মোদিকে বিঁধে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন স্বামী
বালেশ্বরে ট্রেন দুর্ঘটনার আসল কারণ কী? দুর্ঘটনা নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ৪ জুন রোবাবরের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- তাপদাহের কারণে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ক্লাস বন্ধ ৪ দিন -প্রথম আলো
- মূল্যস্ফীতি আর লোডশেডিংয়ে কষ্ট পাচ্ছে মানুষ -মানবজমিন
- লোডশেডিং কমতে আরো ১৫ দিন : বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী -কালের কণ্ঠ
- প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত: আমীর খসরু-ইত্তেফাক
- বাংলাদেশ এখনো ইউরোপের দেশগুলোর মতো দুরবস্থায় পড়েনি: প্রধানমন্ত্রী-যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- মেরুদণ্ডহীন স্তাবকদের মন্ত্রী করার ফল! মোদিকে বিঁধে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন স্বামী-‘সংবাদ প্রতিদিন
- কামরার স্তূপ সরিয়ে, লাইন সারিয়ে বুধবার সকালের মধ্যে পুরো স্বাভাবিক হবে ট্রেন, আশাবাদী রেলমন্ত্রী-আনন্দবাজার পত্রিকা
- বন্দে ভারতের ঢক্কানিনাদে সুরক্ষাই উধাও -গণশক্তি
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
প্রথম আলোর তিন ধরনের তিনটি খবরের চুম্বক অংশ তুলে ধরছি শুরুতে। রাজনীতির খবরে গণতন্ত্র মঞ্চ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছে, গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া হলে এর পরিণতি ভালো হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জনসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় ৯ মাস ধরে কারাগারে আছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরা। কারাগারে থাকায় তিনি গত ঈদুল ফিতর পরিবারের সঙ্গে উদ্যাপন করতে পারেননি। আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহাও তাঁর কারাগারে কাটবে।
দেশজুড়ে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে দিন ও রাতে গরমের অনুভূতি আলাদা করার উপায় নেই। গভীর রাত পর্যন্ত থাকছে গরমের তেজ। এতে মধ্যরাতের পরও বিদ্যুতের চাহিদা তেমন একটা কমছে না; কিন্তু বিদ্যুৎ উৎপাদন রাত ১০টার পর থেকে কিছুটা কমতে থাকে। গত কয়েক দিন সর্বোচ্চ লোডশেডিং হচ্ছে মধ্যরাতের পর। এই পরিস্থিতি সারা দেশে, বিশেষ করে ঢাকার বাইরে বেশি। প্রশ্ন মধ্যরাতে কেন এত লোডশেডিং?
যুগান্তর পত্রিকার অনলাইন ভার্সনে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য ছাপা হয়েছে। আ.লীগ ভবন উদ্ধোধনকালে তিনি বলেছেন, আমেরিকায় না গেলে কিছু যায় আসে না আরও মহাদেশ আছে। বাংলাদেশ এখনো ইউরোপের দেশগুলোর মতো দুরবস্থায় পড়েনি পড়বেও না।
প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা না যাওয়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগত: আমীর খসরু-ইত্তেফাক
‘২০ ঘণ্টা জার্নি করে আমেরিকায় না গেলে কিচ্ছু যায় আসে না’—প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই বক্তব্যকে ‘ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি মনে করেন, ব্যক্তিগত এই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী জনগণের ওপর চাপিয়ে দিতে পারেন না।
আমীর খসরু আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোথায় যাবেন না যাবেন, সেটি তার ব্যক্তিগত ব্যাপার। বাংলাদেশের ১৭ কোটি মানুষ কোথায় যাবে, সে সিদ্ধান্ত তো তারা নেবে। একটা জাতি কোথায় যাবে না যাবে, সেই সিদ্ধান্ত প্রধানমন্ত্রী নেবেন- এটা বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই। প্রধানমন্ত্রী তো এই সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।
এদিকে যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, চলতি জুনের মধ্যে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
