ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩ ১৬:৩৮ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ২৯ ডিসেম্বর শুক্রবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • ডলার কিনে রিজার্ভ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক- প্রথম আলো
  • ২৩০০ কোটি টাকার তথ্য গোপনে ব্যবস্থা কী?-মানবজমিন
  • ‘আমেরিকা যার বন্ধু হবে, তার শত্রু লাগে না’-যুগান্তর
  • স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব বিকিয়ে দিয়ে ভারতকে হস্তক্ষেপে বাধ্য করা হচ্ছে:রিজভী-ইত্তেফাক
  • কর্মক্ষেত্রে দুর্ঘটনাজনিত মৃত্যু ৪৮ শতাংশ বেড়েছে: ওশি ফাউন্ডেশনের জরিপ-ডেইলি স্টার বাংলা

কোলকাতার শিরোনাম:

  • ‘বানের জলে’ ভেসে গেল দু’কোটি টাকা, ভারতী মামলায় সুরাহা মিলবে কবে?- আনন্দবাজার পত্রিকা
  • প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে হবে মায়াবতীকে, INDIA জোটে ঢুকতে শর্ত দিল বিএসপি -সংবাদ প্রতিদিন
  • মোদীর পথেই ধর্মের নামে ভোটে মমতা-গণশক্তি
  • দিল্লিতে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যু-আজকাল

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি। 

নিষেধাজ্ঞা নিয়ে ভীতির কারণ নেই, এলে মোকাবিলা করা হবে: পররাষ্ট্রসচিব-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর পরিবেশে হবে। নির্বাচনের পর নিষেধাজ্ঞা আসা না আসা নিয়ে এখনই অস্থির বা ভীত হওয়ার কোনো কারণ দেখছেন না তিনি। আর যদি কিছু আসে, তা বাংলাদেশ মোকাবিলা করবে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা এলে বাংলাদেশ কী ধরনের প্রস্তুতি রেখেছে—এ বিষয়ে জানতে চাইলে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘আমরা সবচেয়ে খারাপটা চিন্তা করব কেন? নির্বাচন সুষ্ঠু হবে—সেই আশার কথা তুলে ধরে মাসুদ বিন মোমেন বলেন, ‘কোনো নির্দিষ্ট দেশ যদি মনে করে, তারপরও যদি নিষেধাজ্ঞার ইস্যু আসে, তখন আমরা সেটি তুলব। এটার জন্য এখনই অস্থির হয়ে যাওয়া বা ভীতি সৃষ্টির কোনো কারণ তো আমরা দেখছি না।’

তবে দৈনিকটির অপর এক খবরে লেখা হয়েছে, গণতন্ত্র, সুশাসন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা না থাকলে ইউরোপ-আমেরিকা নিষেধাজ্ঞা দেবে বলে মনে করেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা এলে এর ভুক্তভোগী হবে গোটা দেশের জনগণ। তাই নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচন করে দেশ রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

যুগান্তরের শিরোনাম- ‘আমেরিকা যার বন্ধু হবে, তার শত্রু লাগে না’-প্রধানমন্ত্রী। বিস্তারিত খবরে লেখা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অন্য দেশের বেলা নাক গলায়। ইরানে শাহ পালভীর যখন পতন হয়, তিনি একটা কথা বলেছিলেন— আমেরিকা যার বন্ধু হবে, তার শত্রু লাগে না। বৃহস্পতিবার রাতে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সম্প্রচারিত লেটস টক-এ শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, যুক্তরাষ্ট্র আমার বিরুদ্ধে লেগে আছে সারাক্ষণ। তাতে আমার কিছু আসে যায় না। জনগণের শক্তিই হলো বড় শক্তি। তার ভাষ্য, তিনি যেনতেনভাবে ক্ষমতায় যাওয়া কিংবা কারও সঙ্গে দেশের স্বার্থ বেচে, মানবতার সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করে ক্ষমতায় যাওয়ার চিন্তা কখনো করেননি।

