মোদীর আমেরিকা সফর
'যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ২১ জুন বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- চার্জ গঠনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে ড. ইউনূস -ইত্তেফাক
- হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন-যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ -প্রথম আলো
- ‘বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট, ভারতের অবস্থান তাদের নিজস্ব’ –মানবজমিন
- ইভিএমে বিলম্ব, গরমে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন বয়স্ক ভোটাররা -কালের কণ্ঠ
- ক্রিমিয়ায় হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যকে যে হুশিয়ারি দিল রাশিয়া -যুগান্তর
কোলকাতার শিরোনাম:
- গ্রামীণ শ্রমজীবীকে সইতে হচ্ছে চড়া দাম -গণশক্তি
- লিঙ্গ বদলে ‘সুচেতন’ হতে চান বুদ্ধ-তনয়া সুচেতনা, তৈরি সব ঝড়ঝাপ্টার জন্য, নিচ্ছেন আইনি পরামর্শও -আনন্দবাজার পত্রিকা
- বিবাহিত হয়েও অন্য পুরুষের সঙ্গে লিভ-ইন, মহিলাকে সম্মতি দিল খোদ আদালত -সংবাদ প্রতিদিন
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
রাজশাহী ও সিলেটের সিটি নির্বাচনের খবর সব জাতীয় দৈনিকের প্রধান খবর হিসেবে পরিবেশিত হয়েছে। যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে- নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা বলেছেন, দুই সিটির ভোটে অনিয়মের কোনো অভিযোগ আসেনি।তবে প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে জাপা প্রার্থী বলেছেন, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার কোনো সুযোগও নেই, পরিবেশও নেই। সিলেটের কোনো কোনো কেন্দ্রে ইভিএমের কারণে ভোট গ্রহণে সময় লাগছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে ভারতের সহায়তা চেয়েছে বাংলাদেশ-প্রথম আলোতে পরিবেশিত এ প্রতিবেদনটিতে লেখা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে বাংলাদেশ ভারতের সহায়তা চেয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে নয়াদিল্লিভিত্তিক সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমস। সংশ্লিষ্ট সূত্রের বরাতে গতকাল মঙ্গলবার এ খবর প্রকাশ করেছে তারা। হিন্দুস্তান টাইমস বলেছে, বিশেষত বাংলাদেশে নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক যে রূপ নিয়েছে, সে বিষয়ে ভারতের সহায়তা চেয়েছে প্রতিবেশী দেশটি।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চার দিনের সফরে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছান। হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্র বলছে, এ সফরের আগে কয়েক সপ্তাহ ধরে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়টি ভারতের সামনে তুলে ধরেছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের আশা, ওয়াশিংটনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করবেন মোদি।
ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের যোগাযোগের বিষয়টি স্পষ্ট হয়েছে বারানসিতে অনুষ্ঠিত জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোর মন্ত্রিপর্যায়ের বৈঠকের ফাঁকে ১২ জুন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাক্ষাতের মধ্য দিয়ে। সূত্র বলছে, বিভিন্ন পর্যায়ে ভারতের কর্মকর্তাদের কাছে বাংলাদেশের কর্মকর্তারা বিষয়টি তুলেছেন।
বাংলাদেশে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে আহ্বান জানিয়ে আসছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস। এ বিষয়ে বাংলাদেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গেও আলোচনা করেছেন তিনি। পিটার হাসের এ তৎপরতার জেরে কয়েক মাস ধরে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের সম্পর্ক নিয়ে নতুন আলোচনা তৈরি হয়েছে।
এরই মধ্যে গত মে মাসে বাংলাদেশ নিয়ে নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। তাতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া কেউ বাধাগ্রস্ত করলে তাদের ভিসা দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপে বাংলাদেশ সরকার বিরক্ত হয়েছে।
হিন্দুস্তান টাইমসের সূত্র বলছে, নয়াদিল্লির সঙ্গে আলোচনায় একটি মুক্ত ও সমৃদ্ধ ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশের গুরুত্বের দিকে ইঙ্গিত করেছে ঢাকা। যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশকে চীনের দিকে ঠেলে দিতে পারে—এমন সম্ভাবনার ওপরও আলোকপাত করেছে তারা।
বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। দেশটিতে ১৫ বছর ধরে ক্ষমতায় রয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ।
বর্তমানে অর্থনৈতিক সংকট এবং প্রধান বিরোধী দল বিএনপি নতুন করে সংগঠিত হওয়ার চাপের মুখে রয়েছে সরকার।
বাংলাদেশের নেতারা প্রকাশ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বানকে খুব একটা গুরুত্ব দিচ্ছেন না। দেশটির পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম সম্প্রতি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসা নীতি নিয়ে ‘বিচলিত নয়’ তাঁর সরকার। তবে সূত্র বলছে, যুক্তরাষ্ট্রের এই অবস্থান থেকে বিরোধীরা ফায়দা নিক, তা চাইছে না বাংলাদেশ সরকার।
‘বাংলাদেশে সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট, ভারতের অবস্থান তাদের নিজস্ব’-মানবজমিন
বাংলাদেশে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্রে রাষ্ট্রীয় সফরের প্রাক্কালে স্টেট ডিপার্টমেন্টের ফরেন প্রেস সেন্টারে আয়োজিত এক বিশেষ ব্রিফ্রিংয়ে মঙ্গলবার এ কথা বলেন দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল (এনএসসি)’র স্ট্র্যাটিজিক কমিউনিকেশন পরিচালক অ্যাডমিরাল জন কিরবি। এসময় তিনি বাংলাদেশে মানবাধিকার ও নির্বাচন প্রসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্টেট ডিপার্টমেন্টের ওয়েবসাইটে তার বক্তব্য লিখিত আকারে প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানে এক সাংবাদিক কিরবির উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফরে দক্ষিণ এশিয়ায় গণতন্ত্রের স্থিতিশীলতা এবং মানবাধিকার পরিস্থিতির মতো বিষয় কি আলোচনায় গুরুত্ব পাবে? পাশাপাশি তিনি কিরবির কাছে আরেকটি প্রশ্ন করেন যে, বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি যে ভিসা নীতি ঘোষণা করেছে, বিশ্বের বৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশ হিসেবে ভারত যুক্তরাষ্ট্রের এই উদ্যোগের পাশে থাকবে কিনা?
