'বিদেশিরা চুপসে গেছে!'
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: রোল মডেল বনাম মাঠ-বাস্তবতা।
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৫ ডিসেম্বর সোমবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- নির্বাচনে বাধাদানকারীদের নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন ওবায়দুল কাদের- প্রথম আলো
- বিদেশিরা চুপসে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-মানবজমিন
- লুটপাটের ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায়, সন্ধান চান ওবায়দুল কাদের-ইত্তেফাক
- নেতাদের তুলে নিয়ে নির্যাতন করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়: বিএনপি-যুগান্তর
- শতাধিক আসনে-কেন্দ্রে ভোটার আনাই চ্যালেঞ্জ-যুগান্তর
- ‘নৌকায় ভোট দিতে হবে, নয়তো পানি-বিদ্যুৎ-গ্যাস থাকবে না’ বলা ছাত্রলীগ নেতাকে খুঁজছে পুলিশ-ডেইলি স্টার বাংলা
কোলকাতার শিরোনাম:
- ৩০৩ জন ভারতীয় যাত্রী-সহ মুক্তি পেল বিমান! তবে ফ্রান্সের মাটি ছেড়ে কোথায় যাবে সে উত্তর অজানা- আনন্দবাজার পত্রিকা
- আস্থা নেই শুভেন্দু-সুকান্তে! চব্বিশের লড়াইয়ে বেসরকারি ভোটকুশলী সংস্থার হাত ধরল BJP-সংবাদ প্রতিদিন
- হিজাব সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে : পরমেশ্বর-গণশক্তি
- যৌন হেনস্থার প্রতিশোধ-যুবককে খুন করে গায়ে আগুন জ্বালিয়ে দিল ৩ কিশোরী- আজকাল
শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি। প্রথম আলোর গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক খবরে লেখা হয়েছে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, সংঘাতের আশঙ্কা সব সময় থাকেই। তবে এ বিষয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অব্যাহত থাকবে। যারাই নির্বাচনের পরিবেশ দূষিত করবে, সংঘাতে জড়াবে, তাদের বিরুদ্ধে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। নির্বাচনে বাধাদানকারীদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যারা নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিঘ্ন সৃষ্টি করবে, তাদের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া এবং তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োগ করা—এটা তো যুক্তরাষ্ট্রের বহুল প্রচারিত ঘোষণা। এনডিআইসহ যে পাঁচ মার্কিন প্রতিনিধি এখন বাংলাদেশে আছেন, এ বিষয়ে তাঁদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।’
সাবেক পররাষ্ট্রসচিব মো. তৌহিদ হোসেন তার মতামত কলামের শিরোনাম করেছেন এরকম-বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: রোল মডেল বনাম মাঠ-বাস্তবতা। প্রথম আলোর বিস্তারিত মতামত কলামে লেখা হয়েছে, প্রথমে কংগ্রেস এবং পরে বিজেপি নেতৃত্বাধীন ভারতের সঙ্গে গত ১৫ বছর আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশের বহুমাত্রিক সম্পর্কের উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। দুই পক্ষেরই নেতাদের মুখ থেকে সম্পর্কের সোনালি সময় চলছে, সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে ইত্যাকার বাক্যাবলি নিঃসৃত হয়েছে নিয়মিত বিরতিতে। এর সঙ্গে আর যে বাক্যটি যোগ হয়েছে, তা হচ্ছে বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ‘রোল মডেল’।
রোল মডেল প্রসঙ্গে- শব্দবন্ধটির প্রকৃত অর্থ কী? আপাতদৃষ্টে তো মনে হয়, এর অর্থ হচ্ছে বর্ণিত দুটি দেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের ক্ষেত্রে যা কিছু ঘটে, এর বাইরে কোনো দুটি দেশের জন্য তা আদর্শ হিসেবে বিবেচিত হবে এবং সেই দেশগুলো এরূপ সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করবে। বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বাস্তবেই কি এমন নজির স্থাপন করছে?