তিনি বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া ঘোষণা করুন। এই মাস পর্যন্ত সময় দিচ্ছি। যদি এখনো গায়ের জোরে ক্ষমতা ধরে রাখতে চান, তাহলে সিদ্ধান্ত নেব কিভাবে আপনাদের বিদায় করে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হবে।’মান্না বলেন, ‘অবৈধ ক্ষমতাসীন সরকার সারা পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। সব গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র এই সরকারের ওপর থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছে। তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানিয়েছেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার কখন হবে ঠিক করবেন প্রধানমন্ত্রী’
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
ভারতীয় রেলের ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটেছে ওড়িশায়। সেখানে তিন ট্রেনের সংঘর্ষে নিহত হয়েছে এ পর্যন্ত ২৯৫ জন, আহত ৬৫০ জন।
মেরুদণ্ডহীন স্তাবকদের মন্ত্রী করার ফল! মোদিকে বিঁধে রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ চাইলেন স্বামী-সংবাদ প্রতিদিন
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) সুরে সুর মিলিয়ে এবার রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগ চাইলেন প্রাক্তন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে বিঁধে তাঁর দাবি, শুধু মেরুদণ্ডহীন স্তাবকদের মন্ত্রী করার ফল পাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত।
বালেশ্বরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর নানা প্রশ্ন, নানা সম্ভাবনার তত্ত্ব উঠে আসছে। সব সম্ভাবনাই একদিকে ইঙ্গিত করছে, রেল দপ্তরের চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং সমন্বয়ের অভাব। ইতিহাস বলছে, এর আগে মাত্র দু’জন রেলমন্ত্রী দুর্ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছেন। প্রথমজন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। দ্বিতীয়জন নীতীশ কুমার। স্বাভাবিকভাবেই দাবি উঠছে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের (Ashwini Vaishnaw) পদত্যাগের। অভিষেক বন্দ্যপাধ্যায় ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিতে সুর চড়িয়েছে। একই দাবি জানিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারও। সেই সুরে সুর মেলালেন বিজেপি নেতা স্বামীও।এক টুইটে সুব্রহ্মণ্যম স্বামী দাবি করেছেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) শুধু অযোগ্য স্তাবকদের মন্ত্রী করেন। আর সেটারই ফলশ্রুতি হল বালেশ্বরের মতো দুর্ঘটনা।স্বামীর বক্তব্য,”এই ট্র্যাকগুলি স্লো ট্রেন চলার জন্য। এই ট্র্যাকে এমন দ্রুত গতির ট্রেন চালানোই উচিত হয়নি। সুতরাং রেলমন্ত্রীর পদত্যাগ করা উচিত। প্রধানমন্ত্রীর অনুমতির জন্য অপেক্ষা না করেই নিজে থেকে ইস্তফা দেওয়া উচিত রেলমন্ত্রীর। আর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি তো অযোগ্য এবং মেরুদণ্ডহীন স্তাবকদের মন্ত্রী করার জন্য বিখ্যাত। সেটারই মূল্য তাঁকে দিতে হচ্ছে। মণিপুরও এর উদাহরণ। সেখানেও নিজের চেলাকে বসিয়ে রেখেছেন মোদি।” তবে রেল সূত্র বলছে, এই ঘটনার দায় নিয়ে অশ্বিনীর পদত্যাগের সম্ভাবনা কার্যত নগণ্য।
করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার আসল কারণ কী? অবশেষে জানালেন রেলমন্ত্রী-সংবাদ প্রতিদিন
মালগাড়ি, করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express), যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। একই জায়গায় তিনটি ট্রেন। দুর্ঘটনায় ছিন্নভিন্ন দুটি ট্রেন। কিন্তু এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? গত দু’দিন ধরে এই প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব কেউ দিতে পারেননি। অবশেষে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaisnaw)। জানিয়ে দিলেন, দুর্ঘটনার আসল কারণ জানা গিয়েছে। কারা এই দুর্ঘটনার জন্য দোষী, সেটাও শনাক্ত করা গিয়েছে।
প্রাথমিকভাবে রেলের তরফে দাবি করা হয়, শালিমার-চেন্নাই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের সঙ্গে যশবন্তপুর এক্সপ্রেসের পাশাপাশি ধাক্কা লেগেছে। তাতেই করমণ্ডল এক্সপ্রেসের কিছু কামরা লাইনচ্যুত হয়ে পাশের লুপ লাইনে দাঁড়ানো মালগাড়ির দিকে হেলে পড়ে। বস্তুত ইন্টারলকিং বা পয়েন্টারের গোলযোগের কথা শনিবার অবধি স্বীকার করেনি রেল। কিন্তু রবিবার সকালে রেলমন্ত্রী জানান,”রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশন (Railway Safty Commission) এ নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্ত রিপোর্ট আসুক। কিন্তু আমরা দুর্ঘটনার কারণ আর কারা এর জন্য দায়ী জানতে পেরেছি।” রেলমন্ত্রী বলেন,”এটা ঘটেছে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের পরিবর্তনের জন্য। আপাতত লাইন সারাইটাই আমাদের ফোকাস।”
