অক্টোবর ০৪, ২০২৩ ১৫:৩৮ Asia/Dhaka
  • 'খালেদা জিয়ার একমাত্র পথ হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া!'

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৪ অক্টোবর বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • সিম বেচার সময় আঙুলের ছাপ চুরি, এখন তা অপরাধীদের হাতে, বিপাকে নিরীহ মানুষ-প্রথম আলো
  • দেশে ফিরলেন প্রধানমন্ত্রী -ইত্তেফাক
  • বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন-মূল্যস্ফীতি বেশি, ঝুঁকিতে ব্যাংক , আর্থিক খাতে সংস্কারের তাগিদ বিশ্বব্যাংকের -যুগান্তর
  • সময় হয়ে গেছে এত কান্নাকাটি করে তো লাভ নেই –মানবজমিন
  • নির্বাচন, সম্পর্কোন্নয়ন নিয়ে শেখ হাসিনা-বাইডেন আলোচনা : হোয়াইট হাউস -কালের কণ্ঠ

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ট্রুডোকে ‘শিক্ষা’ দিতে দিল্লির অস্ত্র হতে পারে ডাল, সিঁদুরে মেঘ দেখছেন কানাডার কৃষকেরা-আনন্দবাজার পত্রিকা
  • একনাথ শিণ্ডেকে সরিয়ে মহারাষ্ট্রের মসনদে অজিত পওয়ার?-সংবাদ প্রতিদিন
  • সোমবার অভিষেককে ফের তলব ইডির-আজকাল
  • সাংবাদিক গ্রেপ্তারির প্রতিবাদে সরব ‘ইন্ডিয়া' ক্ষোভ জানাল পলিটব্যুরোও-গণশক্তি

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছে।ইত্তেফাক,প্রথম আলোসহ প্রায় সব জাতীয় দৈনিকে খবরটি প্রকাশিত হয়েছে।

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার জন্য যাওয়া নিযে আলোচনা সমালোচনা গোটা দেশব্যাপী চলছে। বেশি বক্তব্য আসছে সরকার এবং বিএনপির পক্ষ থেকে। প্রথম আলোতে লেখা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য বিদেশে যেতে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আইনি আর কোনো সুযোগ নেই বলে মনে করেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।তিনি বলেছেন, ‘আইনি বিষয়টি এখন অতীত ও পুরোপুরি বন্ধ। এখন একমাত্র পথ হচ্ছে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চাওয়া। তিনি যদি দোষ স্বীকার করে রাষ্ট্রপতির কাছে ক্ষমা চান, সেটা তাঁর (খালেদা জিয়া) বিষয়। আমার নয়।’আজ বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন আইনমন্ত্রী। আর ইত্তেফাকের এ সম্পর্কিত খবরে লেখা হয়েছে, আইনমন্ত্রীর ব্যাখ্যা ‘রাজনৈতিক’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এ সময় বিষয়টি আদালতের এখতিয়ারভুক্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সরকার চাইলে খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ দিতে পারে।’।

সময় হয়ে গেছে এত কান্নাকাটি করে তো লাভ নেই-মানবজমিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ক্যান্টনমেন্টের বাড়ি থেকে বের করার প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আমার বাবা দেশ স্বাধীন করেছিল বলেই তো এই ক্যান্টনমেন্ট। আমি এই ক্যান্টনমেন্টে ঢুকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা! সেদিন প্রতিজ্ঞা করেছিলাম, ওই ক্যান্টনমেন্টে আর বসবাস করা লাগবে না। যেদিন সময় পাবো এই ক্যান্টনমেন্ট থেকে বের করে দেবো। যুক্তরাজ্যের স্থানীয় সময় গত সোমবার প্রবাসী বাংলাদেশিদের দেয়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। 

এ সময় খালেদা জিয়ার চিকিৎসা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর কোন দেশের সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠায় বলতে পারেন? কোনো দেশ পাঠায়? তারা এটা দাবি করে। আমাদের কেউ কেউ আতেল আছে। তারা বলে, একটু কি সহানুভূতি দেখাতে পারেন না! সে এভারকেয়ার, বাংলাদেশের সব থেকে দামি হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে। আর রোজই শুনি এই মরে মরে, এই যায় যায়। বয়স তো ৮০’র উপরে। সময় হয়ে গেছে। তার মধ্যে অসুস্থ। এখানে এত কান্নাকাটি করে লাভ নাই। স্যাংশনের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা নিয়ে মাথা ঘামানোর কিছু নেই। আপনাদেরও বলবো, স্যাংশন নিয়ে মাথা ঘামাবেন না। বেশি স্যাংশন দিলে আমরাও দিতে পারি, আমরাও দিয়ে দেবো।

‘বিশ্বব্যাংকের প্রতিবেদন-মূল্যস্ফীতি বেশি, ঝুঁকিতে ব্যাংক, আছে নির্বাচনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা-প্রথম আলো

