চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন
'সময়ের পরিক্রমায় রেডিও তেহরান ফিরে এসেছে নবউদ্দীপনার সোনালী মোড়কে'
নাসির মাহমুদ: শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের জবাবের অনুষ্ঠান 'প্রিয়জন'। আজকের অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় রয়েছি- আমি নাসির মাহমুদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।
আশরাফুর রহমান: প্রত্যেক আসরের মতো আজও অনুষ্ঠানের শুরুতেই আমি একটি বাণী শোনাতে চাই। ইমাম যায়নুল আবেদীন (আ.) বলেছেন: 'মিথ্যা ছোট হোক আর বড় হোক তা পরিহার করবে। কারণ যে ছোট মিথ্যা বলে সে বড় মিথ্যায় সাহসী হয়ে ওঠে।'
আকতার জাহান: আমরা সবাই মিথ্যা পরিহার করে সত্যবাদী হওয়ার চেষ্টা করব- এ কামনায় নজর দিচ্ছি চিঠিপত্রের দিকে।
বাংলাদেশের কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর থেকে এস এম হৃদয় রহমান পাঠিয়েছেন আসরের প্রথম মেইলটি।
তিনি লিখেছেন, "ফার্সি নববর্ষ বা নওরোজের ১৩তম দিন অর্থাৎ প্রকৃতি দিবস নিয়ে রেডিও তেহরানে প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠানটি অত্যন্ত ভালো লেগেছে। গাজী আবদুর রশীদ ও রেজওয়ান হোসেনের উপস্থাপনায় প্রকৃতি দিবসের অনুষ্ঠানটি একদিকে যেমন আনন্দময় লেগেছে অন্যদিকে ইরানের ঐতিহ্যবাহী ‘নওরোজ’ সংস্কৃতিকে ভিন্নমাত্রায় ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ‘নওরোজ’ উদযাপনে ইসলামপূর্ব এবং ইসলামপরবর্তী সময়ের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরায় প্রকৃতি দিবস নিয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানটি বেশ শিক্ষণীয় এবং জ্ঞান সমৃদ্ধ হয়েছে।"
নাসির মাহমুদ: ইরানের প্রকৃতি দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানটি ভালো লেগেছে জানিয়ে ইমেইল পাঠানোয় এস এম হৃদয় রহমান আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আবারো লিখবেন।
বাংলাদেশের পর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বারুইপাড়া থেকে আসা একটি ইমেইল হাতে তুলে নিচ্ছি।
আশরাফুর রহমান: নিশ্চয়ই নাজিম উদ্দিন ভাই পাঠিয়েছেন মেইলটি?
নাসির মাহমুদ: জি, আপনি একদম ঠিক ধরেছেন। প্রায় ৩০০ শব্দের এই চিঠিতে নাজিম উদ্দিন ভাই লিখেছেন, "প্রায় তিন দশকের বেশি সময় ধরে রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠানের সঙ্গী হয়ে রয়েছি। শুধু আমি নই, রেডিও তেহরানের নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদের কারণে এখনও বহু শ্রোতা রেডিও তেহরানের সাথেই রয়েছেন। অগণিত সাধারণ শ্রোতা যাঁরা কোনোদিনই মেইল বা পত্র লিখেন না কিন্তু তারা বিশ্বের খবরের জন্যে কান রাখেন রেডিওতে; প্রশংসা করেন রেডিও তেহরানের।"
