জানুয়ারি ১৭, ২০২৪ ১৬:২৩ Asia/Dhaka

সুপ্রিয় পাঠক/শ্রোতা: রেডিও তেহরানের প্রাত্যহিক আয়োজন কথাবার্তার আসরে স্বাগত জানাচ্ছি আমি গাজী আবদুর রশীদ। আশা করছি আপনারা প্রত্যেকে ভালো আছেন। আজ ১৭ জানুয়ারি বুধবারের কথাবার্তার আসরের শুরুতে ঢাকা ও কোলকাতার গুরুত্বপূর্ণ বাংলা দৈনিকগুলোর বিশেষ বিশেষ খবরের শিরোনাম তুলে ধরছি। পরে বিস্তারিত খবরে যাব।

বাংলাদেশের শিরোনাম:

  • শেষ ঘণ্টা’র ভোটের হার নিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদেরও প্রশ্ন-মানবজমিন
  • নির্বাচনে ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি: টিআইবি-ইত্তেফাক
  • বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আলোচনা করেছি: পিটার হাস- প্রথম আলো
  • বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ: ৩ বছরে পরিশোধের পরিমাণ বাড়বে ৬৩ শতাংশ। -ডেইলি স্টার বাংলা
  • গ্যাসের জন্য হাহাকার, দেশজুড়ে তীব্র গ্যাস সংকট-যুগান্তর

কোলকাতার শিরোনাম:

  • রামমন্দির উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা মিছিলে শুভেন্দু, অনুমতি মিলবে? - আনন্দবাজার পত্রিকা
  • এবার রামমন্দির উদ্বোধনে ‘না’ শরদ পওয়ারের -সংবাদ প্রতিদিন
  • রাজনৈতিক কর্মসূচি বলেই যাবে না রাহুল-গণশক্তি
  • রামময় সারাদেশ বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী-আজকাল

শিরোনামের পর এবার বাংলাদেশের জাতীয় দৈনিকগুলোর গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি খবরের বিস্তারিত তুলে ধরছি। তবে দৈনিকগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন খবরকে প্রধান শিরোনাম করা হয়েছে। গ্যাসের জন্য হাহাকারের খবরটি সব দৈনিকে বিশেষ গুরুত্বসহ ছাপা হয়েছে। যুগান্তরের প্রধান শিরোনাম-গ্যাসের জন্য হাহাকার। দেশজুড়ে তীব্র গ্যাস সংকট। সিনএনজি স্টেশনে দীর্ঘ লাইন। দেশজুড়ে তীব্র গ্যাস সংকটের নেপথ্যে-এ শিরোনামে দৈনিকটি লিখেছে, সারা দেশে চলছে তীব্র গ্যাস সংকট। বাসাবাড়ি, সিএনজি স্টেশন, পেট্রোল পাম্প, শিল্প-কলকারখানা সর্বত্র একই অবস্থা।গ্যাস সংকটের কারণে অনেক শিল্প-কারখানা দিনে বন্ধ রাখতে হচ্ছে।শিল্পমালিকরা বলছেন, তারা বলছেন, একদিকে ডলার ক্রাইসিস অন্যদিকে গ্যাস সংকট চলতে থাকলে এই সেক্টরে বড় ধরনের বিপর্যয় নেমে আসবে। এ বিষয়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বলেছেন, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশে নিরবচ্ছিন্ন গ্যাস সরবরাহের কাজ চলছে। তবে সম্প্রতি যে সংকট চলছে সেটি কিছুদিনের মধ্যে সমাধান হবে। যদিও খুব তাড়াতাড়ি সংকট সমাধানের কোনো আশা দেখাতে পারেননি তিনি।

বাংলাদেশ–যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক এগিয়ে নিতে আলোচনা করেছি: পিটার হাস-প্রথম আলোর এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, নিরাপত্তা, প্রতিরক্ষা, ব্যবসার সম্প্রসারণ, রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধান ও জলবায়ু পরিবর্তনে সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক এগিয়ে নিতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

দৈনিকটির অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছ, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একপক্ষীয় ও পাতানো প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হয়েছে বলে মনে করছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটি বলেছে, এবারের নির্বাচন অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক হয়নি। এ নির্বাচন দেশের গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক নির্বাচনের ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত। তারা বলেছে, নির্বাচনে ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি। ডেইলি স্টার বাংলায় লেখা হয়েছেম টিআইবি আরও বলেছে, পাতানো ও ব্যয়বহুল নির্বাচনে প্রার্থীদের গড় ব্যয় দেড় কোটি টাকার বেশি।

