কুরআনের আলো
সূরা আল-হাশর: ১-৭ (পর্ব-১)
শ্রোতাবন্ধুরা, সালাম ও শুভেচ্ছা নিন। আশা করছি আপনারা সবাই ভালো আছেন। গত আসরে আমরা সূরা মুজাদালার আলোচনা শেষ করেছি। কাজেই আজ থেকে আমরা এর পরবর্তী সূরা অর্থাৎ সূরা হাশরের সংক্ষিপ্ত তাফসির উপস্থাপন করব। মদীনায় অবতীর্ণ এই সূরাটিতে ২৪টি আয়াত রয়েছে। সূরার বেশিরভাগ অংশ জুড়ে ইসলামের ক্ষতি করার জন্য মদীনার ইহুদিদের সঙ্গে মুনাফিকদের গোপন ষড়যন্ত্র নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তবে এসব আয়াত থেকে প্রমাণিত হয়, শত্রুদের সে ষড়যন্ত্র কোনো ফল বয়ে আনেনি বরং তাদেরকে শুধু ব্যর্থই হতে হয়েছে।
প্রথমেই এই সূরার ১ ও ২ নম্বর আয়াতের তেলাওয়াত ও তর্জমা শোনা যাক:
بِسْمِ اللَّهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ
سَبَّحَ لِلَّهِ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الْأَرْضِ وَهُوَ الْعَزِيزُ الْحَكِيمُ (1) هُوَ الَّذِي أَخْرَجَ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ مِنْ دِيَارِهِمْ لِأَوَّلِ الْحَشْرِ مَا ظَنَنْتُمْ أَنْ يَخْرُجُوا وَظَنُّوا أَنَّهُمْ مَانِعَتُهُمْ حُصُونُهُمْ مِنَ اللَّهِ فَأَتَاهُمُ اللَّهُ مِنْ حَيْثُ لَمْ يَحْتَسِبُوا وَقَذَفَ فِي قُلُوبِهِمُ الرُّعْبَ يُخْرِبُونَ بُيُوتَهُمْ بِأَيْدِيهِمْ وَأَيْدِي الْمُؤْمِنِينَ فَاعْتَبِرُوا يَا أُولِي الْأَبْصَارِ (2)
“বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।”
“আসমানসমূহ ও যমীনে যা কিছু আছে সবই আল্লাহ্র তসবিহ পাঠ করে [এবং তাঁর পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে]; আর তিনি পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।” (৫৯:১)
“আহলে কিতাবদের মধ্যে যারা কুফরী করেছিল তিনিই প্রথমবারের মত তাদেরকে তাদের ঘর-বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছিলেন। যদিও তোমরা ধারণাও করনি যে, তারা বেরিয়ে যাবে। আর [তারা নিজেরা] ধারণা করেছিল যে, তাদের দুর্গগুলো তাদেরকে আল্লাহর আযাব থেকে রক্ষা করবে। কিন্তু আল্লাহর [আযাব] এমন এক দিক থেকে আসল যা তারা কল্পনাও করতে পারেনি এবং তিনি তাদের অন্তরসমূহে ত্রাসের সঞ্চার করলেন, [ফলে] তারা তাদের ঘর-বাড়ি আপন হাতে ও মুমিনদের হাতে ধ্বংস করতে শুরু করল। অতএব হে দৃষ্টিমান লোকেরা! তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।” (৫৯:২)
মহান আল্লাহর তসবিহ বা প্রশংসা দিয়ে সূরা হাশর শুরু হয়েছে এবং এখানে আল্লাহ তায়ালার দু’টি গুণবাচক নাম ‘মহাপরাক্রমশালী’ ও ‘প্রজ্ঞাময়’ ব্যবহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে একথা বোঝানো হয়েছে যে, শত্রুরা যত বড় ষড়যন্ত্রই করুক না কেন তা আল্লাহর জ্ঞানের বাইরে নয় এবং তিনি চাইলে সে ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হবে।
ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, মদীনা শহর ও এর আশাপাশে তিনটি ইহুদি গোত্র বসবাস করত। এগুলো ছিল, বনু নাজির, বনু কুরাইজা ও বনু কায়নুকা। আল্লাহর রাসূল (সা.) মদীনায় হিজরত করার পর ওই তিন গোত্রের সঙ্গেই অনাক্রমণ চুক্তি করেন। কিন্তু বদর ও ওহুদ যুদ্ধের পর ইহুদিদের একটি অংশ মক্কার মুশরিকদের সঙ্গে গোপন ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। তারা মক্কার কুরাইশ সর্দারদের সঙ্গে গোপনে এই চুক্তি করে যে, সুযোগ বুঝে মুসলমানদের ওপর হামলা করতে হবে। হযরত জিবরাইল আমিনের মাধ্যমে রাসূলুল্লাহ (সা.) ইহুদিদের চুক্তি ভঙ্গ করার কথা জেনে যান এবং বনু নাজিরের বিরুদ্ধে হামলা চালানোর জন্য মুসলমানদের প্রস্তুত হয়ে যেতে বলেন। মুসলমানরা আক্রমণ করতে আসছে শুনে ইহুদিদের এই গোত্রটি মদীনার উপকণ্ঠে তাদের একটি সুরক্ষিত দুর্গে আশ্রয় নেয়। মুসলিম বাহিনী দুর্গটি অবরুদ্ধ করে। এ অবস্থায় আল্লাহ তায়ালা ইহুদিদের অন্তরে এমন ভয় ঢুকিয়ে দেন যে, তারা কোনো যুদ্ধ ও রক্তপাত ছাড়াই মুসলমানদের কাছে আত্মসমর্পণ করে।
এই দুই আয়াতের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো:
১- যে বিশ্বজগত আল্লাহ তায়ালার প্রজ্ঞা ও ক্ষমতার ভিত্তিতে সৃষ্টি হয়েছে তার সবকিছু মহান আল্লাহকে সব ধরনের দুর্বলতা, অক্ষমতা ও ত্রুটি থেকে মুক্ত ও পবিত্র বলে ঘোষণা করে।
২- আমরা যদি আল্লাহ তায়ালার খাঁটি বান্দা হতে পারি তাহলে আমাদের প্রতি যথাসময়ে আল্লাহর সাহায্য আসবে এবং শত্রুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যাবে।
৩- চুক্তি ভঙ্গকারী শত্রুর সঙ্গে কঠোরতম আচরণ করতে হবে যাতে সে আবার একই কাজ করার সাহস না পায় ও পেছন থেকে মুসলমানদের ছুরিকাঘাত করতে না পারে।
৪- ইসলামের শত্রুদের মোকাবিলা করার সময় তাদের সৈন্যসংখ্যা, যুদ্ধাস্ত্র ও অন্যান্য রসদ সামগ্রী দেখে ভয় পেলে চলবে না। বরং পরিপূর্ণ ঈমানের সঙ্গে জিহাদে ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে এবং আল্লাহর সাহায্যের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত থাকতে হবে।
এবারে সূরা হাশরের ৩ থেকে ৫ নম্বর পর্যন্ত আয়াতের তেলাওয়াত ও তর্জমা শোনা যাক:
وَلَوْلَا أَنْ كَتَبَ اللَّهُ عَلَيْهِمُ الْجَلَاءَ لَعَذَّبَهُمْ فِي الدُّنْيَا وَلَهُمْ فِي الْآَخِرَةِ عَذَابُ النَّارِ (3) ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ شَاقُّوا اللَّهَ وَرَسُولَهُ وَمَنْ يُشَاقِّ اللَّهَ فَإِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ (4) مَا قَطَعْتُمْ مِنْ لِينَةٍ أَوْ تَرَكْتُمُوهَا قَائِمَةً عَلَى أُصُولِهَا فَبِإِذْنِ اللَّهِ وَلِيُخْزِيَ الْفَاسِقِينَ (5)
“আল্লাহ তাদের নির্বাসনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ না করলে, অবশ্যই তাদেরকে এই পৃথিবীতেই (অন্য) শাস্তি দিতেন; আর পরকালে তো তাদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের আজাব।”(৫৯:৩)
“এটা এজন্যে যে, নিশ্চয় তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধাচরণ করেছিল। আর কেউ আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ করলে [সে জেনে রাখুক] আল্লাহ তো শাস্তি দানে কঠোর।”(৫৯:৪)
