মে ১১, ২০২৩ ১৫:৩৯ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতাবন্ধুরা! আজ ১১ মে বৃহষ্পতিবারের কথাবার্তার আসরে সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর গুরুত্বপূর্ণ দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাবো। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।

বাংলাদেশের শিরোনাম:-প্রথম আলো

  • বিশ্বে ২০২২ সালে ৭ কোটি ১০ লাখেরও বেশি লোক বাস্তুচ্যুত–ইত্তেফাক
  • মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি বদরুন্নেসার ছাত্রীর আড়াই বছরের কারাদণ্ড-মানবজমিন
  • বিয়েতে রাজি না হওয়ায় তরুণীকে কুপিয়ে হত্যা, আইসিইউতে মা-প্রথম আলো
  • চোখ বেঁধে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতন, ওসি প্রত্যাহার-যুগান্তর
  • স্বাস্থ্য খাতে যথেষ্ট সাফল্য অর্জন করেছি : প্রধানমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • পাক জঙ্গিকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণার প্রস্তাব ভারতের, রাষ্ট্রসংঘে বিরোধিতা চিনের-সংবাদ প্রতিদিন
  • ১ কোটি ২০ লক্ষ যুব অপেক্ষায়, রেগায় কাজ মিলেছে ৫ শতাংশের-গণশক্তি
  • প্রধান বিচারপতির শপথ অনুষ্ঠানে মমতার মুখোমুখি শুভেন্দু, উঠে দাঁড়ালেও এড়িয়েই গেলেন মুখ্যমন্ত্রী-আনন্দবাজার

শ্রোতাবন্ধুরা! শিরোনামের পর এবার দু'টি খবরের বিশ্লেষণে যাচ্ছি- 

কথাবার্তার বিশ্লেষণের বিষয়:

১. বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক অত্যন্ত গভীর, ভাঙতে পারবে না কেউ: অমিত শাহ। এই খবর দিয়েছে দৈনিক মানবজমিন। কী বলবেন আপনি?

২. গাজা উপত্যকায় ইসরাইলি গণহত্যার নিন্দা জানালেন জাতিসংঘ মহাসচিব। নিন্দা জানানোর এ ঘটনাকে কীভাবে দেখছেন?

বিশ্লেষণের বাইরে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবর

মহানবীকে নিয়ে কটূক্তি বদরুন্নেসার ছাত্রীর আড়াই বছরের কারাদণ্ড-মানবজমিন

মহানবীকে কটূক্তি করে ফেসবুকে পোস্ট দেয়ায় ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেয়ার অভিযোগে করা মামলায় বদরুন্নেসার শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান রেইলিকে দুই বছর ৭ মাস কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল। তবে আদালতে নিজের দায় স্বীকার করায় বিচারক কারাবাসের মেয়াদ দুই বছর সাত মাসকে কারাদণ্ড হিসেবে ধরে রায় প্রদান করেন। গতকাল বুধবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ এম জুলফিকার হায়াত এই কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এদিন তাকে কারাগার থেকে ট্রাইব্যুনালে নেয়া হয়। মামলার অভিযোগ গঠন ও শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অভিযোগ গঠন ও শুনানির সময় তিনি আদালতে দোষ স্বীকার করে ক্ষমাপ্রার্থনা করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খান বলেন, দীর্ঘ হাজতবাস এবং শিশু সন্তান থাকার বিষয়টি বিবেচনা করে জামিনের আবেদন করা হয়। শুনানিতে বিচারক বলেন, কারাবাস অনেকদিন হয়েছে। যদি আসামি স্বেচ্ছায় স্বীকার করেন, তবে তার কারাবাসের মেয়াদকে কারাদণ্ড হিসেবে ঘোষণা করতে পারি। পরে আইনজীবী গোলাম মোস্তফা খানের সঙ্গে কথা বলে দোষ স্বীকার করতে সম্মত হন ইসরাত জাহান রেইলি। এর পরেই রায় ঘোষণা করা হয়। 

এর আগে ফেসবুকে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)কে নিয়ে কটূক্তির পোস্ট দেয়ার অভিযোগে ওই ঘটনায় রাজধানীর দারুসসালাম থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়।

নিহত কলেজছাত্রীর বাবার প্রশ্ন, মানুষ মানুষরে এত নির্মমভাবে মারতে পারে?-প্রথম আলো

নিহত কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তার

‘মানুষ মানুষরে এত নির্মমভাবে মারতে পারে? আমি যদি কারও ঘরে গিয়ে একটা চা খাই আমি তাদের সন্তানকে হত্যা করতে পারব? আমি তার (প্রাইভেট শিক্ষক সাইদুল ইসলাম) মা-বাবাকে অনেক বলেছি। কিন্তু ছেলেকে তারা সামলাতে পারে নাই। আমার মাইয়ার হত্যাকারীর বিচার চাই।’