২৩০০ কোটি টাকার তথ্য গোপনে ব্যবস্থা কী?-মানবজমিন

বিদেশে ২ হাজার ৩১২ কোটি টাকার ব্যবসা রয়েছে। কিন্তু নির্বাচনী হলফনামায় তা উল্লেখ করেননি ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী। মঙ্গলবার প্রথম এই তথ্য প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশাল বাংলাদেশ টিআইবি। তবে সংস্থাটি মন্ত্রীর নাম প্রকাশ করেনি। টিআইবি’র তথ্যের সূত্র ধরেই নাম এসেছে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর। বিদেশে থাকা এই বিনিয়োগের তথ্য নির্বাচনী হলফনামায় না দেয়ার কারণে একজন প্রার্থী হিসেবে শাস্তি পেতে পারেন। এমনকি নির্বাচিত হওয়ার পরও এমন তথ্যের ভিত্তিতে সংসদ সদস্য পদ বাতিল হতে পারে। যদিও নির্বাচন কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশনের পক্ষ থেকে এ পর্যন্ত কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুবিভাগের যুগ্ম সচিব মো. মাহবুবার রহমান সরকার এ বিষয়ে বলেন, কোনো প্রার্থী তথ্য গোপন করলে এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশনের কিছু করার থাকে না। আপিল-শুনানির সময় কেউ অভিযোগ করলে তখন ইসি ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারতো।

সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (আরপিও) এর কোথাও মানা নেই যে, হলফনামায় তথ্য গোপন করলে এই মুহূর্তে নির্বাচন কমিশন কিছু করতে পারবেন না।

নির্বাচন কমিশন চাইলে এখনো ব্যবস্থা নিতে পারেন। তিনি বলেন, ইসি এই মুহূর্তে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) এর কাছে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর তথ্য চাইতে পারে। সেই তথ্য তারা দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডে (এনবিআর) পাঠাতে পারেন। 

সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের খাতিরে নির্বাচন কমিশন অনেক কিছুই করতে পারেন। তারা নিজেরাই বলেছেন, তাদের অন্তর্নিহিত ক্ষমতা রয়েছে। এই ক্ষমতা ব্যবহার করে তারা যেকোনো মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন। তাদের হাত অনেক লম্বা। এখনো হলফনামায় তথ্য গোপনকারীদের প্রার্থিতা বাতিলসহ যেকোনো ব্যবস্থা নিতে পারে। শাহজাহান ওমরও তথ্য গোপন করেছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। 

এমপি-মন্ত্রীদের পাচার করা অর্থের বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র মেজবাউল হক বলেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া দেশের বাইরে কোনো অর্থ নেয়ার সুযোগ নেই। বাংলাদেশ ব্যাংক যাচাই-বাছাই করে যতটুকু অনুমোদন করবে ততটুকুই যে কেউ নিতে পারবে। আরেক প্রশ্নের জবাবে মুখপাত্র বলেন, কোনো প্রতিষ্ঠান বা ব্যক্তির দুর্নীতি বা টাকা পাচারের প্রমাণের জন্য টিআইবি নির্ভরযোগ্য কোনো সূত্র নয়। তবে কেউ যদি টাকা পাচার করে সেটা প্রমাণ করবে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। বিএফআইইউ যদি কারও টাকা পাচারের তথ্য বাংলাদেশ ব্যাংককে দেয় তখন ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী চতুর্থ বারের মতো আওয়ামী লীগের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচন করছেন। তার বাবা আখতারুজ্জামান চৌধুরীর মৃত্যুর পর নবম সংসদে উপ-নির্বাচনে প্রথম এমপি হন তিনি। পরে দশম সংসদে এমপি হওয়ার পর তিনি ভূমি প্রতিমন্ত্রী হন। পরের নির্বাচনে তৃতীয় বারের মতো এমপি হয়ে তিনি একই মন্ত্রণালয়ের পূর্ণ দায়িত্ব পান।

অর্থনীতির খবরে প্রথম আলোর প্রতিবেদনের শিরোনাম এরকম- ডলার কিনে রিজার্ভ বাড়াচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। বিস্তারিত প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণের শর্ত পূরণের জন্য ডলার কিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বা মজুত বাড়াচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। যদিও বাজারে এখনো ডলারসংকট চলছে। ডলার বিক্রি করার মতো পরিস্থিতিতে নেই ব্যাংকগুলো। এরপরও কিছু ব্যাংক উচ্চমূল্যে প্রবাসী আয়ের ডলার কিনে তা আবার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে কম মূল্যে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়ছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ব্যাংকগুলো এখন ১০৯ টাকা ৫০ পয়সা দামে প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ের ডলার কিনছে। আর আমদানিকারকদের কাছে বিক্রির ক্ষেত্রে ডলারের আনুষ্ঠানিক দাম হচ্ছে ১১০ টাকা। তবে বেশির ভাগ ব্যাংক ডলার বিক্রিতে ১১০ টাকার বেশি দাম নিচ্ছে। সরকারি-বেসরকারি ব্যাংকগুলো প্রবাসী আয়ে নিজেদের আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ প্রতি ডলার কিনছে ১১২ টাকায়। আবার ইসলামি ও প্রচলিত ধারার কিছু ব্যাংক ১২৩ টাকা দামেও প্রবাসী আয় কিনছে বলে শোনা যায়। উচ্চ মূল্যে কেনা ডলার তারা কম মূল্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের কাছে বিক্রি করেছে।