ভারতের দৃষ্টিকোণ থেকে অবশ্য দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে একটা আদর্শ পরিবেশ বিরাজ করছে। ভারতের যা কিছু চাওয়ার ছিল, বাংলাদেশ তার প্রায় সবকিছুই পূরণ করেছে প্রায় কোনো বিনিময় ছাড়াই। উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর বিচ্ছিন্নতাবাদী দলগুলোকে বাংলাদেশ থেকে বহিষ্কার করা হয় এবং তাদের কোনো কোনো নেতাকে ভারতের কাছে সমর্পণ করা হয়।
বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোর ট্রানজিট–সুবিধা দেওয়া হয়েছে ভারতকে। বাংলাদেশের বাজারে ভারতীয় পণ্যের প্রবেশ উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেয়েছে। বিপুলসংখ্যক ভারতীয় বাংলাদেশের কর্মবাজারে প্রবেশ করেছেন এবং বছরে তাঁদের রেমিট্যান্স পাঁচ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে।
পর্যটন এবং চিকিৎসাসফরে যাওয়া বাংলাদেশিদের কাছ থেকে বড় অঙ্কের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলো।
বাংলাদেশের উপকূলে ভারতীয় নজরদারি রাডার স্থাপনের অনুমতি দিয়েছে বাংলাদেশ এবং ভারত থেকে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী কিছু অস্ত্রও কিনেছে। ছোট ছোট আরও কিছু প্রাপ্তির কথা নাহয় বাদই দিলাম।
পক্ষান্তরে বাংলাদেশের প্রাপ্তির তালিকাটা বেশ কষ্টকল্পিত। সীমান্ত নিয়ে ইন্দিরা-মুজিব চুক্তি অনুসমর্থন করতে ভারত সময় নিয়েছে ৪০ বছর, তা-ও ভারতের পক্ষে যায়, তেমন খানিকটা পরিবর্তন এনে। বাংলাদেশ থেকে নেপাল, ভুটানের সঙ্গে স্থলপথে যে সামান্য দূরত্ব, ভারতের ভেতর দিয়ে তা পেরোনোর জন্য ট্রানজিট–সুবিধা পাওয়া যায়নি এখনো।
তিন-চার দফায় সাত বিলিয়ন ডলার ক্রেডিট লাইন দিয়েছে ভারত। কিন্তু কঠিন শর্তের কারণে অর্থছাড়ের পরিমাণ কম। গঙ্গার পানিবণ্টন চুক্তি হয়েছিল ১৯৯৬ সালে। তিস্তার পানিবণ্টনের চুক্তি হয় হয় করতে করতে একপর্যায়ে হিমাগারে চলে গেছে এবং শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশ প্রয়োজনীয় পানি পায় না। ৫৪ আন্তর্জাতিক নদীর বাকিগুলো নিয়ে কোনো কথাই নেই।
ভারতের আসাম রাজ্যের ‘বিদেশিদের’ বিতাড়নের লক্ষ্যে প্রণীত আসাম নাগরিক পঞ্জি এবং ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধন আইন ডেমোক্লিসের তরবারির মতো ঝুলে আছে বাংলাদেশের ওপর। সেই সঙ্গে আছে লাগামহীনভাবে বিজেপি উচ্চ নেতৃত্বের বাংলাদেশের প্রতি অবমাননাকর বাক্যবাণ।
সবকিছু ছাড়িয়ে যে বিষয়টি বাংলাদেশের জনমনে প্রবল ক্ষোভের সৃষ্টি করে, তা হচ্ছে সীমান্তে অব্যাহতভাবে ভারতীয় বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিকদের হত্যা। সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় সত্ত্বেও ২০০৯ সালে ৬৭ জন বাংলাদেশি নাগরিক বিএসএফের হাতে নিহত হয়েছেন। ২০১০ সালে এ সংখ্যা ছিল ৬০, ২০১১-তে ৩৯, ২০১২-তে ৩৪, ২০১৩-তে ২৮, ২০১৪-তে ৪০, ২০১৫-তে ৪৫, ২০১৬-তে ২১, ২০১৭-তে ২৫, ২০১৮-তে ১১, ২০১৯ সালে ৪১, ২০২০-এ ৫১, ২০২১-এ ১৭ এবং ২০২২ সালে ১৮ জন।
ভারতীয় নেতৃত্বের পক্ষ থেকে এ সংখ্যা শূন্যে নামিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি বারবার উচ্চারিত হয়েছে, কিন্তু তা বাস্তবে রূপ লাভ করেনি; বরং ভারতের বিদেশমন্ত্রী জয়শঙ্কর প্রকারান্তরে বলেই দিয়েছেন যে এ হত্যাকাণ্ড চলমান থাকবে। কারণ, সীমান্তে অপরাধ বন্ধ না হলে হত্যাও বন্ধ হবে না।
সীমান্ত হত্যা প্রধানত সংঘটিত হয় গরু পাচারকারীদের ওপর। ভারত থেকে ফেনসিডিল মাদক যাঁরা পাচার করেন বাংলাদেশে, তাঁদের কেউ কখনো হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন, এমনটি কিন্তু শুনিনি।