অর্থনীতি এখন বড় ধরনের প্রতিবন্ধকতার মধ্যে। এতে অর্থনীতিতে ঝুঁকি বাড়ছে। বাংলাদেশের অর্থনীতির বর্তমান অবস্থাকে এভাবেই দেখছে বিশ্বব্যাংক। বিশ্বব্যাংক বলছে, এ দেশের অর্থনীতিতে এখন চার ধরনের সংকট ও তা উত্তরণের চ্যালেঞ্জ আছে। এগুলো হলো উচ্চ মূল্যস্ফীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যে আন্তর্জাতিক পরিস্থিতির চাপ, আর্থিক খাতের ঝুঁকি এবং আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা। বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশের অর্থনীতিতে সংস্কারের পরামর্শ দিয়েছে। বিশেষ করে বিনিময় হার, মুদ্রানীতি, আর্থিক খাত এবং রাজস্ব খাতে বড় সংস্কার করতে হবে।

নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব করার জন্য দায়িত্ব নেয়নি ইসি: সিইসি-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের লেখা হয়েছে, প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, ‘নির্বাচনে পক্ষপাতিত্ব করার জন্য দায়িত্ব নেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)।’বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) নির্বাচন ভবনে ‘অবাধ ভোটাধিকার, প্রার্থী ও পোলিং এজেন্টদের ভূমিকা’ শীর্ষক এক বৈঠকে সূচনা বক্তব্যে এ মন্তব্য করেন তিনি। সিইসি বলেন, ‘আমরা নিষ্ঠার ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা মিডিয়ার বক্তব্য শুনে থাকি।’তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনে শক্তি প্রয়োগ করার বিষয় চিরকালই হয়ে আসছে। প্রদান উদ্দেশ্য হচ্ছে ভোটারদের ভোটাধিকার। কী কী অনিয়ম হতে পারে সে বিষয়ে আমরা জানতে চাই। সেটা জানতে পারলে আমরা হয়তো প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারবো।’

সিম বেচার সময় আঙুলের ছাপ চুরি, এখন তা অপরাধীদের হাতে, বিপাকে নিরীহ মানুষ-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, সাধারণ মানুষের আঙুলের ছাপ এখন কেনাবেচা হয়। এক অপরাধী আরেক অপরাধীর কাছে সেই ছাপ বিক্রি করে। পরে চুরি করা আঙুলের ছাপ দিয়ে সিম তুলে অপরাধীদের কাছে বিক্রি করা হয়। বিপাকে পড়ে সাধারণ মানুষ। অপরাধীদের খুঁজে পাওয়া যায় না।

যেমন গত মাসে ফেসবুকে দেওয়া একটি বিজ্ঞাপনের সূত্র ধরে আঙুলের ছাপ চুরির সঙ্গে জড়িত একটি চক্রের ৩০ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে আটজনকে।

সাইবার অপরাধসহ ১০ চ্যালেঞ্জ শনাক্ত-যুগান্তর

স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার শুরুতেই সাইবার অপরাধসহ ১০টি চ্যালেঞ্জ শনাক্ত করা হয়েছে। অন্য চ্যালেঞ্জগুলো হচ্ছে জ্বালানির বিকল্প সংস্থান, অর্থনীতির চাহিদা মোকাবিলা, বৈশ্বিক বিগ-টেক প্রতিষ্ঠানগুলোর আধিপত্য এবং জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত। এছাড়া প্রযুক্তির দ্রুত পরিবর্তনশীলতা ও ডিজিটাল ডিভাইস মোকাবিলা, চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের প্রযুক্তির সঙ্গে তাল মেলানো, দক্ষ তরুণ সমাজ গড়ে তোলা ইত্যাদি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত ‘স্মার্ট বাংলাদেশ টাস্কফোর্স’র প্রথম বৈঠকে এসব চ্যালেঞ্জ চিহ্নিত করা হয়।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত 

ভারতের বিরুদ্ধে কানাডার অভিযোগ ‘গুরুতর’: যুক্তরাষ্ট্র-এনডিটিভি অনলাইন

খালিস্তানপন্থি শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যার ঘটনায় ভারত সরকারের জড়িত থাকার বিষয়ে কানাডা যে অভিযোগ তুলেছে, তাকে ‘গুরুতর’ বলে অভিহিত করেছে যুক্তরাষ্ট্র। সেই সঙ্গে ভারতের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তদন্ত হওয়া প্রয়োজন বলেও মনে করে ওয়াশিংটন।মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের স্ট্র্যাটেজিক কমিউনিকেশনের কো-অর্ডিনেটর জন কিরবি এমন কথা বলেছেন।

একনাথ শিণ্ডেকে সরিয়ে মহারাষ্ট্রের মসনদে অজিত পওয়ার? মুখ খুললেন ফড়ণবিশ-সংবাদ প্রতিদিন

গত জুলাইয়ে মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) এনডিএ সরকারে যোগ দিয়েছিলেন এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পওয়ারের ভাইপো অজিত পওয়ার (Ajit Pawar)। এরপর থেকে ক্রমেই গুঞ্জন বেড়েছে, একনাথ শিণ্ডেকে (Eknath Shinde) সরিয়ে অজিতকেই মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী করা হবে। সেই জল্পনা উড়িয়ে দিলেন রাজ্যের উপমুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়ণবিশ। তাঁর দাবি, শিণ্ডেই থাকবেন মহারাষ্ট্রের মসনদে।#

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৪

ট্যাগ