অক্টোবর ৩১, ২০২৩ ১৯:১১ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন। আজকের আসর উপস্থাপনায় রয়েছি আমি গাজী আব্দুর রশীদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।

আশরাফুর রহমান: বন্ধুরা, আসরের শুরুতেই আমি বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর একটি হাদিস শোনাব। তিনি বলেছেন, "জ্ঞান হচ্ছে- পৃথিবীতে আল্লাহর গচ্ছিত সম্পদ এবং জ্ঞানীরা হলো তার তত্ত্বাবধায়ক। তাই যে তার জ্ঞান অনুযায়ী কাজ করল, সে তাঁর আমানত যথাযথভাবে ফিরিয়ে দিল।"

আকতার জাহান: আমার সবাই জ্ঞান অনুযায়ী আমল করার চেষ্টা করব- এ কামনায় নজর দিচ্ছি চিঠিপত্রের দিকে।

আসরের প্রথম মেইলটি পাঠিয়েছেন কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের নীলকান্ত সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. নাজমা বেগম

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠানের প্রতিদিনকার সান্ধ্য অধিবেশনের নিয়মিত শ্রোতা আমি। সপ্তাহের ৭ দিনই সংবাদ এবং নিয়মিত পরিবেশনাগুলোর পাশাপাশি অনেক বৈচিত্র্যপূর্ণ অনুষ্ঠান থাকে। এগুলো থেকে জ্ঞানভাণ্ডার সমৃদ্ধ করছি।"

গাজী আব্দুর রশীদ: এরপর তিনি লিখেছেন, "২৪ অক্টোবর তারিখে দৃষ্টিপাত অনুষ্ঠানে প্রচারিত শব্দ দূষণ নিয়ে প্রতিবেদনটি ছিল অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শব্দ দূষণ থেকে পরিত্রাণের  উল্লিখিত উপায়সমূহ অনেক কার্যকর বলে মনে হয়েছে। এছাড়া, ইমাম হাসান আসকারী (আ,)- এর জন্মদিন উপলক্ষে আলোচনাটি অত্যন্ত ভালো লেগেছে। অজানা তথ্য জেনেছি অনুষ্ঠানটির মাধ্যমে। সুন্দর সুন্দর অনুষ্ঠান উপহার দেওয়ায় রেডিও তেহরানের সংশ্লিষ্ট সবাইকে এবং শ্রোতাবন্ধুদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"

আশরাফুর রহমান: বোন নাজমা বেগম, নিয়মিত অনুষ্ঠান শোনার পাশাপাশি প্রথম ইমেইলটির জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। আশা করি মাঝেমধ্যে আপনার মেইল পাব।

বাংলাদেশের পর ভারত থেকে আসা একটি মেইল চেক করছি। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বারুইপাড়া থেকে এটি পাঠিয়েছেন এস এম নাজিম উদ্দিন।

পশ্চিমা গণমাধ্যমের স্বরূপ উন্মোচনবিষয়ক নতুন ধারাবাহিক আলোচনা ‘ঘটনার নেপথ্যে’ শোনার অনুভূতি জানিয়ে তিনি লিখেছেন, “২১ অক্টোবর রেডিও তেহরান বাংলা অনুষ্ঠানমালায় একটি নতুন অনুষ্ঠানের সংযোজন হলো। 'ঘটনার নেপথ্যে' নামের ধারাবাহিক অনুষ্ঠান-এর প্রথম পর্বে চমৎকার একটি দৃষ্টান্তের উপস্থাপনার মাধ্যমে পাশ্চাত্যের মিডিয়ার স্বরূপ উন্মোচিত হয়েছে বলে মনে করি। এমন সময় উপযোগী নতুন ধারাবাহিকের প্রত্যেকটা পর্বে পাশ্চাত্যের মিডিয়া প্রপাগান্ডার মুখোশ উন্মোচনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখি। রেডিও তেহরানের এমন একটি চমৎকার ও বাস্তবচিত অনুষ্ঠান সংযোজনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি জানাই আন্তরিক অভিনন্দন।”