দেশে দেড় বছর ধরে চলা ডলারসংকট যেন কাটছেই না। আমদানিতে ডলারের দাম নথিপত্রে ১১০ টাকা হলেও বাস্তবে কোনো কোনো ক্ষেত্রে ১২৮ টাকায়ও বেচাকেনা হচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

ব্যাংকিং খাতের সূত্রগুলো জানিয়েছে, কিছু শরিয়াহভিত্তিক ব্যাংক সরাসরি এভাবে বিক্রি করছে, আবার কিছু ব্যাংক পে-অর্ডারের মাধ্যমে ডলারের বাড়তি দাম সংগ্রহ করছে। আমদানিকারকদের পাশাপাশি রপ্তানিকারকেরাও আছেন বিপদে। তাঁদের ডলার নির্ধারিত দামে কিনে নিচ্ছে ব্যাংক, পরে আবার তাঁদেরই বেশি দামে ডলার কিনে আমদানি দায় শোধ করতে হচ্ছে। সব মিলিয়ে ডলারের বাজারে অস্থিরতা চলছেই।

এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করতে হবে মায়াবতীকে, INDIA জোটে ঢুকতে শর্ত দিল বিএসপি-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, এতদিন ইন্ডিয়া এবং এনডিএ দুই শিবিরের থেকেই দূরত্ব বজায় রাখছিলেন মায়াবতী। বিরোধী শিবিরের চেয়ে বেশি বিজেপির সুরই শোনা যাচ্ছিল তাঁর মুখে। এবার খানিক অবস্থান বদলানোর ইঙ্গিত দিলেন বেহেনজির দলের সাংসদ। ইন্ডিয়া (INDIA) জোটে তাঁদের বিশেষ আপত্তি নেই, শুধু মায়াবতীকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসাবে ঘোষণা করতে হবে। দাবি করলেন বিএসপির সাংসদ মলুক নাগর।

তাঁর দাবি, ইন্ডিয়া জোট যদি মল্লিকার্জুন খাড়গেকে প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী করার কথা ভেবে থাকে তাহলে মায়াবতী বেশি ভালো বিকল্প হতে পারেন। খাড়গের চেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মায়াবতী।

হাত’ ছাড়া নিয়ে উদ্বিগ্ন বঙ্গ সিপিএম-সংবাদ প্রতিদিনের এ খবরে লেখা হয়েছে, একা লড়তে হবে এই ভয়ে ঘুম উড়েছে বঙ্গ সিপিএমের নেতাদের। হাত ছাড়া যদি লড়তে হয় এই আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন আলিমুদ্দিন। সিপিএম নেতারা এখন কংগ্রেসকে হাতে-পায়ে ধরে চাপ দিচ্ছে এ রাজ্যে তাদের ছেড়ে যেন না যায় কংগ্রেস। কংগ্রেস যেন তৃণমূলের সঙ্গে জোট না করে। হাত ধরার অধীর অপেক্ষায় কংগ্রেস শেষ পর্যন্ত কী অবস্থান নেয় সেদিকে নজর রাখছে আলিমুদ্দিন।

‘বানের জলে’ ভেসে গেল দু’কোটি টাকা, ভারতী মামলায় সুরাহা মিলবে কবে?-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, সোনা প্রতারণা মামলায় জড়িত ভারতী ঘোষ ও অন্য পুলিশ অফিসারদের বাড়ি থেকে প্রায় পাঁচ বছর আগে কয়েক কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে দাবি। সেই টাকা রাখা ছিল ঘাটাল মহকুমা অফিসের ট্রেজারিতে। সূত্রের খবর, বন্যার জলে সেই টাকার একটা অংশ নষ্ট হয়ে গিয়েছে! টাকার অঙ্কও নেহাত কম নয়— প্রায় দু’কোটি। সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, মামলার সূত্রে বাজেয়াপ্ত টাকা বন্যার জলে কী ভাবে নষ্ট হল, তাতে কারও গাফিলতি ছিল কি না, তার তদন্ত শুরু করেছে সিআইডি। সম্প্রতি সিআইডির পদস্থ আধিকারিক ঘাটালে এসেছিলেন। তবে এ বিষয়ে সিআইডির কেউ মুখ খুলতে চাননি। যদিও ঘাটাল ট্রেজারিতে থাকা বাকি টাকা মেদিনীপুর আদালতে সরানোর প্রক্রিয়া ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে।

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/২৯