বৈঠক আজ  সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকার আলোচনায় গুরুত্ব পাবে প্রথম আলোমোমেন-ব্লিঙ্কেন বৈঠক আজ// মানবজমিন/প্রথম আলো

সুষ্ঠু নির্বাচন ও মানবাধিকার আলোচনায় গুরুত্ব পাবে

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে নির্বাচন, মানবাধিকার এবং সুশাসনের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম বন্ধের প্রসঙ্গ আলোচনায় আসতে পারে।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠকে নির্বাচন, মানবাধিকার এবং সুশাসনের পাশাপাশি বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম বন্ধের প্রসঙ্গ আলোচনায় আসতে পারে।

বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। নিজেদের এমন প্রত্যাশার কথা সাম্প্রতিক সময়ে বারবার বলেছে দেশটি। এমনকি বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে গত ২৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যে শুভেচ্ছাবার্তা দিয়েছেন, সেখানেও সুষ্ঠু নির্বাচনের পাশাপাশি মানবাধিকার সুরক্ষার বিষয়টি উল্লেখ করেছেন। এমন পরিস্থিতিতে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের যে বৈঠক হতে যাচ্ছে, সেখানেও নির্বাচন এবং মানবাধিকার সমুন্নত রাখার মতো বিষয়গুলো গুরুত্ব পাবে বলে ঢাকা এবং ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক সূত্রগুলো থেকে জানা গেছে।

আজ সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হতে যাচ্ছে। ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় দুপুরে এই বৈঠক হবে। এর আগে গত বছরের ৪ এপ্রিল দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তিতে ওয়াশিংটনে দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক হয়েছিল।

নির্বাচন বানচাল ও রাষ্ট্রকে ব্যর্থ করতে ষড়যন্ত্র চলছে-ইত্তেফাক

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে দেশে-বিদেশে নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে বলে মন্তব্য করেছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা, মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছেন, নির্বাচন বানচাল করে বাংলাদেশকে একটি ব্যর্থ ও অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার চক্রান্ত চলছে। মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতাবিরোধীরা এই চক্রান্তে জড়িত। বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের ৫০ বছর পূর্তি ‘সুবর্ণজয়ন্তী’ উপলক্ষ্যে চলমান বিশেষ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উত্থাপিত সাধারণ প্রস্তাবের ওপর গতকাল রবিবার সংসদে আলোচনায় অংশ নিয়ে তারা এ কথা বলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিএনপির সামনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জ-যুগান্তর

নির্বাচনকালীন সরকার প্রতিষ্ঠা, জোটগতভাবে ভোট, আসন ভাগাভাগি, দল ও জোটের ঐক্য ধরে রাখা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে বহুমুখী চ্যালেঞ্জে মাঠের বিরোধী দল বিএনপি। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায়। সে লক্ষ্যে চূড়ান্ত আন্দোলনের পরিকল্পনা রয়েছে দলটির। এবার সফলতার বিকল্প ভাবছে না। তবে কোনো কারণে ব্যর্থ হলে দলটির করণীয় কী হবে, সেই প্রশ্নও সামনে আসছে। এছাড়া যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো নিয়ে জোটগতভাবে নির্বাচনে অংশ নেওয়া না নেওয়া, নানা প্রলোভন ও চাপের মধ্যে আন্দোলনে শরিকদের ধরে রাখা কঠিন কাজ বলে মনে করছেন নেতারা। এছাড়া আসন ভাগাভাগি, যোগ্যদের মনোনয়ন দেওয়া, দল ও জোটের ঐক্য ধরে রাখাও বিএনপির অন্যতম চ্যালেঞ্জ।

অর্থনীতি  বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার কোন ১০ দেশে-প্রথম আলোতে পরিবেশিত এ খবরে লেখা হয়েছে, দুবাইয়ের আরাভ-কাণ্ডের পর সবার মনে এখন একটাই প্রশ্ন, স্বর্ণ ব্যবসা করতে যে বিপুল পরিমাণ অর্থের দরকার হয়, তা তিনি পেলেন কীভাবে। এত অল্প সময়ে তিনি বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন, নাকি সবই বাংলাদেশ থেকে পাচার হওয়া। আরাভ খান খুনের মামলা মাথায় নিয়ে ভারত হয়ে তারপর দুবাই গেছেন। একইভাবে আর্থিক খাতের কেলেঙ্কারির অন্যতম নায়ক প্রশান্ত কুমার হালদার বাংলাদেশ থেকে পালিয়ে ভারত গিয়েছিলেন। সেখানে অবশ্য তিনি পুলিশের হাতে ধরা পড়েছেন। সন্দেহ নেই, ভারতে যে বিপুল সম্পদের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে, তা বাংলাদেশ থেকে পাচার করা অর্থ দিয়েই কেনা। সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বাংলাদেশ থেকে যে প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়, এই বক্তব্যের আসলেই সত্যতা আছে।

