হুরিয়ত পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হল
বারাণসীতে নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে প্রার্থী হতে পারেন কুস্তিগির সাক্ষী মালিক
সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ৩১ ডিসেম্বর রোববারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।
বাংলাদেশের শিরোনাম:
- ওবায়দুল কাদের যা বলেন তা করেন, সতর্ক থাকতে বললেন জোনায়েদ সাকি- প্রথম আলো
- ডাণ্ডাবেড়ি নিয়েই মারা গেলেন কাজল-মানবজমিন
- প্রার্থী-জাতীয় নেতাদের হত্যায় ‘কিলিং এজেন্ট’ তৈরি করছে: ওবায়দুল কাদের-যুগান্তর
- রিজার্ভ চুরি: তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছালো ৭৬ বার-ইত্তেফাক
- বিএনপি কোনো দিন অপজিশন ছিল না, ছিল জাতীয় পার্টি: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী-ডেইলি স্টার বাংলা
কোলকাতার শিরোনাম:
- কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত’, গিলানির হুরিয়তকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক - আনন্দবাজার পত্রিকা
- মোদির বিরুদ্ধে বারাণসীতে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী সাক্ষী মালিক!-সংবাদ প্রতিদিন
- মানিক সরকার বলেছেন- ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে দ্বিচারিতা করছেন মমতা-গণশক্তি
- অনলাইনে প্রতারণার ফাঁদ!-আজকাল
শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি।
প্রথম আলোর খবরে লেখা হয়েছে, নির্বাচন সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য না হলে বিশ্ব থেকে বাংলাদেশ বিচ্ছিন্ন হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
তিনি বলেন, ‘আমরা শুধু আমাদের দৃষ্টিতেই এই অবাধ, সুষ্ঠু এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করলে হবে না। আমাদের দিকে সমগ্র বিশ্ব তাকিয়ে আছে। আমরা যদি আমাদের এই নির্বাচন সুষ্ঠু, সুন্দর এবং গ্রহণযোগ্য করতে না পারি; তাহলে আমাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত। বাংলাদেশের সকল বিষয়; বিশেষ করে আর্থিক, সামাজিক, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সবকিছু থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে, বাংলাদেশ হয়তোবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকবে।’
রাজনীতির আরো খবরে প্রথম আলো লিখেছে, ওবায়দুল কাদের যা বলেন তা করেন, সতর্ক থাকতে বললেন জোনায়েদ সাকি। বিস্তারিত খবরে বলা হয়েছে, বিরোধীদের আন্দোলন দমাতে সরকার নানা কিছু ঘটাচ্ছে এবং তার দায় বিরোধীদের ওপর দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে গণতন্ত্র মঞ্চ। তারা আন্দোলনে বিএনপিকে সতর্ক থাকতে বলেছে।গণতন্ত্র মঞ্চের সমন্বয়ক ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ওবায়দুল কাদের যা বলেন, তিনি তা করেন। ২৮ অক্টোবর তারা পরিকল্পিত সহিংসতা ঘটিয়ে বিএনপির ওপর দায় চাপিয়েছে। তারা এবারও লাশ ফেলে অন্যের ওপর চাপাবে।’ তিনি আন্দোলনে সতর্ক থাকতে বলেন। আর যুগান্তরের খবরে লেখা হয়েছে, ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন বানচালে প্রার্থী-জাতীয় নেতাদের হত্যায় ‘কিলিং এজেন্ট’ তৈরি করছে-লন্ডনে বসে তারেক জিয়া।
প্রথম আলো, মানবজমিনসহ প্রায় সব দৈনিকের খবরে লেখা হয়েছে, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ আটজনকে তিন বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ১০ বছর আগে যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনায় করা মামলায় তাঁদের এই সাজা দেওয়া হয়েছে। এদিকে ডিবির হারুন বলেছেন, রিজভীকে খুঁজছি, শিগগিরই গ্রেফতার করা হবে।
এত উদ্যোগেও বাড়ল না প্রবাসী আয়-প্রথম আলোর অর্থনীতি বিষয়ক এ খবরে বলা হয়েছে, দেশের মুদ্রাবাজারে মার্কিন ডলারের দাম নিয়ে নানা পরীক্ষা, বেশি দামে প্রবাসী আয় কেনা, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ বাড়াতে অতিরিক্ত প্রণোদনা প্রদানসহ নানা উদ্যোগ নেওয়া হলেও বিদায়ী ২০২৩ সালে তেমন সুখবর আসেনি। ২৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত যে তথ্য পাওয়া গেছে, তাতে দেখা যায়, প্রবাসী আয় ২০২২ সালের একই সময়ের চেয়ে কমেছে। বছরের বাকি চার দিনে প্রবাসী আয় আগের বছরকে ছাড়িয়ে যাবে কি না, তা নিয়ে সন্দিহান খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
খাতসংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, প্রবাসীরা ঠিকই আয় পাঠাচ্ছেন। কিন্তু অর্থ পাচার অব্যাহত থাকায় তা বৈধ পথে আসছে না। অর্থ পাচারকারীরা সেই ডলার কিনে ফেলছেন। সেই সুবাদে পাচারকারীরা দেশে প্রবাসীর পরিবারের কাছে টাকা পৌঁছে দিচ্ছে। নতুন অভিযোগ হচ্ছে, বাংলাদেশি মালিকানাধীন এক্সচেঞ্জ ও রেমিট্যান্স কোম্পানিগুলো অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে কাঙ্ক্ষিত পরিমাণে আয় আসছে না।
রিজার্ভ চুরি: তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ পেছালো ৭৬ বার-ইত্তেফাকের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির মামলার তদন্ত প্রতিবেদন আগামী ২৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে দাখিলের জন্য পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।২০১৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি করে নেয় হ্যাকাররা। দেশের অভ্যন্তরে কোনো একটি চক্রের সহায়তায় হ্যাকার গ্রুপ রিজার্ভের অর্থপাচার করে বলে সংশ্লিষ্টদের ধারণা।
ডাণ্ডাবেড়ি নিয়েই মারা গেলেন কাজল-মানবজমিনের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ২৮শে অক্টোবর মহাসমাবেশে সংঘর্ষের পর বিএনপি’র ২৪ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছে বলে দলটির দাবি। এই কারাবন্দি নেতাকর্মীদের কেউ কেউ অসুস্থ হয়ে মারা যাচ্ছেন কারাগারে বা হাসপাতালে। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লেও তাদের ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়ে হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে। ডাণ্ডাবেড়ি নিয়ে মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে।দলটির দাবি, গত ৫ মাসে কারাগারে মারা গেছেন ৯ বিএনপি নেতা। এর মধ্যে গত দুই মাসে মারা গেছেন সাতজন। মারা যাওয়া সব নেতাই গ্রেপ্তারের আগে সুস্থ ছিলেন বলে পরিবারের দাবি। স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, কারাগারে বিনা চিকিৎসায় মারা যাচ্ছেন বিএনপি নেতারা। কারাগারে অসুস্থ হওয়ার পরও নেতাদের হাসপাতালে নেয়া হচ্ছে না। দেয়া হচ্ছে না সঠিক চিকিৎসা। অনেক সময় স্বজনদের খবর দেয়া হচ্ছে অন্তিম মুহূর্তে।অনেককে জানানো হয় মারা যাওয়ার পর।
গত ২৬শে ডিসেম্বর গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে মুগদা থানা শ্রমিক দল নেতা মো. ফজলুর রহমান কাজলকে ডাণ্ডাবেড়ি পরিয়েই রাজধানীর হৃদরোগ ইনস্টিটিউট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ২৮শে ডিসেম্বর হাসপাতালে ডাণ্ডাবেড়ি নিয়েই মারা যান তিনি।
এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী লোকসভা নির্বাচনে বারাণসী থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) বিরুদ্ধে ইন্ডিয়া জোটের প্রার্থী হতে পারেন কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। সম্প্রতি ভারতীয় কুস্তি সংস্থার নতুন কমিটিতে বিজেপি সাংসদ ব্রিজভূষণ শরণ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ সঞ্জয় সিং সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার দিনই টেবিলে জুতো রেখে কুস্তি থেকে সন্ন্যাস নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিলেন তিনি। তারপরেই ইন্ডিয়া (INDIA) জোটের পক্ষ থেকে সাক্ষীকে মোদির বিরুদ্ধে বারাণসী থেকে প্রার্থী হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয় এবং তিনি তাতে একপ্রকার রাজি হয়েছেন বলেই জানা গিয়েছে।-খবরটি সংবাদ প্রতিদিনে প্রকাশিত হয়েছে।
‘কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদকে মদত’, গিলানির হুরিয়তকে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করল শাহের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক-আনন্দবাজার পত্রিকার এ খবরে লেখা হয়েছে, কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা, অধুনা প্রয়াত সৈয়দ শাহ গিলানি প্রতিষ্ঠিত তেহরিক-ই-হুরিয়তকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ)-তে পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। অভিযোগ-শাহ তাঁর এক্স হ্যান্ডলে লেখেন, “তেহরিক-ই-হুরিয়ত সংগঠনটি এক সময় জম্মু ও কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদে মদত জুগিয়েছে এবং ইসলামিক শাসন প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করেছে।#
পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ৩১