আকতার জাহান: রেডিও তেহরানের নতুন ধারাবাহিক অনুষ্ঠান ঘটনার নেপথ্যে শোনার পর তাৎক্ষণিক মতামত জানিয়ে ইমেইল করায় নাজিম উদ্দিন ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

রেডিও তেহরানে সম্প্রতি ‘শেষ ত্রাণকর্তা’ শিরোনামে আরেকটি ধারাবাহিক অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে। ইমাম মাহদি (আ.)-এর আগমন বা পুনরাবির্ভাব সংক্রান্ত এই ধারাবাহিকটি সম্পর্কে মতামত জানিয়েছেন কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহাদত হোসেন।

তিনি লিখেছেন, "২২ অক্টোবার রোববার থেকে শুরু হওয়া নতুন ধারাবাহিক অনুষ্ঠান ‘শেষ ত্রাণকর্তা’- আমরা অত্যন্ত আগ্রহভরে শুনলাম। দারুণ ভালো লেগেছে অনুষ্ঠানটি। আমরা মনে করি, এটি একটি সময়োপযোগী অনুষ্ঠান এবং হতাশাগ্রস্ত মুসলমানদের অনুপ্রেরণা ও সাহস জোগাবার মতো অনুষ্ঠান। কেননা পুরো মানব জাতি অধীর আগ্রহে শেষ ত্রাণকর্তা অর্থাৎ ইমাম মাহদি (আ.)-এর আগমনের অপেক্ষায় আছেন। তিনি কবে আসবেন, কখন আসবেন, কিভাবে আমাদের উদ্ধার করবেন- এসব বিষয়ে আমাদের অসীম আগ্রহ রয়েছে। আশা করি চলতি ধারাবাহিকটি আমাদের সেসব প্রশ্নের উত্তর দিতে সক্ষম হবে।”

গাজী আব্দুর রশীদ: ভাই শাহাদত হোসেন, ধারাবাহিকটি শুনতে থাকুন আশা করি আপনার সব প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন। আর হ্যাঁ, তাৎক্ষণিক মতামতটি জন্য আপনাকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আশরাফুর রহমান: বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী থেকে মোঃ ফেরদৌস হোসেন পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি। তিনি আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব, রংপুর বিভাগীয় কমিটির সহ. অর্থ সম্পাদক।                  

ফেরদৌস ভাই লিখেছেন, “আমি দীর্ঘদিন থেকে রেডিও তেহরানের নীরব শ্রোতা। আর নীরব থাকতে পারলাম না। আপনাদের সকল অনুষ্ঠানই খুব ভালো লাগে। কুরআনের আলো এবং স্বাস্থ্যকথা সপ্তাহে দু’দিন করা যায় কিনা কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি কামনা করছি।”

আকতার জাহান: ভাই ফেরদৌস হোসেন, কুরআনের আলো এবং স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠানটি যে আপনার খুব ভালো লাগে তা আপনার প্রস্তাব থেকেই বুঝতে পেরেছি। কিন্তু সপ্তাহে দু’দিন অনুষ্ঠানগুলো প্রচার করা আপাতত সম্ভব নয়- ভাই। তো নীরবতা ভেঙে চিঠি লিখার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুপী থেকে মহ: হাফিজুর রহমান পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "ইহুদিবাদী ইসরাইল ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে যে অপরাধযজ্ঞ দীর্ঘদিন ধরে করে চলেছে তার সবিস্তার খবর, বিশ্লেষণ ও প্রতিবেদন প্রতিনিয়ত আমাদের জানিয়ে চলেছে রেডিও তেহরান। গাজার ফিলিস্তিনিদের সত্য কাহিনি তুলে ধরা রেডিও তেহরানের বলিষ্ঠ পদক্ষেপ। রেডিও তেহরান একদিকে যেমন অসহায় ও আর্ত মানুষের বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর অপরদিকে ইহুদিবাদী, জালিম, মার্কিন তাঁবেদারীর বিরুদ্ধে সোচ্চার কণ্ঠ। এমন সাহসিকতার পরিচয় বর্তমানে পাওয়া খুবই কঠিন। রেডিও তেহরান না শুনলে ফিলিস্তিনিদেরকে বীরোচিত অভিযানের কাহিনী বিশ্বের কাছে অজানাই থেকে যেতো। সবদিক থেকেই ইরানের জাতীয় সম্প্রচার সংস্থার ভূমিকা মনে রাখার মতো।"