খেলাপি ঋণের অর্ধেকই সরকারি ৫ ব্যাংকে-যুগান্তরের এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, ব্যাংক খাতের খেলাপি ঋণ কেন্দ্রীভূত হয়ে যাচ্ছে। কয়েকটি বড় খেলাপির কাছেই যেমন আটকে রয়েছে মোটা অঙ্কের ঋণ। তেমনি সরকারিসহ কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকেই রয়েছে খেলাপি ঋণের সিংহভাগ। ব্যাংক খাতের মোট খেলাপি ঋণের ৬৫ শতাংশই রয়েছে শীর্ষ ১০ ব্যাংকের কাছে।কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রতিবেদনে বলা হয়, বৈশ্বিক মন্দার প্রভাব দেশে আর্থিক খাতে আরও স্পষ্ট হচ্ছে। এর প্রভাবে ডলার সংকট বেড়েছে। আমদানি কমেছে। সব মিলে বৈশ্বিকভাবে দেশের আর্থিক খাত চাপের মধ্যে রয়েছে। প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্যে দেখা যায়, গত জুন পর্যন্ত ব্যাংক খাতে খেলাপি ঋণ বেড়ে ১ হাজার ৫৬০ কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে। দেশের ৬১টি ব্যাংকের মধ্যে ৩৩টি ব্যাংকই খেলাপি ঋণের কারণে ঝুঁকিপূর্ণ। অর্থাৎ অর্ধেকেরও বেশি ব্যাংক ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায়। অর্থনীতি বিষয়ক আরেকটি খবরে ডেইলি স্টার বাংলা লিখেছে, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ:২৫-২৬ অর্থবছরসহ ৩ বছরে পরিশোধের পরিমাণ বাড়বে ৬৩ শতাংশ। গত অর্থবছরে সরকার ২ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলার ঋণ পরিশোধ করেছে।ধারণা করা হচ্ছে, যা দেশের কোষাগারের ওপর নতুন করে চাপ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে।

শেষ ঘণ্টা’র ভোটের হার নিয়ে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদেরও প্রশ্ন-মানবজমিন

সদ্য সমাপ্ত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ ঘণ্টায় ভোটের অস্বাভাবিক হার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টারন্যাশনাল রিপাবলিকান ইনস্টিটিউট (আইআরআই) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক ইনস্টিটিউট (এনডিআই)। গত সোমবার নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠকে তারা প্রতি ঘণ্টায় ভোট পড়ার তথ্য জানতে চেয়েছে। এদিকে শেষ ঘণ্টার ভোটের হার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে স্থানীয় কিছু পর্যবেক্ষক সংস্থাও। তারা বলছে, ভোটের শেষ সময়ের দিকে বিভিন্ন কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়ে। এজেন্টদের হুমকি দেয়ার ঘটনাও ঘটেছে। পর্যবেক্ষকরা বিভিন্ন স্থান পর্যবেক্ষণ করে সংস্থার কাছে এমন তথ্য দিয়েছে।

৭ই জানুয়ারি ভোটগ্রহণ চলার সময় গণমাধ্যমের কাছে ৩ দফা ভোট পড়ার হার জানায় নির্বাচন কমিশন। সেদিন প্রথম দুই দফা ইসি সচিব এবং ভোট শেষে সিইসি গণমাধ্যমে ব্রিফ করেন। সেই হিসাব অনুযায়ী, দুপুর ১২টা ১০ মিনিট পর্যন্ত গড়ে ১৮.৫ শতাংশ, এরপর বেলা ৩টার পর জানানো হয় ২৭ শতাংশ এবং বিকাল ৪টায় ভোট শেষ হওয়ার ঘণ্টা দেড়েক পর সংবাদ সম্মেলনে সিইসি প্রথমে ২৮ শতাংশ পরে ৪০ শতাংশের মতো ভোট পড়ার তথ্য জানান। সংবাদ সম্মেলনে সিইসি ২৮ শতাংশ বলার পর পাশে থাকা কর্মকর্তারা তাকে ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানালে তিনি সংশোধন করে বলেন, সংখ্যাটা ৪০-ও হতে পারে, এর কমবেশিও হতে পারে। এরপর থেকেই ভোটের হার নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়।

