বাংলাদেশ ও ভারতের পত্রপত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ খবর
ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন : চরমোনাই পীর
শ্রোতাবন্ধুরা! পত্রপত্রিকার পাতার বিশ্লেষণমূলক অনুষ্ঠান কথাবার্তার আজকের আসরে আপনাদের স্বাগত জানাচ্ছি আমি বাবুল আখতার। ১৭ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) ঢাকা ও কোলকাতা থেকে প্রকাশিত বাংলা দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে শীর্ষ শিরোনাম করা হয়েছে। প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। এরপর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের দুটি খবরের বিশ্লেষণে যাব। বিশ্লেষণ করবেন সহকর্মী সিরাজুল ইসলাম।
ঢাকার পত্রপত্রিকার শিরোনাম:
- দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা তৈরি হয়েছে: জিএম কাদের: দৈনিক ইত্তেফাক
- ফাঁদে ‘হঠাৎ সম্পদশালীরা’, দুদকের নামে কোটি টাকা প্রতারণা- দৈনিক কালেরকণ্ঠ
- সবার উন্নত জীবন নিশ্চিতে সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থা চালু হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী: প্রথম আলো
- জীবন যন্ত্রণায় ভুগছেন খালেদা জিয়া’-: দৈনিক যুগান্তর
- নিরপেক্ষ নির্বাচন দিতে সরকারের এত ভয় কেনো: মঈন খান- মানবজমিন
- ত্ত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে এত ভয় কেন : চরমোনাই পীর
ভারতের পত্রপত্রিকার শিরোনাম
- ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে ভারতের ভূমিকা ‘বাস্তব নির্ভর’, প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়া- সংবাদ প্রতিদিন
- নাম নয়, নেহরুর পরিচয় তাঁর কাজেই’, মিউজিয়াম বিতর্কে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী-সংবাদ প্রতিদিন
- যাদপুরের চলত র্যাগিং, কর্তৃপক্ষ জানত সবই’, বিস্ফোরক হস্টেলের সুপার: দৈনিক পুবের কলম
বিশ্লেষণের বিষয়:
কথাবার্তার প্রশ্ন (১৭ আগস্ট)
১. বিমা ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চললেই জরিমানা বা মামলা, আইন সংশোধন চূড়ান্ত পর্যায়ে। কীভাবে দেখছেন সরকারের এই উদ্যোগকে?
২. লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহ ইসরাইলকে প্রস্তর যুগে পাঠানোর হুমকি দিয়েছেন। তার এই হুমকিকে গুরুত্ব দিচ্ছে ইসরাইলি গণমাধ্যম। এর কারণ কী বলে মনে হয়?বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ খবরগুলোর বিস্তারিত
সবার উন্নত জীবন নিশ্চিতে সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থা চালু হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী: প্রথম আলো
সবার জন্য আরও ভালো ও উন্নত জীবন নিশ্চিত করতে সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থার উদ্বোধন করা হলো বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, এ ব্যবস্থার লক্ষ্য হলো দেশের ১৮ বছরের বেশি বয়সী নাগরিকদের এর আওতায় নিয়ে আসা। আজ বৃহস্পতিবার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা পেনশন স্কিম চালু করেছি যাতে দেশের প্রতিটি মানুষ একটি উন্নত জীবন যাপন করতে পারে।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে ছয়টির মধ্যে চারটি স্কিম—প্রগতি, সুরক্ষা, সমতা ও প্রবাসী উদ্বোধন করা হয়েছে এবং অন্য দুটি পরে চালু করা হবে। তিনি বলেন, তাঁর ও আওয়ামী লীগের প্রতি জনগণের আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসাই দেশ ও জনগণের উন্নয়নে কাজ করার চালিকা শক্তি।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আগামী দিনেও আমার প্রতি আস্থা, বিশ্বাস ও ভালোবাসা অব্যাহত রাখার জন্য আমি বাংলাদেশের জনগণকে অনুরোধ করছি।’সরকারপ্রধান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের একমাত্র লক্ষ্য ছিল দেশবাসীকে একটি উন্নত জীবন উপহার দেওয়া, যার জন্য তিনি তাঁর সমগ্র জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা শোকের মাসে সর্বজনীন পেনশন-ব্যবস্থা চালু করেছি।
জনগণকে একটি সুন্দর ও উন্নত জীবন দেওয়ার আমাদের প্রচেষ্টা দেখে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বঙ্গমাতার আত্মা শান্তি পাবে।’
প্রধানমন্ত্রী প্রত্যেক দেশবাসীর জীবনকে অর্থবহ করার লক্ষ্যে তাঁর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসমাপ্ত কাজগুলো সম্পন্ন করার জন্য জনগণের কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি বলেন, দেশের প্রত্যেক মানুষকে আরও ভালো ও উন্নত জীবন দিতে ব্যর্থ হলে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া দেশের স্বাধীনতা বৃথা যাবে।
দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা তৈরি হয়েছে: জিএম কাদের: দৈনিক ইত্তেফাক
জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জিএম কাদের বলেছেন, দেশে একদলীয় শাসনব্যবস্থা তৈরি হয়েছে। দেশটাকে তারা (আ.লীগ) পারিবারিক সম্পত্তি বানিয়ে ফেলেছে। সাধারণ মানুষ বৈষম্যর শিকার হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয় পার্টির আয়োজনে এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। জিএম কাদের বলেন, দেশে এক ধরনের বৈষম্য চলছে। প্রশাসন শাসকগোষ্ঠীর লাঠিয়াল বাহিনীতে পরিণত হয়েছে। বৈষম্য তৈরি করে দেশকে শাসন এবং শোষণ করছে শাসক শ্রেণি।
তিনি বলেন, মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল চেতনাকে ধ্বংস করা হচ্ছে, যা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে করা হচ্ছে। মানুষের স্বাভাবিক অধিকার খর্ব করা হচ্ছে। মানুষের রাজনৈতিক অধিকার নেই।
জাপা চেয়ারম্যান বলেন, সারাদেশে গোয়েন্দা নিয়োগের মাধ্যমে দেশের সবাইকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। স্মার্ট বাংলাদেশের মাধ্যমে দেশ জেলখানায় পরিণত হচ্ছে। দেশে শান্তি নিয়ে আসতে অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন দরকার।
ক্ষমতাসীন সরকার ইতিহাস বিকৃত করেছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, সেই সঙ্গে সংস্কৃতি নস্যাৎ করেছে। সরকারের লোকজন লাভের জন্য পরিবেশ নষ্ট করছে।
ইউক্রেন সমস্যা সমাধানে ভারতের ভূমিকা ‘বাস্তব নির্ভর’, প্রশংসায় পঞ্চমুখ রাশিয়া- সংবাদ প্রতিদিন
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব পড়েছে গোটা বিশ্বে। ভারত-সহ একাধিক দেশ চায় শান্তি ফিরুক। এই মর্মে ইউক্রেন ও রাশিয়ার রাষ্ট্রপ্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এহেন উদ্যোগ নেওয়ায় এবার ভারতকে সাধুবাদ জানাল রাশিয়া। কোনও প্ররোচনায় পা না দিয়ে ভারত যেভাবে নিরপেক্ষ অবস্থান বজায় রেখেছে তা প্রশংসনীয়। মত মস্কোর।
গত মঙ্গলবার মস্কোয় আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেই বৈঠকে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ বলেন, “আমরা চিন, ব্রাজিল, দক্ষিণ আফ্রিকা, মিশর, ভারত-সহ গ্লোবাল সাউথের অন্যান্য দেশগুলিকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। তারা ন্যয় সঙ্গত ও বাস্তব নির্ভর হয়ে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ও দেশের প্রশাসন বারে বারে এই বিষয়ে আলোচনা করেছে।”
উল্লেখ্য, এই নিরাপত্তা বৈঠকে রাশিয়ার বিদেশমন্ত্রকের বার্তায় উঠে এসেছে ভারতের প্রসঙ্গ। নয়াদিল্লির সঙ্গে আমেরিকা ও রাশিয়া দু’দেশেরই যে গভীর সম্পর্ক তা কারও অজানা নয়। ইউক্রেন যুদ্ধে শুরু থেকেই ক্রেমলিনকে কোণঠাসা করতে মরিয়া হোয়াইট হাউস। কিন্তু ভারত প্রথম থেকেই রাশিয়া ও ইউক্রেনকে শান্তিপূর্ণ সমাধানের বার্তা দিয়ে এসেছে। আমেরিকার চাপ থাকলেও ভারত কখনও রাষ্ট্রসংঘে কিংবা কোনও আন্তর্জাতিক মঞ্চে রাশিয়ার বিরোধিতা করেনি। ভারতের এই অবস্থানকেই সাধুবাদ জানিয়েছে পুতিন প্রশাসন।
নাম নয়, নেহরুর পরিচয় তাঁর কাজেই’, মিউজিয়াম বিতর্কে মুখ খুললেন রাহুল গান্ধী-সংবাদ প্রতিদিন
নাম নয়, নিজের কাজের জন্যই সকলের কাছে পরিচিত ছিলেন জওহরলাল নেহরু (Jawaharlal Nehru)। দিল্লিতে নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়ামের নাম পরিবর্তন নিয়ে বিতর্কের মধ্যেই এই মন্তব্য করলেন কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। ইতিমধ্যেই নাম পরিবর্তন নিয়ে বাকযুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছিল কংগ্রেস ও বিজেপি। প্রসঙ্গত, স্বাধীনতা দিবসেই কার্যকর হয়েছে এই মিউজিয়ামের নতুন নাম। তারপর থেকেই বিতর্কের আগুনে ঘি ঢেলেছে কংগ্রেস-বিজেপি (BJP) দুই দলই।Video Pরাজধানী দিল্লিতে দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পণ্ডিত জওহরলাল নেহরুর (Jawaharlal Nehru) বাসভবন তিন মূর্তি ভবনে তৈরি মিউজিয়ামটির নাম বদলে প্রাইম মিনিস্টার’স মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোস্যাইটি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোদি সরকার। মঙ্গলবার স্বাধীনতা দিবসেই সেই নতুন নাম কার্যকর করার ঘোষণা করা হয়েছে। তারপরেই কংগ্রেস (Congress) নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরুকে ভয় পান নরেন্দ্র মোদি। তাঁকে নিয়ে সমস্যায় ভোগেন। সেই জন্যই মোদির একমাত্র লক্ষ্য হল নেহরু ও তাঁর বংশধরদের অবজ্ঞা করা। নেহরুর ঐতিহ্যকেও ধ্বংস করতে সচেষ্ট মোদি।#