এবার দুবাই প্রসঙ্গ। ‘মাফিয়াপ্রধান’ বা ‘আন্ডারগ্রাউন্ড ডন’ দুবাই বসে অন্য দেশের অপরাধী দল চালাচ্ছেন, নাশকতার পরিকল্পনা করছেন, সিনেমায় সচরাচর এটা দেখা যায়। এরও সত্যতা আছে। আর কয়েক বছর ধরেই বলা হচ্ছে, অপরাধীদের নতুন আশ্রয়স্থল এবং অবৈধ অর্থ লেনদেনের জায়গা হিসেবে দ্রুত জনপ্রিয় হচ্ছে দুবাই। এ নিয়ে বেশ কিছু গবেষণা ও অনুসন্ধানী প্রতিবেদনও হয়েছে।

প্রশ্ন হচ্ছে, বাংলাদেশিদের কাছে দুবাই কতটা জনপ্রিয়। অথবা বাংলাদেশ থেকে যে বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়, তার মূল গন্তব্যস্থল কোথায়। মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় সরকারকে আন্তর্জাতিক বিধিবিধান অনুযায়ী একটি কৌশলপত্র তৈরি করতে হয়। এখন পর্যন্ত এ রকম দুই কৌশলপত্র তৈরি করা হয়েছে। ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজি ফর প্রিভেনশন অব মানি লন্ডারিং অ্যান্ড কমব্যাটিং ফাইন্যান্স অব টেররিজম নামের প্রথম কৌশলপত্রটি ছিল ২০১৫-১৯ সময়ের জন্য। আর পরেরটি ২০১৯-২১ সময়ের। সর্বশেষ কৌশলপত্রেই বাংলাদেশ থেকে সবচেয়ে বেশি অর্থ পাচার, এ রকম ১০টি দেশ বা অঞ্চলের নাম দেওয়া হয়েছে। নতুন কৌশলপত্র এখনো তৈরি করা হয়নি।

মানি লন্ডারিং আসলে কী

অর্থ পাচার বা অর্থের সব ধরনের অবৈধ ও অপব্যবহার বন্ধে যদিও একটি আইন আছে। তবে তা এখনো কার্যকর কিছু করে দেখাতে পারেনি। আর এই আইনের নাম হচ্ছে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন। মূলত মুদ্রার সব ধরনের অপব্যবহারের নামই আসলে মানি লন্ডারিং। মানি লন্ডারিং এমন একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে অবৈধভাবে উপার্জিত অর্থ কিংবা সম্পদকে বৈধ করে নেওয়া হয়।

যদি দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদেরা দুর্নীতির অর্থ সফলভাবে পাচার বা লুকিয়ে রাখতে পারেন, তাহলে সে অর্থ যথাযথ জবাবদিহি ছাড়াই ক্ষমতা ধরে রাখতে সহায়ক হয়। আর এভাবে ক্ষমতায় থেকে গেলে দুর্নীতি বা টাকা পাচার শনাক্ত করে, এমন প্রতিষ্ঠানগুলোকেই তারা দুর্নীতিগ্রস্ত করতে সক্ষম হন।

অবশ্য মানি লন্ডারিং প্রতিরোধের বিষয়টি সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দেয় উন্নত সাত দেশের সংগঠন জি-৭। তাদের উদ্যোগেই ১৯৮৯ সালে গঠন করা হয় ফাইন্যান্সিয়াল অ্যাকশন টাস্কফোর্স। ৩৯টি দেশ এর সদস্য ছিল। মূলত এরাই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধে একটি আন্তর্জাতিক কাঠামো তৈরি করে। তবে আসল কাজটি হয় ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর। ওই দিন যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক সন্ত্রাসী হামলা ঘটে। ধ্বংস হয় টুইন টাওয়ার। হামলাকারীরা নিজের প্রকৃত নামে এবং মূল পাসপোর্ট ব্যবহার করেই যুক্তরাষ্ট্রের সানট্রাস্ট ব্যাংক এবং ব্যাংক অব আমেরিকায় হিসাব খুলে অর্থের লেনদেন করেছিলেন। এরপরই মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে প্রবলভাবে যুক্ত হয় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে অর্থায়নের বিষয়টি। আর এই আইনে দুর্নীতির অর্থ লেনদেন অন্তর্ভুক্ত করা হয় ২০০৫ সালে।