কথাগুলো বলছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের দক্ষিণ সালনা এলাকায় নিহত কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারের বাবা আবদুর রউফ। বিয়ে প্রস্তাব প্রত্যাখান করায় গত সোমবার সন্ধ্যায় প্রাইভেট শিক্ষক সাইদুল ইসলাম ঘরে প্রবেশ করে রাবেয়াকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান বলে অভিযোগ পরিবারের। ঘটনার এক দিন পর গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলে অভিযান চালিয়ে সাইদুলকে গ্রেপ্তার করেন র‌্যাবের সদস্যারা।

মেয়ের হত্যাকারীর বিচার দাবি করে আজ বৃহস্পতিবার সকালে আবদুর রউফ মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘হে (সাইদুল) আমার বাড়িতে আইতো, আমার মাইয়াদের পড়াইতো। তারে আমার স্ত্রী ভালো চা-নাস্তাও খাওয়াইতো। হেরে শিক্ষক হিসেবে এবং হুজুর হিসেবে আমরা সম্মানও করতাম। হে আমার মাইয়ারে বিয়ে করতে চেয়েছে। কিন্তু আমারা সেখান থেকে পিছু হটে যাই। পিছু হটাতে হে আমাদের ওপর ক্ষিপ্ত হইতে থাকে।’

আবদুর রউফ বলেন, এর পর থেকে সাইদুল ইসলাম বিভিন্নস্থানে রাবেয়াকে আক্রমণ করতেন, বিরক্ত করতেন। মেয়ে অনেক কিছু তাঁদের বলতেন না। তাঁর চার মেয়ে। তিনি একাই কাজ করে সংসার চালান। সে সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যেতেন, আবার রাতে আসতেন। অনেক কিছুর খবর তিনি জানতেন না।

ঘটনার দিনের বর্ণনা দিয়ে রাবেয়ার ছোট বোন হাবিবা আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, সোমবার সন্ধ্যায় বড় বোন ও মা নিজ নিজ রুমে বসেছিলেন। ওই সময় সবার ঘরের দরজা খোলা ছিল। হঠাৎ প্রাইভেট শিক্ষক সাইদুল ইসলাম রাবেয়ার কক্ষে প্রবেশ করেন। পরে রাবেয়ার চিৎকার শুনে তাঁর ঘরে গিয়ে দেখেন, সাইদুল তাঁকে এলোপাতাড়ি কোপাচ্ছেন। এ সময় মা বাধা দিলে তাঁকেও এলোপাতাড়ি কোপান এবং তাঁদের ওপর আক্রমণ করেন। এ সময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে সাইদুল দৌড়ে পালিয়ে যান। রাবেয়াকে দ্রুত উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

হামলার পর রাবেয়ার মা বিলকিছ বেগমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজধানীর একটি হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। আবদুর রউফ জানান, আজ সকালে বিলকিছ বেগমকে আইসিইউ থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি আশঙ্কামুক্ত।

আবদুর রউফ জানান, তাঁদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার হোমনা এলাকায়। তিনি দক্ষিণ সালনা এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছেন। সেখানেই স্ত্রী, চার মেয়ে ও এক ছেলেকে নিয়ে বসবাস করেন। সবার বড় মেয়ে রাবেয়া গাজীপুরের ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে লেখাপড়া করতেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন তিনি। তাঁর ছোট বোন জিন্নাত খাদিজা ও জান্নাতকে কোরআন শেখানোর জন্য সাইদুল ইসলামকে প্রাইভেট শিক্ষক হিসেবে রাখা হয়। সাইদুলের বাড়ি ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার মহেশতারা গ্রামে।গাজীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়াউল ইসলাম বলেন, ওই ঘটনায় নিহত কলেজছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাবের সদস্যরা গত বুধবার সন্ধ্যায় টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর এলাকা থেকে আসামি সাইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন।

(বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় এক স্নাতকপড়ুয়া ছাত্রীকে বাসায় ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসাশিক্ষকের বিরুদ্ধে। এ সময় বাধা দিলে ওই ছাত্রীর মা ও বোনদেরও কুপিয়ে জখম করা হয়। গুরুতর অবস্থায় ওই ছাত্রীর মাকে উদ্ধার করে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে।  )

মানবজমিনের খবেরে এ সম্পর্কে লেখা হয়েছে, গাজীপুরে কলেজছাত্রীকে হত্যা

গ্রেপ্তার এড়াতে চুল-দাড়ি কেটে ফেলেছিলেন ঘাতক সাইদুল

Image Caption

 