এর উত্তরে জন কিরবি বলেন, আপনার প্রথম প্রশ্নের জবাবে বলবো- প্রেসিডেন্ট বাইডেন পৃথিবীর যে প্রান্তেই যান এবং যে নেতার সঙ্গেই কথা বলেন না কেনো তিনি মানবাধিকার বিষয়ে তার উদ্বেগের কথা জানান দেন। এটি প্রেসিডেন্টের জন্য একটি স্বাভাবিক বিষয় এবং তিনি এ অবস্থানে অত্যন্ত দৃঢ়। মানবাধিকার এই প্রশাসনের আন্তর্জাতিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি। আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন, যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র এবং সহযোগী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গেও এর ব্যতিক্রম হবেনা।
আঁখির জানাজা সম্পন্ন ডাক্তারদের ফাঁসির দাবি-মানবজমিন
সেন্ট্রাল হাসপাতালে ভুল চিকিৎসায় আঁখি ও তার নবজাতক শিশুর লাশবাহী গাড়ি গত সোমবার রাত ১০টায় লাকসামের গাইনের ডোহরা গ্রামে বাড়িতে পৌঁছায়। এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন তার আত্মীয়-স্বজন ও স্কুল জীবনের সহপাঠীরা। এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। তার মরদেহ দেখার জন্য ও জানাজায় শত শত লোক অংশগ্রহণ করে। সবাই ডাক্তার সংযুক্ত সাহা ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের ফাঁসির দাবি জানায়। সেন্ট্রাল হাসপাতাল বন্ধ ঘোষণার দাবি করেন। জানাজা শেষে আঁখি ও তার শিশুকে তার প্রয়াত বাবার কবরের পাশে দাফন করা হয়।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
মোদির যুক্তরাষ্ট্র সফর: বাইডেনকে ৭৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার চিঠি-হিন্দুস্তান টাইমসের এ খবরে লেখা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কয়েক ডজন সহকর্মী ডেমোক্র্যাট তাকে লেখা এক চিঠিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সাথে বৈঠকে মানবাধিকারের সমস্যাগুলো উত্থাপন করার জন্য অনুরোধ করেছেন। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মোট ৭৫ জন ডেমোক্র্যাটিক সিনেটর এবং প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ওই চিঠিতে স্বাক্ষর করেছেন।
মার্কিন আইনপ্রণেতারা জানান, ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, ইন্টারনেটে প্রবেশাধিকার এবং সুশীল সমাজের সংগঠনগুলোকে টার্গেট করার বিষয়ে তারা উদ্বিগ্ন।
পাক জঙ্গিকে ‘আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী’ ঘোষণায় বাধা চিনের, ‘সস্তা স্বার্থ’, তোপ ভারতের-সংবাদ প্রতিদিন
রাষ্ট্রসংঘে (United Nations) ফের ভারতের বিরোধিতা করেছে চিন (China)। ২৬/১১ হামলার সঙ্গে জড়িত পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীকে নিষিদ্ধ করতে চেয়ে ভারতের প্রস্তাব খারিজ করে দিয়েছে বেজিং। আর এরপরই চিনকে একহাত নিয়েছে নয়াদিল্লি। রীতিমতো কড়া বার্তা দিয়ে ভারত জানিয়ে দিয়েছে, যেভাবে এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করা হয়েছে, তা থেকে পরিষ্কার সন্ত্রাসবাদের মোকাবিলায় তৈরি আন্তর্জাতিক পরিকাঠামোয় বড় রকমের গোলমাল থেকে গিয়েছে।