বাংলাদেশ কী করেছে

বাংলাদেশে অর্থের অবৈধ ব্যবহার নিয়ে প্রথম আইনটির নাম ছিল মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০০২ (২০০২ সালের ৭ নম্বর আইন)। এ আইনের বিধানাবলি অপর্যাপ্ত থাকায় ২০০৮ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এ লক্ষ্যে একটি অধ্যাদেশ জারি করে (অধ্যাদেশ নম্বর ১২, ২০০৮) কিছু বিষয় যুক্ত করে। পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকার অধ্যাদেশটি সংবিধানের অনুশাসন অনুযায়ী পরীক্ষা করে ২০০৯ সালে আইনে রূপান্তরিত করে। আইনটির শিরোনাম ছিল মানি লন্ডারিং আইন-২০০৯ (২০০৯ সালের ৮ নম্বর আইন)। ২০০৯ সালের আইনটিও পরে বাতিল করে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ অধ্যাদেশ ২০১২ জারি করা হয়, যা পরবর্তী সময়ে মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন-২০১২ নামেই পরিচিত।

অর্থ পাচারের কিছু পরিসংখ্যান

ওয়াশিংটনভিত্তিক সংস্থা গ্লোবাল ফাইন্যান্সিয়াল ইনটেগরিটি (জিএফআই) বলছে, আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে ৭৫৩ কোটি ৩৭ লাখ ডলার পাচার হয়। টাকার অঙ্কে তা প্রায় ৮০ হাজার কোটি টাকা। আর সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২১ সালে দেশটির বিভিন্ন ব্যাংকে বাংলাদেশিদের গচ্ছিত অর্থের পরিমাণ ছিল ৮৭ কোটি ১১ লাখ সুইস ফ্রাঁ, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৮ হাজার ২৭৫ কোটি টাকা। অবশ্য অনেকেই মনে করেন, পাচার করা অর্থের পরিমাণ আরও বেশি হবে।

স্বর্ণ চোরাচালানের মূল হোতা দোলন ধরাছোঁয়ার বাইরে-বাংলাদেশ প্রতিদি

ধরাছোঁয়ার বাইরে স্বর্ণ চোরাচালানের মূল হোতা এনামুল হক খান দোলন। তার বিরুদ্ধে স্বর্ণ চোরাকারবারের তথ্য দিয়েছে দুবাই ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। নজরদারিতে রেখেছে দুর্নীতি দমন কমিশন। তলব করা হয়েছে ব্যাংক হিসাব। গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হলেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। স্বর্ণ চোরাচালানের মূল হোতা এনামুল হক খান দোলন ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকায় কোনোভাবেই ঠেকানো যাচ্ছে না স্বর্ণ পাচার।

শুল্ক গোয়েন্দাদের কড়া নজরদারির মধ্যেও শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আসছে স্বর্ণ। বাংলাদেশকে ট্রানজিট হিসেবে ব্যবহার করে স্বর্ণ পাচার হচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হিসাবে চলতি বছরের তিন মাসে প্রায় ৪০ কোটি টাকা মূল্যের স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। চোরাচালানে জড়িত স্বর্ণ ব্যবসায়ী এনামুল হক খান দোলনকে দীর্ঘদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হলেও কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। ফলে তিনি স্বর্ণের চোরাচালান অব্যাহত রেখেছেন। তার মালিকানাধীন ডায়মন্ড অ্যান্ড ডিভার্স ও শারমিন জুয়েলার্সের আড়ালে তিনি স্বর্ণ পাচার সিন্ডিকেটের নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন।

 বঙ্গবাজার ট্রাজেডির ফলোআপ খবর আজকের জাতীয় দৈনিকগুলোতেও প্রকাশিত হয়েছে। প্রথম আলো লিখেছে, ধ্বংসস্তূপ না সরানোর ফলে বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা আশপাশের ফুটপাতে দোকান নিয়ে বসেছেন। তবে একটু বিলম্ব হলেও ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মঙ্গল থেকে বুধবারের মধ্যে চৌকি বসিয়ে পোড়া মার্কেটের স্থানে ব্যবসা শুরুর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। সে ক্ষেত্রে আজ সোমবারের মধ্যে বেশির ভাগ ধ্বংসাবশেষ সরানোর ব্যাপারে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ শেষ হলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকা চূড়ান্ত করে বসানোর ব্যবস্থা করা হবে।

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের তালিকার কাজ ৭০ শতাংশের মতো হয়েছে। এসব কাজ শেষ হলে আগামী মঙ্গল কিংবা বুধবারের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা যাতে চৌকিতে বসে ব্যবসা শুরু করতে পারেন, তেমন পরিবেশ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে মন্তব্য করেন ঢাকা দক্ষিণের মেয়র।

