জুলাই ০৭, ২০২৩ ১৭:৫১ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। ৭ জুলাই শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • গণ অধিকারে বিভক্তি, নুরের ঘনিষ্ঠরা পক্ষ নিয়েছে রেজা কিবরিয়ার-প্রথম আলো
  • খালেদা জিয়াকে নিয়ে এবার গান মার্কিন শিল্পীর গান-যুগান্তর
  • আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ছুটল মেট্রো রেল-কালের কণ্ঠ
  • কোরআন পোড়ানো বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না সুইডেন -ইত্তেফাক
  • দ্য ডিপ্লোমেটের প্রতিবেদন-‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র অবরুদ্ধ’-মানবজমিন

  • বিএনপিকে তো সংলাপে ডাকা হয়নি : তথ্যমন্ত্রী-বাংলাদেশ প্রতিদিন

কোলকাতার শিরোনাম:

  • প্রতি বুথে অন্তত চার জন কেন্দ্রীয় জওয়ান, সঙ্গে রাজ্য পুলিশও, বাহিনীর প্রস্তাব মেনে নিল কমিশন!-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • জো ডর যায়ে উও মোদি নেহি’, ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর-সংবাদ প্রতিদিন
  • মোদি-পদবী মামলা, রাহুলের আর্জি খারিজ আদালতে–দৈনিক আজকাল

এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

গণ অধিকারে বিভক্তি, নুরের ঘনিষ্ঠরা পক্ষ নিয়েছে রেজা কিবরিয়ার-প্রথম আলো

রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক (নুর)—দুই নেতার বিরোধ শেষ পর্যন্ত ভাঙনের দিকে ঠেলে দিল গণ অধিকার পরিষদকে। এখন দলটি কার্যত দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ল। দলের কেন্দ্রীয় কমিটির গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন সদস্য গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে নুরুল হক ও তাঁর সমর্থকদের তৎপরতাকে অবৈধ বলে অভিযোগ করেন। দলের এই পক্ষের বিরুদ্ধে পাল্টা ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনেন নুরুল হক। দুই পক্ষই একে অপরের ওপর গণ অধিকার পরিষদকে ভাঙার দায় চাপাচ্ছেন।

অনেক দিন ধরে গণ অধিকার পরিষদের শীর্ষ দুই নেতাকে ঘিরে দলটিতে অস্থিরতা চলছিল। সম্প্রতি সেই অস্থিরতা প্রকট রূপ নিয়েছিল। দলের আহ্বায়ক ও সদস্যসচিবকে পাল্টাপাল্টি অব্যাহতি, আহ্বায়ককে অপসারণের মতো ঘটনাও ঘটেছে। এর মধ্যেই সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে নিজেদের বক্তব্য তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন দলের কেন্দ্রীয় কমিটির কয়েকজন সদস্য।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গণ অধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান। তাতে বলা হয়, দলের আহ্বায়ক পদ থেকে রেজা কিবরিয়াকে অপসারণ সম্পূর্ণ অবৈধ। তিনিই দলের আহ্বায়ক আছেন। তাঁরা অভিযোগ করেন, রেজা কিবরিয়াকে বাদ দিয়ে ১০ জুলাই দলের কাউন্সিলের দিন নির্ধারণ করে পরিকল্পিতভাবে দলকে ভাঙনের দিকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে।

বিএনপিকে তো সংলাপে ডাকা হয়নি : তথ্যমন্ত্রী-বাংলাদেশ প্রতিদিন

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মির্জা ফখরুল সাহেবের সাম্প্রতিক বক্তব্যে মনে হচ্ছে, আমরা যেন তাদেরকে সংলাপের জন্য ডেকেছি। তাদেরকে তো সংলাপের জন্য ডাকা হয়নি। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ইস্যুতে কোনো সংলাপ করার সুযোগ নাই, কোনো সংলাপ হবেই না।  শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের বাসভবনে মতবিনিময়কালে সাংবাদিকরা বিএনপি মহাসচিবের বক্তব্য- ‘নির্দলীয় সরকার দিলে সংলাপ’ এ নিয়ে প্রশ্ন করলে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। ড. হাছান মাহমুদ আরও বলেন, বাংলাদেশে সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবং সেই নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার নির্বাচনকালীন সরকার হিসেবে দায়িত্ব পালন করবে। এই বাস্তবতা বিএনপিকে মেনে নিতেই হবে।

খালেদা জিয়াকে নিয়ে এবার গান মার্কিন শিল্পীর গান-যুগান্তর

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে নিয়ে এবার গান গেয়েছেন মার্কিন সঙ্গীত শিল্পী জেসিকা নিনা। ভয়েস ফর বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে এ গান পরিবেশন করা হয়। এর আগেও খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য ভয়েস ফর বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি অস্ট্রেলিয়ার উদ্যোগে বেশ কয়েকজন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন শিল্পী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য গান গেয়েছেন।