রেলমন্ত্রীর ব্যাখ্যার পর রেলের বিরুদ্ধে বড়সড় গোলযোগের যে অভিযোগ উঠেছিল, সেটাই আরও জোরাল হচ্ছে। সম্ভবত চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেস যে লাইন দিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক তার পাশেই লুপ লাইনে দাঁড়িয়ে ছিল মালগাড়ি। কোনওভাবে পয়েন্টার বা সিগন্যালিংয়ের গণ্ডগোলের ফলে লুপ লাইনে চলে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেস। পিছন থেকে সজোরে ধাক্কা মারে মালগাড়িটিকে। মালগাড়ির ওয়াগনের উপরে উঠে আসে করমণ্ডলের ইঞ্জিন। চেন্নাইগামী করমণ্ডল এক্সপ্রেসকে সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল মেইন লাইনের দিকে, আর ইন্টারলকিংয়ের পয়েন্টার ছিল লুপ লাইনের দিকে। সেটা রেলমন্ত্রীর ব্যাখ্যায় স্পষ্ট।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) শনিবারই জানিয়ে দিয়েছেন, দোষীদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এদিকে রবিবার রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই ঘটনার জন্য কারা দায়ী সেটা শনাক্ত করা গিয়েছে। তবে রেল বোর্ডের তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করার বার্তা দিয়েছেন তিনি। মনে করা হচ্ছে, খুব দ্রুত এই ঘটনার নেপথ্যের দোষীরা শাস্তি পাবেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নজরদারিতে তদন্ত চাই, বালেশ্বরের দুর্ঘটনা নিয়ে মামলা সুপ্রিম কোর্টে
বালেশ্বরের দুর্ঘটনার জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতিদের নজদারিতে দুর্ঘটনার তদন্তে দাবিতে দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। পাশাপাশি দুর্ঘটনা এড়াতে ভারতীয় রেলের প্রতিটি ট্রেনে ‘কবচ’ বাধ্যতামূলক করার দাবিও জানানো হয়েছে শীর্ষ আদালতে।
ওড়িশার বালেশ্বরের বাহানাগা বাজারের কাছে নজিরবিহীনভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তিনটি ট্রেন। যেখানে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮। আহত ৭৪৭। তাঁদের মধ্যে সংকটজনক অন্তত ৫৬ জন। ওড়িশার বিভিন্ন মর্গে অন্তত ১২২টি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির লাশ পড়ে। দুর্ঘটনার কারণ নিয়েও চাপানউতোর চলছে। এরমধ্য়েই দুর্ঘটনার জল গড়াল সুপ্রিম কোর্টে।
সংবাদসংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, সুপ্রিম কোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। যেখানে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞদের দ্বারা তদন্তের দাবি করেছেন মামলকারী। পাশাপাশি. প্রতিটি ট্রেনে স্বয়ংস্ক্রিয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা তথা ‘কবচ’ বাধ্যতামূলক করতে সুপ্রিম নির্দেশের আরজিও জানানো হয়েছে। তবে কবে শুনানি তা এখনওস্পষ্ট নয়।
মালগাড়ি, করমণ্ডল এক্সপ্রেস (Coromandel Express), যশবন্তপুর হামসফর এক্সপ্রেস। একই জায়গায় তিনটি ট্রেন। দুর্ঘটনায় ছিন্নভিন্ন দুটি ট্রেন। কিন্তু এত বড় দুর্ঘটনা ঘটল কী করে? গত দু’দিন ধরে এই প্রশ্নের স্পষ্ট জবাব কেউ দিতে পারেননি। অবশেষে দুর্ঘটনার কারণ নিয়ে মুখ খুললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব (Ashwini Vaisnaw)। রেলমন্ত্রী জানান,”রেলওয়ে সুরক্ষা কমিশন (Railway Safty Commission) এ নিয়ে তদন্ত করছে। তদন্ত রিপোর্ট আসুক। কিন্তু আমরা দুর্ঘটনার কারণ আর কারা এর জন্য দায়ী জানতে পেরেছি।” রেলমন্ত্রী বলেন,”এটা ঘটেছে ইলেকট্রনিক ইন্টারলকিংয়ের পরিবর্তনের জন্য। আপাতত লাইন সারাইটাই আমাদের ফোকাস।”
কামরার স্তূপ সরিয়ে, লাইন সারিয়ে বুধবার সকালের মধ্যে পুরো স্বাভাবিক হবে ট্রেন, আশাবাদী রেলমন্ত্রী-আনন্দবাজার