 গাজীপুরে বাসায় ঢুকে কলেজছাত্রী রাবেয়া আক্তারকে (২৩) কুপিয়ে হত্যার লোমহর্ষক বর্ণনা দিয়েছেন ঘাতক গৃহশিক্ষক সাইদুল ইসলাম। গ্রেপ্তার এড়াতে নিজের চুল ও দাড়িও কেটে ফেলেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি। টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে এক বন্ধুর বাসায় ঘাতক সাইদুলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আজ দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে রাবেয়াকে হত্যার লোমহর্ষক ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি জানিয়েছে, করোনাকালীন সময়ে নিহত রাবেয়া, তার মা এবং আরও তিন বোনকে আরবি পড়াতেন। সাইদুল গাজীপুরের শাল্লা এলাকার একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ছিলেন। পাশাপাশি একটি মসজিদে তিনি নামাজ পড়াতেন। ধর্মীয় শিক্ষক হিসেবে তিনি ওই পরিবারের সকল সদস্যকে ৪-৫ মাস এবং ছোট বোনকে প্রায় ৬ মাস আরবি পড়িয়েছেন। এই সময়ে রাবেয়ার সঙ্গে তার একটি সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে।

একপর্যায়ে রাবেয়ার প্রতি সাইদুল কুনজর দেন এবং মৌখিকভাবে সকলের অসম্মতিতে গোপনে রাবেয়াকে বিয়ে করেন। বিষয়টি রাবেয়ার পরিবার জানার পর সাইদুলকে বাসায় আসা বন্ধ করে দেন এবং তার পরিবারকে বিষয়টি জানিয়ে অনুরোধ করেন, যেন সাইদুল রাবেয়াকে আর উত্ত্যক্ত না করে। 

র‌্যাব কর্মকর্তা আরও জানান, এরপর থেকে কলেজে যাওয়ার সময় বা কর্মস্থলে যাওয়ার সময় সাইদুল রাবেয়াকে উত্ত্যক্ত করতেন। এর প্রেক্ষিতে ২০২২ সালের অক্টোবরে সাইদুলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন রাবেয়া। অভিযোগের পরে কয়েকদিন তাকে উত্ত্যক্ত করা বন্ধ ছিল। পুনরায় গত ২ মাস আগে থেকে সাইদুল রাবেয়াকে বিভিন্নভাবে উত্ত্যক্ত এবং সামাজিকভাবে বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকে।

সম্প্রতি রাবেয়া ইউরোপের একটি দেশে স্কলারশিপে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। বিষয়টি জানার পরে ক্ষিপ্ত হয়ে সাইদুল তাকে বিয়ে না করলে হত্যা করবে বলে হুমকি দেন। রাবেয়ার পরিবার বিষয়টি সাইদুলের পরিবারকে জানালেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।

Image Caption

 

কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, আসামি সাইদুল পরিকল্পিতভাবে রাবেয়াকে হত্যা করার জন্য ৭ই মে বিকেলে শাল্লা বাজারের একটি দোকানে গরু কাটার একটি ছুরি অর্ডার দেন। ৬৫০ টাকার দিয়ে সেই ছুরিটি ৮ তারিখ সন্ধ্যায় তিনি সংগ্রহ করেন। সাড়ে ৭টার দিকে তিনি ভিকটিমের বাসায় যান। রাবেয়া যে রুমে পড়াশোনা করছিলেন সেই রুমে প্রবেশ করে ওই ছুরি দিয়ে রাবেয়াকে এলোপাতাড়ি আঘাত করেন। রাবেয়ার চিৎকার শুনে অন্য রুমে থাকা রাবেয়ার মা এবং বোনেরা রাবেয়াকে বাঁচাতে এলে তাদেরকেও সাইদুল কুপিয়ে পালিয়ে যান। পরে রাবেয়ার বাবা এবং স্থানীয়রা প্রাথমিক ভাবে তাদেরকে গাজীপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ভিকটিম মারা যান। বাকিদেরকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় একটি হাসপাতালে আনা হয়। ভিকটিমের মা এখনও আইসিইউতে চিকিৎসাধীন আছেন।

ওই ঘটনার পর সাইদুল টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে তার এক বন্ধুর বাসায় আত্মগোপনে চলে যান। যাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাকে শনাক্ত করতে না পারে সেজন্য তিনি তার চুল এবং দাড়ি কাটেন। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় র‌্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা এবং র‌্যাব-১ এর আভিযানিক দল তাকে বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে।

চোখ বেঁধে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতন, ওসি প্রত্যাহার-যুগান্তর

