মে ২১, ২০২৩ ১৬:২২ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: আজ ২১ এপ্রিল রোববারের কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম :

  • ‘আরো নিষেধাজ্ঞা’র খবর নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ
  • চলতি সপ্তাহেই পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী-যুগান্তর
  • বেপরোয়া নোবেল, মাদক সরবরাহ করতেন শিল্পী ও বিমানবালা-মানবজমিন
  • পরীক্ষাকেন্দ্রে কর্মিসভা ছাত্রলীগের কাছে প্রশাসন কি এতই ক্ষমতাহীন-প্রথম আলোর সম্পাদকীয়
  • সাতমসজিদ সড়কে গাছ কাটা নগর ভবনে যেতে পুলিশি বাধা, বঙ্গবাজারে পরিবেশকর্মীদের অবস্থান-ইত্তেফাক
  • এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না: মির্জা ফখরুল-বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • হঠাৎই কেজরীওয়ালের বাড়িতে নীতীশ, ‘আমরা সঙ্গে আছি’-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • শুভেন্দুর সঙ্গে সিবিআই সেটিং! জিজ্ঞাসাবাদ থেকে বেরিয়ে বিস্ফোরক অভিষেক-সংবাদ প্রতিদিন
  • চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে চাইছে কংগ্রেস-গণশক্তি

এবার বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না: মির্জা ফখরুল-বাংলাদেশ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এ সরকার থাকলে কোন নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তাছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

I

 

রবিবার দুপুরে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে এক অনুষ্ঠানে তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।বিএনপি মহাসচিব বলেন, দেশের সকল ব্যবস্থা ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। সব জায়গায় একই অবস্থা। নির্বাচন ব্যবস্থা ও প্রতিষ্ঠান একেবারে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। সরকার নির্বাচন দেখাবে, নির্বাচন কমিশন কথা বলবে একটা নির্বাচন হয়েছে কিন্তু নির্বাচনটা তারা তাদের মত করে করবে। অত্যন্ত পরিষ্কার, স্পষ্ট, দৃঢ় উচ্চারণ এই সরকারের অধীনে কোন নির্বাচন হবে না। এ সরকার থাকলে কোন নির্বাচন হবে না। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন হতে হবে। তাছাড়া কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

চলতি সপ্তাহেই পেঁয়াজ আমদানির সিদ্ধান্ত: কৃষিমন্ত্রী-যুগান্তর

বাজারে পেঁয়াজের দাম অস্বাভাবিক। এই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি হবে কিনা, সেটি আগামী দু-একদিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক। রোববার সচিবালয়ে তার অফিসকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি। ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, সব কিছুর একটা ধারাবাহিকতা থাকে, কিন্তু গত এক সপ্তাহে পেঁয়াজের দামে সে ধারাবাহিকতা রাখা যায়নি।

সাতমসজিদ সড়কে গাছ কাটা নগর ভবনে যেতে পুলিশি বাধা, বঙ্গবাজারে পরিবেশকর্মীদের অবস্থান-ইত্তেফাক

দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে নগর ভবন যাওয়ার পথে বঙ্গবাজার মোড়ে পুলিশের বাধার মুখে পড়েছেন সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা। আটকে দেওয়ার পরে সেখানেই অবস্থান করছেন পরিবেশকর্মীরা।রোববার (২১ মে) বেলা ১১টার পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে থেকে নগর ভবনে রওনা দেন সাতমসজিদ সড়ক গাছ রক্ষা আন্দোলনের কর্মীরা। দুপুর ১২টার কিছু আগে বঙ্গবাজার মোড়ে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। সেখানে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের বাকবিতণ্ডা চলে। তারা পরিবেশ-প্রকৃতি রক্ষায় নানা ধরনের স্লোগান দেন।

বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেন, দক্ষিণ সিটির মেয়র জবাবদিহির জায়গা থেকে প্রস্তুত না। তার সিদ্ধান্ত যে সঠিক নয়, তিনি তা বুঝে গেছেন। এ জন্য তিনি আমাদের মুখোমুখি হচ্ছেন না। আমরা আমাদের দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমাদের যে গাছ পাহারা চলছে, তা চলমান থাকবে।

এমন অবস্থায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলেন। দাবি তুলে ধরা হলে তিনি বলেন, আমি দাবিগুলো মেয়রের কাছে তুলে ধরব। পরে আপনাদের জানাবো তিনি কী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে তিনি কোনো সময়সীমার কথা বলেননি।

