জানুয়ারি ১৬, ২০২৪ ১৫:৩৫ Asia/Dhaka

শ্রোতাবন্ধুরা, আপনাদের সবাইকে অনেক অনেক প্রীতি আর শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি চিঠিপত্রের আসর প্রিয়জন। আজকের আসর উপস্থাপনায় রয়েছি আমরা তিনজন। আমি গাজী আবদুর রশীদ, আমি আকতার জাহান এবং আমি আশরাফুর রহমান।

আশরাফুর রহমান: বন্ধুরা, আসরের শুরুতেই আমি একটি বাণী শোনাতে চাই। ইমাম জাফর সাদিক (আ.) বলেছেন: "খাঁটি ঈমানদার উত্তেজিত হয়ে তাকওয়ার সীমা লঙ্ঘন করে না, কারো স্বার্থে বা অনুকূলে অন্যায় কিছু করে না এবং ক্ষমতা থাকা সত্ত্বেও নিজের প্রাপ্য অংশের বেশি নেয় না।"

আকতার জাহান: প্রকৃত ঈমানদার ব্যক্তির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য জানলাম। আমরা সবাই যেন তা মেনে চলতে পারি- এ কামনা করে নজর দিচ্ছি চিঠিপত্রের দিকে।

আসরের প্রথম মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের রাজশাহীর গোদাগাড়ী থেকে। আর পাঠিয়েছেন মোঃ আতাউর রহমান।

ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের প্রশংসা করে তিনি লিখেছেন,আনন্দ বোধ করি এজন্য যে, ইরান ছাড়া প্রায় সব মুসলিম দেশেই আমেরিকার সেনাবাহিনী অবস্থান করছে। ইরান আসলেই বাপের বেটা। শক্তিশালী ও সাহসী রাষ্ট্র ইরানের জন্য আমরা গর্ববোধ করি। ইরান সরকারের প্রতি অনুরোধ করছি, বাংলাদেশ বিপদে পড়লে যেন সাহায্য করে।”

গাজী আবদুর রশীদ: ইরান সম্পর্কে মতামতের জন্য আতাউর রহমান ভাইকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আশা করি আমাদের অনুষ্ঠান সম্পর্কেও লিখবেন।

বাংলাদেশের কিশোরগঞ্জের খড়ম পট্টি থেকে শরিফা আক্তার পান্না পাঠিয়েছেন পরের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, আমি রেডিও তেহরানের একজন নিয়মিত শ্রোতা। অনুষ্ঠান শুনতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি নানা বিষয়ে জ্ঞান আহরণ করে নিজেকে গর্বিত মনে হয়। আসলে বাংলাদেশে অনেক লোকই রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান নিয়মিত শুনে থাকেন। তারা সবাই তথ্যে ও জ্ঞানে অন্যদের চেয়ে এগিয়ে থাকেন। রেডিও তেহরানের প্রতিটি অনুষ্ঠানই মনোমুগ্ধকর ও শিক্ষণীয়। প্রতিটি অনুষ্ঠানই উপভোগ্য ও জীবনমুখী। সত্যিকার অর্থে এমন একটি বেতার কেন্দ্রের অনুষ্ঠান শুনতে পেরে আমরা আনন্দিত ও গর্বিত।”

আশরাফুর রহমান: এরপর এই শ্রোতাবোন ৩১ ডিসেম্বর প্রচারিত সোনালী সময় অনুষ্ঠানের প্রশংসা করে লিখেছেন, “সোনালী সময় অনুষ্ঠানে ইরানের ইসলামি বিপ্লবের রূপকার ইমান খোমেনী (রহ.)-এর কিছু দৃষ্টান্ত তুলে ধরা হয়। ইমাম মনে করতেন, শুধু জ্ঞান আহরণ করলেই হবে না, আত্মিক উন্নতি সাধনও করতে হবে। তিনি জানতেন, যুব সমাজই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। তাই যুবকদেরকে তিনি সম্মান করতেন এবং ইসলামি জাগরণে অনুপ্রাণিত করতেন।” 