গাজী আব্দুর রশীদ: ভাই হাফিজুর রহমান, ফিলিস্তিন ইস্যুতে রেডিও তেহরানের ভূমিকা আপনার ভালো লাগছে জেনে আমাদেরও ভালো লাগছে। আশা করি আবারো লিখবেন।

আসরের পরের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল থানার আকন্দের বাইদ থেকে। আর পাঠিয়েছেন দিঘী বেতার শ্রোতা সংঘের সভাপতি মোবারক হোসেন ফনি।

তিনি এই মেইলে কেবল একটি প্রশ্ন করেছেন। জানতে চেয়েছেন- ইরানে মাইকে উচ্চস্বরে আযান দেয়া হয় কিনা?

আশরাফুর রহমান: না ভাই, ইরানের মসজিদগুলোতে উচ্চস্বরে আযান দেওয়া হয় না। এখানকার মসজিদগুলোতে নিয়ন্ত্রিত শব্দে আযান দেওয়া হয় যাতে কেবল আশপাশের মুসল্লিরা শুনতে পারেন। ইরানি আলেমরা মনে করেন, অতিরিক্ত শব্দে শিশু, বয়স্ক মানুষ এবং রোগীদের সমস্যা হতে পারে। কেবল আযান নয়, কোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠান উচ্চশব্দে প্রচারের কারণে যদি আশপাশের মানুষ বা প্রতিবেশীরা বিরক্তি বোধ করেন তাহলে তাও প্রচার করা যাবে না।

আকতার জাহান: ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থেকে দেবাশীষ গোপ পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "১৮ অক্টোবর স্বাস্থ্যকথা অনুষ্ঠানে আমার অনুরোধে মানসিক রোগ সিজোফ্রেনিয়া নিয়ে আলোচনায় অনেক অজানা ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় জেনে উপকৃত হলাম। খুব সুন্দরভাবে অনুষ্ঠানটি উপস্থাপিত হলো। এজন্য ধন্যবাদ।" এছাড়া ১৭ অক্টোবর প্রচারিত কুরআনের আলো অনুষ্ঠান ভালো লেগেছে বলে তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।

গাজী আব্দুর রশীদ: ভাই দেবাশীষ গোপ, স্বাস্থ্যকথা ও কুরআনের আলো অনুষ্ঠান সম্পর্কে মতামত জানানোর জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানে এ পর্যায়ে আমরা কথা বলব এক বাংলাদেশি শ্রোতার সঙ্গে। যিনি সম্প্রতি ইরান সফরে এসেছিলেন।

 

আশরাফুর রহমান: শ্রোতাবন্ধুরা, সাক্ষাৎকারের পর এবার ক্লাব কার্যক্রমের একটি খবর। এটি পাঠিয়েছেন আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব বাংলাদেশের রংপুর বিভাগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার।