বেপরোয়া নোবেল, মাদক সরবরাহ করতেন শিল্পী ও বিমানবালা-মানবজমিন

‘সারেগামাপা’ খ্যাত গায়ক মাইনুল আহসান নোবেলকে গ্রেপ্তার করেছে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মতিঝিল থানার অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করে  জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতির জন্য আদালতে পাঠায় ডিবি। পরে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। ডিবি জানিয়েছে, মাদকতা, উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, বেপরোয়া জীবনযাপন, স্ত্রীকে মারধর, টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণাসহ নানা অভিযোগ রয়েছে নোবেলের বিরুদ্ধে। কয়েকজন শিল্পী ও এক এয়ার হোস্টেস চক্র তাকে যাবতীয় সব মাদক সরবরাহ করেন। অনেক মানুষ ডিবি’র কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন। যদিও সেগুলো মৌখিক অভিযোগ ছিল। সর্বশেষ একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেয়ার জন্য অগ্রিম টাকা নিয়ে সেখানে না গিয়ে অর্থ আত্মসাৎ করেন। অনুষ্ঠানে যোগ দেননি আবার তাদের টাকাও ফেরত দেননি। পরে আয়োজকরা তার বিরুদ্ধে মামলা করেন। গতকাল মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ তার কার্যালয়ে নোবেলকে গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত জানান।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রাক্তন ছাত্রদের এক অনুষ্ঠানে গান গাওয়ার কথা বলে নোবেল ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু টাকা নিয়েও সেখানে হাজির হননি। টাকা ফেরত দেয়ার কথা দিয়েও ফেরত দেননি। আয়োজকরা পরে মামলা করে। কিন্তু মামলার পরেও থানায় হাজির হননি আদালতেও যাননি। এই মামলায় তাকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। এ ছাড়াও তার বিরুদ্ধে প্রোগ্রামে গিয়ে মাতাল অবস্থায় স্টেজ ভেঙে ফেলা, তার স্ত্রীকে মারধর করাসহ অজস্্র অভিযোগ পাচ্ছি। বিভিন্ন জায়গা থেকে টাকা নিয়ে সে আত্মসাৎ করেছে। এজন্য তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে তাকে আমরা বিভিন্নভাবে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। তার স্ত্রী আমাদের কাছে ৪ দিন এসে অভিযোগ করেছেন। 

তিনি বলেন, নোবেলের প্রতিদিনই মদ, ইয়াবা, গাঁজা  সেবন করতে হয়। কিছু শিল্পী তার কাছে এগুলো সরবরাহ করেন। নেশার ঘোরে ও ঘুমের ওষুধ খেয়ে রাত-দিন ঘুমিয়ে থাকেন এজন্য বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যাওয়ার কথা থাকলেও যেতে পারেন না। হারুন বলেন, তাকে কারা মাদক সরবরাহ করেন তাদের বিষয়ে আমরা খোঁজখবর নিচ্ছি। মতিঝিল থানায় অর্থ আত্মসাৎ ও প্রতারণা মামলায় রিমান্ডে এনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। 

নোবেলের স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ বলেন, আপনারা প্রথম থেকে ব্যক্তি নোবেল বা গায়ক নোবেলকে দেখেছেন আমিও ঠিক একইভাবে দেখেছি। আমি তার সঙ্গে সংসার করেছি। সে খুব ভালো একজন মানুষ ছিল। কিন্তু কোনো একটা চক্রের মধ্যে পড়ে সে নেশাটা শুরু করে। পরে সে প্রচ-ভাবে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। তখন তার ব্যবহারেও পরিবর্তন আসে এবং অন্যরকম একটা মানুষে পরিণত হয়। পরে যে ঘটনাগুলো ঘটে সেগুলো মাদকাসক্তের কারণে ঘটেছে। আমাকে প্রত্যেকদিন মারধর করা হতো। যখন সেটা সহ্যের বাহিরে চলে যায় তখন আমি ৯৯৯-এ কল দেয়ার পরে খুব দ্রুত পুলিশ এসে পড়ে। পুলিশ এসে নোবেলের কাছ থেকে আমাকে বাঁচায়। পুলিশ তাকে জিজ্ঞাসা করেছিল কেন তাকে মারছেন। পুলিশকে নোবেল জানায়, সে অনেক ধরনের ড্রাগস ও নেশা করে। তাই তার মাথা ঠিক থাকেনা এজন্য মারধর করে। পরে আমি গুলশান থানায় জিডি করি। আমি একটি মেডিকেল রিপোর্টও নিয়েছিলাম। কিন্তু আইনগতভাবে বেশিদূর অগ্রসর হইনি। কারণ আমি চেয়েছিলাম নোবেল নেশা থেকে বের হয়ে আসুক এবং সুস্থ জীবনযাপন করুক। আমার উদ্দেশ্য তাকে শাস্তি দেয়া ছিল না। ভালো মানুষ হয়ে ফিরে আসতে পারে এটাই চেয়েছিলাম। আমাদের দুজনের পরিবারও কয়েকবার এসব বিষয় নিয়ে বসে। সে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ওই পথ থেকে ফিরবে। কিন্তু ফেরেনি।