‘রোল মডেল’-এর তাহলে কী হবে? রোল মডেল মানে তো এমন কিছু, যা অনুসরণীয় বা অনুসরণযোগ্য।
ইত্তেফাকে খবরে লেখা হয়েছে, ১৫ বছরে বিভিন্ন আর্থিক অনিয়মের মাধ্যমে ব্যাংক খাত থেকে ৯২ হাজার ২৬১ কোটি টাকা লোপাট হয়েছে- সিপিডির এমন তথ্যের ভিত্তিতে সেই টাকার সন্ধান সিপিডির কাছেই চেয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এই ৯২ হাজার কোটি টাকা কোথায় গেলো? কোথায় আছে সেটা আগে বলেন। সেটার সন্ধান দিলে আমরা জবাব দেবো।সিপিডির রিপোর্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানেন না উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, এ রিপোর্ট কে দিয়েছে? দেবপ্রিয়ই দিক বা মুস্তাফিজই দিক, আমার বক্তব্য হচ্ছে, এই টাকাগুলো কোথায় গেছে? আপনারা টাকার সন্ধান দেন, আমরা টাকাগুলো ফিরিয়ে আনতে চাই।নির্বাচন সংক্রান্ত নানা অভিযোগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ সব নির্বাচন কমিশন দেখবে।
নেতাদের তুলে নিয়ে নির্যাতন করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়: বিএনপি-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, দলের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তুলে নিয়ে গিয়ে নির্যাতন করে মিথ্যা স্বীকারোক্তি আদায়ের অভিযোগ করেছে বিএনপি।দলটির দাবি, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে এবং জনগণের দৃষ্টি সরাতে সরকারের ইন্ধনে একের পর এক পরিকল্পিতভাবে নাশকতা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপাচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বিএনপির অভিযোগ, ছাত্রদল, যুবদলসহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাদের জোর করে তুলে নিয়ে গিয়ে পৈশাচিক অত্যাচারের মাধ্যমে তাদের শেখানো স্বীকারোক্তি আদায় করা হচ্ছে।
বিদেশিরা চুপসে গেছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী-মানবজমিন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, নির্বাচন নিয়ে বিদেশিদের নানা ধরনের কথা এখন কমে গেছে। সন্ত্রাসীদের কোথাও জায়গা নেই। বিদেশিরাও দেখছে সন্ত্রাসীদের প্রোমোট করলে ওদের বারোটা বাজবে। সুতরাং তারা চুপসে গেছে।রোববার সিলেট নগরের জিন্দাবাজার এলাকায় এ কে আব্দুল মোমেন নির্বাচনী প্রচারণা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন মন্তব্য করেন।এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, যাদের প্রতি একটু নরম ছিল তারা (বিদেশিরা), তারাই এখন ওদের পছন্দ করে না। কারণ, বিএনপি এখন দল নয়, সন্ত্রাসী হয়ে গেছে। সন্ত্রাসীর জায়গা পৃথিবীর কোথাও নেই।
মন্ত্রী বলেন, যদি সরকার অপছন্দ হয়, নিশ্চয় আপনি জনগণের সমর্থন নিয়ে সরকার পরিবর্তন করবেন। কিন্তু সন্ত্রাসী তৎপরতা করে, জ্বালাও-পোড়াও করে নিরীহ মানুষ মেরে ফেললে কোনো লোকই সেটা গ্রহণ করবে না।
তিনি বলেন, অনেক অনেক লোক ভোট দিলে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাবে। সব প্রার্থীকেই সমানভাবে দেখি। অনেক অদৃশ্য ভোট থাকবে। নির্বাচনের সময় যারা নির্বাচনে আসনেনি, তারা কিন্তু অদৃশ্য ভোট হয়ে যায়।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