সবাইকে প্রীতিমাখা ভালোবাসা আর হেমন্তের সকালে শিশিরস্নাত শুভেচ্ছা জানাবার পর তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরানের শ্রোতা বৃদ্ধি, শ্রোতাদের অনুষ্ঠান শুনতে ও চিঠি লিখতে উৎসাহ প্রদান, তেহরানের লাইভ অনুষ্ঠানে ব্যাপকভাবে সম্পৃক্তকরণ, সমাজ উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ প্রভৃতি কার্যক্রমের মাধ্যমে আমাদের ক্লাবটি এগিয়ে চলেছে। ক্লাব কার্যক্রমে গতি বাড়াতে ক্লাবের প্রথম ভার্চুয়াল মিটিং-এর আয়োজন করা হয়। এতে ক্লাব সদস্যদেরকে রেডিও তেহরানের প্রতি সম্পৃক্ততা বাড়ানো, কুইজে অংশগ্রহণ করতে মনোযোগ আকর্ষণ এসব নিয়ে আলোচনা করা হয়। মিটিং-এ যুক্ত হয়ে অত্যন্ত ইতিবাচক ও গঠনমূলক পরামর্শ দিয়ে উপস্থিত সবাইকে অনুপ্রাণিত করেন রেডিও তেহরানের বাংলাদেশস্থ মনিটর সুপ্রিয় আবু তাহের ভাই।"

আকতার জাহান: ক্লাব কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করায় ভাই আব্দুল কুদ্দুস মাস্টার আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার খাদিমপুর বাজার থেকে মোখলেছুর রহমান পাঠিয়েছেন বেশকিছু মেইলটি। তিনি প্রায় প্রতিদিনই একটি করে মেইল পাঠাচ্ছেন।

২৪ অক্টোবর পাঠানো মেইলে তিনি লিখেছেন, "ইমাম আসকারী (আ.) এর শুভ জন্মদিন উপলক্ষে বিশেষ আলোচনা অনুষ্ঠানটি এবং ইমামের কিছু মূল্যবান বাণী শুনে দারুণভাবে মুগ্ধ হয়েছি। কথাবার্তা অনুষ্ঠানে ঢাকা ও কলকাতা থেকে প্রকাশিত প্রধান প্রধান জাতীয় দৈনিক পত্র-পত্রিকার শিরোনাম ও বিশ্লেষণ শুনে পেপার পড়ার স্বাদ ঘোলে মিটালাম। আর দর্পনে দখলদার ইসরাইলের গাজা যুদ্ধের উপর আলোচনাটি শুনে অনেক অজানা তথ্য সম্পর্কে জেনে ভালো লেগেছে।"

গাজী আব্দুর রশীদ:  আমাদের কয়েকটি অনুষ্ঠান সম্পর্কে ভালোলাগার অনুভূতি প্রকাশ করে চিঠি লিখায় মোখলেছুর রহমান ভাই আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।

আজকের আসরের শেষ মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর থানার জোনাইডাঙ্গা থেকে। আর পাঠিয়েছেন ফারুক আহমেদ।

তিনি লিখেছেন, "গত ১৬ অক্টোবর চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জনে সেপ্টেম্বর মাসের শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক মোঃ মোখলেছুর রহমান ভাইয়ের চিঠি থেকে পাঠ এবং একই মাসের শ্রেষ্ঠশ্রোতা নাজিমউদ্দিন ভাইয়ের অডিও বার্তা খুব ভালো লেগেছে। এছাড়া,  কথাবার্তা, সোনালী সময়সহ সকল পরিবেশনা আমার মন ছুঁয়ে গেছে। এজন্য বাংলা বিভাগের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি।"

আশরাফুর রহমান: ভাই ফারুক আহমেদ ইমেইলে মতামতের জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

তো শ্রোতাবন্ধুরা, আজকের আসরও শেষ করব একটি গান শুনিয়ে। 'কেঁদো না, কেঁদো না ফিলিস্তিন' শিরোনামের গানটির গীতিকার ও সুরকার নাবিল আদনান। আর গেয়েছেন গাজী আনাস রওশন, ফাহিম মুহাম্মদ, নাবিল আদনান, রাসেল আহমেদ তন্ময় এবং আমিরুল ইসলাম।

আকতার জাহান: শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদায় নিচ্ছি প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে।#

আকতার জাহান: বন্ধুরা, আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদায় নিই প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে। #

পার্সটুডে/আশরাফুর রহমান/৩১

ট্যাগ