বিভিন্ন প্রার্থীরাও শেষ ঘণ্টায় ভোট কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ভোট পড়ার হারসহ ফলাফল নিয়ে সন্দেহ থাকলে চ্যালেঞ্জ করার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি। পরে অবশ্য চূড়ান্ত হিসেবে নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য দিয়েছে ইসি। যদিও সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এই হার উল্লেখ করেছিলেন ৪১.৮। 

এদিকে ইইউ, আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ইসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বৈঠকে ইইউ ও মার্কিন দুই সংস্থা নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ও ইসি’র ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি’ অ্যাপসের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। ভোটের শেষ মুহূর্তে হঠাৎ হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। এ জন্য তারা প্রতি ঘণ্টায় ভোট পড়ার তথ্য জানতে চেয়েছেন। প্রতি ঘণ্টায় ক’জন ডেটা ইনপুট দিয়েছে, কতোজন দিতে পারেনি-এই তথ্যও চেয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। কিন্তু তারা কপি চেয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভোটের হার নিয়ে খবর দেখে তারা মনে করছেন, ভোটে অনিয়ম হতে পারে। 

বিভিন্ন প্রার্থীরাও শেষ ঘণ্টায় ভোট কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন। ভোট পড়ার হারসহ ফলাফল নিয়ে সন্দেহ থাকলে চ্যালেঞ্জ করার আহ্বান জানিয়েছেন সিইসি। পরে অবশ্য চূড়ান্ত হিসেবে নির্বাচনে ৪১ দশমিক ৯৯ শতাংশ ভোট পড়ার তথ্য দিয়েছে ইসি। যদিও সংবাদ সম্মেলনে সিইসি এই হার উল্লেখ করেছিলেন ৪১.৮। 

এদিকে ইইউ, আইআরআই ও এনডিআইয়ের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে ইসি’র সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, বৈঠকে ইইউ ও মার্কিন দুই সংস্থা নির্বাচনে ভোট পড়ার হার ও ইসি’র ‘স্মার্ট ইলেকশন ম্যানেজমেন্ট বিডি’ অ্যাপসের কার্যক্রম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে চেয়েছেন। ভোটের শেষ মুহূর্তে হঠাৎ হার বেড়ে যাওয়া নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছেন। এ জন্য তারা প্রতি ঘণ্টায় ভোট পড়ার তথ্য জানতে চেয়েছেন। প্রতি ঘণ্টায় ক’জন ডেটা ইনপুট দিয়েছে, কতোজন দিতে পারেনি-এই তথ্যও চেয়েছে। কমিশনের পক্ষ থেকে অ্যাপসের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে। কিন্তু তারা কপি চেয়েছেন। বিভিন্ন গণমাধ্যমের ভোটের হার নিয়ে খবর দেখে তারা মনে করছেন, ভোটে অনিয়ম হতে পারে। 

নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত ঢাকার বাইরের একটি পর্যবেক্ষক সংস্থার সেক্রেটারি নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শেষ এক ঘণ্টায় অনেক কেন্দ্রে ভোট বেশি পড়ার তথ্য পেয়েছি। যদিও ওইসব কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। তিনি বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনে আমাদের প্রতিবেদন জমা দিয়ে দিয়েছি। নির্বাচন কমিশনের ফরমেট অনুযায়ী তথ্য জানিয়েছি। ওই ফরমেটে এমন তথ্য দেয়ার সুযোগ নেই বলে জানান তিনি। বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ৩০০ আসন নিয়ে জাতীয় সংসদ গঠনের সাংবিধানিক নির্দেশনা রয়েছে। কিন্তু এখন তিনশ আসনে ৬০০ সংসদ সদস্য রয়েছেন।