শিয়রে লোকসভা নির্বাচন। তা সত্ত্বেও বঙ্গ বিজেপির অন্দরে আদি-নব্য কোন্দলে ইতি পড়েনি। ফরে বঙ্গে রাজ্যনেতাদের উপর আস্থা রাখতে পারছে না বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে কেন্দ্রে হ্যাটট্রিক হাঁকাতে এখন থেকেই স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে শুরু করে দিয়েছে গেরুয়া শিবির। বাংলায় দাঁড়িয়ে লোকসভায় ৩৫ আসনের লক্ষ্য বেঁধে দিয়েছেন অমিত শাহ। সেই লক্ষ্যপূরণে এবার পেশাদার সংস্থার হাত ধরছে বিজেপি।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল প্রশান্ত কিশোরের আই-প্যাক। একইরকম ভাবে অতীতে একাধিক ভোট-রাজ্যে এমন বেসরকারি সংস্থার উপর নির্ভর করে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছে বিজেপিও। বাংলাতেও চলেছে সমীক্ষা। তবে রাজ্যনেতাদের তথ্যে নির্ভর করে একুশে আশানরূপ ফল হয়নি। লোকসভা ভোটে সেই ভুলের পুনরাবৃত্তি চায় না শীর্ষ নেতৃত্ব। তাই শুধু শুভেন্দু-সুকান্তদের রিপোর্টের উপর আস্থা না রেখে এবার পুরোপুরি পেশাদার সংস্থার সাহায্য নিচ্ছে বঙ্গ বিজেপি। সংবাদ প্রতিদিনে খবরটি পরিবেশিত হয়েছে।
৩০৩ জন ভারতীয় যাত্রী-সহ মুক্তি পেল বিমান! তবে ফ্রান্সের মাটি ছেড়ে কোথায় যাবে সে উত্তর অজানা-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বড়দিনে ফরাসি সরকারের হাত থেকে ছাড়া পেল বিমান। প্যারিস থেকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে ভাত্রি বিমানবন্দরে একটি বিমানকে আটক করে ফরাসি সরকার। বিমানের অধিকাংশ যাত্রী ছিল ভারতীয়। মানবপাচার হচ্ছে সন্দেহে আটক করা হয় বিমানটিকে। তবে ছাড়া পেয়ে সেই বিমান কোথায় যাবে সেই নিয়েই উঠছে প্রশ্ন। রবিবার ফ্রান্সের এক আদালত বিমানটিকে ছেড়ে দেওয়ার রায় দেয়। তার পর সোমবার সেটিকে মুক্তি দেওয়া হয়। তবে বিমানটি ভারতের উদ্দেশেই পাড়ি দিচ্ছে কি না, জানা যায়নি।প্রসঙ্গত, চার্টার বিমানটি নিকারাগুয়ার উদ্দেশে রওনা হয়েছিল। সওয়ার ছিলেন ৩০৩ জন। যাত্রীদের মধ্যে ১১টি শিশুও ছিল, যাদের কোনও অভিভাবক ছিল না। সে কারণে ফ্রান্সের প্রশাসনের সন্দেহ হয়, বিমানে করে মানবপাচার চলছে।
জমি কিনছে বাইরের লোক, উত্তরাখণ্ডে বিপাকে বিজেপি-গণশক্তি পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, জম্মু ও কাশ্মীরে জমি কিনতে পারবে বাইরের লোকও। ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের সময় এই যুক্তিই খাড়া করেছিল বিজেপি। এবার উত্তরাখণ্ডে তাদেরই সরকার বিক্ষোভের মুখে পড়ল জমি বাইরের লোককে বিক্রির ব্যবস্থা করায়।অন্য রাজ্য থেকে এসে উত্তরাখণ্ডে বসবাসের শংসাপত্র পাওয়ার বাড়বাড়ন্তেও রয়েছে ক্ষোভ। আন্দোলনে নামা বিভিন্ন অংশের অভিযোগ, বাইরে থেকে এসে তাড়াতাড়িই হাতিয়ে নেওয়া হচ্ছে ‘ডমিসাইল সার্টিফিকেট’।
দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, হিজাব সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে : পরমেশ্বর। বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া শনিবার জানিয়ে ছিলেন যে, কর্ণাটকের স্কুল কলেজে হিজাব নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হবে। সোমবার ওই রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জি পরমেশ্বর জানিয়েছেন, হিজাব সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করে সরকার সিদ্ধান্ত নেবে। তিনি বলেছেন, ‘‘এই বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে এখনই কোন নির্দেশিকা জারি করা হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ঠিকই। কিন্তু এই বিষয় আলোচনা করার পর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’’#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ২৫