আকতার জাহান: রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা বিশেষকরে সোনালী সময় সম্পর্কে সুন্দর মতামতের জন্য বোন শরিফা আক্তার পান্না আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব বর্ধমান জেলার চুপী থেকে হাফিজুর রহমান পাঠিয়েছেন পরের মেইলটি।

তিনি লিখেছেন, "হযরত ঈসা (আ.)’র শুভ জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২৪ ডিসেম্বর প্রচারিত বিশেষ অনুষ্ঠানটি বেশ ভালো লেগেছে। অনুষ্ঠানে হযরত ঈসা (আ.)’র ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং তাঁর কুমারী মাতা হযরত মারিয়াম (সা. আ.)'র দুঃখ-কষ্ট ও অপমান সহ্য করার কাহিনী অবগত হলাম। হযরত ঈসা (আ.) একদিকে ছিলেন মানবপ্রেম ও ন্যায়-বিচার প্রতিষ্ঠার পথে অগ্রগামী অন্যদিকে ছিলেন জুলুম, বৈষম্য ও অবিচারের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুকরণীয় আদর্শ। বর্তমান বিশ্বে অন্যায়-অবিচার, জুলুম-নির্যাতন, সহিংসতা, বর্ণ-বৈষম্য, মানুষে মানুষে ভেদাভেদ চরম অবস্থায় এসে পৌঁছেছে। আর তাই এখন সময় এসেছে ধর্মের প্রকৃত বাস্তবতা উপলব্ধি করার।"  

গাজী আবদুর রশীদ: হযরত ঈসা (আ.)’র জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠানটি সম্পর্কে মতামত জানানোয় ভাই হাফিজুর রহমান আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।

বাংলাদেশের গোপালগঞ্জের জলিরপাড় থেকে শ্রোতাবন্ধু বিধান চন্দ্র টিকাদার পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি। তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান থেকে আমরা অনেক তথ্য জানতে পারি। এ কারণে একদিন অনুষ্ঠান না শুনতে পারলে মোটেও ভালো লাগে না। ৮ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জের শরিফা আক্তার পান্নার শ্রেষ্ঠ পত্রলেখক হবার অনুভূতি একটি অডিও রেকর্ডের মাধ্যমে জানতে পেরে ভালো লেগেছে। একই অনুষ্ঠানে আমার মেইলটি পড়ে শোনানোয় আমি খুবই খুশি হয়েছি।" 

আশরাফুর রহমান: ভাই বিধান চন্দ্র টিকাদার, আপনি খুশি হয়েছেন এবং রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান আপনার ভালো লাগছে জেনে আমাদেরও ভালো লাগল। আশা করি চিঠি লিখা অব্যাহত রাখবেন।

ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার হাতিশালা থেকে আশরাফ হোসেন পাঠিয়েছেন এবারের মেইলটি।

আকতার জাহান: এ শ্রোতা ভাই কি এবারই প্রথম চিঠি লিখলেন?

আশরাফুর রহমান: আশরাফ হোসেন নামে এবারই প্রথম লিখলেন। তবে গত সপ্তাহেও আমরা তার একটি চিঠির জবাব দিয়েছি। 'আদিব আতিয়া' নামের একটি ইমেইল থেকে তিনি চিঠিটি পাঠিয়েছিলেন। তবে নাম উল্লেখ করেননি।

গাজী আবদুর রশীদ: হ্যাঁ, মনে পড়েছে। ওই চিঠিতে তিনি কোনো ঠিকানাও উল্লেখ করেননি। যাইহোক এই চিঠিতে আশরাফ ভাই লিখেছেন, "বাংলাদেশ-এর সিনিয়র শ্রোতা আব্দুল কুদ্দুস ভাই আমাকে রেডিও তেহরান-এর সন্ধান দেন। যার কারণে আমি আমার পুরোনো দিনের রেডিও তেহরানকে ফিরে পাই। উপস্থাপকরা রেডিও তেহরান-এর অনুষ্ঠান এমনভাবে পরিবেশন করেন যা আমি কেন- সকলের ভালো লাগে।"