“[হে মুসলমানগণ!] তোমরা যে খেজুর বৃক্ষগুলি কর্তন করেছ অথবা যেগুলি কান্ডের উপর স্থির রেখে দিয়েছ, তাতো আল্লাহরই অনুমতিক্রমে [করেছো]; এটা এ জন্য যে, [আল্লাহ চেয়েছিলেন] পাপাচারীদেরকে লাঞ্ছিত করতে।”(৫৯:৫)
আগের আয়াতগুলোর ধারাবাহিকতায় এই তিন আয়াতে বলা হচ্ছে: বানু নাজির গোত্রের ইহুদিরা আত্মসমর্পণ করার পর তাদেরকে মদীনা থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। ফলে এই ইহুদি গোত্রটি যুদ্ধবিগ্রহ, রক্তপাত ও বন্দিদশার মতো জানমালের ক্ষতি থেকে মুক্তি পায়। অর্থাৎ পার্থিব জগতের শাস্তি থেকে তারা প্রাণে বেঁচে যায়। কিন্তু আল্লাহ বলছেন, পরকালে তাদের শাস্তি সংরক্ষিত থাকবে। কারণ, তারা আল্লাহর রাসূলের সঙ্গে শত্রুতা থেকে সরে যায়নি। আর আল্লাহর রাসূলের সঙ্গে শত্রুতার অর্থ খোদ আল্লাহর সঙ্গে শত্রুতা করা।
ইসলামি সংস্কৃতিতে অতি জরুরি কাজ ছাড়া গাছ কাটা কিংবা জঙ্গল উজাড় করা বৈধ নয়। যেমন, মুসলিম যোদ্ধাদের চলার পথে কোনো গাছ বা জঙ্গল প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করলে তখন গাছ কাটার অনুমতি আছে। তবে তা হতে হবে আল্লাহর রাসূল বা অন্য কোনো দায়িত্বশীলের অনুমতিক্রমে। ইহুদিদের দুর্গ জয় করার অভিযানে মুসলিম যোদ্ধাদের জীবন বাঁচাতে রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর অনুমতিক্রমে দুর্গের আশপাশের কিছু খেজুর গাছ কেটে ফেলা হয়।
এই তিন আয়াতের কয়েকটি শিক্ষণীয় বিষয় হলো:
১- ইসলাম ষড়যন্ত্রকারী ও জমিনে দাঙ্গা সৃষ্টিকারীদের জন্য ন্যুনতম যে শাস্তির বিধান রেখেছে তা হচ্ছে ষড়যন্ত্রকারী ও দাঙ্গাবাজদেরকে তাদের ভিটেমাটি থেকে উচ্ছেদ করে নির্বাসনে পাঠানো।
২- ইহুদিদেরকে মদীনা থেকে বহিষ্কার করা হয় চুক্তি ভঙ্গ ও নৈরাজ্য সৃষ্টি করার কারণে। শুধুমাত্র ইহুদি হওয়ার কারণে তাদেরকে এ শাস্তি দেওয়া হয়নি।
৩- অতি জরুরি প্রয়োজনে ইসলামে গাছ কাটার বিধান রয়েছে।
এবারে সূরা হাশরের ৬ ও ৭ নম্বর আয়াতের তেলাওয়াত ও তর্জমা শোনা যাক:
وَمَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْهُمْ فَمَا أَوْجَفْتُمْ عَلَيْهِ مِنْ خَيْلٍ وَلَا رِكَابٍ وَلَكِنَّ اللَّهَ يُسَلِّطُ رُسُلَهُ عَلَى مَنْ يَشَاءُ وَاللَّهُ عَلَى كُلِّ شَيْءٍ قَدِيرٌ (6) مَا أَفَاءَ اللَّهُ عَلَى رَسُولِهِ مِنْ أَهْلِ الْقُرَى فَلِلَّهِ وَلِلرَّسُولِ وَلِذِي الْقُرْبَى وَالْيَتَامَى وَالْمَسَاكِينِ وَابْنِ السَّبِيلِ كَيْ لَا يَكُونَ دُولَةً بَيْنَ الْأَغْنِيَاءِ مِنْكُمْ وَمَا آَتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ (7)
“আল্লাহ [ইহুদিদেরকে তাদের ঘরবাড়ি থেকে বিতাড়ন করে বিনা যুদ্ধে] যে সম্পদ তাঁর রাসূলকে ফিরিয়ে দিয়েছেন, [তাতে তোমাদের কোনো অংশ নেই। কারণ, তা অর্জনের জন্য তোমরা কোনো পরিশ্রম করোনি কিংবা] তার জন্য তোমরা ঘোড়া ছুটাওনি এবং উটও নয়। বরং আল্লাহ তাঁর রাসূলগণকে যার উপর ইচ্ছা কর্তৃত্ব দান করেন। আর আল্লাহ সর্ববিষয়ে সর্বশক্তিমান।”(৫৯:৬)