আকতার জাহান: চিঠির শেষাংশে নাজিম ভাই খানিকটা সমালোচনা করে লিখেছেন, "শুধুমাত্র জুম্মা নামাজের খুতবার বিবৃতি বা আন্তর্জাতিক বিষয়ে ইরান সরকারের বিবৃতি ছাড়া রেডিও তেহরান থেকে তেমন কোনো সংবাদ আমরা পাই না বললেই চলে। আমরা আন্তর্জাতিক খবরের পাশাপাশি ইরানের জাতীয় স্তরের নানা গুরুত্বপূর্ণ খবরও পেতে চাই। আশা করি বিষয়টি বিবেচনা করে এই ধরনের খবরও আমাদের জন্যে পরিবেশন করবেন।"
আশরাফুর রহমান: ভাই নাজিম উদ্দিন, আপনি নিশ্চয়ই জানেন যে, বিশ্বসংবাদের জন্য আমাদের নির্ধারিত সময় ১৫ মিনিটেও কম। তারমধ্যে ৩/৪ মিনিট চলে যায় ঢাকা ও কোলকাতার সংবাদদাতাদের ভয়েজ বার্তায়। সে কারণে ইরানের জাতীয়স্তরের খবর খুব বেশি প্রচারের সুযোগ থাকে না। তবে আমরা গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলো ওয়েবসাইটে আপলোড করার চেষ্টা করি। আশা করি ওয়েবসাইট থেকে সেগুলো পড়ে নেবেন। মতামত ও প্রস্তাবের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাসির মাহমুদ: বাংলাদেশের জামালপুর জেলার মাদারগঞ্জ থানার পূর্ব নলছিয়া থেকে 'জাগো রেডিও লিসেনার্স ক্লাব'-এর সভাপতি হারুন অর রশীদ পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।
তিনি লিখেছেন, "পবিত্র মাহে রমজানে প্রচারিত 'খোদা প্রেমের অনন্য উৎসব' অনুষ্ঠানটি ছিল নিঃসন্দেহে রেডিও তেহরানের সেরা ও সময়োপযোগী অনুষ্ঠান। তাছাড়া, রেডিও তেহরানের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত শ্রোতা-লেখকবন্ধুদের আকর্ষণীয় লেখাগুলোও মনকে ভালোলাগায় ভরিয়ে দেয়। ফেসবুক পেজে সাপ্তাহিক কুইজসহ অন্যান্য কার্যক্রমের মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, রেডিও তেহরান বর্তমানে সকল বাংলা রেডিওর সেরা স্টেশন।"
আকতার জাহান: রেডিও তেহরানের বিশেষ অনুষ্ঠান, ওয়েবসাইট ও কুইজ প্রতিযোগিতা সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি জানিয়ে ইমেইল করায় ভাই হারুন অর রশীদ আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কোচবিহার জেলার শীতলকুচি থানার গাদোপোতা গ্রাম থেকে সহিদুল ইসলাম পাঠিয়েছেন পরের মেইলটি।
তিনি লিখেছেন, "গত ১ এপ্রিল রেডিও তেহরানের সন্ধ্যাকালীন অধিবেশনে প্রচারিত প্রতিটি অনুষ্ঠানই আমার ভালো লেগেছে। তবে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে ইসলামী প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানটি। এই অনুষ্ঠানটি থেকে জানতে পারলাম যে, ১৯৭৯ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি হযরত ইমাম খোমেনী (রহ.)-এর নেতৃত্বে ইসলামী বিপ্লব বিজয়ের দুই মাস পর অর্থাৎ মার্চ মাসে একটি ঐতিহাসিক গণভোট অনুষ্ঠিত হয়। ওই গণভোটে ইরানের ৯৮.২ শতাংশ জনগণ ইসলামী প্রজাতন্ত্রের পক্ষে ভোট দেয় এবং ১৯৭৯ সালের ১ এপ্রিল ইরানকে ইসলামি প্রজাতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করা হয়।"
আশরাফুর রহমান: ইসলাম প্রজাতন্ত্র দিবসের বিশেষ অনুষ্ঠানটি মনোযোগ দিয়ে শোনার পর মতামত জানিয়ে ইমেইল করায় সহিদুল ইসলাম ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। আশা করি আবারো লিখবেন।