আকতার জাহান: ভাই আশরাফ হোসেন, নতুন করে রেডিও তেহরান শোনা শুরু করায় আপনাকে আর সন্ধান দেওয়ায় আব্দুল কুদ্দুস ভাইকে আন্তরিক ধন্যবাদ।

আসরের পরের মেইলটি এসেছে বাংলাদেশের কুষ্টিয়া জেলার খাদিমপুর বাজার থেকে। আর পাঠিয়েছেন মোখলেছুর রহমান।

চিঠিপত্রের আসর সম্পর্কে তিনি লিখেছেন, "সপ্তাহ ঘুরে যখন সোমবার আসে, তখন মনটা খুশিতে ভরে উঠে! তার প্রধান কারণ হলো- রেডিও তেহরানের শ্রোতানন্দিত অনুষ্ঠান 'প্রিয়জন' আসরটি শোনার জন্য মনটা মুখিয়ে থাকে। সত্যি কথা বলতে কী, শ্রোতাবন্ধুদের চমৎকার সব ই-মেইলের উত্তর শুনে আমার প্রাণটা জুড়িয়ে যায়। প্রিয়জন অনুষ্ঠানটি আমার কাছে সঞ্জীবনী সুধার মত মিষ্টি লাগে এবং জীবনের সমস্ত দুঃখ-গ্লানি ভুলে গিয়ে নতুন করে বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা যোগায়। তাই তো আমি রেডিও তেহরানের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠান প্রিয়জনের আসরটি শুনতে কখনোই মিস করি না।"  চিঠির শেষাংশে তিনি ৮ জানুয়ারি প্রচারিত প্রিয়জনের প্রশংসা করেছেন।

আশরাফুর রহমান: মোখলেছ ভাইকে ধন্যবাদ প্রিয়জন অনুষ্ঠান সম্পর্কে চমৎকার মতামতের জন্য। আশা করি আমাদের অন্য অনুষ্ঠান সম্পর্কেও লিখবেন।

আসরের পরের মেইলটি পাঠিয়েছেন মুহাম্মদ কাওসার। তিনি ঠিকানা উল্লেখ করেননি। কেবল জানতে চেয়েছেন রেডিওতে তেহরানে পবিত্র কুরআন থেকে যে ক্বারী  তেলাওয়াত করেন তার নাম জানতে চাই।

গাজী আবদুর রশীদ: ভাই মুহাম্মদ কাওসার, আপনার অবগতির জন্য বলছি, রেডিও তেহরানের সান্ধ্য ও নৈশ অধিবেশনের শুরুতে ওস্তাদ শাহরিয়ার পারহিজগরের কণ্ঠে ধারণকৃত তেলাওয়াত প্রচার করা হয়। আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন এই ক্বারী ১৯৬৪ সালের ২৩ জুলাই তেহরানে জন্মগ্রহণ করেন।

আকতার জাহান:  শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে আমরা ২০২৩ সালে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা, শ্রোতাবান্ধব কর্মসূচির সার্বিক মূল্যায়ন এবং আগামী দিনের প্রত্যাশা সম্পর্কে মতামত জানব কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ শাহাদত হোসেন কাছ থেকে। 

আশরাফুর রহমান: শাহাদত ভাইকে ধন্যবাদ ২০২৩ সালে রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠানমালা, শ্রোতাবান্ধব কর্মসূচি এবং আগামী দিনের প্রত্যাশা সম্পর্কে অডিও বার্তা পাঠানোর জন্য। আর হ্যাঁ, আপনার প্রস্তাবগুলো আমাদের বিবেচনায় থাকল। (অ্যানাউন্স)

গাজী আবদুর রশীদ: আসরের পরের মেইলটি পাঠিয়েছেন মো. সারিকুল ইসলাম। তিনি অবশ্য বিগত ৮ মাসে শতাধিক মেইল পাঠিয়েছেন। তবে কোনো মেইলেই ঠিকানা উল্লেখ করেননি।

