'বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব'
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৬ জুলাই বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- মতামত ‘খেলা’ তাহলে হবেই?-প্রথম আলো
- ১৩ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী-ইত্তেফাক
- ঢাকায় নিয়ন্ত্রণই টার্গেট-যুগান্তর
- উৎসব মুখর মনোভাব নিয়ে ঢাকা আসছেন বিএনপি নেতাকর্মীরা’-মানবজমিন
- ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ: কলকাতা পারলেও ঢাকা কেন পারছে না-ডেইলি স্টার বাংলা
- শেখ হাসিনার কিছু হলে দেশের মানুষ রাস্তায় নামবে : চিফ হুইপ-কালের কণ্ঠ
কোলকাতার শিরোনাম:
- বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনার ‘সুযোগ পাবে’, চার বছর আগেই সময় জানিয়ে দিয়েছিলেন মোদী!-আনন্দবাজার পত্রিকা
- প্রয়োজনে LoC পেরোতে প্রস্তুত ভারত’, কার্গিল বিজয় দিবসে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের-সংবাদ প্রতিদিন
- মোদী বললেন মুজাহিদিন, নেতাজীর আইএনএ মনে করালেন ইয়েচুরি-গণশক্তি
এবারে বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
রাজনীতির মাঠ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে। এ সম্পর্কে ঢাকার জাতীয় দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন শিরোনাম করা হয়েছে।
মহাসমাবেশের আগে মার্কিন দূতের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক, মুখ খুলছেন না কেউ-প্রথম আলো পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ঢাকায় আগামীকাল বৃহস্পতিবার মহাসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। সরকারের পদত্যাগ ও নির্দলীয় সরকারের এক দফা দাবিতে এই সমাবেশ করবে দলটি।বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোও একই দিন পৃথকভাবে কর্মসূচি পালন করবে।ইসলামী আন্দোলন, এপি পার্টির মতো যুগপৎ আন্দোলনের বাইরে থাকা দলগুলো একই দিন কর্মসূচি দিয়েছে। এদিকে সরকার বিরোধী দলগুলোর কর্মসূচির দিনে ঢাকায় সমাবেশ ডেকেছে যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের তিন অঙ্গ-সহযোগী সংগঠন।এ নিয়ে উত্তপ্ত ঢাকার রাজনীতি।আশংকা করা হচ্ছে সংঘাতেরও।
প্রতিবেদনে আরো লেখা হয়েছে, এমন প্রেক্ষাপটে আজ সকালে ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বিএনপির কয়েকজন নেতা বৈঠক করেছেন। বৈঠক শেষে বিএনপি প্রতিনিধি দল কোনো বক্তব্য দেয়নি।মার্কিন দূতও কিছু বলেননি। দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, ঢাকায় ‘মহাসমাবেশ’করার জন্য বিএনপি নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অথবা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের অনুমতি চেয়েছিল। কিন্তু এ দুটি ভেন্যুর কোনোটি দেয়নি পুলিশ। তাদেরকে গোলাপবাগ মাঠে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ।ঢাকার পুলিশ কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বুধবার বলেন, বৃহস্পতিবার যেহেতু কর্মদিবস, সে কারণেই নয়াপল্টন ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুমতি দিতে চান না তারা। এই দুই ভেন্যুতে অনুমতি দিলে জনভোগান্তি এড়ানো সম্ভব হবে না। তিনি বলেন, তাদের এখনো কোথাও অনুমতি দেওয়া হয়নি।
ইত্তেফাকের খবরের শিরোনাম-১৩ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে সতর্ক করা হয়েছে: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী। বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে, ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলমের ওপর হামলার নিন্দা জানিয়ে বিবৃতির পর যুক্তরাষ্ট্রসহ ১১টি দেশ এবং ঢাকায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতকে তলব করে সতর্ক করেছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তিনি বলেন, ‘ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনের প্রার্থী হিরো আলমের ওপর হামলার ঘটনায় বিবৃতি দেওয়া ১৩ দেশের রাষ্ট্রদূত ও মিশন প্রধানদের ডাকা হয়েছিল। তাদের আমরা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা না বলতে আহ্বান জানিয়েছি। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে সচেতন থাকতেও তাদের সতর্ক করা হয়েছে।’