ওদিকে ভোটের শেষ ঘণ্টার হার নিয়ে পরাজিত প্রার্থীরাও অভিযোগ করেছে। গাইবান্ধা-১ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী শামীম হায়দার পাটোয়ারী বলেছেন, ভোটে কারচুপি হয়েছে। শতকরা ৯০ ভাগ কেন্দ্রে আমি ২-৩ জনের বেশি ভোটার দেখিনি। সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত নগণ্য ভোটার উপস্থিতি ছিল। কিন্তু দিন শেষে কাস্টিং যা দেখলাম, আমার মনে হয়েছে, এখানে ভোট কারচুপি হয়েছে। ময়মনসিংহ-১০ আসনে ঈগল প্রতীকের প্রার্থী কায়সার আহাম্মদ বলেছেন, ভোটকেন্দ্রগুলো ছিল ভোটারশূন্য। নৌকার লোকজন কেন্দ্র দখল করে অনবরত সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরেছে। আমরা এই ভোট বাতিল করে পুনরায় সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাই। ফরিদপুর-১ আসনে জালভোটসহ অনিয়মের অভিযোগ এনে ভোট পুনরায় গণনা ও অর্ধশতাধিক ভোটকেন্দ্রে পুনঃনির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুর রহমান দোলন। অনিয়মের ভিডিও ও স্থিরচিত্রসহ আসনটির অর্ধশতাধিক কেন্দ্রে নানা অনিয়মের তথ্য-প্রমাণাদি তুলে ধরে সিইসি’র কাছে তিনি লিখিত অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।

দেশে কী দুটি সংসদ একসঙ্গে কার্যকর?-মানবজমিন

বাংলাদেশে এখন দু’টি সংসদ চলমান। একাদশ সংসদ এবং দ্বাদশ সংসদ। যেহেতু রাষ্ট্রপতি এখন পর্যন্ত ভেঙে দেননি তাই একাদশ সংসদের  মেয়াদ শেষ হবে ২৯শে জানুয়ারি। রাষ্ট্রপতি ভেঙে না দিলে এবং মেয়াদের শেষ না হলে সংসদ বিলুপ্ত হওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই। সুতরাং একাদশ সংসদ এখনো বিদ্যমান। আবার একাদশ সংসদ বহাল থাকা অবস্থায় দ্বাদশ সংসদের সদস্যগণ শপথ নিয়েছেন। তাহলে একাদশ সংসদের ৩৫০ (৩০০+৫০) এবং দ্বাদশ সংসদের ৩০০ জন অর্থাৎ বাংলাদেশে এখন ৬৫০ জন সংসদ সদস্য। এর মাঝে ৬০০ জন প্রত্যক্ষ ভোটে আর ৫০ জন মহিলা সদস্য আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে। সংসদের সদস্য সংখ্যা হঠাৎ করে দ্বিগুণ হয়ে যাবে বা দু’টি সংসদ একসঙ্গে কার্যকর থাকবে- এমন লেজেগোবরে অবস্থা বিশ্বের কোথাও নেই, শুধু বাংলাদেশ ছাড়া।

 এবারে কোলকাতার কয়েকটি খবরের বিস্তারিত

রামমন্দির উদ্বোধনের দিন মুখ্যমন্ত্রীর পাল্টা মিছিলে শুভেন্দু, অনুমতি মিলবে?-আনন্দবাজার পত্রিকার এ শিরোনামের খবরে লেখা হয়েছে, আগামী সোমবার, ২২ জানুয়ারি অযোধ্যায় রামমন্দিরের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মঙ্গলবার ঘোষণা করেছেন, ওইদিনই কলকাতায় ‘সংহতি মিছিল’ করা হবে। তারই পাশাপাশি রামমন্দির উদ্বোধনের দিন বিকালে উত্তর কলকাতার জোড়াসাঁকো এলাকায় একটি মিছিল করবেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যদিও ওই মিছিল ‘অরাজনৈতিক’ মঞ্চ থেকে করা হবে বলেই জানিয়েছে বিরোধী দলনেতার ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র। কিন্তু তা সত্ত্বেও কলকাতা পুলিশ ওই মিছিলের অনুমতি দেবে কি না, তা নিয়ে সংশয়ে বিজেপি নেতৃত্ব। সে কারণে আগেভাগেই আইনি পরামর্শ নেওয়া শুরু করেছেন তাঁরা। এর আগে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে রাজনৈতিক কর্মসূচি করতে গিয়ে প্রশাসনের অনুমতি পাননি শুভেন্দু। দৈনিকগুলোর অন্য একটি খবরে লেখা হয়েছে, যে আদানিকে নিয়ম করে রোজ আক্রমণ করছেন রাহুল গান্ধী সেই আদানির সঙ্গেই ‘মউ’ সই করলেন  তেলেঙ্গানারর নয়া কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী রেবন্ত রেড্ডি। এটি স্বাক্ষরিত হয়েছে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে।্র

পার্সটুডে/গাজী আবদুর রশীদ/ ১৭

ট্যাগ