এফবিসিসিআইয়ের ১ কোটি ও হিজড়াদের ২০ লাখ টাকা অনুদান

 জনশুমারি ও গৃহগণনা পৌনে পাঁচ কোটি তরুণের দেশ, কর্মক্ষম মানুষ ৬২ শতাংশ-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, তারুণ্যের জয়গান চলছে দেশে। মোট জনসংখ্যার ৪ ভাগের ১ ভাগ এখন তরুণ, যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ২৯ বছরের মধ্যে। সংখ্যায় ৪ কোটি ৭৪ লাখ। জনশুমারি ও গৃহগণনার চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।

তারুণ্যের পাশাপাশি দেশে কর্মক্ষম মানুষের পাল্লাও ভারী। মোট জনগোষ্ঠীর প্রায় ৬২ শতাংশ মানুষ কর্মক্ষম, যাঁদের বয়স ১৫ থেকে ৫৯ বছরের মধ্যে। সংখ্যায় যা ১০ কোটি ৫০ লাখ। পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল রোববার সমন্বয়কৃত জনসংখ্যার চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করে।তরুণদের সংখ্যা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাজারের চাহিদা মাথায় রেখে তারুণ্যের শক্তিকে কাজে লাগাতে হবে। কেননা, ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড বা জনমিতির এ সুবিধা বেশি দিন থাকে না।

প্রবাসীর সংখ্যা জানা গেল না

বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কত সংখ্যায় প্রবাসী বসবাস করে, তার সঠিক কোনো তথ্য সরকারের কাছে নেই। এবারের জনশুমারিতে তা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিবিএস। গতকালের সংবাদ সম্মেলনে অন্য সব তথ্য দিলেও এই তথ্য দেয়নি সংস্থাটি।

আর জনশুমারি চান না দুই মন্ত্রী

আলোচনায় অংশ নিয়ে দুই মন্ত্রী জানিয়েছেন, বর্তমান পদ্ধতিতে তাঁরা আর জনশুমারি চান না। দেশের জনসংখ্যা কত, তা জানার জন্য ১০ বছর অপেক্ষা করার পদ্ধতি থেকে বের হয়ে আসার পক্ষে মত দেন পরিকল্পনামন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী।

প্রাইমারিতে বায়োমেট্রিক হাজিরা ৬৩ কোটি টাকা গচ্চা-মানবজমিন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের উপস্থিতি নিশ্চিতকরণে বায়োমেট্রিক হাজিরা চালু করতে চেয়েছিল সরকার। প্রায় শত কোটি টাকা বাজেটের এই প্রকল্প ভেস্তে গেছে অঙ্কুরেই। প্রকল্প বাতিল হলেও ইতিমধ্যেই জলে গেছে প্রায় ৬৩ কোটি টাকা। কয়েকটি প্রতিষ্ঠানের জন্য কেনা হয়েছিল হাজিরা মেশিন। এই ক্রয়েও অভিযোগ রয়েছে জালিয়াতির। ইতিমধ্যে নষ্ট হয়ে  গেছে অধিকাংশ যন্ত্রাংশ। ২০১৮ সালে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে শিক্ষকদের ডিজিটাল হাজিরা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। 

সে সময়ের হিসাব অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ছিল ৬৫ হাজার ৬২০টি। এই সব প্রতিষ্ঠানে বায়োমেট্রিক হাজিরা স্থাপন করতে চেয়েছিল মন্ত্রণালয়। এরপরই কিছু প্রতিষ্ঠানের জন্য কেনা হয় এই মেশিন। কিন্তু এরপরই করোনার দীর্ঘ সময় অফিস কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।

মন্থর হয়ে যায় বায়োমেট্রিক কার্যক্রম। যন্ত্রটি চালু রাখতে প্রয়োজন হয় বিদ্যুৎ সংযোগ, ইন্টারনেট কানেকশন ও কম্পিউটার। বিদ্যালয়গুলোতে বিদ্যুৎ সংযোগ থাকলেও ইন্টারনেট সংযোগ ও কম্পিউটারের অপ্রতুলতায় ভেস্তে যায় এই কার্যক্রম। এখন ব্যবহার না হতে হতে রীতিমতো জঞ্জালে পরিণত হয়েছে মেশিনগুলো। আবার যন্ত্রটির ব্যবহার না হলেও বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় অনলাইন চার্জের নামে হাজার হাজার টাকা দুর্নীতির  অভিযোগও উঠেছে।  প্রায় পাঁচ শতাধিক বিদ্যালয়ে বায়োমেট্রিক হাজিরা মেশিন না কিনেও গুনতে হয়েছে সার্ভিস চার্জ।

 এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

BBC সরকার পোষিত সংস্থা’, সংবাদসংস্থার টুইটার বায়ো ঘিরে তুঙ্গে বিতর্ক-সংবাদ প্রতিদিন

ব্রিটিশ সংবাদসংস্থা বিবিসিকে (BBC) সরকারি সংস্থা বলে অভিহিত করল টুইটার (Twitter)। রবিবার আচমকাই দেখা যায়, বিবিসির টুইটার হ্যান্ডেলে লেখা রয়েছে “সরকার পোষিত সংবাদ সংস্থা।” তারপরেই তুমুল প্রতিবাদ জানানো হয় বিবিসির তরফে। তবে বিবিসির অধীনে অন্যান্য অ্যাকাউন্টগুলির ক্ষেত্রে এই পরিবর্তন দেখা যায়নি।

রবিবার দেখা যায়, বিবিসির টুইটার বায়োটি পালটে গিয়েছে। সেখানে লেখা রয়েছে, “বিবিসি সরকার পোষিত একটি সংস্থা।” শুধু বিবিসি নয়, মার্কিন সংস্থা এনপিআর, ভয়েস অফ আমেরিকার মতো স্বাধীন সংস্থাগুলির ক্ষেত্রেও একই পদক্ষেপ করেছে টুইটার কর্তৃপক্ষ। সংবাদসংস্থা গুলিকে সরকার পোষিত আখ্যা দেওয়ার অর্থ, সরকারি নির্দেশ অনুযায়ী খবর পরিবেশন করে এই সংস্থাগুলি। উদাহরণস্বরূপ রাশিয়া বা চিনের জাতীয় মিডিয়ার উল্লেখ করা যেতে পারে। 

টুইটারের এহেন আচরণের পরেই তীব্র প্রতিবাদ শুরু হয় বিবিসির তরফ থেকে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, এই কাজের জবাবদিহি চেয়ে ইতিমধ্যেই টুইটারকে বার্তা দিয়েছে ব্রিটিশ সংস্থাটি। তাদের তরফে বিবৃতি প্রকাশ করে সাফ জানানো হয়েছে, “এই বিষয়টি যত দ্রুত সম্ভব সংশোধন করতে বলা হয়েছে টুইটারকে। বিবিসি বরাবর স্বাধীন ছিল, ভবিষ্যতেও থাকবে। লাইসেন্স ফি’র মাধ্যমে ব্রিটিশ জনতার টাকায় কাজ করে এই সংস্থা।”

তবে টুইটারের এহেন কাজের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে মার্কিন এনপিআর। ন্যাশনাল পাবলিক রেডিও নামে ওই সংবাদসংস্থা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, খবর প্রচারের মাধ্যম হিসাবে তারা আর টুইটারকে ব্যবহার করবে না। এই সংস্থার পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা দিয়েছে হোয়াইট হাউসও। তবে কেন এই পদক্ষেপ করা হল, সেই বিষয়ে টুইটারের তরফে কিছুই জানা যায়নি। 

অশান্তি হবে জেনেও রাজ্য ব্যবস্থা নেয়নি কেন, ক্ষোভ বিমান বসুর-গণশক্তি

শিবপুরে অশান্তির আশঙ্কা ছিল। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই জানিয়েছেন যে এক মাস আগে অশান্তির গন্ধ পেয়েছিলেন। তা’হলে অশান্তি ঠেকানোর জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হলো না কেন, এই প্রশ্ন তুললেন বামফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিমান বসু।বামফ্রন্ট এবং সহযোগী দলগুলির ডাকে শনিবার সম্প্রীতির মহামিছিল হয়েছে কোন্নগর বাটা মোড় থেকে উত্তরপাড়ার গৌরী সিনেমা হল পর্যন্ত।সোমবারও হবে মিছিল। রবিবার মিছিলের শেষে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্য সরকারের ভূমিকায় প্রশ্ন তুলেছেন বসু। 

রামনবমীর নামে রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় সাম্প্রদায়িক অশান্তির প্রতিবাদে এই মহামছিল হয়েছে। খেটে খাওয়া সব অংশের মানুষের মধ্যে ঐক্যের বার্তা দিয়েছে মিছিল। বহু মানুষ যোগ দিয়েছেন মিছিলে। সভায় বসু বলেছেন, অশান্তির অনুমান থাকলে গোয়েন্দা লাগিয়ে সেটা আটকালেন না কেন মুখ্যমন্ত্রী? অশান্তি তো অঙ্কুরেই ঠেকানো যেত।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১০