ঠাকুরগাঁওয়ে জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদুজ্জামান পুলককে থানায় নিয়ে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখে কাপড় বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে সদর থানার ওসি কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন। তবে পুলিশ সুপার বলেছেন, প্রশাসনিক কারণে ওসি কামাল হোসেনকে প্রত্যাহার করে রংপুর রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে। 

জানতে চাইলে পুলিশ সুপার বলেন, প্রত্যাহারের অর্ডারে প্রশাসনিক কারণ উল্লেখ করা হয়েছে। প্রশাসনিক কারণ মানে অনেক কিছু বোঝায়। এ ছাড়া অভিযুক্ত আরও চার পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়নি বলে জানান তিনি।  

প্রসঙ্গত, গত ২৯ এপ্রিল রাতে শহরের পাবলিক ক্লাব মাঠে অনুষ্ঠিত বৈশাখী মেলা থেকে সদর থানার ওসি কামাল হোসেন জেলা যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান পুলককে থানায় ধরে নিয়ে গিয়ে হাতকড়া পরিয়ে এবং চোখে কাপড় বেঁধে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাত ভেঙে ফেলেন বলে অভিযোগ করা হয়। এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে জেলা দায়রা আদালতে ওসি কামালসহ পাঁচজন পুলিশের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন করেন জেলা যুবলীগের নেতা আসাদুজ্জামান পুলক। 

এতে মামলায় আসামি করা হয়- সদর থানার ওসি মো. কামাল হোসেন, ওসি (অপারেশন) মো. লতিফ, এসআই খোকা চন্দ্র রায় ও মোহাম্মদ হাফিজ এবং এএসআই মো. মোতালেব।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

অধিকাং‌শ বুথ ফেরত সমীক্ষাতেই কর্নাটক ত্রিশঙ্কু! তবে বিজেপির চেয়ে এগিয়ে রয়েছে কংগ্রেস-আনন্দবাজার পত্রিকা

চার দশকের ধারা মেনেই এ বারও ক্ষমতা পরিবর্তনের সম্ভাবনা কর্নাটকে। বুধবার অধিকাংশ বুথ ফেরত সমীক্ষার পূর্বাভাস, বিধানসভা ভোটে ক্ষমতাসীন বিজেপিকে পিছনে ফেলে সবচেয়ে বড় দল হতে পারে কংগ্রেস। কয়েকটি বুথ ফেরত সমীক্ষায় কংগ্রেসকে নিরঙ্কুশ গরিষ্ঠতা দেওয়া হলেও অধিকাংশ সমীক্ষাতেই ত্রিশঙ্কু বিধানসভার পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। তেমন পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচডি দেবগৌড়ার দল জেডি (এস)-এর ভূমিকা।

যদিও নির্বাচনে এমন বুথ ফেরত সমীক্ষার ফল সব সময় যে মেলে, তা নয়। কিন্তু সরাসরি ভোটদাতাদের মত নেওয়ার এই পদ্ধতির বৈজ্ঞানিক ভিত্তি থাকায়, এই ধরনের সমীক্ষাকে অস্বীকার করাও যায় না বলে ভোট পণ্ডিতদের একাংশ মনে করেন। আগামী শনিবার (১৩ মে) গণনার দিনেই আসল ফল জানা যাবে।

১ কোটি ২০ লক্ষ যুব অপেক্ষায়, রেগায় কাজ মিলেছে ৫ শতাংশের-গণশক্তি

কাজ চেয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ যুবক। তাঁদের ৫ শতাংশকে কাজ দিয়েছে পঞ্চায়েত। রাজ্যের ১৮ থেকে ৪০ বছরের গ্রামবাসীদের প্রতি মোদীর সরকার এবং ‘দিদি’র সরকারের এই অবদান উঠে এসেছে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সাম্প্রতিক পর্যালোচনায়।কাজ চেয়েছিলেন প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ যুবক। তাঁদের ৫ শতাংশকে কাজ দিয়েছে পঞ্চায়েত।

রাজ্যের ১৮ থেকে ৪০ বছরের গ্রামবাসীদের প্রতি মোদীর সরকার এবং ‘দিদি’র সরকারের এই অবদান উঠে এসেছে রাজ্যের গ্রামোন্নয়ন দপ্তরের সাম্প্রতিক পর্যালোচনায়।

পাক জঙ্গিকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণার প্রস্তাব ভারতের, রাষ্ট্রসংঘে বিরোধিতা চিনের-সংবাদ প্রতিদিন

রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) ফের ভারতের বিরোধিতা করল চিন (China)। পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে ভারতের প্রস্তাব খারিজ করে দিল বেজিং। জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি আবদুল রাউফ আজহারকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করতে চেয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। বাধা দিল চিন।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/১১

ট্যাগ