৬ জানুয়ারি পাঠানো মেইল তিনি লিখেছেন, "আমি নিয়মিত ইমেইল পাঠাই। তারপরও শ্রেষ্ঠ শ্রোতার শিরোপা লাভ করতে পারছি না। এর কারণ কী আমাকে জানাবেন। আর রিসিপশন রিপোর্টের বিষয়টা আমি জানি না। আশা করি জানাবেন।"

আকতার জাহান:  ভাই সারিকুল ইসলাম, এটা ঠিক যে, আপনি নিয়মিত মেইল পাঠাচ্ছেন। কিন্তু চিঠির বিষয়বস্তু ও লেখার মান দুটোই ভালো হওয়া দরকার। আপনি যদি আমাদের ওয়েবসাইট পার্সটুডের মতামত বিভাগে প্রকাশিত লেখাগুলো পড়েন তাহলে একটা ধারণা পাবেন। আর রিসিপশন রিপোর্ট পাঠাতে হয় শর্টওয়েভে অনুষ্ঠান শোনার পর শ্রবণমানের বিস্তারিত জানিয়ে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।

আশরাফুর রহমান: আজকের আসরের শেষ মেইলটি এসেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার গোংড়া গ্রাম থেকে। আর পাঠিয়েছেন হিরামন সেখ।

তিনি লিখেছেন, "রেডিও তেহরান বাংলা বিভাগের আমি একজন নিয়মিত শ্রোতা। নিয়ম করে স্কুলের পাঠ্য বই-এর এ বেতারের পাঠ শুনে থাকি। মনে হয় সেই সোনালি দিনের কথা। স্কুল কক্ষে মাষ্টার মশাই-এর সন্নিকটে বসে যেন আলোচনা শুনছি। রেডিও তেহরান বাংলা যত শুনছি নিজেকে ততই চিনতে পারছি। গত ২৯ ডিসেম্বর তারিখে রেডিও তেহরান বাংলা থেকে প্রচারিত পুরো আয়োজন শুনলাম। এর মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো সুন্দর জীবন। অলসতা নিয়ে আলোচনা  শুনে অনেক অজানা তথ্য জানতে পারলাম। তথ্যবহুল আলোচনাটির জন্য বেতার কর্তৃপক্ষকে আন্তরিক ধন্যবাদ।"

গাজী আবদুর রশীদ:  ভাই হিরামন সেখ, রেডিও তেহরানের অনুষ্ঠান থেকে অজানা তথ্য জানতে পারছেন জেনে ভালো লাগল। আশা করি আবারো লিখবেন।

শ্রোতাবন্ধুরা, অনুষ্ঠানের এ পর্যায়ে কয়েকজন ডিএক্সারের নাম-ঠিকানা জানিয়ে দেবো যারা আমাদের অনুষ্ঠানের শ্রবণমান রিপোর্ট পাঠিয়েছেন।

  • ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার বারুইপাড়া থেকে এস এম নাজিমউদ্দিন
  • পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কুশমন্ডি থেকে দেবাশীষ গোপ
  • বাংলাদেশের ঝিনাইদহের মহেশপুর থেকে নজরুল ইসলাম
  • কুষ্টিয়া জেলার খাদিমপুর বাজার থেকে মোখলেছুর রহমান
  • এবং স্পেনের ভাল্লাদোলিদ থেকে জুয়ান কারলোস পেরেজ

আকতার জাহান:  শর্টওয়েভে অনুষ্ঠান শোনার পর শ্রবণমান রিপোর্ট পাঠানোর জন্য আপনাদের সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। তো শ্রোতা বন্ধুরা, আজকের আসর থেকে বিদায় নেওয়ার আগে রয়েছে একটি জনপ্রিয় ফোক গান। 'একদিন মাটির ভিতরে হবে ঘর' শিরোনামের গানটির গীতিকার ও সুরকার বাউল মুনীর সরকার আর গেয়েছেন বাসুদেব দাস বাউল।

আশরাফুর রহমান: শ্রোতাবন্ধুরা, আপনারা গানটি শুনতে থাকুন আর আমরা বিদায় নিই প্রিয়জনের আজকের আসর থেকে। 

 

 

 

 

ট্যাগ