“আল্লাহ এই জনপদবাসীর নিকট হতে তাঁর রাসূলকে [বিনা যুদ্ধে যে সম্পদ ও জমি] ফিরিয়ে দিয়েছেন, তা আল্লাহর, রাসূলের, (তাঁর) আত্মীয়গণের এবং ইয়াতীম, অভাবগ্রস্ত ও মুসাফিরদের জন্য, যাতে তোমাদের মধ্যে যারা ধনবান শুধু তাদের মধ্যেই [এই ধন-মাল] আবর্তন না করে। আর রাসূল তোমাদের জন্য যা আনেন, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা হতে তোমাদেরকে নিষেধ করেন, তা হতে বিরত থাক। তোমরা আল্লাহর [নাফরমানি] থেকে বিরত থাকো। নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর।”(৫৯:৭)
আগের আয়াতগুলোতে আমরা দেখেছি, মদীনার ইহুদিরা যুদ্ধ ও রক্তপাত ছাড়াই মুসলমানদের কাছে আত্মসমর্পণ করে এবং মদীনা থেকে বিতাড়িত হয়। এ সময় মুসলমানদের কেউ কেউ এ দাবি তোলেন যে, ইহুদিদের রেখে যাওয়া জমিজমা ও সম্পদ গনীমাতের মাল হিসেবে সবার মধ্যে বণ্টন করে দেওয়া হোক। কিন্তু মহান আল্লাহ এই দুই আয়াত নাজিল করে বলেন: মুসলমানরা যেহেতু যুদ্ধ করেনি এবং কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়নি তাই ইহুদিদের রেখে যাওয়া সম্পদে তাদের কোনো অধিকার নেই। এসব সম্পদ বণ্টনের একচ্ছত্র মালিক রাসূলুল্লাহ (সা.) এবং তিনি যেমন ইচ্ছা তেমন করে তা বণ্টন করতে পারেন।
ঐতিহাসিক দলিল অনুযায়ী, মহানবী (সা.) এই সম্পদ মক্কা থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে যেসব মুহাজির খালি হাতে মদীনায় এসেছিলেন তাদের পাশাপাশি কয়েকজন অসহায় আনসারের মধ্যে বণ্টন করেছিলেন। পরের আয়াতে একটি চিরায়ত বিধানের প্রতি ইঙ্গিত করে বলা হচ্ছে: রাসূলের আদেশ ও নিষেধ পালন করা তোমাদের সকলের জন্য চূড়ান্ত কর্তব্য; সেটি হোক ধর্মীয় কিংবা সামাজিক বা অর্থনৈতিক বিষয়।
এই দুই আয়াতের শিক্ষণীয় বিষয়গুলো হলো:
১- আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ নির্ভর করলে এবং তিনি সাহায্য করলে শত্রুর অন্তরে এমন ভীতি সৃষ্টি হয় যে, বিনা যুদ্ধ ও রক্তপাতে বিজয় অর্জিত হয়।
২- মুসলিম ভূখণ্ড ত্যাগ করা ইসলামের শত্রুদের ঘরবাড়ি ও সম্পদ ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের কর্তৃত্বে চলে আসে। তারা ন্যায় ও ইনসাফের ভিত্তিতে এই সম্পদ অভাবী লোকদের মাঝে বণ্টন করবেন।
৩- ইসলামের অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় সম্পদের সুষম বণ্টন নিশ্চিত করা হয়েছে যাতে বিশেষ একটি শ্রেণির হাতে সম্পদ কূক্ষিগত না থাকে।
৪- রাসূলের আদেশ-নিষেধ এবং তাঁর সুন্নত ও জীবনাদর্শ পালন করা আমাদের জন্য অবশ্যপালনীয় কর্তব্য। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত আল্লাহর আদেশের সমমর্যাদায় এসব পালন করতে হবে।
তো শ্রোতাবন্ধুরা! এরইসঙ্গে শেষ করছি কুরআনের আলোর আজকের আয়োজন। আমাদের সঙ্গ দেয়ার জন্য আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।
পার্সটুডে/এমএমআই/ বাবুল আখতার/১২
বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।