শ্রোতাবন্ধুরা, এবারে আমরা রেডিও তেহরানের ওয়েব সাইট পার্সটুডের খবরে যে মন্তব্য হয়েছে সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি মন্তব্য তুলে ধরব।
'মার্কিন গোয়েন্দা বিমানকে ইরানের আকাশসীমা থেকে ফিরিয়ে দিল নৌবাহিনী' এই শিরোনামে ৩ এপ্রিল প্রকাশিত খবরে একটি মন্তব্য করেছেন মহিউদ্দিন। তিনি লিখেছেন, "ইরানের উচিত ব্যাপকভিত্তিতে আন্তঃমহাদেশীয় এবং দূরপাল্লার হাইপারসনিক মিসাইল উৎপাদন করা এবং সেই সাথে ইসরায়েলের আয়রন ডোমের চেয়ে অত্যাধুনিক আকাশ প্রতিরক্ষার দিকে মনোযোগী হওয়া।সেই সাথে ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোকে অস্ত্র, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র প্রযুক্তি দিয়ে সহযোগিতা করে ইসরায়েলকে চারদিক থেকে আতঙ্কের মধ্যে রাখা। এসব প্রচেষ্টার ফলে ইরান মধ্যপ্রাচ্যে একক পরাশক্তি হিসেবে আধিপত্য বিস্তার লাভ করতে পারবে।"
নাসির মাহমুদ: 'পবিত্র রমজানে আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি তরুণকে গুলি করে হত্যা' এই শিরোমের খবরে ডাঃ মোঃ হাসানুল হোসেন লিখেছেন, "জাতিসংঘ এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন সবসময় নীরব থেকে এই ধরনের হত্যাকাণ্ডে উৎসাহ প্রদান করে।"
আকতার জাহান: 'দায়েশবিরোধী লড়াইয়ের নামে আমেরিকা সিরিয়ার জাতীয় সম্পদ লুট করছে' এই শিরোনামের খবরে খন্দকার শাহজাহান লিখেছেন, "সিরিয়ায় মার্কিন সামরিক উপস্থিতির একমাত্র উদ্দেশ্য ঐ দেশের তেল সম্পদ লুটপাট করা। রাশিয়া, ইরান ও সিরিয়ার দায়িত্ব হলো- আমেরিকার অবৈধ দখলদারিত্বের অবসান ঘটানো।"
আশরাফুর রহমান: 'ইরানে প্রথমবারের মতো ভূগর্ভস্থ আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার টানেল উন্মোচন' এই খবরে মাওলানা মোহাম্মদ মাহমুদ লিখেছেন, 'এগিয়ে যাও ইরান, তুমিই বিজয়ী হবে। বিশ্ব তোমায় স্যালুট দেবে, দিতে বাধ্য হবে'।
নাসির মাহমুদ: মধ্যপ্রাচ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবরে মন্তব্য করার জন্য আপনাদের সবাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ। আশা করি নিয়মিত মন্তব্য করবেন।
আকতার জাহান: শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আমরা সরাসরি কথা বলব ভারতের এক শ্রোতাবন্ধুর সঙ্গে। প্রথমেই তার পরিচয় জানা যাক।
আশরাফুর রহমান: ভাই মুন্সি দরুদ, প্রিয়জন অনুষ্ঠানে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি। প্রথমেই আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি, আপনি রেডিও শুনছেন কবে থেকে আর রেডিও তেহরানের সঙ্গে আপনার পরিচয় কবে এবং কিভাবে? (সাক্ষাৎকার)
নাসির মাহমুদ: ভাই মুন্সি দরুদ, এবার বলুন, ঠিক কোন্ কোন্ বৈশিষ্ট্যের কারণে আপনি রেডিও তেহরান শোনেন? (সাক্ষাৎকার)
আকতার জাহান: আমরা জানি যে, আপনি দীর্ঘদিন ধরে পত্রপত্রিকা ও রেডিওতে লেখালেখি করে যাচ্ছেন। তো এসব করে কোনো পুরস্কার কিংবা সম্মাননা পেয়েছেন কী?