তিনি বলেন, আসলে তারও দোষ আছে। আশেপাশে যারা আছে তাদেরও দোষ আছে। যাদের প্ররোচণায় পড়েছে, যারা তাকে জিনিসগুলো সাপ্লাই দিচ্ছে, সাপোর্ট দিচ্ছে তাদের থেকে সে আর বের হয়ে আসতে পারছে না। এজন্য আজকের এই অবস্থা।

‘আরো নিষেধাজ্ঞা’র খবর নিয়ে যা বললেন তথ্যমন্ত্রী-কালের কণ্ঠ

‘আরো নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে আমার জানা নেই, যারা (পত্রিকা) লিখেছে তাদের জিজ্ঞেসা করুন।’ একটি দৈনিক পত্রিকায় ‘আরো নিষেধাজ্ঞা আসছে’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়, সেখানে রাজনীতিবীদরাও থাকতে পারেন- এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এ মন্তব্য করেন। রবিবার (২১ মে) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। নিষেধাজ্ঞা অথবা পাল্টা নিষেধাজ্ঞা দিয়ে কোনো লাভ হয় না বলে মনে করেন তিনি।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের উন্নয়ন সহযোগী। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক অত্যন্ত চমৎকার। গত ৫১ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশ বিনির্মাণে সহায়তা করে আসছে। আমাদের নিরাপত্তা বাহিনীকে তারা ট্রেনিংসহ নানা সহায়তা দিয়ে আসছে।

সেই সহায়তা অব্যাহত আছে। আমরা যেটা মনে করি আমাদের যারা উন্নয়ন সহযোগী, তাদের সহযোগিতাতেই আমাদের দেশ আজ সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের প্রচণ্ড প্রোফাউন্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টনার। 

তিনি বলেন, যে পত্রিকা লিখেছে তারা কোত্থেকে খবর পেয়েছে তাদেরকে জিজ্ঞেস করলে ভালো হয়।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:

আনন্দবাজার পত্রিকার খবরে লেখঅ হয়েছে, অর্ডিন্যান্স নিয়ে কেন্দ্রের সঙ্গে টানাপড়েন চলছে দিল্লির আপ সরকারের। এই আবহে হঠাৎই রবিবাসরীয় সকালে আপ প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের বাসভবনে উপস্থিত হলেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব, জেডি(ইউ) নেতা মনোজ ঝা, লালন সিংহ এবং সঞ্জয় ঝা। দিল্লির ফ্ল্যাগ স্টাফ রোডে কেজরীওয়ালের বাসভবনে সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয় বৈঠক।

I

বৈঠক থেকে বেরিয়ে কেজরীওয়ালকে পাশে নিয়ে নীতীশ বলেন, “কী ভাবে একটা নির্বাচিত সরকারের ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া যেতে পারে? এটা সংবিধানের বিরোধী। আমরা সকলে অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে আছি।” বিরোধী জোট গঠন প্রসঙ্গে রবিবারও নীতীশ জানান, সব বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় নিয়ে আসার চেষ্টা হচ্ছে। কেজরীওয়াল নীতীশের সঙ্গে বৈঠকের পর বলেন, “যদি বিজেপি অর্ডিন্যান্সকে বিল হিসাবে সংসদে পাস করাতে চায়, তবে সব বিজেপি বিরোধী দল ওই বিলের বিরুদ্ধে রাজ্যসভায় একজোট হবে। যদি এমন কিছু হয়, তবে বিজেপিকেও একটা বার্তা দেওয়া যাবে।”

সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে পাশ কাটিয়ে দিল্লির প্রশাসনিক ক্ষমতার রাশ হাতে রাখতে শুক্রবার গভীর রাতে অধ্যাদেশ (অর্ডিন্যান্স) জারি করেছিল নরেন্দ্র মোদী সরকার। শনিবার সকাল থেকেই সেই অধ্যাদেশ ঘিরে শুরু হয় রাজনৈতিক চাপান-উতোর। বিকেলে এই বিষয়ে মুখ খুলে কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে সুর চড়ান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে আপ প্রধান বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে অপমান করা হচ্ছে।” বিষয়টিকে ‘খুব খারাপ মানের মশকরা’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। এই অর্ডিন্যান্সের বিরুদ্ধে সব বিরোধী দলকে একজোট হওয়ার ডাক দেন তিনি। তার পরের দিনই কেজরীওয়ালের ‘পাশে থাকতে’ তাঁর বাড়ি গেলেন বিরোধী জোটের অন্যতম দূত নীতীশ।

দৈনিকটির অপর এক খবরে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার কলকাতায় আসছেন কেজরীওয়াল, বিরোধী জোট নিয়ে বৈঠক করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে!