এ বিষয়ে ভয়েস ফর বাংলাদেশ ডেমোক্রেসি অস্ট্রেলিয়ার প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক ছাত্রনেতা কায়াস মাহমুদ বলেন, খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বের কারণেই ১৯৯০ সালে একটি সফল গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল। তার হাত ধরেই দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের শুরু হয়। তিনি বাংলাদেশের মানুষের সাহসের বাতিঘর।  

আগারগাঁও থেকে মতিঝিল ছুটল মেট্রো রেল-কালের কণ্ঠ

রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রো রেলের পরীক্ষামূলক চলাচল শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার বিকেলে আগারগাঁও মেট্রো স্টেশনে পরীক্ষামূলক চলাচলের উদ্বোধন করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

উদ্বোধনী বক্তৃতায় ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি শেখ হাসিনা সরকারের একটা গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প এমআরটি লাইনের আরেকটা মাইলস্টোন অতিক্রম করতে যাচ্ছি। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত আজকে প্রথম ট্রায়াল রান হতে যাচ্ছে। তিনি বলেন, দেশে মেট্রো রেলের এটাই আমাদের প্রথম কাজ। এরপরে আমরা আরো পাঁচটি লাইন আনছি। আপনারা জানেন পাতাল রেলের কাজ শুরু হয়েছে। মোট ছয়টি মেট্রো রেলের ঢাকায় যুক্ত হবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ছয়টি মেট্রো রেলের কাজ সম্পন্ন করতে পারব। 

দ্য ডিপ্লোমেটের প্রতিবেদন-‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র অবরুদ্ধ’-মানবজমিন

বাংলাদেশের গণতন্ত্র অবরুদ্ধ বলে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটনভিত্তিক প্রভাবশালী ম্যাগাজিন ‘দ্য ডিপ্লোমেট’। শনিবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিরোধী দল ও মুক্ত সাংবাদিকতার বিরুদ্ধে দমনপীড়নের নজিরবিহীন ট্র্যাক রেকর্ডের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে আগামী বছরের সাধারণ নির্বাচনকে ঘিরে নানা তৎপরতা চলছে। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয়ের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর জনগণের জন্য একটি আধুনিক, প্রগতিশীল ও মুক্ত গণতন্ত্রের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলো। কিন্তু তা না করে ক্ষমতাসীন সরকার গত ১৪ বছরে ব্যাপক দুর্নীতি ও ভিন্নমত দমনের মাধ্যমে দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানের ওপর তার দখলকে সুসংহত করার পথ বেছে নিয়েছে। আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে নির্বাচনে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থ মেয়াদে বিজয়ী হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সে নির্বাচনকে ঘিরে সরকার একটি দীর্ঘ প্রতিশ্রুত অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে দর কষাকষিতে প্রচণ্ড চাপের মধ্যে রয়েছে। ক্ষমতাসীন দলের প্রতিহিংসামূলক রাজনীতি, ওলিগার্কদের পক্ষে (ওলিগার্ক :  ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ধনী ব্যবসায়ী সম্প্রদায় বা ক্ষমতাসীনদের আশ্রয়ে বেড়ে উঠা অতি ধনী শ্রেণি) ঝুঁকে পড়া নীতি ও ক্রমবর্ধমান কর্তৃত্ববাদী প্রবণতার ফলে এমনটি আশা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। 

প্রতি বুথে অন্তত চার জন কেন্দ্রীয় জওয়ান, সঙ্গে রাজ্য পুলিশও, বাহিনীর প্রস্তাব মেনে নিল কমিশন!-আনন্দবাজার পত্রিকা

পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার কথা ভেবেই নিয়ে আসা হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে। কিন্তু তাঁদের নিরাপত্তার কথা ভাববে কে? রাজ্যে বিভিন্ন এলাকায় হিংসার ঘটনার উদাহরণ টেনে তাই প্রতি বুথে অন্তত হাফ সেকশন অর্থাৎ চার জন সক্রিয় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান মোতায়েন করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের ভারপ্রাপ্ত কোঅর্ডিনেটর এবং বিএসএফের আইজি। সেই সঙ্গে বলেছিলেন রাজ্য পুলিশকেও পাহারায় থাকতে হবে। শুক্রবার বাহিনী দেওয়া সেই সমস্ত প্রস্তাব মেনে নিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন।