নাসির মাহমুদ: চমৎকার সাফল্যের জন্য আপনাকে অভিনন্দন। তো, সবশেষে শ্রোতাদের উদ্দেশে কিছু বলতে চাইলে আপনি তাও বলতে পারেন।
আশরাফুর রহমান: আপনার সাফল্যের গল্পে থেকে প্রেরণা নিয়ে শ্রোতাবন্ধুরা নিশ্চয়ই চিঠি লিখবেন। তো আজকের এই সাক্ষাৎকারপর্বে অংশ নেওয়ার জন্য মুন্সি দরুদ ভাই আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
আকতার জাহান: এবারের মেইলটি এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থেকে। আর পাঠিয়েছেন দেবাশীষ গোপ।
তিনি রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের ৪১তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে সকল শ্রোতাবন্ধু ও কলাকুশলীদের জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে রেডিও তেহরান বাংলার উত্তরোত্তর উন্নতি ও শ্রীবৃদ্ধি কামনা করেছেন।
আশরাফুর রহমান: একই বিষয়ে পরের মেইলটি পাঠিয়েছেন নরসিংদীতে নবগঠিত আইআরআইবি ফ্যান ক্লাবের সভাপতি মোঃ হোসাইন মুসা। তিনি জানিয়েছেন রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠানের ৪১তম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে গত ৮ এপ্রিল আলোচনা সভা ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। একই অনুষ্ঠানে ‘আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব নরসিংদী'র ৩৬ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়।
নাসির মাহমুদ: নবগঠিত ক্লাবের সকল সদস্যকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। সেইসাথে ধন্যবাদ জানাচ্ছি রেডিও তেহরানের ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করার জন্য।
বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহাদত হোসেন পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।
প্রীতি ও শুভেচ্ছা জানাবার পর তিনি লিখেছেন, "১৭ মার্চ শুক্রবার প্রচারিত সুন্দর জীবন অনুষ্ঠানটি আমাদের হৃদয় মন কেড়ে নিয়েছে। এতে আবেগ-অনুভূতির প্রকাশ এবং প্রয়োজনে তা নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে আলোচনা করা হয়। সত্যি বলতে কী, প্রতিদিনই আমরা নানা ধরনের আবেগ অনুভূতির মুখোমুখি হই। কখনো আমরা খুশি হই, কখনো বেদনায় বিষন্ন থাকি। কখন কোন পরিস্থিতিতে কিরুপ আবেগ প্রকাশ করতে হবে সে সম্পর্কে ধারনা থাকলে সুবিধা হয়। অপরদিকে যারা নিজের আবেগ অনুভূতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন, তারাই জীবনে সফল হতে পারেন। বিশেষ করে রাগ নিয়ন্ত্রণ করা জরুরি।"
আকতার জাহান: সুন্দর জীবন অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি জানিয়ে মতামত প্রকাশ করায় শাহাদত ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে, আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশ'-এর দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। ওই প্রতিযোগিতায় 'এ' ক্যাটাগরিতে বিজয়ী হয়েছিলেন ৫ জন শ্রোতা। আজকে আসরে তুলে ধরব ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সিনিয়র শ্রোতা বিধান চন্দ্র সান্যালের লেখার কিছু অংশ। তিনি লিখেছেন-
আশরাফুর রহমান: "স্কুল জীবনে পড়াশোনা করবার সময় আমার মনটা কোন এক অজানা কারণেই বেতারপ্রেমী হয়ে উঠেছিল। যার ফলে কোনো একদিন রাতে রেডিওর নব ঘোরাতে ঘোরাতে রেডিও তেহরানে বাংলা অনুষ্ঠান আমার মনের আঙিনায় ধরা দেয়। সেদিনটা ছিল ১৯৮৩ অথবা ১৯৮৪ সালের এক বর্ষণমুখর রাত। তারপর থেকে রেডিও তেহরানের সাথে আমার পথচলা শুরু।"
নাসির মাহমুদ: তারপর কী হলো- তা জানতে বিধান চন্দ্র সান্যালের বিশাল লেখাটি পড়তে পারেন পার্সটুডেতে। তো স্মৃতিচারণমূলক লেখাটির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
তো শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠান থেকে বিদায় নেওয়ার আগে আপনাদের জন্য রয়েছে একটি আবৃত্তি। কবি আল মাহমুদের 'হায়রে মানুষ' শিরোনামের কবিতাটি আবৃত্তি করেছেন আমীনুল হক বুলবুল।
আকতার জাহান: আবৃত্তিটি শুনলেন। তো বন্ধুরা, আপনারা ভালো ও সুস্থ থাকুন আবারো এ কামনা করে বিদায় নিচ্ছি চিঠিপত্রের আজকের আসর থেকে।
পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/১৫