সিবিআইয়ের (CBI) সঙ্গে সেটিং আছে শুভেন্দু অধিকারীর। শনিবার প্রায় সাড়ে ৯ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর নিজাম প্যালেস থেকে বেরিয়েই বিস্ফোরক দাবি করলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের বক্তব্য, “একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও শুভেন্দুকে (Suvendu Adhikari) ডাকা হচ্ছে না। অথচ, বারবার আমাকে ডাকা হচ্ছে। অহেতুক হেনস্তা করা হচ্ছে। এতেই বোঝা যায়, কার সঙ্গে সেটিং আছে।”

I

 

অভিষেকের বক্তব্য, ‘তৃণমূল (TMC) করলে এক রকম নিয়ম, আর বিজেপি করলে আরেক রকম আইন।’  তাঁর প্রশ্ন, “সারদার প্রাইম এফআইআর নেমড শুভেন্দু অধিকারী। কতবার ডেকেছে? গ্রেপ্তার হয়েছে? শুভেন্দু বিজেপির সম্পদ? দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) দলিল পাওয়া গেল প্রসন্নর বাড়িতে। সে বিজেপির সম্পদ?” শুধু শুভেন্দু নয়, অন্য বিরোধী নেতাদের ক্ষেত্রেও সিবিআই দ্বিচারিতা করছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। তিনি বলছেন, “আমায় ডাকল কুন্তল ঘোষের চিঠিতে নাম আছে বলে। তাহলে সারদা কর্তার চিঠিতে নাম থাকা শুভেন্দু অধিকারী, সুজন চক্রবর্তী, অধীর চৌধুরীকে (Adhir Chowdhury) ডাকা হবে না কেন? সুদীপ্ত সেন চিঠিতে লিখেছে তো।”

এদিন আরও একটি বিস্ফোরক দাবি করেছেন অভিষেক (Abhishek Banerjee)। তিনি সিবিআই জেরা প্রসঙ্গে বলেন, “আমায় যে নামগুলো জিজ্ঞাসা করেছে, এদের চেনেন? ৯০% মানুষের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুর আর মুর্শিদাবাদের এজেন্ট। সে সময় এই এলাকায় দলের তরফ থেকে কে ছিল। ধরে নিলাম পার্থ চট্টোপাধ্যায় দোষী। কিন্তু কে দায়িত্বে ছিল? এভাবে ডেকে ডেকে সময় নষ্ট। আর কেউ গাড়িতে মানুষ মেরে যাবে তাকে ডাকা হবে না?” অভিষেক যে দুই জেলার এজেন্টদের কথা এখানে বলছেন, নিয়োগ দুর্নীতি যে সময় হয়েছিল, সেই সময় এই জেলাগুলিতে তৃণমূলের এজেন্ট ছিলেন শুভেন্দুই।

চার রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি এখন থেকেই শুরু করতে চাইছে কংগ্রেস-গণশক্তি

আগামী বছর লোকসভা নির্বাচনের আগে আরও চার রাজ্যে ভোট রয়েছে। রাজস্থান, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং তেলেঙ্গানা। এই চার রাজ্যের মধ্যে রাজস্থান এবং ছত্তিশগড়ে ক্ষমতায় রয়েছে কংগ্রেস। কর্ণাটক এবং হিমাচল প্রদেশে জয়ের পর এই চার রাজ্যকে পাখির চোখ করতে চাইছে কংগ্রেস হাইকমান্ড। এই পরিস্থিতিতে আগামী ২৪মে দিল্লিতে এই চার রাজ্যের শীর্ষ নেতৃত্বের সাথে বৈঠকে বসছে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। লোকসভা ভোটের আগে বিরোধীদের এই চার রাজ্যে কি ভাবে ঐক্যবদ্ধ করে নির্বাচনে নামা যায় তা নিয়ে আলোচনা হবে বলে জানা যাচ্ছে।#

 পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২১

ট্যাগ