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণ: কলকাতা পারলেও ঢাকা কেন পারছে না-ডেইলি স্টার বাংলা
বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতায় ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবের ইতিহাস কাছাকাছি সময়ে। ১৯৬৩ সালে কলকাতায় প্রথম ডেঙ্গু মহামারি আকারে দেখা দেওয়ার পর ঢাকায় ১৯৬৫ সালে এই রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়।
এই দুই ঐতিহাসিক শহরের জনসংখ্যার আধিক্য, নগরায়ণের প্রকৃতি কিংবা ভৌগলিক বৈশিষ্ট্যও প্রায় অভিন্ন। তবে বিগত ১০ বছর ধরে ডেঙ্গু রোগের জীবানুবাহী এডিশ মশা নিধন ও বিস্তার রোধে আটঘাট বেঁধে নেমে কলকাতা মিউনিসিপ্যাল করপোরেশন যে সফলতা পেয়েছে, ঢাকায় সে সাফল্য এখনো অধরা। সেইসঙ্গে দিনে দিনে ঢাকার বাইরেও যেভাবে রোগটি ছড়িয়ে পড়ছে, সেটাও ভাবিয়ে তুলেছে সবাইকে।চলতি বছর বাংলাদেশে ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মোট সংখ্যা ৩৭ হাজার ছাড়িয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ২০১ জনের। এরমধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ১৯ জন মারা যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।তবে কলকাতা ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে ঠিক কতটা সফল তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন দক্ষিণ সিটির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. ফজলে শামসুল কবির।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত:
বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনার ‘সুযোগ পাবে’, চার বছর আগেই সময় জানিয়ে দিয়েছিলেন মোদী!-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংসদে বিরোধীদের মোদী বলেন, “প্রস্তুত থাকুন, আপনারা আবারও ২০২৩ সালে অনাস্থা প্রস্তাব আনার সুযোগ পাবেন।” ঘটনাচক্রে, এ বছরেই অনাস্থা প্রস্তাব আনলেন বিরোধীরা।
এ সম্পর্কে কোলকাতার দৈনিকগুলো লিখেছে, বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব, তুমুল হট্টগোল। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হলো না, আজ বুধবার লোকসভার কাজ শুরু হতেই সম্মিলিত বিরোধী দলের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদাভাবে অনাস্থা আনা হলো কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে। কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী প্রথম নোটিসটি দেন। তারপর একে একে অন্য দলের নেতারা। সংসদীয় প্রতিমন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশি বলেন, বিরোধীরা অনাস্থা প্রস্তাব আনলে কি হবে, দেশের লোকের পূর্ণ আস্থা আছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি হিসেবে। এদিকে অনাস্থা প্রস্তাব আলোচনার জন্য গ্রহণও করেছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। তবে কবে এই বিষয়ে আলোচনা হবে, তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
প্রয়োজনে LoC পেরোতে প্রস্তুত ভারত’, কার্গিল বিজয় দিবসে পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি রাজনাথের-সংবাদ প্রতিদিন
বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, ২৪ বছর আগে কার্গিল যুদ্ধে (Kargil War) পাকিস্তানকে (Pakistan) পরাস্ত করেছিল ভারত। বুধবার লাদাখে ‘বিজয় দিবসে’র অনুষ্ঠান থেকে নাম না করে পাকিস্তানকে (China) হুঁশিয়ারি দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং (Rajnath Singh)। জানিয়ে দিলেন, দেশের অখণ্ডতা রক্ষায় প্রয়োজনে নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করতে পিছপা হবে না ভারত। এই বিষয়ে সেনাকে প্রস্তুত থাকার বার্তা দিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী। পাশাপাশি ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের উদাহরণ টেনে দেশের হয়ে লড়ার ব্যাপারে সাধারণ নাগরিকদেরও প্রস্তুত থাকতে বললেন।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৬