গাজা যুদ্ধ বন্ধের দাবিতে তেল আবিব, হাইফায় হাজার হাজার মানুষের সমাবেশ
https://parstoday.ir/bn/news/event-i150674-গাজা_যুদ্ধ_বন্ধের_দাবিতে_তেল_আবিব_হাইফায়_হাজার_হাজার_মানুষের_সমাবেশ
গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। তারা ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি বহন করেছে।
(last modified 2025-07-29T12:16:04+00:00 )
জুলাই ২৫, ২০২৫ ১৯:১৫ Asia/Dhaka
  • গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।
    গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে।

গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের গণহত্যার বিরুদ্ধে তেল আবিবে হাজার হাজার মানুষ বিক্ষোভ করেছে। তারা ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি বহন করেছে।

বিক্ষোভকারীরা বৃহস্পতিবার তেল আবিবের হাবিমা স্কয়ার এবং সংলগ্ন রাস্তায় জড়ো হয়েছিল গাজায় আটক ইসরায়েলি বন্দীদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে।

তাদের মধ্যে কয়েকজনের হাতে প্ল্যাকার্ড ছিল যেখানে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং গণহত্যার জন্য ইসরায়েলের নিন্দা জানানো হয়েছিল এবং সৈন্যদের যুদ্ধে অংশ নিতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছিল। অন্যদের হাতে ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনি শিশুদের ছবি দেখা গিয়েছিল, যার একটিতে লেখা ছিল 'মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরোধিতা করুন।'

হাইফায়, শহরের জার্মান কলোনিতে একটি যুদ্ধবিরোধী বিক্ষোভে পুলিশ ২৪ জন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করেছিল। বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করার সময় তাদের হাতকড়া পরিয়ে একটি পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যাওয়ার ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। পরে কর্মকর্তারা বিক্ষোভকারীদের মাটিতে ফেলে,তাদের হাতকড়া পরিয়ে পুলিশ ভ্যানে নিয়ে যেতে শুরু করেন।

বিক্ষোভস্থল থেকে নেওয়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, একজন হাতকড়া পরা বিক্ষোভকারী সাংবাদিকদের কাছে চিৎকার করে বলছেন যে অফিসাররা ভ্যানের ভেতরে বেশ কয়েকজন মহিলা বিক্ষোভকারীকে মারধর করেছে, তারপর তাকে পুলিশের গাড়িতে তুলে নেওয়া হয়।

২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েল গাজায় একটি গণহত্যা যুদ্ধ শুরু করে যার ফলে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৫৯,৫৮৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।

সমালোচকরা ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সমালোচনা ক্রমশ বাড়িয়ে তুলছেন, যা তারা গাজার বিরুদ্ধে চলমান গণহত্যা দুর্নীতির তদন্তের মধ্যে তার ব্যক্তিগত রাজনৈতিক টিকে থাকার অগ্রাধিকার দেওয়ার একটি নমুনা হিসেবে বর্ণনা করেছেন। গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর থেকে, নেতানিয়াহুর আলোচনায় অর্থপূর্ণ ছাড় বিশেষ করে যুদ্ধবিরতি বা বন্দী বিনিময়ের ক্ষেত্রে তার একরোখা মনোভাব দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে ব্যাপাক  সমালোচনা সৃষ্টি করেছে।

আন্তর্জাতিক মিত্র এবং অভ্যন্তরীণ সমালোচকদের কূটনীতি এবং উত্তেজনা হ্রাসের দিকে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার আহ্বান সত্ত্বেও গাজায় সামরিক আগ্রাসন অব্যাহত রাখা তার শক্তি প্রদর্শন এবং জোটের কট্টরপন্থীদের শান্ত করার ইচ্ছার সাথে যুক্ত।

যাইহোক, একজন অবসরপ্রাপ্ত ইসরায়েলি মেজর জেনারেল এই সপ্তাহে প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন যে ইসরায়েলের সামরিক দুর্বলতা এবং কৌশলগত ব্যর্থতা রয়েছে কারণ হামাস প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে চলমান সংঘর্ষের মধ্যে সরকার গাজায় আটকে রয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী সাবেক সিনিয়র অফিসার মেজর জেনারেল আইজ্যাক বারিক ইসরায়েলি সংবাদ ওয়েবসাইট আরুৎজ শেভার জন্য একটি উপ-সম্পাদকীয়তে লিখেছেন, "জেনারেল থেকে শুরু করে কোম্পানি কমান্ডার পর্যন্ত সিনিয়র অফিসারদের দ্বারা প্রতিফলিত বেদনাদায়ক সত্য হল যে ইসরায়েল 'আয়রন সোর্ডস' যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত ছিল না।" বারিক আরো বলেন, "হামাসের বিরুদ্ধে অভিযানে ইসরায়েলি সরকার ইতিমধ্যেই কৌশলগত ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে।"#

পার্সটুডে/এমবিএ/২৫

বিশ্বসংবাদসহ গুরুত্বপূর্ণ সব লেখা পেতে আমাদের ফেসবুক পেইজে লাইক দিয়ে অ্যাকটিভ থাকুন।