রাত পোহালেই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। কমিশনের এই সিদ্ধান্তে শনিবার সমস্ত বুথে অন্তত চার জন সক্রিয় কেন্দ্রীয় জওয়ান থাকবে। তার পাশাপাশি থাকবে রাজ্য পুলিশও। বুথ দখল বা সম্ভাব্য হিংসা এড়িয়ে সুষ্ঠু ভোটের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত বলে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানিয়েছে কমিশন।

আইজি বিএসএফ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীর কোঅর্ডিনেটরের প্রস্তাব ছিল, প্রতি বুথেই কেন্দ্রীয় বাহিনীর পাশাপাশি রাজ্য পুলিশও মোতায়েন করতে হবে। প্রতি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে এক বা একাধিক বুথ থাকতে পারে। কখনও কখনও একটি ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের অধীনে ৭-৮টি বুথও থাকতে পারে।

জো ডর যায়ে উও মোদি নেহি’, ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসকে চ্যালেঞ্জ প্রধানমন্ত্রীর-সংবাদ প্রতিদিন

জো ডর যায়ে উও মোদি নেহি।’ অর্থাৎ যিনি ভয় পান তিনি মোদি নন। এভাবেই ভোটমুখী ছত্তিশগড়ে (Chhattisgarh) কংগ্রেসকে আক্রমণ করার সময় গর্জে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। শুক্রবার রাজ্যের রাজধানী রায়পুরে ৭ হাজার ৬০০ কোটি টাকার মোট ৮টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন তিনি। আর তারপরই এমন কথা বলতে শোনা গেল তাঁকে।

এবছরের নভেম্বরের মধ্যেই ৯০ আসনের বিধানসভা নির্বাচন ছত্তিশগড়ে। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যে এসে সেখানকার সায়েন্স কলেজের এক অনুষ্ঠানে কংগ্রেস সরকারকে তুলোধনা করতে দেখা গেল মোদিকে। তাঁর কথায়, ”যে ভয় পায় সে মোদি নয়। কংগ্রেস (Congress) যতই চেষ্টা করুক কিছু এসে যায় না। আমি ছত্তিশগড়ের উন্নতির জন্য পদক্ষেপ করা থেকে পিছু হটব না। কংগ্রেসের চেয়ে আমরা দ্বিগুণ বিনিয়োগ করেছি। কংগ্রেস গরিবের শত্রু।”

মোদিকে বলতে শোনা যায়, ছত্তিশগড় কংগ্রেসের ‘এটিএম’ হয়ে উঠেছে। এই রাজ্যের দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার অপশাসনের এক মডেল বলেও তোপ দাগেন তিনি। দাবি করেন, মানুষ এবারের নির্বাচনে কংগ্রেসকে ছুঁড়ে ফেলে দেবে।

মোদি-পদবী মামলা, রাহুলের আর্জি খারিজ আদালতে–দৈনিক আজকাল

খারিজ রাহুলের আর্জি।

আজ গুজরাট হাইকোর্টের নির্দেশের দিকে তাকিয়ে ছিল সবপক্ষ। বেলা গড়াতেই দেখা গেল কংগ্রেস নেতার আর্জি খারিজ করে দিল আদালত। মোদি-পদবী মন্তব্য মামলায় ২৩ মার্চ তৎকালীন সাংসদ রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্ত করে সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। রাহুলকে দু' বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের রায় এবং দোষী সাব্যস্ত করার বিরুদ্ধে রাহুল গিয়েছিলেন সুরাট দায়রা আদালতে। সেখানেও তাঁর আবেদন খারিজ হয়ে যায়  ২০ এপ্রিল। এই পরিস্থিতিতে রাহুলের সাংসদ পদও খারিজ হয়ে যায়। 

আদালতের দেওয়া রায় অর্থাৎ সাজার ওপর স্থগিতাদেশ চেয়ে গুজরাট হাইকোর্টে গিয়েছিলেন রাহুল। সকলের নজর ছিল তাঁর সাজা মুকুব প্রসঙ্গে আদালতের রায় নিয়ে। সাজা মুকুব হলে রাহুল ফিরে পেতেন তাঁর সাংসদ পদ। ঘটনার সূত্রপাত ২০১৯ সালে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কর্নাটকের কোলারে মোদি পদবী নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন রাহুল। রাহুলের মন্তব্যের প্রেক্ষিতে দায়ের হয় মানহানির মামলা। ওই মামলায় রাহুলকে  ২৩ মার্চ গুজরাটের সুরাট আদালত দোষী সাব্যস্ত করে। এবার সুরাট ম্যাজিস্ট্রেট এবং দায়রা আদালতের রায়ই বহাল রাখল গুজরাট হাইকোর্ট। #

 

ট্যাগ