রাষ্ট্রসংঘের সন্ত্রাস-বিরোধী বৈঠকে বক্তব্য রাখার সময় বিদেশ মন্ত্রকের রাষ্ট্রসংঘের রাজনৈতিক বিভাগের যুগ্ম সচিব প্রকাশ গুপ্তা বলেন, চিন যে এই প্রস্তাবে বাধা দিয়েছে তার পিছনে রয়েছে সংকীর্ণ কূটনৈতিক স্বার্থ। উল্লেখ্য, লস্কর জঙ্গি সাজিদ মীরকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদী হিসাবে ঘোষণা করতে চেয়ে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাব দিয়েছিল ভারত। ২৬/১১ হামলার সঙ্গে জড়িত এই জঙ্গির সমস্ত সম্পত্তি ‘ফ্রিজ’ করে দেওয়া এবং তার সমস্ত রকম ভ্রমণেই নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সমস্ত প্রস্তাবেই বাধা দিয়েছে পাকিস্তানের ‘বন্ধু’ চিন।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেই ভারত তাকে আন্তর্জাতিক সন্ত্রাসবাদীর তকমা দিতে চেয়েছিল। সেই সময়ই এই প্রস্তাবে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল চিন। এবার সেই প্রস্তাবই খারিজ করে দিয়েছে জিনপিং প্রশাসন। যার জবাব দিল ভারত।
লিঙ্গ বদলে ‘সুচেতন’ হতে চান বুদ্ধ-তনয়া সুচেতনা, তৈরি সব ঝড়ঝাপ্টার জন্য, নিচ্ছেন আইনি পরামর্শও-আনন্দবাজার পত্রিকা
রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কন্যা সুচেতনা ভট্টাচার্য লিঙ্গ পরিবর্তন করে ‘সুচেতন’ হতে চান। সেই মর্মে আইনি পরামর্শও নিতে শুরু করেছেন তিনি। প্রয়োজনীয় শংসাপত্রের জন্য যোগাযোগ করেছেন মনোবিদের সঙ্গেও।
সম্প্রতি একটি ‘এলজিবিটিকিউ’ কর্মশালায় অংশ নিয়েছিলেন সুচেতনা। সেই কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী একজন সমাজমাধ্যমে সুচেতনা সম্পর্কে একটি লম্বা পোস্ট করেছেন। ‘গৌরব মাসের গল্প’ শিরোনামের সেই পোস্ট শুরুই হয়েছে এটা লিখে যে, ‘সুচেতনা আজ থেকে সুচেতন’। সেই পোস্টেই জানানো হয়েছে, সুচেতনার বাবা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য দীর্ঘ দিন ধরেই অসুস্থ। মা মীরা ভট্টাচার্যের পেসমেকার বসেছে।
সুচেতনার কথায়, ‘‘আমার পিতৃ-মাতৃ পরিচয় বা পারিবারিক পরিচয়টা বড় কথা নয়। আমি এটা করছি আমার এই এলজিবিটিকিউ+ আন্দোলনের অঙ্গ হিসেবে। একজন ট্রান্সম্যান হিসেবে প্রতি দিন আমায় যে সামাজিক হেনস্থা হতে হয়, সেটা আমি বন্ধ করতে চাই। আমি প্রাপ্তবয়স্ক। আমার বয়স এখন ৪১ প্লাস। ফলে আমি আমার জীবন সংক্রান্ত যাবতীয় সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে পারি। এই সিদ্ধান্তও সেই ভাবেই নিচ্ছি। দয়া করে আমার বাবা-মাকে এর মধ্যে টেনে আনবেন না। এখন নিজেকে যিনি মানসিক ভাবে পুরুষ মনে করেন, তিনিও পুরুষ। যেমন আমি। আমি নিজেকে মানসিক ভাবে পুরুষ বলেই মনে করি। আমি এখন সেটা শারীরিক ভাবেও হতে চাই।’’
সুচেতনা জানাচ্ছেন, বুদ্ধদেব বিষয়টি সম্পর্কে সচেতন। তাঁর এতে সমর্থনও রয়েছে।
বস্তুত, সুচেতনার এই সিদ্ধান্তকে ‘সাহসী’ বলে আখ্যা দিচ্ছেন সমাজের একটি অংশ। তাঁদের বক্তব্য, সুচেতনার মতো কেউ যদি এই সিদ্ধান্ত নেন, তা হলে এলজিবিটিকিউ+ আন্দোলন অনেক গতি পাবে। সুচেতনা নিজেও বলছেন, ‘‘আমি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ফলে আমি এটা নিয়ে লড়ে যাব। সেই সাহসটা আমার আছে। কে কী বললেন, তাতে আমার কিছু যায়-আসে না। আমি সকলের সমস্ত প্রশ্নের জবাব দিতে তৈরি।’’ অনেকেই বলছেন, রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর কন্যা হয়েও এই সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যে দৃঢ়সংকল্প দরকার, সুচেতনা তা দেখিয়েছেন।
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২১