বালেশ্বরের বাহানগায় ট্রেন দুর্ঘটনার জেরে হাওড়া থেকে দক্ষিণ ভারতগামী বহু ট্রেন বাতিল। বেশ কিছু ট্রেনের গতিপথ ঘোরানো হয়েছে। কবে থেকে পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে পারে ট্রেন চলাচল, রবিবার দুর্ঘটনাস্থল থেকেই তা জানালেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তিনি আরও জানিয়েছেন, তদন্ত শেষ হয়েছে। শীঘ্রই দেওয়া হবে রিপোর্ট। রেলের লক্ষ্য বুধবার সকালের মধ্যে লাইন মেরামতির কাজ শেষ করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা। এর মধ্যেই রেলমন্ত্রী টুইট করে জানিয়েছেন, দুপুর ১২টা ০৫ মিনিট থেকে ডাউন মেইন লাইন ট্রেন চলাচলের জন্য উপযুক্ত হয়েছে।
বন্দে ভারতের ঢক্কানিনাদে সুরক্ষাই উধাও-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ‘বন্দে ভারত মোদীর ভারত’- দেশজুড়ে বিজেপি’র এই প্রচারই শুক্রবার রাতে বাস্তব হয়ে উঠলো বালেশ্বরের রেল লাইনে। বিপুল অর্থ খরচে প্রচারের ঢক্কানিনাদ সপ্তমে তুলে উচ্চবিত্তের সুবিধের জন্য রাজ্যে রাজ্যে প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করে চলেছেন ‘বন্দে ভারত’ ট্রেনের। আগামী বছর শুরুতে লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত এই কাজ চলবে বলে রেলসূত্রই জানাচ্ছে। আমজনতার ট্রেন ‘মোদীর ভারত’র ট্রেন নয়, যাতে সফর করেন হতদরিদ্ররা। ট্রেনই এই দেশের গায়েগতরে খেটেখাওয়া জনতার সস্তার যান। সেই পরিবহণ ব্যবস্থার সুরক্ষা, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের গাফিলতির চূড়ান্ত নজির হয়ে উঠলো করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন ঘটনাস্থলে গিয়ে বলেছেন, যারা এই ঘটনার জন্য দায়ী তাদের কারোকে ছাড়া হবে না। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শনিবার প্রাথমিক তদন্তে রেল জানিয়েছে সিগন্যাল ব্যবস্থার ত্রুটির কারণেই এত বড় দুর্ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু সিগন্যাল ব্যবস্থার ত্রুটি কেন, তার কারণ স্পষ্ট করতে পারেনি।
মোদির জন্য নয়, দেশের জন্য পদক জিতেছেন, কুস্তিগিরদের হয়ে সুর চড়ালেন কীর্তি আজাদ-সংবাদ প্রতিদিন
যৌন হেনস্তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন দেশের তাবড় তাবড় কুস্তিগিররা। প্রতিবাদস্বরূপ নিজেদের পদকগুলিও গঙ্গায় ভাসিয়ে দেওয়ার কথা বলেছিলেন তাঁরা। এবার কুস্তিগিরদের পাশে দাঁড়িয়ে তাঁদের এহেন পদক্ষেপ না করার আরজি জানালেন ‘৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার কীর্তি আজাদ। মোদির বিরুদ্ধেও সুর চড়িয়েছেন তিনি।
যৌন হেনস্তা করেছেন কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ শরণ সিং, এই মর্মে অভিযোগ জানিয়েছেন একের পর এক কুস্তিগির। তবুও হেলদোল নেই কেন্দ্র সরকারের। বহাল তবিয়তেই গদি আঁকড়ে রেখেছেন ওই বিজেপি সাংসদ। এদিকে ধরনায় বসার অপরাধে রীতিমতো পুলিশি আক্রমণ নেমে এসেছে পদকজয়ী কুস্তিগিরদের উপরেই। তবুও মাথা নোয়াননি বিনেশ-সাক্ষী-সঙ্গীতারা। তাঁরা জানিয়েছিলেন, এতদিনের পরিশ্রমের ফসল যে পদকগুলি, সাক্ষীর অলিম্পিক মেডেল, বিনেশের এশিয়ান গেমসের সোনা, এই সবকিছুই গঙ্গায় ভাসিয়ে দেবেন তাঁরা। তবে ইতিমধ্যে তাঁদের এহেন পদক্ষেপ না নেওয়ার আরজি জানিয়েছেন ‘৮৩-র বিশ্বকাপজয়ী টিম ইন্ডিয়ার অধিকাংশ সদস্য। আর এবার সেই দলের অন্যতম সদস্য কীর্তি আজাদ সুর চড়ালেন প্রধানমন্ত্রী সহ কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে।
সাফ জানালেন, ১৯৮৩ সালে প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। কিন্তু তার মানে এই নয় যে প্রধানমন্ত্রীর জন্য তাঁরা বিশ্বকাপ জিতেছিলেন। তেমনই কুস্তিগিররাও কেউ নরেন্দ্র মোদি বা বিজেপির জন্য পদক জেতেননি। তাঁরা পদক জিতেছেন দেশের জন্য। সুতরাং বিজেপি সরকারের কাজের প্রতিবাদে নিজেদের কষ্টার্জিত পদক বিসর্জন দেওয়ার সিদ্ধান্ত মানতে পারছেন না বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার।
সতীর্থ কপিলদেব, সুনীল গাভাসকরের মতো কুস্তিগিরদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছেন কীর্তি। তবে এখানেই থেমে যাননি তিনি। আসলে প্রাক্তন ক্রিকেটার কীর্তি প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লোকসভায় তিনবার নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/৪